মঈন ইউ আহমেদ একটি নিকটতম উদাহরন

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৫৯:২০ রাত



বিডিয়ার হত্যাকান্ডের ঘটনা আমি কখনই ভুলতে পারব না। অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ৫৭জন সামরিক অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা অনেকের পক্ষেই ভোলা সম্ভব নয়।

রেশন নিয়ে ক্ষুব্ধ সহযোদ্ধারা কখনও হত্যাকান্ড ঘটাতে পারেনা এবং অফিসারদের স্ত্রীদেরকে ধর্ষন করে পুড়িয়ে লাশ গুম করতে পারেনা। এটা কেউ কখনই বিশ্বাস করবে না। এটা অন্য কোনো চাল,সেটা সে সময়েই নানাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের দিকে বেশিরভাগ চিন্তাবিদ আঙ্গুল তুলেছে এবং তার পক্ষে তথ্যও প্রদান করেছে। ঘটনার পরও কয়েকজন অফিসারকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী থেকে ইসলাম প্রিয় অফিসারদের নানা অজুহাতে অবসরে পাঠানো হয়েছে.....যাইহোক প্রকৃত সত্য আল্লাহ জানেন,তবে গতকাল মঈন ইউ আহমেদের একটি লেখা পড়ে কিছু চিন্তা মাথায় আসল।

সে সময় মঈন ইউ আহমেদ সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলেন। বিষয়টি ছিল সরাসরি সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত। আর সেই পরিস্তিতিেতে কমান্ডো অভিযানই একমাত্র উপায় সেটার ব্যাপারে সে সময়ে সকল অফিসার মত ব্যক্ত করেছেন।

মঈন সাহেব বলেছেন-ঘটনার পর অন্য অফিসাররা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় অপারেশন না চালানোয়। তারা এমনকি তার শাটের কলার ধরে অপদস্ত করে এবং শার্ট ছিড়ে ফেলে। মঈন তাদেরকে কিছু বুজাতে গেলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ....সরকার তাকে সে সময়ে সামরিক অভিযান পরিচালনায় নিষেধ করেছিল। ..

আমি যা বুঝলাম তা হল- মঈন সাহেব কমান্ডে অভিযানই পরিচালনা করতে চেিছিলেন কিন্তু তাকে তা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর এ ধরনের পরিস্তিতিতে আর্মি প্রধানের মতকে কিভাবে উপেক্ষা করা হল তা বুঝে আসেনা। একদিকে নিজের অফিসারদের চাপ,অন্যদিকে নিজের সিন্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে না পারা বা সরকারের পক্ষ নেওয়ায় ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিলেন হয়ে যাওয়ার চাতে তিনি আত্মহত্যা করতেও মনস্থ করেছিলেন। যদিও তার লেখা পড়ে মনে হল তিনি যেন কিছু বিষয় গোপন করছেন। আবার মনে হল তেলও দিচ্ছেন।

তিনি বলেছেন প্রধান মন্ত্রীকে তিনি সে সময়ে নিজ দায়িত্বে সেনাকুঞ্জে আনেন। সম্ভবত এতে তার দায় কিছুটা কমবে বলে তিনি মনে করেছিলেন। একটা বিষয় মাথায় গেথে রয়েছে। ঘটনা পরবর্তী সময়ে মঈন সাহেবকে সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক স্টেজে দেখা গেছে। টিভিতে দেখা প্রায় সকল খবরে তাকে স্টেজে প্রধান মন্ত্রীর পেছনে মনমরাভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সরকারের সাথে সামরিক বাহিনীর দূরত্ব যাতে না বাড়ে,হয়ত সে কারনে তাকে সাথে রাখা হয়েছিল। তার সাথে সরকারের সম্পর্ক খারাপ ছিল বলে মনে হয়নি। তাহলে পরবর্তীতে লোকটা দেশ ছেড়ে পালালো কেন ?

যাইহোক মঈন সাহেব যা করেছেন তার ফল কি হয়েছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। বিডিয়ার প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহত অবস্থায় ফোন করে কমান্ডো অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন,অথচ এরপরও সেটা অনুমোদন করা হয়নি। যারা বন্দুকই চেনেনা ,জীবনেও এইসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা হয়নি,তাদেরকে এই বিষয়ে ডিল করতে দেওয়া হয়েছে। মঈন সাহেবের একটা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ তছনছ হয়েছে। অন্যরা জড়িত থাকলেও সে যেহেতু সামনে ছিল,তাকে দায় নিতে হবে।

তিনি রোগে শোকে আক্রান্ত হয়ে এখন নিউ্য়র্কে অবস্থান করছেন। অর্থনৈতিক মন্দায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ তার পাশে নেই। তার লেখায় মনে হয়েছে তিনি কিছুটা সহানুভূতি চাচ্ছেন সরকারের কাছে। তার লেখায় সকল চিত্র তিনি তুলে ধরেননি বলেই মনে হয়েছে।

আমার জানতে ইচ্ছা হয়,আসলে কারা কিভাবে এই ঘটনায় জড়িত ছিল। ভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসলে অবশ্য এ সম্পর্কে কিছুটা জানার সম্ভাবনা তৈরী হত। সে সময় হঠাৎ করে কিছু পত্রিকা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা নিয়ে যেমন নিউজ করা শুরু করে,তা দেখেও খটকা লাগে..এরা হঠাৎ এমন করছে কেন ? অনেক কিছুই রহস্যময় ঠ্যাকে।....আল্লাহই ভাল জানেন। তবে রহস্য উদঘাটিত হলে খুশী হব।

বিষয়: বিবিধ

১১৩৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

285707
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যা বলতে চেয়েছিলাম তা হল-মঈন সাহেব ভেবেছিলেন তিনি রাজা বাদশা হয়ে থাকবেন। অথচ তিনি করুনভাবে দিন কাটাচ্ছেন,সঙ্গীহীন তিনি। আখিরাতে তার জন্যে অনেক জবাবদিহিতা রয়েছে। এখানে আমাদের জন্যে শিক্ষা রয়েছে।
285718
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩১
স্বপন২ লিখেছেন : তার ছেলেটা ফ্লোরিডায় একটি কমিনিটি কলেজে পড়ত। পার্ট টাইম কাজ করে। মনে
হয় না, লেখা পড়া শেষ করেছে। জানি না। এখানের জীবন খুব কঠিন। মঈন উদ্দিন
যদি টাকা পয়সা না থাকে, তবে তো খুব
কষ্টে আছে। নিউ্য়র্কে এক রুমের বাসা ১২০০ ডলারের উপরে। তারপর, তার এবং বউ এর খাবার খরচ ৮০০ ডলার। কোন এক আলোচনায় বলেছিল কিছু করে না।
অর্থনৈতিক মন্দায় তো দিন কাটাবে। মঈনের শাস্তি হওয়া দরকার।

285723
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫৫
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : জাতির ঘরে জম্ন নেয়া এরা জারজ সন্তান। এরা মিরজাফর। যে তার নিজের ভাইদের হত্যা করতে পারে সেতো কাপুরুষ।
285761
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৮
মামুন লিখেছেন : দুর্দান্ত লিখাটিতে ভালো লাগা রেখে গেলাম।
আসলেই ঐ দিন কি হয়েছিল, এ জাতি কি কখনোই সত্যটা জানতে পারবে? Good Luck Good Luck
285891
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
আফরা লিখেছেন : আমি এসবের কিছু বুঝি না -------তবে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি করে কেউ রক্ষা পায়নি সে ও পাবে না । পরকালে তো আছেই ইহকালেও ল্যন্ছনা- গন্জনা অপমানে মৃত্যু হবে ।
285893
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এতটাই কাপুরুষ যে আত্মহত্যা করতেও ভয় পায়!!!
গাদ্দার এর শেষ পরিনিতি হয় ধুকে ধুকে মরা।
286071
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : প্রকৃত রহস্য জানার জন্য হাশরের মাঠ পর্ষন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
286734
২২ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:২০
হতভাগা লিখেছেন : , বিডিআর ম্যাসাকারের ৫-৬ দিন পর মার্চের ২-৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা কুন্জে গিয়েছিলেন সামরিক কর্মকর্তাদের কথা শুনতে , যেটা ইউটিউবে ছড়ানো আছে ।

ৈ সময়ে যে সব অফিসাররা তার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বিশ্বস্ত সূত্রে সে সময়ে জেনেছিলাম যে ওদের সবাইকে অবসরে যাবার আগে মঈন টার্মিনেট করে যান । সংখ্যাটা ১০০ এর উপরে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File