দিনটা যেমন গেল
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:০১:০৬ দুপুর
দেশের অবস্থা ভাল না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভারত শেষ সময় পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদেরকে গদি আকড়ে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা হল, পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এদেরকে স্বাধীনভাবে চলতে দেয়না। জানামতে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ বাংলাদেশের আশপাশে নেই। ইউরোপ-আমেরিকা বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে বিরোধী দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নিতে। বিরোধী দল ক্ষমতা গ্রহন করলেও পরিনতি সেই একই। আমরা বিগত প্রায় ২৪ বছর ধরে একই কাহিনী প্রত্যক্ষ করছি। তবে পূর্বের চাইতে দেশী রাজনীতি এখন ব্যপক হিংস্র।ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এমন লোকও বেশ নাখোশ,আর সাধারণ জনগনের বেশীরভাগই সরকারী কর্মকান্ডের বিরোধী বলেই মনে হয়েছে। যারাই ক্ষমতায় যায়,তারাই সহজে তা ছাড়তে চায় না। আবার এমন কিছু করে যে,অপর পক্ষ টেনে হিচড়ে নামাতে চায়। জনগনের শান্তি এসবে আসবে ,এটা বিশ্বাস করার কোনো কারন নেই। ................
যাইহোক অশান্তির মধ্যেও আমি বেশ আছি আলহামদুলিল্লাহ,তবে দেশের মানুষের জন্যে সত্যিই খারাপ লাগছে। গতকাল ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এরকমটা সচরাচর দেখা যায় না। রাস্তায় সামনের গাড়ির পেছনের চাকা থেকে সৃষ্ট পানি,বাষ্পে পেছনের গাড়িগুলোর উইন্ডশিল্ড ঝাপসা হয়ে যায়। হেডলাইট,ফগ লাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়। এর পরও গতি থেকে নেই। এই বৃষ্টির মধ্যে কয়েকজনকে দেখলাম পুলিশ আটক করেছে। এক মাতালের গাড়িকে দেখলাম বড় ট্রাকের উপর তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত বড় অংকের জরিমানা এবং লাইসেন্স স্থগিত হতে পারে।
১২০ কি:মি: চলে পোর্টল্যান্ডে পৌছনোর পর বৃষ্টি থামল। আজ উদ্দেশ্য ছিল রাস্তার খাবার খাব।মিশরীয় জিরো নামক খাবার আমার বেশ পছন্দের। একটি নানরুটির ভেতর ভেড়ার মাংস ফ্রাই এবং সালাদ দিয়ে মোড়া। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারনে বেশ কয়েকটা দোকান বন্ধ দেখলাম। ভারতীয় দোকান থেকে ল্যাম্বর্যাপ নামক খাবার কিনলাম। খেতে গিয়ে দেখলাম একটি নান রুটির ভেতর মাত্র কয়েক পিছ ভেড়ার মাংস এবং ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়ে রেখেছে। ভাবলাম লাভ করার জন্যে এদের বুদ্ধি ভাল,কিন্তু জীবনেও আর কিনব না। খেয়ে দেয়ে গেলাম এশিয়ান শপে।
এই স্টোরটা আমার বেশ পছন্দ। খোজ পেয়েছি বেশিদিন হয়নি। এখানে চায়নিজ,কোরিয়ান ফুড,শাকসব্জী ব্যপক পাওয়া যায়। তুলনামুলক সস্তায় পেলাম। কিনলাম লাউ,এটা আমার পছন্দ। এই তরকারী রসূল(সাঃ)এরও খুব প্রিয় ছিল। প্রতি পাউন্ড লাউ মাত্র ৭৯ সেন্টে পেলাম,যেটা ভাবা যায় না। আমার এলাকায় লাউ পাওয়া যায় না। ২০ মাইল দূরের ভারতীয় স্টোরে কখনও পাওয়া গেলে দাম পড়ে ২.৫ ডলার প্রতি পাউন্ড। বেগুন,ঝিঙ্গা,মুলো,রুপচাঁদা মাছ,আরও ভিন্ন ধরনের মাছ কিনলাম। এখানে কিছু আপেল আছে যার দাম প্রতি কেজী বাংলা টাকায় ১০০টাকার নীচে। বড় সাইজের যে আনার কিনলাম তা আমার এলাকার স্টোরের চাইতে ৩ গুন কম। এই স্টোরটা মনে ধরেছে।
রাতে দুইটা লাউ রান্না করে অর্ধেকের বেশী ভাতের সাথে খেয়ে ফেললাম্ । খাওয়ার পর নিজের মনেই বললাম-আমি আসলেই একটা লাউখোর !
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খাওয়া- দাওয়া নিয়ে বেশ ভালই আছেন ! আলহামদুল্লিলাহ !
দেশের অবস্থা হইল এই।
দুয়া করেন যেন এই অবস্থা থেকে মুক্ত হয় দেশ।
দুইটা লাউ রান্না করে অর্ধেকের বেশী ভাতের সাথে খেয়ে ফেললাম। বুঝা গেল, আপনার লাউ খুব ছোট।
ভারতীয় ষ্টোরের কথা বলছেন, ওরা মুচির চেয়েও খারাপ।
আমিও বড় সাইজের আনার কিনেছিলাম। এবার আনার
বেশী পাওয়া যাচ্ছে।
দেশের জন্য যদি সত্যি কিছু করতে চান তাহলে বাইরে না থেকে দেশে চলে আসেন ।
কিন্তু , চলে যদি আসেন তাহলে বিদেশের কি হবে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন