আমাদের অবস্থা ঠিক এমন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৩১:১১ দুপুর
কয়েক বছর আগের কথা। আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় একজন বিদেশি মেহমান আসেন। মেহমান জামিয়ার একজন বিচক্ষণ আলেমের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন করেন। এক পর্যায়ে:
মেহমান : হুজুর এখানে তালেবান আছে?
আল্লামা : আছে তো।
মেহমান : (হতভম্ব হয়ে) কতজন আছে?
আল্লামা : প্রায় পাঁচ হাজারের মতো।
মেহমান : (এত সংখ্যা শুনে চমকে গিয়ে বললেন) তাদের কাজ কী?
আল্লামা : কায়েদা বগদাদী থেকে নিয়ে ইসলামি শিক্ষার শেষ স্তর পর্যন্ত পড়া।
মেহমান : (এবার হতচকিয়ে আরজ করলেন,) তাহলে এখানে আল-কায়েদাও আছে?
আল্লামা : জি হ্যাঁ, আছে।
মেহমান : আল-কায়েদার কাজ কী?
আল্লামা : হরকত ও শব্দ শিক্ষা দেওয়া।
মেহমান : (এবার আরও চমকে গিয়ে বললেন,) এখানে হরকতও আছে?
আল্লামা : জি হ্যাঁ, এখানে হরকত, সাকিন ও তাশদীদ সব আছে।
শেষে আল্লামা মেহমানকে অত্যন্ত মনোজ্ঞভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, ছাত্রদেরকে ফারসি ভাষায় তালেবান বলা হয়। আর তাদের পাঠ্যতালিকার সর্বপ্রথম গ্রন্থের নাম কায়েদা বগদাদী। আর এ কিতাবের পাঠ শুরু হয় যের, যবর ও পেশ দিয়ে যাকে আরবিতে হরকত বলে। তিনি এসব শুনে নিজের ভুল বুঝতে পেরে হতভম্ব হয়ে হাসতে লাগলেন।
আলেমদের নিয়ে বিষোদগার আজ মিডিয়াগুলোর নিত্য-নৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষীরা বিভিন্ন সময় আলেমদেরকে তালেবান, আল-কায়েদা, হরকত, জঙ্গি, মৌলবাদী ইত্যাদি নামে অপমানিত আর লাঞ্চিত করে থাকে এবং কিছু মুসলমানরাও তাদের শেখানো বুলি আওড়াতে থাকে। মাদ্রাসায় সন্ত্রাস কিংবা অরাজকতা করার মতো যুদ্ধাস্ত্র কখনো রাখা হয় না। আসলে আলেমরাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। তারা যুগে যুগে ইসলামের জন্য যেমন জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে দেশের জন্যও তাঁদের চেয়ে বেশি ত্যাগ কেউ দিতে পারেনি। ব্রিটিশ আমলে দু’শত বছরের ইতিহাস এটিই বলে। আল্লাহ তায়ালা সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
:সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হি হি হি...
মিডিয়া এখন সব ভাল শব্দ কেই বানিয়ে দিচ্ছে খারাপ। কারন যত খারাপ মানুষকে তারা বানাতে পারবে সেটাই তাদের জন্য লাভ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন