গত কয়েক দিনের পাঁচ মিশালী
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৩৬:১৪ সকাল
পত্রের প্রথমে বলে নেই-ভেজিটেবল পিজা খাচ্ছি। ডো তৈরী করে ট্রেতে সেটা পেতে,তার উপর হালকা মশলা দিয়ে ভাজি,বেক করা ভেজিটেবল দিয়ে বার্নারের ভেতর ২৫ মিনিট রাখতে হবে। খেতে খারাপ হয়নি। যারা খেতে চান,হাত উচু করে আওয়াজ দেন।
আমার এক শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত। আমি তাকে সম্মান করতাম,তাকে সহায্য করতাম তার কাছে কিন্তু বেশীরভাগ সময়ে তিনি আমার সাথে ভাল আচরণ করেননি। আরও অনেকের সাথে তার আচরণ শুভ ছিলনা। ভেতরে ভেতরে কেউ তাকে পছন্দ করত না। তার প্রতি আমার ক্ষোভ ছিল অনেক বেশী। কারন আমি যে আচরনের যোগ্য ছিলাম না, তা তিনি প্রদান করেছেন। এবং আমি কখনও অভিযোগ করিনি।
সেদিন রাতে বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম। হঠাৎ মনে হল ,আল্লাহ হাদীসে কুদসীতে বলেছেন -বান্দা পর্বত সম পাপ নিয়ে তার দরবারে হাজির হলে তিনি পর্বত সমান ক্ষমা নিয়ে হাজির হন.....বুখারীর একটি হাদীসে এসেছে-আল্লাহ তার দয়ার ১ভাগ এর সম পরিমান সকল জীবকে প্রদান করেছেন। হাশরের দিনে তিনি তার বাকী ৯৯% দয়া প্রকাশ করবেন......
বহু দিনের চেপে রাখা ক্ষোভ হঠাৎ নিভিয়ে দিলাম। শিক্ষককে আমি মন থেকে ক্ষমা করে দিলাম। ..অবাক কান্ড স্বপ্নে দেখলাম আমি তার সাথে দেখা করেছি। তিনি অনেকের সামনে বললেন-আমরা তোমাকে নিয়ে গর্ব করি।...ঘুম ভাঙ্গার পর ফজরের নামাজ পড়ে আবারও ঘুমালাম। আবারও তিনি স্বপ্নে এসে আমার প্রশংসা করলেন। তিনি জীবনেও আমার কোনো কাজে প্রশংসা করেছেন বলে মনে পড়েনা। তাকে স্বপ্নে আমার প্রতি অতি খুশী হতে দেখলাম্ । আমি কখনই এই শিক্ষককে স্বপ্নে দেখিনি।
কোনো মানুষ অন্য মানুষকে কষ্ট দিলে সে লোকটি ক্ষমা না করা পর্যন্ত আল্লাহ ক্ষমা করেন না। ইবাদতের এই অংশ বা হুক্কুল ইবাদ অত্যন্ত ভয়াবহ। মিক্ষকের উপর থেকে আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করলাম,যদিও তাকে ক্ষমা করতে আমার কষ্ট হয়েছে এবং যদিও আমি অত্যন্ত দ্রুত মানুষকে ক্ষমা করি। ...
এরপর একটা মজার স্বপ্ন দেখলাম। গত ৪/৫ দিন আগের স্বপ্ন এটি। দেখলাম আমার হাতে ৪টি সাগর কলা,আর আমি ঢাকার মহাখালির মোড়ে দাড়িয়ে আছি। হঠাৎ দেখলাম ৪/৫ বছরের একটা বাচ্চা ভিক্ষা করছে। সে আমার পাশ দিয়ে যাবার সময় আমার খুব মায়া হল,আমি তাকে একটা কলা দিলাম। কলা নিয়ে সে হাসতে হাসতে বলল-একটা টাকা দেন। বললাম টাকা দিয়ে তুই কি করবি ? সে জানালো-দুধ খাবে। তখন আমি বললাম,আচ্ছা দাড়া। এবার আমার ব্যাকপ্যাক থেকে এক বোতল দুধ বের করলাম এবং সেটা চিল ফিডারে। আমি তাকে দুধ খাওয়ালাম।
এখনও বুঝতে পারছি না, আমার ব্যাগে দুধের ফিডার কেন ছিল !!!
গত কয়েক দিনে মুরগী,ডাল,বারবিকিউ অনেক কিছুই রান্না করলাম। খাচ্ছি ভালই। আজ সকালে মা'র সাথে কথা বললাম। সে জানালো খেজুরের রসের পিঠা বানাইছি,সে যে কি মজা হয়েছে.....আর শিড়ির পাশের কুল গাছটার কুল যে কি দারুন !!! তা তোর খাওয়া দাওয়া কেমন চলছে ?
বললাম-খাচ্ছি ভালই.....কিন্তু রসের পিঠার কথা মনে পড়াতে নিজেকে ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল। ক্যান যে সে এই কথাডা বলল ! আমার ভাই আমার বেশ চালাক এই ব্যাপারে। সে এত বেশী উৎসাহ নিয়ে এসব বয়ান করেনা। কারন সে জানে তাহলে আমার আবার কষ্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তখন হয়ত খেজুরের গুড় খোজ করে তা দুধের সাথে গুলিয়ে,চাল বেটে গুড়ো তৈরী করে তা থেকে পিঠা তৈরী করে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাব.....
এক ফুফাত ভাইকে ফোন করলাম। ছোটবেলায় একে নিয়ে যা তা করেছি। গভীর রাতে একবার একে দুজনে ঘুমন্ত অবস্থায় বাগানে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুকুর পাড় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পর তার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং ওকে ফেলে আমরা বাগানে পালাই...
সে বিয়ে করেছে। বললাম, গালাগালি আর দেবনা। বিয়ের পর আমি কাওকে গালি দেইনা...নিশ্চিন্তে থাক...
এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে কথা বললাম। ছোটবেলায় এর সাথে বেশী মিশতাম। কত শত স্মৃতি ,,আহ !
এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে কথা বললাম। ,,,,উপদেশ দিয়ে বললাম- চোখ বন্ধ করে কবুল না বললে বিয়ে হবেনা,টেলিফোনেও হতে পারে। ..বিয়ের জন্যে -চোখ বন্ধ অবস্থাটা নিশ্চিত করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে অত্যাচারিত যদি তার শোধ না নিয়ে সহ্য করের যায় তাহলে আল্লাহ তায়ালাই তার পক্ষে শোধ নিয়ে নেন । আল্লাহর পাকড়াও খুবই কঠিন ।
শীতকালে চিতই পিঠা খেতে খুব মজা লাগে । বিশেষ করে মাটির হাঁড়িতে পাকানো পাতলা পিঠে গুলো যে গুলোর কোনা গুলো পোড়া পোড়া হয় এবং খেতেও মচমচে ।
এই পিঠা খেজুরের রস (জাল দেওয়া যা খয়েরী রং ধারন করে) সাথে নারকেল কোড়ানো দিয়ে বা গরুর মাংশের ঝোল ও সাথে আলু দিয়ে খেতে খুবই ভাল লাগে
খাওয়ার গল্প শুনতে হলে আপনার কাছে আসতে হবে
খেয়ে মরতে হবে দেখছি!!
পিজ্জা খাইতে ভাল লাগে তবে বানাতে পারিনা। রসের পিঠা রসের কথা শুনলেও .....
দুধের ফিডার আমাদের দাওয়াত খাবার ইঙ্গিত দিচ্ছে!
নাকি সেটাও জাতির বাবায় নিয়া গেছে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন