হাতে সময় থাকলে চলুন আমার সাথে,ঘুরে আসি !!(ছবি না থাকলে মানুষ তেমন আসেনা,তাই ছবি দিলাম)
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:০২:৩৯ রাত
পোর্টল্যান্ড
(পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি। এখানে আপনি অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখবেন না, পলিটিক্যাল সাইন্সের প্রাকটিক্যাল ক্লাসগুলোতে)
আমার পরিচিত কিছু আমেরিকান বলেছিল খ্রিষ্টানদের অনেক দীবস তৈরী করেছে ইহুদী ব্যবসায়ীরা। কথাটা মিথ্যা বলেনি। খ্রিষ্ট ধর্মে,বাইবেলে বর্নিত নেই এমন অনেক বিষয় ধর্মীয় বা সাংষ্কৃতিক কর্মকান্ড হিসেবে প্রচলিত এখানে এবং ইউরোপের দেশগুলোতে। মজার ব্যাপার হল এশিয়ার দেশগুলোতেও তা নানান প্রক্রিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছে এবং সেখানেও তা পালিত হচ্ছে।
আজ থ্যাংকস গিভিং ডে। কিছুদিন আগে ছিল হ্যালোইন ডে। হ্যালোইনের সাথে মিস্টি কুমড়া,ভূত প্রেত,আত্মা ইত্যাদীর সম্পর্ক জুড়ে দিয়ে ব্যপক ব্যবসা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই কোটি কোটি মিস্টি কুমড়া,ক্যান্ডি,ভূতের পোষাক আরও নানান সরঞ্জাম বিক্রিী হয়েছে। থ্যাংস গিভিং ডের সাথে টার্কির একটি সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এখন এ উপলক্ষ্যে গত কয়েক দিনে কোটি কোটি টার্কি,চকলেট-ক্যান্ডী আরও অনেক জিনিস বিক্রী হয়েছে। ব্যবসা এখানে দীবসের উপর ভিত্তি করে লাফিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। অতএব লাভের কিছু পয়সা দীবস পয়দা এবং প্রচারে ব্যয় করা মোটেও লোকসানের নয়
দীবস উপলক্ষ্যে আমি দুদিন ছুটি পেলাম,সাথে একটি ১৫ পাউন্ড ওজনের টার্কি। সেটা একজনকে উপহার দিয়ে ছুটির দিনের পরিকল্পনা করতে বসলাম। অনেক স্থানে ঘুরেছি একাধীকবার। নতুন কিছু তেমন খুজে না পেয়ে ভাবলাম পোর্টল্যান্ড যাব। রওনা হলাম।
শুরুতে গেলাম একটি ফার্মার মার্কেটে। সরাসরি ক্ষেত থেকে তোলা সব্জীর মার্কেট। গত কয়েক সপ্তাহে এরা এত বিক্রী করেছে যে ব্যপক সস্তায় বিক্রী করছে। মধ্যম মানের ৮টি মিস্টি কুমড়া কিনলাম মাত্র ৪ ডলারে। ৬ পাউন্ড কাচা মরিচ কিনলাম মাত্র ২ ডলারে। যে পাতাকপির(বাধাকপি) দাম স্টোরে প্রতিটি অন্তত ২/৩ ডলার,তা কিনলাম দুটি মাত্র এক ডলারে। আরও অনেক কিছুই সস্তা।...ছুটলাম পোর্টল্যান্ডের উদ্দেশ্যে।
আজ রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশী,কারন ছুটিতে সকলে বাড়ির বাইরে যাচ্ছে। আজ রোদ ঝলমলে দিনের শুরু,বেশ দারুন লাগছে। গত কয়েকদিন মেঘলা ছিল এবং পিচপিচে বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ তাপমাত্র ৬২ফারেহাইট,বেশ দারুন।
পোর্টল্যান্ডের রাস্তায় হাটব এমনই পরিকল্পনা। এখানে পয়সা দিয়ে পার্কিং করতে হয়। বহু পার্কিং কোম্পানী রয়েছে যারা ৭তলা পার্কিং লট খুলে বসেছে। হাজার হাজার গাড়ি সেখানে পার্ক করা, এরা ব্যপক কামাচ্ছে। এটা হল নির্ভেজাল ইনকাম। ....হাটবে শুরু করলাম। আবহাওয়া দারুন। রাস্তায় রং বেরঙের পাতাসমৃদ্ধ গাছেরা দাড়িয়ে আছে। ব্যস্ত,অব্যস্ত মানুষেরা চলাচল করছে। ট্রামগুলো ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি হেটে চলেছি পোর্টল্যান্ড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী কলেজের দিকে। এদিকটা বেশ দারুন,আজ কেন যেন আরও বেশী ফ্রেশ লাগল। এই কলেজের সামনের রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে প্রায় ১৫টি দেশের খাবারের দোকান। এখানে স্বাস্থ্যকর এবং মজাদার খাবার মোটামুটি সস্তায় বিক্রী হয়। পথ খাবারে আমার আসক্তি আছে। মিসরের একটি দোকান থেকে ইউরো নামের একটি হালাল খাবারের অর্ডার দিলাম।
খাবারটির নামের প্রথম অংশ মনে নেই,দরকারও নেই,কারন খাবারটি অত্যন্ত মজার ...এটাই। এটি হল ভেড়ার মাংস ফ্রাই,সাথে সালাদ এবং নান রুটি দিয়ে মোড়ানো। বেশ বড় সাইজের,ফলে এটি চলবে। রাস্তায় বেশ ভিড় ছিল,তার মদ্যেই চালালাম। ানেকে আড়চোখে দেখতে লাগল। এসবে আমি পরোয়া করিনা। আপেলের জুস টেনে এই পর্ব শেষ করলাম।
আবারও হাটাহাটি। আসলাম পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি। এটি বেশ দারুন। এর আশপাশের রাস্তাগুলোতে হাটতে ইচ্ছে হবে যে কোনো মানুষের। ছেলে মেয়েদের পারষ্পরিক মেলামেশা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে কথা হবে না।....
হালাল স্টোর থেকে একটি বড় খাশির পেছনের দুটি পা কিনলাম। তরতাজা দেখে দাম জিজ্ঞেস না করেই কিনলাম। পরে দেকলাম প্রতি কেজী ১৭ ডলার পড়েছে,সর্বনাশ ! কিন্তু এমন মাংস অন্য কোথাও দেখিনি। শুনেছি এটা কানাডার ক্যাল্গরী থেকে আস্। এক ব্লগারকে মনে পড়ল। তিনি রেহনূমা বিনতে আনিস,সেখানেই থাকেন। এই মাস্টার মশাই মাঝে মাঝে বিনা কারনে আমার মত ভাল মানুষটাকে পেটাতে চান....।
আবারও চলতে শুরু করলাম। এবার আসলাম বেশ দূরের পুরোনো শহর অরোরা। এখানে নানান এ্যান্টিকসের দোকান রয়েছে। এগুলো দেখতে আমার ভাল লাগলেও কিনতে মোটেও ভাল লাগেনা।
চললাম মাউন্ট এ্যাঞ্জেল সিটি। এটি পুরোনো ছোট্ট শহর। এখানে একটি পুরোনো এ্যাবী বা মঠ রয়েঠে। সেটার স্থাপত্য শৈরী সুন্দর,গন্তব্য সেখানে। এটি একটি বড় এবং সমতল টিলার উপর স্থাপিত। খিষ্টান নান ও প্রিস্টরা এখানে বসবাস করে এবং ধর্ম চর্চা করে। তাদের থাকার স্থান,লাইব্রেরী,চার্চ,মিউজিয়াম সবগুলো স্থাপনাই অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তৈরী করা হয়েছে। ভেতরের বিশাল সবুজ মাঠ,বড় বড় গাছ মানুষকে আকৃষ্ট করবে। এর এক পাশে বসার স্থান রয়েছে,সেখান থেকে নীম্নভূমীতে দীগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরে উঠবে। সত্যিই অসাধারণ।
লাইব্রেরী
লাইব্রেরীতে ঢুকলাম। বেলজিয়ামের একজন ডিজাইনার এটির ডিজাইন করেছে। দ্বিতল বিশিষ্ট লাইব্রেরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যে কোনো মূর্খেরও অধ্যায়ন করতে ইচ্ছা হবে। সুনিপূনভাবে বইগুলো সাজানো রয়েছে,শুনশান নিরবতা,বই পড়ার স্থান,পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। কিন্তু মাত্র দুজনকে পড়তে দেখলাম। ধর্মীয় বই পুস্তক এরা সাজিয়ে রাখতেই পছন্দ করে। পৃথিবীতে মুসলিমদের মত এতটা আবেগ,বিশ্বাস নিয়ে এতটা বিশাল পরিসরে আর কেউ ধর্ম চর্চা করেনা। এমনকি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ অনেক এলাকায়ও ধর্মীয় পুস্তক রাখা নিষিদ্ধ ও অধ্যায়ন পরোক্ষ্যভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। যে কোনো কঠিন বাধা বিপত্তিতে তারা ইসলাম চর্চা অব্যাহত রেখেছে। ব্যপক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বে ইসলামের প্রসার অন্যদের চাইতে অনেকগুন বেশী। সত্যিই অবাক কান্ড ! ভাবছিলাম এমন একটি চমৎকার স্থানে বসে ইসলামিক বই অধ্যায়নের সুযোগ পেলে মুসলিমরা এটাকে বাজার বানিয়ে ফেলত, সেলফের বইসমূহে ঘাটতি দেখা দিত,সর্বদা মানুষে গিজগিজ করত, মনোরম বসার স্থানগুলো দখল করে রাখতে নাওয়া খাওয়া পর্যন্ত অনেকে বাদ দিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকত্।এমন আবেগ মুসলিম ছাড়া আর কারো মধ্যে নেই। আবেগ আর দৃঢ় বিশ্বাস মানুষিক দৃঢ়তার জন্ম দেয়,আর সেখান থেকে এমনটা ঘটতে থাকে।
ঘুরে ঘুরে দেখলাম নতুন,পুরোনো বাইবেল,বিশ্বকোষ,ইতিহাস সম্পুর্কত হাজার হাজার বই রয়েছে কিন্তু পাঠক নেই। এদের জীবনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পুস্তকসমূহ কোনো প্রভাব বিস্তার করেনা। একেক চার্চে একেক রকম বাইবেল,অথচ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ীই ঈশ্বর একটি বাইবেলই প্রদান করেছিলেন। ইঞ্জিল একটিই ছিল,শতাধিক রকমের নয়। তাছাড়া বাইবেলে জীবনযাত্রার বিভিন্ন বিষয় লিপিবদ্ধ নেই,তাই পোপ'রাই বিভিন্ন বিধান দেন,যার কারনে তাদের অনেকেরই সেসব মনগড়া বিধানে বিশ্বাস নেই। বিশ্বাসের জোরালো ভিত্তি নেই,তাই অনেক খাটি খ্রিষ্টানকেও সমকামীতা সমর্থন করতে দেখী,কয়েকজনকে চিনি যাদের সন্তানরা সমকামী এবং সেটাকে তারা মোটেও পাপ মনে করেন না।....যাইহোক লাইব্রেরীর স্থাপত্য শৈলী ব্যপক দারুন।
চার্চের সৌন্দর্য বরাবরই দারুন। এরা অতি চমৎকারভাবে চার্চ তৈরী করে এবং সর্বদা পরিপাটি করে রাথে। রবিবারে বাইরে থেকে কিছু বুড়ো বুড়ি আসে এবং প্রার্থনা সঙ্গীত শুনে চলে যায়। পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ওটাই মূল ইবাদত।
মিউজিয়ামে ঢুকলাম। ছোট কিন্তু সুন্দর। এখানে বিভিন্ন পশু-পাখি তাদের নিজস্ব অবয়বে রাখা হয়েছে। ভিন্ন বস্তুর কঙ্কালের উপর অরিজিনাল চামড়া লেপন করে এগুলো তৈরী। দেখলে মনে হবে জীবন্ত। এখানে তেমন কিছু নেই দেখার। চলে আসলাম।
রাতে খাশির মাংস রান্না করতে করতে ব্লগ লিখছিলাম কিন্তু আপলোড করতে গিয়ে সমস্যা হল আর লেখা মুছে গেল। তাই আবারও লিখলাম। এইটা যদি স্টিকি হয় দারুন লাগবে,না হলে ব্লগে গোলাগুলি চলবে....
আজ মা'কে ফোন দিয়ে গতকালের ঘটনাগুলো বললাম। মা ঘুমের মধ্যে হ্যা হু করল এরপর আওয়াজ না পেয়ে বুঝলাম ঘুমিয়ে পড়েছে। ভাইকে ফোন করে সব বললাম এবং অনেকক্ষন খোশ গল্প করলাম। এখানকার লাইসেন্স বিহিন রাইফেল কেনা এবং শিকারের গল্পে সে বিমোহিত....তার চরিত্রও খানিকটা আমার মতই....
আমি এক উজবুক, গত এক মাসে মাকে ফোন করিনি। কখনও নিয়মিত করি আবার কখনও করিনা। আমার মা অবশ্য ধৈর্যশীল। অন্য অনেকের মায়ের মত মাইন্ড করেনা। অনেকের মা ফোনে কান্নকাটি করে, আমার করেনা। তবে এখানে আসার দিন আমাকে ফোন করে বলেছিল-যা বাপ যা, আমার দোয়া তোর সাথে থাকল...হঠাৎ তার গলার স্বর পালটে গেল। আমি কোনো আওয়াজ না করে চুপচাপ শুনতে থাকলাম। সে বলল-আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস ? আমি বললাম হু...আমার গলার স্বরও স্বাভাবিক ছিলনা...আমি লাইন কেটে দিলাম....কখনও কখনও আমার শক্ত মন গলে পড়ে।..
বিষয়: বিবিধ
১৮০৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেমন পোষ্ট তেমন ছবি। লাইব্রেরিটা দেখে দির্ঘশ্বাস ফেললাম শুধু। এই দেশেও এখন পাঠক কমে যাচ্ছে ভাই। চিন্তা করি কর্ডোভা লাইব্রেরি কত বড় ছিল যার ক্যাটালগ ই ছিল ৪৪ খন্ডে! কেমন ছিল বাগদাদের সেই লাইব্রেরি যার বই ফেলে রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল দজলা নদির স্রোত!
পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে কি রিজার্ভ অফিসার ট্রেনিং কোর নাই??? কেমনে বুঝলেন অস্ত্র হাতে মহড়া হয়না!!!
ফাদার,মাদার,টিচার,লাভারস ডে ইত্যাদি দেখে থ্যাংকস গিভিং এর ইতিহাস পরে মনে হয় এটাকে এরা "গডস ডে" মাম দিতে পারে।
কানাডা বাসিনি ব্লগার আপনাকে শুধু পিটাতে চান! কিন্তু আমাকে তো মাইর দিয়া্ই ফেলেছেন!! আসলে মাস্টারনি তো তাই পিটাইতে সবসময় হাত নিশপিস করে কিন্তু কানাডার আইনে বাচ্চাকে মারলেও পুলিশ!!!
এবার একটু বাজার দরের হিসাব করি। ৮ টা মিষ্টি কুমড়ার দাম পরছে প্রায় ৩২০ টাকা মানে কুমড়া প্রতি ৪০ টাকা। ৬ পাউন্ড মানে প্রায় তিনকেজি ১৬০ টাকা মানে কেজি প্রতি ৬০ টাকা প্রায় তারপর বাধাকপি দুইটা ৪০ টাকা দরে। ভাই আপনিতো খাসির ঠেং ছাড়া সব বাংলাদেশের থেকেও সস্তায় কিনছেন!!! আজকে(মানে গতকাল) একটা বাধাকপি কিনছি ৮০ টাকা পরছে!
একই লাইনের ১৫ টা ভিন্ন স্বাদের দোকান!! নিজেকে বড় দুর্ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
আপনার মায়ের জন্য সালাম শুধু!!
এটা শুধু মায়ের জন্যই হয়ে থাকে।
খাশি নেই। সবই পাঠার মাংস। ১৮ পাউন্ডের উপরে হলে। গন্ধে খাওয়া যায় না।
এখানে ব্যাক্তিগত ভাবে,যোগাযোগের মাধ্যেমে দাওয়াতি কাজ করা হয়।
১২ঘন্টা ডিউটি করে সময় একদম নাই ভাই!সর্যি সাথে বেড়োতে পারলাম না!!
দৈনিক ১২ ঘন্টা করে প্রতি দিন,প্রতি সপ্তাহ,প্রতি মাস তথা বৎসরে ৩৬৫ দিনই (জুম'আ-ঈদ সহ) ডিউটি করতে হয়! দেশে গেলেই তবে ছুটি মেলে!
আর তা আমেরিকার তাবেদার রাষ্ট্র সউদি আরব!কফিল ভিসা!
প্রকৃত সত্য হলঃ আরব দেশগুলোতে সব চেয়ে বেশী নির্যতিত শ্রমিকরা!
মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত বলে খবর হয় না এ সবের!
তিন বছর কাজ বেতন না দিয়ে মাজরায় করিয়ে মরুভূমিতে ফেলে রাখা এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হল কয়েক দিন আগে!
বেচারা পয়সা না থাকায় স হজে দেশেও যেতে পারছে না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন