প্রসঙ্গ তাবলীগ জামাত

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১১ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৫:১১ দুপুর



ব্লগে এবং ফেসবুকে বেশ কয়েকদিন ধরে তাবলীগ জামাত নিয়ে কথা চলছে। দুনীয়ার প্রতি বা কোনো বাস্তবতার প্রতি তাদের খেয়াল নেই,শুধু নিজেদের নামাজ রোজা নিয়ে ব্যস্ত ইত্যাদী।....

তাবলীগ জামাত ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে গ্রহন করেনি। ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে যেসকল ইবাদত পালন করার কথা বলে,তারা সেগুলো পালন ও প্রচার করে থাকে,তবে সেখানেও সুন্নাহ বহির্ভূত বিষয় সংযুক্ত রয়েছে।

জিকির আসগার,তসবিহ তাহলীল ইত্যাদী তারা মনোযোগের সাথে করে থাকে। মাওলানা ইলিয়াস(রহঃ) যখন উপলব্ধী করেছিলেন যে-সমাজের লোকেরা নামাজ,রোজা পালন করছে না। মুসলিম হিসেবে সাধারন বিষয়ও বুঝছে না। তখন তিনি উদ্যোগী হয়ে এসকল বিষয়ে শিক্ষা দিতে থাকেন। ব্রিটিসের কু-চক্রে ভারতবর্ষের সাধারণ মুসলিমরা ইসলাম থেকে দূরে ছিল। তাদেরকে বুঝানো হত,এসব করা লাগবে না। হুজুররা তোমাদের পক্ষ থেকে ইসলাম পালন করলেই চলবে,তাছাড়া তারা নির্যাতনও করত ইসলাম পালন করলে। গোটা সমাজের মুসলিমদের অধিকাংশই নানান কুসংষ্কারে জড়িত ছিল। এমনকি হাজী শরিয়তুল্লাহও তার ফরায়েজী আন্দোলন এ কারনে শুরু করেছিলেন। কারন তখন ফরজ ইবাদতগুলোও মুসলিমরা জানত না। অনেকে মুসলিম হলেও হিন্দুদের মত আচরণ করত। সেরকম পরিস্থিতিতে ইলিয়াস(রহঃ) এর উক্ত কার্যসমূহ যুক্তিযুক্ত ছিল এবং তা ছিল প্রশংসার দাবীদার।

(উল্লেখ্য হযরত ইলিয়াস(রহঃ) ছিলেন তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠিাতা,আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন)

কিন্তু পরবর্তীতে যখন গোটা বিশ্বের বাস্তবতা পাল্টেছে তখনও তাবলিগ জামাত তাদের সেই পূর্বোক্ত স্টাইল,চেতনা,আচরণ থেকে বের হতে পারেনি। তারা এখনও ধরে নিয়েছে,পূর্বের মত সাধারণ মানুষকে কিছু ফরজের বিষয়ে মুখস্ত নসিয়ৎ করলেই দায়িত্ব মিটে যায়।

তাদের বিরুদ্ধে আনিত বড় অভিযোগের একটি হল-তারা তাদের মুরব্বী ছাড়া অন্য আলেমদের কথা বিশ্বাস করেনা,যদিও সেটা কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী বলা হয়। আর তারা তাদের ফাজায়েলে আমল নামক কিতাবটিকে ইসলাম শিক্ষার প্রধান কিতাব হিসেবে গণ্য করে থাকে। এই কিতাবে অনেক হাদীস আছে যা সহিহ,অনেক হাদীস আছে জয়িফ বা সন্দেহযুক্ত এবং অনেক হাদীস পুরো জাল। এছাড়া জনৈক বুজুর্গ বলেন,কথিত আছে যে, একদা এমন হয়েছিল ইত্যাদী আকারে গল্প অথবা কোনো বুজুর্গের স্বপ্নকে দলিল হিসেবে পেশ করা হয়েছে এবং সেগুলোকে মান্য করার যোগ্য মনে করা হয়েছে। উক্ত বিষয়সমূহের সাথে কুরআন,সুন্নাহর সরাসরি বিরোধ থাকার পরও তারা জনৈক বুজুর্গের কোনো কারামত,গল্প,স্বপ্নকে দাওয়া প্রচারের মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেছেন,যেটা সত্যিই রসূল(সাঃ)এর সুন্নাহর পরিপন্থি।

ইসলাম সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করতে বলেছে। আল কুরআনে বেশ কয়েকটি আয়াতে আল্লাহ এটি করতে বলেছেন। বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে এটার ব্যাপারে। সাহাবায়ে কেরাম,তাবেঈনদের এবং পরবর্তী সময়ের মুসলিমদের এটি আদর্শ ছিল। কিন্তু এটার স্থলে তারা সৎ কাজে উপদেশ এবং অসৎ কাজে চুপ থাকা অথবা মনে মনে ঘৃণা করাটাকে তাদের কর্তব্য বলে ধরে নিয়েছে। যেখানে গোটা সমাজ,রাষ্ট্র,বিশ্ব অন্যায়ের উপর চলছে। জুলুম যেখানে প্রতিষ্ঠিত,মজলুম নিপিড়িত,মুসলিম পদদলিত। প্রতি পদে পদে জুলুম,অত্যাচার চলছে,সেখানে তারা পুরেপুরি চুপ।

এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হল-যখন সকল মানুষ নামাজ পড়বে,তখন আপনা আপনি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে এবং শান্তি চলে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হল এই যে-আল্লাহ ২লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে ১লাখ ২৪ হাজার নবী,রসুল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং কোনো নবীর উম্মতের সকলে আল্লাহকে মানেনি। রসূল(সাঃ) জীবিত থাকা কালেও সকল মুসলিম নামাজ পড়েনি,সকলে নিবেদীতপ্রাণ বান্দা হয়নি,সকল উম্মতের নামাজের তো প্রশ্নই আসেনা। পরবর্তীকালেও বেনামাজীর পরিমান অনেক ছিল এমনকি রসূল(সাঃ)এর ওফাতের পর বহু মুসলিম ইসলাম ত্যাগ করে.....। তাছাড়া সকলে নামাজ পড়লে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে, এমনটি রসূল(সাঃ) কখনও বলেননি।তার সাহাবারাও জীবনে বলেননি।

রসূল(সাঃ) এর এমন একটিও সুন্নাহ নেই,যেখানে তিনি কিছু সংখ্যক সাহাবীকে নিয়ে এক হয়ে জিকির করছেন। বরং প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তিনি(সাঃ) কিছু তাসবীহ পড়তেন,যা সহি হাদীস সমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

একটি স্থানে জড় হয়ে কেউ যদি ইসলাম শিক্ষা করে তবে সেটি নিয়ে কথা বলা উচিৎ নয়। সে লক্ষে এস্তেমা নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়।তবে অনেকে এটাকে হজ্জের সাথে তুলনা করে অন্যায় করেছে। কিন্তু তাদের ইবাদতের কিছু পদ্ধতি, কিছু বিশ্বাস,কিছু আচরণ,কিছু অংশ বাদ দেওয়া,কিছু অংশ সংযুক্ত করা যার অস্তিত্ব কুরআন-সুন্নাহতে নেই-এসকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সমালোচনা করা যাবে। তবে এটি হতে হবে তাদেরকে সুধরানোর নিয়তে্, নিছক অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে সমালোচনা হলে আল্লাহ কৈফিয়ৎ চাইবেন।

তাবলীগ জামাতের বেশ কিছু প্রশংসনীয় দিক রয়েছে। তারা জামাতে নামাজের ব্যাপারে,পর্দার ব্যাপারে অত্যন্ত মনোযোগী। তারা সমাজে একটি অবলা ,সহজ সরল মানুষ। যদিও ইসলাম কখনও নরম,কখনও গরম হতে বলে, কিন্তু তারা সর্বদা নরম হয়ে অন্তত নিজেরা অন্যকে নিজেদের হাত থেকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এক্ষেত্রে তারা শান্তিপ্রিয়। তারা পারষ্পরিক লেনদেন,আচরণ ইত্যাদীতে আদর্শবান। যেসকল গুন থাকলে একজন মুসলিমকে সুবোধ,শান্ত,ভাল মুসলিম বলা যায় তার সকল গুন তাদের রয়েছে। অবশ্য এমন মুসলিম কাফিরদের কাছেও চরম কাঙ্খিত । কারন এতে তাদের যুদ্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই। মুসলিমদের জায়গা,জমি,শাসন ব্যবস্থা,ঘর-বাড়ি,থালা-বাসন সব দখল করে নামাজ,রোজা,হ্জ্জ,তসবিহ,তাহলীল করার স্বাধীনতা দিলেই এমন মুসলিম ব্যপক খুশী। এবং এটাকেই আল্লাহর সবথেকে বড় নিয়ামত মনে করে শাসকগোষ্ঠীকে বাইয়াত প্রদান বা আনুগত্যের অঙ্গীকার করবে।

তাবলীগের কল্যানে পৃথিবী জুড়ে অনেক অমুসলিম ইসলাম গ্রহন করেছে। অনেক স্থানে তারা মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করেছে। অনেক খারাপ লোক তাদের সাথে থেকে ভাল হয়েছে। এতে সমাজের উপকার হয়েছে। তাদের সুআচরনে অনেকে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছে। এসব বিষয় সত্যিই প্রশংসনীয়।

আমি যে সমালোচনা করলাম তা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত্ । আমি নিজে তাদের বড় আলেমদের সাতে কথা বলেছি এবং ফাজায়েলে আমল পড়েছি। কিন্তু আমি নিছক সমালোচনার জন্য সমালোচনা করিনি। আমি চাই তারা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গভাবে গ্রহন করুক,যেভাবে গ্রহন করা উচৎ। তাদের বহু আচরণ রয়েছে যেগুলো সুন্নাহ বহির্ভূত এবং হাস্যকর। তাদের বহু আচরণ রয়েছে যেগুলো সুন্নাহভিত্তিক এবং ব্যপক প্রশংসার যোগ্য। অধিকাংশ মানুষ দ্বীনের দাওয়াতের কোনো অংশের সাথে না থেকেই সমালোচনা মুখর হয়। এটি উচিৎ নয়।

তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করতে এসে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থী এবং কেউ কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ভুল সংশোধন করে দিলে গ্রহন করব। সকল বিষয়ের উপর আল্লাহ সাক্ষি রয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং রহমত প্রদান করুন !

বিষয়: বিবিধ

৩৪৯৩ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

300140
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : Excellent বিশ্লেষন, সহমত।
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৩৪
242910
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
300141
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : ইসলামকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাও জরুরী।

তাবলীগদের এসব দিকেও কাজ প্রসারিত করা উচিত ।
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
242911
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আল্লাহ যে আপনার উপর রহমত করছেন তা আপনার ব্লগীয় আচরনে বোঝা যায়। আল্লাহ আপনাকে এমন কিছু জ্ঞান দিয়েছেন যা অনেককে দেননি। আপনি সত্য মিথ্যা বুঝতে পারেন বলেই আমার বিশ্বাস। আল্লাহ আপনার কল্যান করুক
300142
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
কাহাফ লিখেছেন :
আপনার সুন্দর সাবলীল উপস্হাপনায় সহমত!
দরদময় গঠনমুলক সমালোচনা বিষয়ের উপকারই করে শুধু! যা আপনার লেখনীতে পাওয়া গেল!
কিছু মানুষ 'শুধুই বিরোধীতা'র জন্যেই তাবলীগ জামাত কে জাহান্নামের চৌরাস্তায় নিয়ে যায়!
তাবলীগ কর্মীদের মাঝে কিছু গোঁয়ারও আছে!
সার্বিক বিবেচনায় তাবলীগ কে সহযোগিতাই করা উচিৎ সবার!
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৩৮
242912
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঠিক। তাদের মধ্যে দুরকম মানুষ পেয়েছি। আপনার সাথে সহমত
300145
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
বেআক্কেল লিখেছেন : এনাদের কে দ্বিনী তাবলিক না বইলা 'আধুনিক ইসলামী বৈরাগী' বলিলেই যুক্তিযুক্ত হইত। বৈরাগী আর এদের মাঝে সামান্য তফাত হইল হিন্দু বৈরাগীরা বিয়ে করে না, ইসলামী তাবলিকেরা বিয়ে করার পর বউ-মাইয়ারে বাড়িতে থুইয়া নিজে বেখবর হইয়া যায়। যখন বংশদন্ড খাড়া হয়, তখন আবার গ্রামে ফিরিয়া আসে।
300148
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:০৬
নোমান২৯ লিখেছেন : সুন্দর,নির্মল বিশ্লেষণ ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ।
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
242913
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আল্লাহ আপনাকে সকল সময়ে ভাল রাখুন !
300159
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:১৩
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : বৈরাগ্যবাদ, পীরবাদ এসব বিষয়কে তাবলীগ প্রমোট করে যা ইসলামে নিষিদ্ধ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১]

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দিন।
১১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৬
242919
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : আমীন।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:৫৭
242983
কাহাফ লিখেছেন :
'তাবলীগ বৈরাগ্যবাদ কে প্রমোট করে' আপনার মন্তন্যের সাথে সহমত নই!
হাদীসে নববী সাঃ উদৃতি যথার্থ মনে হলো না! সাধারণ ভেবে মুরুব্বীরাই বেশী চিল্লা ইত্যাদিতে সময় কাটায়। ঐ সময় বাসা-বাড়িতে থাকলেও বৈরাগ্যের মতই কাটাতে হয়!এর চেয়ে দ্বীনী বিষয়ে চিল্লা দেয়া ভাল নয়?
ইসলামী আন্দোলনের কিছু কর্মী তাবলীগ বিরোধীতায় অগ্রগামী! প্রত্যন্ত গ্রামের নিরক্ষর বৃদ্ধ মানুষটাকে-এমন যুবক কে শুদ্ধ ভাবে কালেমা তাইয়েবা শিক্ষা দেয়া কম গুরুত্বের?
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:১৬
242990
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাবলীগ ভন্ড পীরদের বিরোধী। তাদের আকিদা পীরবাদকে প্রমোট করেনা। আর তারা পারিবারিক জীবনে ভাল মুসলিম। তবে চিল্লা দিতে গিয়ে পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখেনা,এরকম দেখা গেছে। সফর সম্পর্কে হাদীস রয়েছে বহু কিন্তু সেখানে নির্দিষ্ট দিনের জন্যেই সফর হবে এমনটা তাবলিগ তৈরী করেছে। তাছাড়া তাদের সফরসমূহ বেশ ফুরফুরে মেজাজে ইসলাম প্রচারের জন্যেই নির্দিষ্ট। জিহাদে তাদের অনিহা রয়েছে যদিও তারা এটা অস্বীকার করেনা। তারা রাজনীতির উর্ধ্বে। আর রাজনীতি বাদ দিলে ইসলামের আর তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকেনা।
১৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০৫
243155
ছালসাবিল লিখেছেন : স্লেভ ভাইয়া,
আমি পড়েছি, মাওলানা ইলিয়াস (রহ) ছিলেন আশরাফ আলী থানভীর মুরিদ, আর আশরাফ আলী থানবী ছিলেন রাশিদ আহমেদ গাঙ্গুহীর আর রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহী ছিলেন ইমদাদুল্লাহ মাহাজেরে মাক্কির মুরিদ। Rolling Eyes
___>
তারা ভন্ড পীরের বিরুধীতা কারী তবে নিজেরাও পিরের মুরিদ। Love Struck
১৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:০৫
243254
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পীর মানে শিক্ষক আর মুরিদ মানে ছাত্র।এটা শর্তহীন বায়য়াত নয়। ওটা পীর মুরিদ হলেও ঠিক আচে। দ্বীন শিক্ষার জন্যে শিক্ষকের কাছে শিষ্যত্ব গ্রহন। কিন্তু এই বিসয়টাকে অন্যরা বাকিয়েছে ভিন্নভাবে।....
300172
১১ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তাবলিগ জামায়াত যখন তার কাজ শুরু করেছিল তৎকালিন পরিস্থিতি অনুযায়ি তার কর্মসুচি যথেষ্ট ছিল।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:১৭
242991
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি সেটাই। তবে পরে তারা বাস্তবতা,সুন্নাহ সঠিকভাবে ানুধাবন করেনি
300177
১১ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫১
আমি মুসাফির লিখেছেন : => প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটা সময় বিশ্ব ইজতেমা হল মক্কা- বায়তুল্লাহ। টঙ্গির মাঠ নয়।

প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ তা’আলা হজ্জকে ফরজ করে দিয়েছেন। হজ্জ হল বিশ্ববাসীদের জন্য একটি সমাবেশ (ইজতেমা) যা আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেখানে বিশ্ববাসীদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা এই ইজতেমায় যাবে। এর স্থান হল বায়তুল্লাহ।
কিন্তু বর্তমান ইলিয়াসি তাবলীগ জামাতিরা অনুরূপ একটি বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গির মাঠকে করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপানো হয় যে, হজ্জের পর মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় মিলনমেলা হল টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা। এই ইজতেমাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষগণ আসে। যেমন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বায়তুল্লাহ যায়। যদিও বায়তুল্লাহর ব্যাপারটি হজ্বের সাথে সংশ্লিষ্ট। বায়তুল্লাহতে যে যে কাজগুলো করা হয় তার অধিকাংশ টঙ্গির মাঠে করা হয় না। কিন্তু বায়তুল্লাহর সাথে টঙ্গির যে মিলটি করা হয়েছে তা হল,
(ক) বায়তুল্লাহতে একটা নির্দিষ্ট মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিমগণ আসেন। আর টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে একটা নির্দিষ্ট মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানগণ আসে।
(খ) বায়তুল্লাহতে যারা আসেন তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেওয়া হয়। আর টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে যারা আসে তাদের উদ্দেশ্যেও খুতবা দেওয়া হয়।
(গ) বায়তুল্লাহতে যারা আসেন তাদের জন্য থাকার সু-ব্যবস্থা করা হয়। আর টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে যারা আসে তাদের জন্য থাকার সু-ব্যবস্থা করা হয়।
(ঘ) বায়তুল্লাহতে যারা আসেন তাদের জন্য সরকার থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আর টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাতে যারা আসে তাদের জন্য সরকার থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়াও আরোও নানা ধরণের মিলকরণ করা হয়েছে বায়তুল্লাহর সাথে টঙ্গির ইজতেমায়। কিন্তু বিবেকবান মুসলিম ভাইদের নিকট আমার প্রশ্ন হল ঃ বায়তুল্লাহতে একটি নির্দিষ্ট মৌসুমে বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলিমগণ যাবে মহান আল্লাহ তা’আলার আহ্বানে। আর টঙ্গির ইজতেমায় একটি নির্দিষ্ট মৌসুমে বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানগণ কার আহ্বানে যাবে?
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২০
242992
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হজ্জের সাথে ওইটা কোনোভাবেই তুলনয়ি হতে পারেনা। সংখ্যা বেশীতে কিছু এসে যায় না। আর ওটাকে হজ্জ মনে করলে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ হয়ে যাবে্ ।
300188
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৮
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকটা সহমত!
বর্তমান দুনিয়ায়, পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম সংগঠনের অবদানকে এক করলেও তাবলীগ জামাতের অবদানের সমকক্ষ হবে না। এটা অতিশয়োক্তি নয়, বিশেষ করে দুনিয়ার আকর্ষণে নিমজ্জিত মানুষকে মসজিদমুখী করার ক্ষেত্রে! একজন মানুষের ইসলামে অন্তর্ভুক্তির ‘বেসিক’ বৈশিষ্টের দিক থেকে।
আমরা কেউ পারফেক্ট নই। যারা তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত তারা ও পারফেক্ট বলে দাবী করছেন না! আমাদের আর সবার মত তাদেরও ‘সীমাবদ্ধতা বা ‘ঘাটতি রয়েছে। ব্যাপারটাকে এভাবে দেখলে অন্যদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়! ইসলামের প্রচার, প্রসার বা অনুশীলনে আমি বা আমার সংগঠন কি তাদের চাইতে বেশী অবদান রাখতে পারছি? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চিন্তা করলেই –যাদের ‘আক্কল রয়েছে তারা আর তাবলীগ জামাতের সমালোচনায় মুখর হবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
আমিও তাদের দলে যারা ‘তাবলীগ নিয়ে লিখেছেন, তবে সীমিত পরিসরে। লিঙ্ক দিলাম।
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/bloglist/7287/tmirmustafa
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২২
242993
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান।
১০
300195
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৬
আবরণ লিখেছেন : যারা বিশ্ব ব্যাপী মুসলিম সমাজের স্বার্থ রক্ষার ব্যপারে সোচ্চার নয়,যারা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর নয়,যারা জান ও মাল দিয়ে জিহাদে অংশ নেয় না তারা কি পরিপূর্ণ ইসলামের অনুসারী? সুন্দর লেখাটির জন্য "দ্য স্লেভ" কে অনেক ধন্যবাদ।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৫
242994
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ইসলামের প্রতিষ্ঠায় দল মানেই হল তাকে অবশ্যই সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করতে হবে।

আল্লাহ বলেন- তোমাদের মধ্যে একটি দল হোক যারা মানুষকে সত্যের পথের দিকে ডাকবে,সৎ কাজে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে ,আর তারাই হল সফলকাম....আরও বলেছেন..তোমরই শ্রেষ্ঠা জাতি,মানব জাতির কল্যানের জন্যে তোমাদের উত্থান ঘটানো হয়েছে,তোমরা সৎ কাজে আদেশ করবে,অসৎ কাজে নিষেধ করবে...এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে...বিষয় ক্লিয়ার
১১
300209
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার সাথে একমত৷ আপত্তি এখানেই যে তার তাদের দওয়ালের বাইরে আসতে চায়না, অথচ ইসলামের মূখ্য অংশটাই রয়েছে তাদের গণ্ডির বাইরে৷ আদল ও ইনসাফের পাল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা৷মানুষ আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি, প্রতিনিধি তিনিই যিনি মালিকের সাব নির্দেশ বাস্তবায়িত করে৷ যদি না করে তবে অবশ্যই সে প্রতিনিধি নয়৷ধন্যবাদ৷
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৭
242995
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তবে কি তোমরা এই কিতাবের কিছু অংশ নিবে,আর কিছু অংশকে পরিহার করবে ? (যদি কর)তবে দুনিয়াতে তোমাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্চনা,অপমান আর আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি.....আয়াত নং মনে নেই..
১২
300215
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৪২
পললব লিখেছেন : ইসলামের প্রতিটা আকিদা কোন নির্দিষ্ট সময়ের সাথে স্থির না। এমনকি যে নামাজ আমারা আদায় করি তাও সময়ের কিছুটা হের ফের হয়। একইভাবে রোজা, হজ্জ এবং যাকাত সবই কিছুই ঈশায়ী ক্যালেন্ডারের সাথে নির্দিষ্ট মাসে স্থির থাকে না। আর ইসলামের কোন কিছুই ঈশায়ী ক্যালেন্ডারকে অনুসরণ করে না। ইসলামের একটি মূল বৈশিষ্ট হলো সকল পার্বনই হিজরী ক্যালেন্ডারের সাথে সম্পৃক্ত। তবেই তা ইসলাম সম্মত নচেত্‌ নহে অর্থাৎ বিদায়াত। একইভাবে দেখা যায় রোযা, হজ্জ এবং যাকাত কখনো বর্ষা, কখনো শীত কখনো বা গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র ইসলাম বাদে অন্যান্য ধর্মীয় অনুসরণকারীরা তাদের সুবিধামত সময় সুযোগ বুঝে নিজেদের স্বার্থে পার্বন পালন করে থাকে। বিশ্ব ইজতেমা যদি ইসলাম সম্মত হতো তবে তা ঈশায়ী ক্যলেন্ডার অনুযায়ী, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পালন করা হয় কেন??? শরীরের সকল অংগ-প্রতংগ নিয়েই একজন মানুষের পূর্ণরূপ প্রকাশ পায়। আর এজন্যই কোরানকে জীবনের পূর্নাংগ বিধান বলা হয়ে থাকে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে পরিপূর্ন জীবন বিধান মানার তৌফিক দান করেন। ধন্যবাদ।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
242996
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তবে কি তোমরা এই কিতাবের কিছু অংশ নিবে,আর কিছু অংশকে পরিহার করবে ? (যদি কর)তবে দুনিয়াতে তোমাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্চনা,অপমান আর আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি.....আয়াত নং মনে নেই..
১৩
300224
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২৭
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার উপস্থাপন।
প্রথম বয়সে আওয়ামীলীগ।
শেষ বয়সে তাবলীগ।
দেশে আইলো তাবলীগ,
ভাতে মরে পাবলিক।

আমার এক তাবলীগ মুরব্বীর কথা।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
242997
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কেউ কেউ এভাবে বলে। তবে সমালোচনা গঠনমূলক হতে হবে।
১৪
300245
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৪৪
সিরাজ ইবনে মালিক লিখেছেন : একমত,ভাল লাগলো
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৩০
242998
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
১৫
300258
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : তাবলীগ জামাতের লোকদের কিছু ভাল কাজ আছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আপনার পোস্টে সেটি সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।

তবে তারা পীরবিরোধী এ বিষয়টি যথার্থ নয়। বর্তমানে কিছু কওমী আলেম এই জামাতের সাথে যুক্ত হয়ে বাহ্যিকভাবে পীর-মুরিদীর বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব পীর মুরিদীর পক্ষে।

শায়খুল হাদীছ মাওলানা যাকারিয়্যা (রহঃ) প্রণীত “তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও জবাব” বইটির ৪ নং পৃষ্ঠা হতে একটি স্ক্রীনশট দিচ্ছি (অনুবাদক এর বক্তব্য এটি)ঃ



আর একটি বিষয় হচ্ছে জাল ও যয়ীফ হাদীস।অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাবলীগ জামাত এর নেতৃবৃন্দ সহীহ হাদীসের চেয়েও জাল ও যয়ীফ হাদীসের উপর নির্ভর করেন বেশি এমনকি সেগুলি কুরআন হাদীসের সুস্পষ্ট অর্থের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও।

একই বইতে স্বয়ং শায়খুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়্যা (রহঃ) লিখেছেন(স্ক্রীনশট দেখুন)ঃ



রাসূল (সাঃ) এর নামে মিথ্যা বলার পরিণাম কি তাঁরা জানেন না?

হযরত আলী (রা) বলেন, রাসূলে করীম(স) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে মিথ্যা বলবেনা, কারণ যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। [বুখারী, মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল(২৫৬ হি), আস-সহীহ ১/৫২, ফাতহুল বারী১/১৯৯]।

যুবাইর ইবনুল আউয়াম(রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ(স) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। (বুখারী, আস-সহীস ১/৫২)

সালামাহ ইবনে আকওয়া(রা) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ(স) বলেছেনঃ আমি যা বলিনি সে কথা যে আমার নামে বলবে তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। (বুখারী, আস-সহীস ১/৫২)
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৫২
243034
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তারা জাল,যইফ হাদীস চর্চা করে।এবং হাদীসের রেফারেন্স জরুরী মনে করে বলে কখনও কখনও মনে হয়নি
১৬
300266
১২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:১০
আবরণ লিখেছেন : @আকবার১। ভাল বলেছেন। বিষয়টা তেমনই। ধন্যবাদ।
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৫৩
243035
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৭
300512
১৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১৩
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, এই ভিডিওটির ৩:১০:৫৫ সেকেন্ড সময় থেকে একটু দেখুন... মাওলানা সাদ সাহবে ২০১৫ এর মাগরীবের পরের আলোচনার ঐ সময়ে বলেন....
"চিল্লাহ দেয়ার সময় মারা গেলে তার জান সয়ং আল্লাহ কবজ করেন কোন ফেরেশতা দারা নয়।" Silly Day Dreaming



Hypnotised Hypnotised Silly Punch Day Dreaming Love Struck
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:১৩
243358
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ভাইয়া,
আপনার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
সত্যিই আপনি এটা শুনেছেন কিনা "চিল্লা"?!!
আমি তিনবার শুনলাম আপনার এ লিংক থেকে এখানে তরজমায় চিল্লায় গেলে স্বয়ং আল্লাহ জান কবজ করবেন এটাতো শুনিনি!
দ্বীনের কাজে শুনলাম "সমুদ্র বা পানি পথে সফর করলে সেখানে মউত হলে আল্লাহ ফেরেশতা দিয়ে জান কবজ করবেননা স্বয়ং নিজে করবেন" বলে এ সুসংবাদ।
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:১৪
243359
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ভাইয়া,
আপনার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
সত্যিই আপনি এটা শুনেছেন কিনা "চিল্লা"?!!
আমি তিনবার শুনলাম আপনার এ লিংক থেকে এখানে তরজমায় চিল্লায় গেলে স্বয়ং আল্লাহ জান কবজ করবেন এটাতো শুনিনি!
দ্বীনের কাজে শুনলাম "সমুদ্র বা পানি পথে সফর করলে সেখানে মউত হলে আল্লাহ ফেরেশতা দিয়ে জান কবজ করবেননা স্বয়ং নিজে করবেন" বলে এ সুসংবাদ।
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৩৯
243397
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তারা আরও বলে হাশরের মাঠে আল্লাহ গাট্টি,বোচকা ওয়ালাদেরকে খুজে খুজে বের করবে। তারা অনেক হাস্যকর কাজ করে ও বিশ্বাস করে। াামি তা বলেছি....কিন্তু নামাজ ,রোজাটা বেশ ভাল করে। অন্যকে ডাকে...কিছু বিষয় ভাল,কিন্তু তারা উম্মাহকে মরা প্রানীতে পরিনত করার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত
২২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:২৯
243654
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, ওয়া আলাইকুম আসসালাম Love Struck আপনার দোয়া জন্য জাজাকাল্লাহ। ডান বাম দুদিকে একটুস শুনে দেখুন ভাইয়া। আমি বাংলা করে দিচ্ছি হুবুহু। একটুস সামনে পিছনে শুনুন। Love Struck

"মেরে মোহতারাম দোস্ত বুজুর্গ!
এই জন্য সুধু দেশে চিল্লা দেওয়া, তিন চিল্লা দেওয়া নয়।
বিদেশেও, সারা দুনিয়াতে আমাদেরকে ফিরতে হবে, এই জান-মালের কোরবানীর সংগে, সারা দুনিয়াতে আমরা ফিরবো।
যখন সারা দুনিয়াতে ঘুরবো, আল্লাহ তা’লা তার দুনিয়াতে দ্বীনকে জিন্দা করবেন।
মেরে মোহ্‌তারাম দোস্ত!
যাদের খিদমতে হেদায়াতে লিখা আছে, তাদেরকে হেদায়াত দিয়া দিবেন।
আর তাদেরকে হেদায়াত পাওয়ার নেকীও আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে দিবেন।
মেরে মোহ্‌তারাম দোস্ত!
যাদের খিদমতে হেদায়াত নেই, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দুনিয়া থেকে সাফ কর দিবেন, রাস্তা থেকে সরাইয়া দিবেন। রাস্তাকে আল্লাহ তা’আলা খুলে দিবেন।
হুজুর (সঃ) এটা চান-ই নাই যে উম্মত গুহার মধ্যে, ঘরের মধ্যে, বসে বসে ইবাদত করে, নিজের এলাকায় থাকে, এটা চান-ই নাই।
এই জন্যে বহুত ফজিলত শুনাইছেন।
এই উম্মতের মধ্যে যারা দুনিয়াতে দ্বীনকে প্রচার করার জন্য, দ্বীনকে চালানোর জন্য সারা দুনিয়াতে ফিরবে এবং সমুদ্র সফর করবে, পানিতে সফর করবে।
সেখানে যদি তার মাউতের সময় হয়, আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং তার জানকে কবয করেন, ফেরেশ্‌তা দিয়ে জান কবয করেন না।
এই জন্য মেরে মোহ্‌তারাম দোস্ত বুজুর্গ!
দেশেও মেহেনত, বিদেশেও মেহনত!
হরকতের উপর উঠাইছেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ এই উম্মতকে।
জমে থাকার জন্য, তসবী নিয়ে বসে থাকার জন্য নয়, ইবাদত নিয়ে বসে থাকার জন্য নয়, উম্মত হরকত করবে সারা দুনিয়ায়।
আর যাদের আগে ৪মাস হয়ে গেছে, তারা আমরা বিদেশে ৪ মাসের জন্য নিয়্যাত করি..।
যাদের ৩ চিল্লা হয় নাই তারা ৩ চিল্লার জন্য এখান থেকে নিয়্যাত করি।
আর যাদের ৩ চিল্লা হয়ে গেছে তারা বিদেশের জন্য নিয়্যাত করি!"

Love Struck

যাই বলুন এই অংশটুকু #নিশ্চিত# মিথ্যা কথা,সেটা চিল্লা বা দ্বীনের পথে কাজ বা জিহাদে মূত্যুই হোক।
"আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং তার জানকে কবয করেন, ফেরেশ্‌তা দিয়ে জান কবয করেন না।" Love Struck

আপনাকে অনেনেনেনেক ধন্যবাদ। Love Struck আওণ ভাইয়া Love Struck
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:০৪
243767
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : যাই বলুন এই অংশটুকু #নিশ্চিত# মিথ্যা কথা,সেটা চিল্লা বা দ্বীনের পথে কাজ বা জিহাদে মূত্যুই হোক।
"আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং তার জানকে কবয করেন, ফেরেশ্‌তা দিয়ে জান কবয করেন না।"
ভাইয়া মাওলানা সাদ (দা.বা.) গভীর এলেমের অধিকারি, হয়তো তিনি এরকম হাদীস বা তাফসীর বা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পেয়েছেন তাই বর্ণনা করেছেন,
তবলীগ জামাতের প্রসিদ্ধ কিতাব মুন্তাখাব হাদীস উনার উর্দু তর্জমা করা,
উনি খুব উচু তপকার আলেম খুব!
আল্লাহ ভালো জানেন তবে আমি এ কথাটির রেফারেন্স এর জন্য স্বয়ং আব্দুল মালেক (দা.বা) সাহেব এর কাছে যাবো কিনা চিন্তা করছি,
দেখি কোন রেফারেন্স আছে কিনা!
আমি বিষয়টা তাহক্বীক না করে এ বিষয়ে আপাতত চুপ!
আল্লাহু ইয়া'লাম।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:১২
243768
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আওণ রাহ'বারলিখেছেন : ছালসাবিল ভাইয়া একই প্রশ্ন আমারো!
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেব/ মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব (দা.বা) কেও তো বয়ান করতে দেখিনা ! ইজতেমায়!
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:১৪
243800
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, Day Dreaming মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব কি বলেন আমাকে অবশ্যই জানাবেন। Love Struck

তবে বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা। জান কবজের জন্য মালাকুল মাওত নির্ধারিত। রসুল (সা) এর জান কবজ করেছেন মালাকুল মাওত, মুসা (আ) এর জান কবজ করেছেন মালাকুল মাওত, ইবরাহীম,নুহ,সোলায়মান,দাউদ,ইয়াকুব,ইউনুস,ইউসুফ,আদম, (আ) সবার জান কবজ করেছেন মালাকুল মাওত। আশাকরি চিল্লার সাথীরা এদের ধারের কাছেও ভাবা অজ্ঞামী ভাব ছাড়া কিছু্ই না। Love Struck Day Dreaming আমার মনেহয় আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি Love Struck

আপনাকে অনেনেনেনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।Love Struck
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
243814
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সকল নবী,রাসূলের জান কবজ করেছেন মালাকুল মউত। এটাই আল্লাহর সিদ্ধান্ত।...এরপর তাবলীগের ভাইদের জন্যে আল্লাহ নিজে জান কবজ করবেন এই আয়াত কার উপর নাযিল হল ???
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
243817
ছালসাবিল লিখেছেন : প্রশ্ন:তাবলীগের ভাইদের জন্যে আল্লাহ নিজে জান কবজ করবেন এই আয়াত কার উপর নাযিল হল ???
___>মাওলানা সাদ সাহেবের উপর,তাবলীগ জামাতের পক্ষ্যে Love Struck Smug Tongue (নাউজুবিল্লাহ)
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২৫
243960
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ফেসবুকে এ বিষয়টা নিয়ে ঝড় চলছে!
স্টাটাসটি এমনঃ

"""'"Good Luckমাওলানা সা'দ মজিআ
বিশ্ব ইজতেমায় সমুদ্রপথে আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাতবরনকারীর
ফাজায়েল শুনাতে গিয়ে একথা বলেছেন,
তাদের জান স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা কবজ করেন।
তার এ কথা নিয়ে কিছু মানুষ ফেইসবুকে ঝড় তুলছে। তারা বলতে চাচ্ছে, তিনি বানোয়াট, মিথ্যা ফজীলত বয়ান করতেছেন। মৃত্যুর ফেরেস্তার পরিবর্তে আল্লাহ তায়ালার জান কবজ করা নাকি হাস্যকর। আরও বিভিন্ন মন্তব্য এ সমস্ত লোক করছে। যেন তারা সমস্ত হাদীস জানে। কোরআন হাদীসে নেই এমন দাবী তারা করছে। অথচ এটি সিহাহ সিত্তার অন্তর্ভূক্ত ইবনে মাজা শরীফের হাদীস। নীচে আমি হাদীসটির নম্বর সহ উপস্থাপন করলাম। যারা অহেতুক সমালোচনা করছেন, দয়া করে দেখে নিন।
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﻴﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻳﻮﺳﻒ اﻟﺠﺒﻴﺮﻱ ﻗﺎﻝ: ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻗﻴﺲ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ اﻟﻜﻨﺪﻱ ﻗﺎﻝ: ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﻔﻴﺮ ﺑﻦ ﻣﻌﺪاﻥ اﻟﺸﺎﻣﻲ، ﻋﻦ ﺳﻠﻴﻢ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﻗﺎﻝ: ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺃﻣﺎﻣﺔ ﻳﻘﻮﻝ: ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ: «§ﺷﻬﻴﺪ اﻟﺒﺤﺮ ﻣﺜﻞ ﺷﻬﻴﺪﻱ اﻟﺒﺮ، ﻭاﻟﻤﺎﺋﺪ ﻓﻲ اﻟﺒﺤﺮ ﻛﺎﻟﻤﺘﺸﺤﻂ ﻓﻲ ﺩﻣﻪ ﻓﻲ اﻟﺒﺮ، ﻭﻣﺎ ﺑﻴﻦ اﻟﻤﻮﺟﺘﻴﻦ ﻛﻘﺎﻃﻊ اﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻲ ﻃﺎﻋﺔ اﻟﻠﻪ، ﻭﺇﻥ اﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻭﻛﻞ ﻣﻠﻚ اﻟﻤﻮﺕ ﺑﻘﺒﺾ اﻷﺭﻭاﺡ ﺇﻻ ﺷﻬﻴﺪ اﻟﺒﺤﺮ، ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺘﻮﻟﻰ ﻗﺒﺾ ﺃﺭﻭاﺣﻬﻢ ﻭﻳﻐﻔﺮ ﻟﺸﻬﻴﺪ اﻟﺒﺮ اﻟﺬﻧﻮﺏ ﻛﻠﻬﺎ، ﺇﻻ اﻟﺪﻳﻦ ﻭﻟﺸﻬﻴﺪ اﻟﺒﺤﺮ اﻟﺬﻧﻮﺏ ﻭاﻟﺪﻳﻦ»
হজরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, নৌপথের একজন শহীদ স্থল পথের দুইজন শহীদের বরাবর। আর নৌপথে যার মাথা ঘুরে, সে সেই ব্যক্তির মতো, যে স্থল পথে রক্তে রঞ্জিত হয়। আর দুই ঢেউয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব অতিক্রমকারী আল্লাহর আনুগত্যে সারা দুনিয়া সফরকারীর সমান। আল্লাহ তায়ালা মৃত্যুর ফেরেস্তাকে সকলের জান কবজ করার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন নৌপথে শহীদের জান ব্যতিত। কেননা আল্লাহ তায়ালা নিজেই তাদের জান কবজ করেন। স্থলপথে শহীদের সকল গুনাহ তিনি মাফ করেন তার ঋন ব্যতিত। আর নৌপথে শহীদের ঋনসহ সকল গুনাহ তিনি মাফ করে দেন ।
হাদীস নং ২৭৭৮
ইবনে মাজা, জিহাদ অধ্যায়।

বিরুধিতার জন্যই শুধুই বিরুধিতা !
কেন ??
কি উদ্দ্যেশ্য আপনাদের এই মিথ্যা প্রচার করা ??
আল্লাহকে ভয় করুন ।।""""""Good Luck
আমার মন্তব্যঃ
ভাই আমরা উভয়েই তওবা করি!
যেনো মহান রব আমাদের ক্ষমা করেন! আমিন
মাওলানা সাদ সাহেবের ঘন্টার পর ঘন্টা বয়ান শুনেছি বিশ্বাষ করুন তিনাকে কখনও এ দুকানে কারো গীবত করতে শুনিনি!
তিনার কথাগুলো আমার হৃদয়কে টুকরা টুকরা করে দেয়!(সরাসরি! অডিও বা ভিডিও নয়)
তার প্রতিটি কথা আমার হৃদয়ে খুব আঘাত করে! তাকে আমি এক মহান রবের জন্য ভালোবাসি।
এটা আমি মনে করি তিনারো ভুল হতে পারে কোন কথায়! কারন মানুষ ভুল করবেই।
যাইহোক কুরআন হাদীস নিয়ে বলার সময় তাকাওয়া বিনয় বজায় রাখি!
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। আমিন
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:০৭
244004
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া Love Struck এখানেই প্রবলেম। কোথায় জিহাদ আর কোথায় তাবলীগ চিল্লা!!! Day Dreaming
চিল্লাকে তারা জিহাদ মনে করে মোনেহচ্ছে। আপনি পুরোলেকচাটি পড়ুন (আমি দিয়েছি উপরে) সেখানে স্পষ্ট যে তিনি চিল্লার কথা বোলেছেন। আর চিল্লাকে জিহাদের সাথে মেশানো এটা সত্যি দুঃখের চেয়েও দুঃখজনক।

"আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি আমার ভুলে জন্য"

ভাইয়া, হাদীসটির ত্বাহকীক কি আপনি নিজের চোখে দেখেছেন? যাচাই না করে প্রচার করা কিন্তু মিথ্যাবাদীর কাজ বলে রসুল (সা) বলেছেন, সেটা নিশ্চই আপনি জানেন??

হাদীসটির ত্বাহকীক:
হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসের সানাদে হাদীসের রাবী "উফায়র বিন মাদান আশ-শামী-ﻋﻔﻴﺮ ﺑﻦ ﻣﻌﺪاﻥ اﻟﺸﺎﻣﻲ" সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়ী বলেন,
"তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না"
আবু হাতীম আর-রাযী ও আবু দাউদ আস সাজিসতানী বলেন, "তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল"
ইমাম তিরমিযি বলেন, "তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন"
ইবুন হাজার আল-আসকালানী বলেন, "তিনি দুর্বল"
ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামাল: রাবী নং ৩৯৬৫, ২০/১৭৬ নং পৃষ্টা)
হাদীসটির হুকুম হচ্ছে: দইফজিদ্দান। খুবই দুর্বল। মানে অগ্রহনীয়।

____>
ভালোকোরে যাচাই করুন ভাইয়া। প্রয়োজনে মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের কাছে জেনে নিন। জাজাকাল্লাহ।
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:০৬
244008
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : গতকাল আমার মাওলানা আব্দুল মালেক (দা.বা) এর কাছে যাওয়ার প্লান ছিলো কিন্তু ব্যাস্ততার জন্য যেতে পারিনি!
আজকেও আমার অফিস মনে হয়না এ সপ্তাহে পারবো! হাযরাত এর সাথে দেখা করতে !
আর হাদীসটির পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত দেখছি কিন্তু ফেসবুক এ পাওয়া এলেম আমি সরাসরি গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করি তাই গতরাতে একজন তাকাওয়াবান তালিবে ইলম (ইফতার ছাত্র বাহ্যিক দৃষ্টিতে ওনার মত তাকাওয়াবান আমি কম বা পাইনি বললেও চলে) কে দিয়েছি তিনি সময় নিয়ে তাহক্বীক করে আমাকে জানাবেন ইনশআআল্লাহ।
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
244009
ছালসাবিল লিখেছেন : ঠিক আছে ভাইয়া,Day Dreaming ওনার ত্বাহকীক আমাকে জানাতে ভুলবেন না। Love Struck Day Dreaming
১৮
300846
১৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২৬
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ,
এবার ইজতেমায় চারদিন থাকার তৌফিক হয়েছে বয়ানো শুনেছি।
কিন্তু এ বিষয়গুলো একবারো শুনিনি মিম্বার থেকে! একান্ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা।
১, মেহনতে তবলীগের বিরোধীতাকারি কোন শাইখ বা অন্যকোন মতালম্বিদের গীবত।
২, মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত টাইপের কথা।
৩, হজ্ব এর সাথে তুলনা টাইপের কথা !!!
৪, কতজন মানুষ হলো এ ব্যাপারে মাথা ব্যাথা!
৫, কুরআনের তর্জমা পড়া যাবেনা টাইপের কথা! ("স্বয়ং মাওলানা সাদ সাব(দা.বা.) তর্জমা সহ কুরআন পড়ার জোড়দার তাগিদ দিয়েছেন নিজ কানে শোনা!") এবং ইত্যাদি
তবে আমার এ ব্যাপারে মত মেহনতে তবলীগ এর বড়রা মুসলমানদের ঐক্যে ক্ষতি হয় এ ধরনের কোন কথাই বলেননি।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন!
সত্যিই আমার এ কথাগুলোতে কোন ভুল থাকলে মহান রব আমাকে ক্ষমা করুন। আমিন।
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
243398
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাদের মধ্যে শিক্ষিতরা ফাউল কথা বলেনা। যত আজগুবি কথা শোনা যায় তাদের কিছু সাধারন শ্রেনীর লোকের মধ্যে। তবে কেউ কেউ হাস্যকর কথাও বলেছে। আর সার্বিক বিচারে তাবলিগ একজন মানুষকে নির্বিষ এবং সরল,ভাল মুসলিম তৈরী করে। এরকম মুসলিম ইসলামী আসনের অধেনে অনেক ভাল। কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠায় এরা কাজের নয়। কারন দুনিয়াবি কারবার বলে অনেক বাস্তবতা থেকে দূরে থাকবে ও দূরে রাখবে। যাইহোক এত সমালোচনা না করে নিজের চরকায় তেল দেওয়া ভালHappy
২২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
243656
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া,Day Dreaming
বিশ্ব ইজতেমায় হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমাদ শফি, এছাড়া মাওলানা নুরুল ইসলাম অলিপুরি, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবর মতো উচ্চ মানের আলেমদেরকে কেন ওয়াজ নসিহাহ করার জন্য আসতে দেখা যায় না?

যানা থাকলে বোলবেন Love Struck
৩০ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
244425
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, আপনাকে আমার খুউব পছন্দ কেন জানেন? আমার মতো আপনিও মাওলানা আব্দুল মালেক সাহবেকে খুউব ভালোবাসেন Day Dreaming

এখন দেখুন_____>
ইসতিমায় বয়ান করা হয়েছে একটা হাদীস তা হলো___>
মেরে মহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ বলেন যে,
উলামায়ে কেরামের তাদের মধ্যে একটা একটি সিফত আছে সেটা হলো -হুজুর (সঃ) যে ইলম নিয়ে দুনিয়াতে আসছিলেন
আসমান হতে যে ইলম নবীর কাছে দেওয়া হয়েছিলো ওহীর মাধ্যমে, ঐ ইলেম তারা হাসীল করেছে।
এই জন্যে তাদের মর্যাদা এত বেশী।
যে হুজুর (সঃ) বলেন,
কেউ যদি কোন আলেমের সাথে সাক্ষাৎ করলো, জিয়ারত করলো, নবীজি বলেন, সে যেন আমার সাথে সাক্ষাৎ করলো, আমার জিরারত করলো।
কেন?
ঐ নবীজির উপর যে ইলম আল্লাহ তা’আলা আসমান হতে পাঠাইছেন এর উপরে ইলম সে অর্জন করছে, এর কারনে তার দাম হয়ে গেছে, তার কি’মত বেড়ে গেছে, তার মূল্য বেড়ে গেছে আল্লাহ তা’লার কাছে।
নবীজি (সঃ) বলেন,
কোন মানুষ যদি কোন আলেমের সাথে মুসাফাহ করলো সে কেমন যেন আমার সাথেই মুসাফাহ করলো।
হুজুর (সঃ) এরশাদ করেন যে,
কোন মানুষ যদি কোন আলেমের কাছে যেয়ে বসলো, তার মজলিশে বসলো, তার মজলিশে বসলো, সে কেমন যেন আমার মজলিশেই বসলো।
আরও এরশাদ করেন,
যে কোন আলেমের মসজিলেশে বসলো, সে কিয়ামতের ময়দানে আমার সাথে থাকবে।
নবীজির উপরে আল্লাহ তাঁর কাছে যে ইলম পাঠিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে, ঐ ইলম অর্জন করার কারনে তার দাম এত বেড়ে গেছে।

মেরে মহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
নবীজির জীবনের বরকতের শেষ নাই।
হুজুর (সঃ) এর যেদিন জন্ম হলো তখনও দুনিয়াতে নবী হিসাবে ঘোষনা হয় নাই।
মাত্র জন্ম হইছে!
এই জন্মের কারনেই বাতেলে উপর এত ধাক্কা পড়ছে, যেদিন জন্ম হইছে ঐদিনই পারস্যের যে এক হাজার যাবৎ আগুন জ্বলতে ছিলো ঐ আগুন নিভে ধপ করে নিভে গেছে।
বাতিলে জন্য এত ভয়ংকর ছিলেন নবী (সঃ)।
এবং রোম সম্রাটের যে সিংহাসন ছিলো, ঐ সিংহাসনের উপর থেকে ১৪টা গম্বুজ ঝড় ঝড় করে পড়ে গেছে।
হ্যাঁ!
মাত্র জন্ম হইছে!
তাহলে সেই জন্মের মধ্যে যদি এত তাকত থাকে, এত শক্তি থাকে, তাহলে ঐ নবীর মেহেনতের মধ্যে কি পরিমান শক্তি আছে ও কি পরিমান তাকত আছে!

মেরে মহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
আমরা আপনার সহ দুনিয়ার সকল কলমা পড়নেওয়ালাদের জিম্মায় হলো ঐ মেহেনত।
আমরা ঐ মেহেনতটা করবো।
আমরা আমাদেরকে সাধারণ মানুষ মনে না করি।
আমরা যেন সকলেই এই কথাটা মনে করি যে আমারা আমার হুজুর (সঃ) এন নায়েব, হুজুর (সঃ) এর মেহেনত করাটাই হলো আমাদের জিন্দেগীর মাকসাদ।

আমরা আমাদের নিজেকে একা মনে না করি, সাধারণ মনে না করি।
আল্লাহ তা’আলার কাছে বড় মাহাবুব, বড় পেয়ারা।
যদি আমরা নবী (সঃ) এর যে কাম ছিলো, যে মেহেনত ছিলো, সেই মেহেনতকে নিজেদের মেহেনত বানাই নিতে পারি, ঐ মেহেনত শুরু করতে পারি,
বলেন যে, মেরে মহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
হুজুর (সঃ) কে আল্লাহ তা’আলা যেভাবে সাহায্য করেছেন, আমাদেরকেও সেই ভাবে সাহায্য করবেন।
!
মেরে মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
উনি ঐ কথাটি আবার শুনাইতেছিলেন যে আলেমের জিরাতের যে ফজিলত।
কারন আমাদের অন্তরে উলামাদরে প্রতি যেই পরিমান কদর থাকা দরকার ছিলো ওর মধ্যে যথেষ্ট কমতি আছে, আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে মাফ করে দিক।
সেই জন্যে আবারও উনি ঐ কথাটি শুনাইতেছেন,
হুজুর (সঃ) এরশাদ করেন যে,
কেউ যদি কোন আলেমের জিয়ারত করলো, নবীজি (সঃ) বলেন, কেমন যেন সে আমার জিরারত করলো।
কেউ যদি একজন আলেমের সাথে মুসাফাহ করলো সে যেন আমার সাথে মুসাফাহ করলো।
কেউ যদি একজন আলেমের মজলিশে বসলো, নবীজি (সঃ) বলেন যে, সে যেন কেমন যেন আমার মজলিশেই বসলো।
আর যে আমার মসজিলেশে বসলো, কিয়ামতের ময়দানে সে আমার সাথে থাকবে।

এর পরে অতিরিক্ত আর একটু শুনিয়েছেন, সেটা হলো হযরত আলী (রাঃ) এর থেকে একটা রেওয়াত।
যে কেউ যদি কোন আলেম যিনি মারা গেছেন, তার কবরের কাছে গিয়ে কোরআনের পাকের একটা আয়াত কেউ তিলাওয়াত করলো, ঐ আয়াতের মধ্যে যতগুলো অক্ষর আছে ঐ অক্ষর অনুযায়ী, এক একটা অক্ষরের বদলে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতের মধ্যে এক একটা মহল বানাইয়া দিবেন।

মেরে মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
নবী (সঃ) যাদের থেকে যে ইলম দুনিয়াতে ছড়াইছেন, সেই ইলেমের কারনে একজন আলেম মর্যাদা যতখানিক, ঐ ইলেমের মর্যাদা এত খানিক।

মেরে মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
আমরা এই জিনিসটাকে খুব বেশী হালকা ভাবে না নেই।
এটা বড় গুরুত্বের সাথে আমরা শুনি।
এবং গুরুত্বের সাথে করতে থাকি।

--টংগী বিশ্ব ইজতেমার বয়ান।
ইজতেমা ২০১৫ ১ম পর্ব।
তারিখ: ১০/০১/২০১৫




------------
এই দেখুন উক্ত হাদীসকে মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব প্রচলিত জাল হাদীস নামক কিতাবে জাল বলে সাব্বস্থ্য করেছেন___> Day Dreaming

তিনি আরোও বলেছেন____>


এখন বলেন আপনি কি বলবেন___?
মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারীর সাথেই থাকবেন__?
নাকি তাদের পক্ষ্যে কথা বোলবেন___?

Day Dreaming Love Struck
১৯
301332
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:০৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ছালসাবিল ভাইয়া একই প্রশ্ন আমারো!
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেব/ মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব (দা.বা) কেও তো বয়ান করতে দেখিনা ! ইজতেমায়!
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:০৫
243799
ছালসাবিল লিখেছেন : Love Struck ভাইয়া, আমিতো জানিনা, আপনি জামাতে যান তাই ভাবলাম আপনি বোলতে পারবেন। Love Struck তবে বিষয়টি ভাববার মতো, কেননা এতত বড় বড় জ্ঞান ওয়ালা আলেম তাদের ঠাই নাই কেন? Thinking

আপনাকে অনেনননননেক ধন্যবাদ ভাইয়া। Day Dreaming
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৫৫
244007
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া Day Dreaming
হাদীসটি যে অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে সে অধ্যায়ের নাম হচ্ছে "বাবু ফাদলি গাঝওয়াল বাহার-অধ্যায়: নৌযুদ্ধের ফজিলাত"

জিহাদ আর চিল্লাহ কি এক???

ভাইয়া, আপনি কি হাদীসটির ত্বাহকীক দেখেছেন? Love Struck
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০২
244010
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, Day Dreaming ঐ ভাইয়ার ত্বাহকীক পেলে জানাবেন কিন্তু Love Struck
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৩৪
244019
দ্য স্লেভ লিখেছেন : নৌ-জিহাদের ফজিলত,নৌকা ভ্রমনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলে তো সর্বনাশ !!!Surprised Surprised
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৪৩
244022
ছালসাবিল লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor স্লেভ ভাইয়া আপনার কথায় না হেসে পারলাম না Rolling on the Floor Love Struck Tongue
২০
301664
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমার কমেন্ট কোথায় গেল!!!! Surprised Surprised Surprised Surprised Crying Crying Crying Crying Crying Crying
২৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৫৭
244101
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার কমেন্ট কোথায় গেল তার আমি কি জানি ? আমি কি কমেন্টও খাই নাকি ???Smug Smug Smug
২৬ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৪৮
244170
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : সে তো আমিও ভাবছি...:Thinking :Thinking Tongue Tongue Tongue

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File