আসুন ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করি
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৫০:০৫ রাত
....রসূল(সাঃ)বলেন যার মধ্যে ৩ টি গুন রয়েছে,সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে। ১. আল্লাহ ও তার তার রসূল(সাঃ) সকল কিছু থেকে অধিক প্রিয় হওয়া। ২. আল্লাহর উদ্দেশ্যেই ভালবাসা। ৩. কুফরীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।(বুখারী-মুসলিম)
... তোমাদের কেউই প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না,যতক্ষন না সে তার নিজের জন্যে যা পছন্দ করে,তার ভাইয়ের জন্যেও অনুরূপ পছন্দ করে।-(বুখারী-মুসলিম)
.... যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন মেহমানদের সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।-(বুখারী-মুসলিম)
.... জরীর ইবনে আব্দুল্লাহ(রাঃ) বলেন-আমি রসূল(সাঃ) এর কাছে এসে এই মর্মে বায়য়াত প্রদান করলাম যে-আমি আল্লাহর রসূলের(সাঃ) কথা শুনব,সকল নির্দেশ মেনে চলব এবং সকল মুসলিমের মঙ্গল কামনা করব। এরপর রসূল(সাঃ) অতিরিক্ত যোগ করলেন-"তোমার সাধ্যানুযায়ী বিষয়ে"। -বুখারী-মুসলিম
(আমরা যেন একে অপরের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ না রাখি। একে অপরের জন্যে দোয়া করব)
... রসূল(সাঃ) বলেন- ঈমান মজবুত থাকা অবস্থায় কেউ যিনা করতে পারেনা,মদ্যপান করতে পারে না,চুরী করতে পারে না। আরেক বর্ণনায় এসেছে ছিনতাইয়ের সময় সে মুমিন থাকেনা।-(বুখারী,মুসলিম)
...কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে "হে কাফির" সম্বোধন করলে তাদের যে কোনো একজন কুফরীর শিকার হল।(-বুখারী-মুসলিম)
..আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) রসূল(সাঃ)কে জিজ্ঞেস করেন-কোন আমলটি আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম ? তিনি(সাঃ)বলেন-যথা সময়ে সালাত আদায় করা। আবার জিজ্ঞেস করেন-এরপর কোনটি ? তিনি(সাঃ)বললেন-পিতা-মাতার আনুগত্য করা। আবারও জিেজ্ঞেস করলেন-এরপর কোনটি? তিনি(সাঃ)বললেন-আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) বলেন-আমার মনে হয়েছে আমি আরও জিজ্ঞেস করলে তিনি আরও বলতেন।-(বুখারী,মুসলিম)
সর্বশেষ ভিন্ন বিষয়ের একটি হাদীস উল্লেখ করছি। এটা অনুধাবন করার অনুরোধ রইলো। কারন এ বিষয়টি অহরহ ঘটে থাকে। বুখারী এবং মুসলিমের একাধিক হাদীসে এসেছে সবথেকে বড় কবিরা গুনাহ হল শিরক। বুখারী ও মুসলিমের আরেকটি বর্ণনায় এসেছে সবথেকে বড় কবিরা গুনাহ হল পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেওয়া। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রসূল(সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন-ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কোনো লোক তার নিজ পিতা-মাতাকে কিভাবে অভিশাপ দিতে পারে !
রসূল(সাঃ)বললেন- সে যখন অন্যের পিতাকে গালি দেয়,তখন সে তার নিজের পিতাকেই গালি দেয়,যখন সে অন্যের -মাতাকে গালি দেয়,তখন সে নিজের মাতাকেই গালি দেয়। -(বুখারী-মুসলিম)
(অবএব মানুষকে অমুকের বাচ্চা...তমুকের বাচ্চা বলে গালি দিলে সর্বনাশ। )
(ঈমানের স্বাদ যে পেয়েছে,সে এর ভেতরেই বাঁচতে চাইবে। এখানেই রয়েছে প্রাণ)
বিষয়: বিবিধ
২১৫০ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুনিয়ার সব কিছুর চাইতে একজন মুমিনের নিকট ঈমানই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সেদিন এই হাদীসটি পড়ছিলাম
আনাস ইবন মালেক রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“তোমরা কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমাদের নিকট তোমাদের তোমাদের মাতা-পিতা, সন্তান-সন্ততি ও সমস্ত মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হব” সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪৪; সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৫ এ হাদিস শুনে ওমর রা. বলেন, “আল্লাহর শপথ করে বলছি, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার নিকট দুনিয়ার সব কিছু হতে অধিক প্রিয় তবে আমার জীবন থেকে নয়। তার কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার জীবন থেকেও অধিক প্রিয় না হব। এ কথা শোনে ওমর রা. বললেন, আল্লাহর শপথ আপনি এখন আমার নিকট আমার জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয়। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে ওমর তুমি এখন পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারলে”। বুখারি।
আর ভাবছিলাম, আমাদের অবস্থান কোথায়?
আল্লাহ আমাদের যথাযথ মুসলিম হওয়ার তৌফিক দান করুন! আমীন।
জাযাকাল্লাহু খাইর!
অনেক কষ্ট করেছেন তাই আপনার জন্য-
( কালোজাম)
রসোগোল্লা!
দোআ করবেন! শুভকামনা রইলো
আপনার মিস্টি স্বানন্দে গ্রহন করলাম। আল্লাহ আপনাকে হিসাব সহজ করুন,মাফ করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমার জন্যে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে দোয়া করার অনুরোধ রইলো। আল্লাহকে বলবেন-দ্য স্লেভ সাক্ষ্য দেয় যে সে পাপী,কিন্তু আল্লাহ সর্বোচ্চ দয়াময় এবং ক্ষমাকারী। দ্য স্লেভ অবশ্যই স্বীকার করে,সে মহা পাপী কিন্তু সে তার স্রষ্টার উপর নির্ভর করে এবং তাকে ভয় করে। সে শিরকে লিপ্ত নয়। সে এক আল্লাহকেই সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বিশ্বাস করে। ইয়া আল্লাহ আপনি তাকে ক্ষমা করুন,তার উপর দয়া করুন,পৃথিবী এবং আখিরাতের মহা কল্যানদান করুন,তাকে উত্তম রিজিক দান করুন,উত্তম স্ত্রী দান করুন,কবর-আখিরাত সকল স্থানে শাস্তি সম্পুর্ণ মাফ করুন ! জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন !
একই দোয়া আপনার জন্যেও করলাম।
আল্লাহ আমাদের যথাযথ মুসলিম হওয়ার এবং পরিপূর্ন মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু বরন করার তৌফিক দান করুন!
আল্লাহ আমাদের যথাযথ মুসলিম হওয়ার এবং পরিপূর্ন মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু বরন করার তৌফিক দান করুন!
আপা, আপনাকে মেহমান হিসেবে পেলে সত্যি ভাগ্যবতী মনে করব!
আমরা কম বেশী সকলেইি পাপী কিন্তু আপনার ব্যাপারে আমার সুধারনা অঅছে। আর এক বান্দা আরেক বান্দার জন্যে দোয়া করছে আল্লাহকে মহান ও দয়াময় বিশ্বাস করেই। আল্লাহ যেন আমার দোয়াকে কবুল করা উনার জন্যে আবশ্যক হিসেবে গ্রহন করেন। আল্লাহ যেন আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করেন,আপনার সন্তানদের মুত্তাকী বানান। আপনার পৃথিবীর কষ্টসমূহ দূর করেন। আপনার মধ্য থেকে ওপারে যাবার ব্যাপারে যে দোদুল্যমান অবস্থা রয়েছে,যেসকল ভয় ভীতি রয়েছে সেসবকে দূর করেন। হাদীসে কুদসীতে তিনি বলেছেন-আল্লাহ দুই ভয়কে এক করেন না। যারা দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় করে,আখিরাতে তারা ভীত হবেনা। অনেক বৈশিষ্টের মধ্য থেকে একটিকে আল্লাহ গ্রহন করে আপনাকে যেন ক্ষমা করেন। আর জীবনের পরবর্তী প্রত্যেক স্টেপে অঅপনাকে যেন ভেতর থেকে এক ধরনের প্রশান্তি দান করেন,যার মাধ্যমে আল্লাহর উপর আপনার আস্থা আরও বাড়ে এবং আল্লাহ আপনাকে যেন প্রফুল্ল রাখেন সকল সময়ে।
মারা যাবার মুহুর্ত যেন আপনার জন্যে বিষাদময় না হয়। আপনি আল্লাহর সান্নিধ্যে যাবার জন্যে উদগ্রীব এবং সেখানে আপনার জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে এমনটাই যেন হয়। আল্লাহ যেন তার ফেরেশতা দিয়ে আপনার আত্মাকে মর্যাদার সাথে ওপারের জন্যে গ্রহন করেন। ইল্লিইনে আপনার শান্তিময় ঘুম এবং এরপর মর্যাদার সাথে উত্থান হয়। আল্লাহর সামনে একা দাড়ানোর সময় আপনার সকল পাপ যেন তিনি ক্ষমা করেন। জীবনে অন্যের হক যা নষ্ট করেছেন,তার ক্ষতিপূরনের আল্লাই যেন সহায়তা করেন। তারা যেটুকু পাবে, আল্লাহ যেন তার চাইতে অনেক বেশী সওয়াব/নেকী আপনাকে উক্ত পাওনা পরিশোধের জন্যে দান করেন। এভাবে আপনি যেন অত্যন্ত মর্যাদার সাথে,নবী,সাহাবী,শহীদদের কাতারে গিয়ে গর্ব নিয়ে দাড়াতে পারেন। যদি আল্লাহ চান,তবে অবশ্যই সম্ভব। তিনিই একক ক্ষমতাবান। আর সেই মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে আপনার জন্যে এই দোয়া করলাম।
আমার আগে সেখানে পৌছে,আমাকে দয়া করে ভুলে যাবেন না। আল্লাহকে বলবেন,যার দোয়া কবুল করে আমার উপর রহমত করলেন,শুধুমাত্র তার উত্তম দোয়ার কারনে আপনি তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দিন,আপনিই মহা পরাক্রমশালী,মহা ক্ষমতাবান
Click this link
আমার জন্যেও দোয়া করেন। আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাজসমূহ সহজ করে দেন। আমাকে যেন এমনসব উত্তম সন্তানসমূহ দান করেন,যারা আমার মৃত্যুর পর সদকায়ে জারিয়া হিসেবে জারি থাকবে। ওপারে থেকেও যেন আমি নাজরানা পাই। আমার জীবনকে আল্লাহ যেন সর্বদা সুন্দর রাখেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন