হুজুর আপনি প্রস্তুত থেইকেন,আখিরাতে আল্লাহ আপনার কাছে জিজ্ঞেস করবেন !

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:২৬:০২ রাত



খোলা ময়দানে জুম্মাহর নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের মধ্যে হালকা উত্তেচনা দেখা দিল। কিন্তু তাদের পরিমান কম হওয়ার কারনে হুজুরের আদেশই পরিপালিত হল।

আমি শুরু থেকেই বুঝতে পারছিলাম না যে কোন দিকে মুখ করে রয়েছি ,ঘটনার প্রেক্ষিতে কনফিউজড চিলাম। কিন্তু হুজুর দক্ষিন দিকে মুখ করে নামাজ আদায়ের কথা বললে আমি প্রতিবাদ করলাম। কেন ওই দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করব? এমনটা বলে প্রতিবাদ করলাম। কিন্তু অধিকাংশ মুসল্লি হুজুরের কথা শিরোধার্য মনে করে দক্ষিন দিকে মুখ করে বসে থাকল। এবং সেদিকে ফিরেই নামাজ আদায় করল। আমি দ্বিধা-দ্বন্দে থাকলাম। তবে তাদের সাথেই নামাজ আদায় করলাম। মনে মনে ব্যপক রাগ হল।

নামাজ শেষে দেখলাম হুজুরের জন্যে বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়েছে। আশপাশে বসে থাকা জি হুজুর শ্রেণীর মানুষকে দেখলাম। তাদেরকে বললাম-আমরা কেন দক্ষিন দিকে মুখ করে নামাজ পড়লাম। আপনারা কেন কিছু বললেন না ? তারা আমার কথায় গা করল না। সামনে গিয়ে হুজুরের কাছাকাছি বসলাম। হুজুর তখন ব্যপক খাওয়া দাওয়ায় মগ্ন। বললাম-আপনি দক্ষিন দিকে ফিরে নামাজ পড়ালেন ক্যান ? সমস্যা কি ?

তিনি বললেন-পশ্চিমে আছে টা কি ? এক ইবরাহিমের ঘর ছাড়া আর কি আছে ? মনে হল এই লোক শিয়া(শিয়ারা পশ্চিমেই নামাজ পড়ে)। আমি বললাম, তা আপনার দক্ষিনে ইরানে কি আছে ? দেখেচিলাম ওখানে আলাদা একটা ক্কাবা ঘর বানাইছে। হুজুর আমার কথায় ব্যপক বিরক্ত হলেও খাওয়া চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি তার সাথে তর্ক করলাম ব্যপক। আমার যুাক্ততে তার সাগরেদরা কোনো কথা বলল না। মনে হল এই হারামজাদা ইসলামের শত্রুদের দ্বারা তৈরী,যার বা যাদের কাজ হল মুসলিমদের মাঝে সমস্যা তৈরী করা।

আমি কথা বলার সময় আমার ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছিল। শেষে বরলাম হুজুর আপনি প্রস্তুত থাকেন, আখিরাতে আল্লাহ আপনার কাছে জিেজ্ঞেস করবেন। হুজুরের মুখ শুকিয়ে গেলেও খাওয়া থামালো না। বাইরে এসে দেখলাম আমার পরনে লুঙ্গী । তার মানে আমি অনেক দূর্বল। এরা আমার থেকে অনেক শক্তিশালী। চলার সময় মনে হচ্ছিল এরা পেছন থেকে অঅক্রমন করতে পারে। দ্রুত হাটলাম।

এটা ছিল খানিক আগে দেখা স্বপ্ন। ঘুম ভাঙার পর ফজরের নামাজ পড়লাম,এখন লিখছি।

মনে হল এই অবস্থা গোটা উম্মাহর। এখানে আহাম্মক নেতারা জাতি পরিচালনা করছে। যাদের উপর মানুষ আস্থা রাথে তারা নিজেদেরকে বিক্রী করে ফেলেছে। যারা প্রকৃত ভাল, তাদের অবস্থা সঙ্কুচিত করা হয়েছে। তাদের পরিমান কমে আসছে। দালালের চরিত্র স্পষ্ট হলেও আমরা তাদের অনুসরণ বন্ধ করিনি। ফলে আমরাও আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হব। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করেন এবং ক্ষমা করেন। গত রাতে আল্লাহর জন্যে ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যেই ঘৃণা সংক্রান্ত হাদীসগুলো পড়ছিলাম। যারা এটা করবে তাদের মর্যাদা অত্যধিক এমনকি তারা আল্লাহর ওরী হওয়ার যোগ্য। ...আমরা যেন কেবল আল্লাহর ভয়ে আচরণ করি !

বিষয়: বিবিধ

১৩২৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278732
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:০৩
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : আপনার লেখা পইড়া তো কেয়ামতের কথা মনে পড়ে গেলো এখুন কি হইবে আমার? কারণ কিয়ামতের আলামতের ভিতর মুর্খ্যরা শাসক হইবে সেটা বলা আছে। Crying Crying Crying Crying
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:০৮
222579
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Crying Crying Crying Crying
278734
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:১৬
আফরা লিখেছেন : আসলে হুজুর তো খাওয়ার ভাগ দেয় নাই তাই আমাদের দ্য স্লেভ ভাইয়ার মাথা গরম হয়েছে ।
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০১
222485
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একমত!!!
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:০৯
222580
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এই মেয়ে কয় কি Rolling on the Floor Rolling on the Floor
278749
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সপ্নের ব্যাখ্যাটা মাথায় ঢুকল না তবে বক্তব্যটি বুঝলাম।
আমরা সর্বক্ষেত্রেই এখন অন্ধ অনুকরন প্রবনতায় ভুগছি। এমনকি অনেকে সহিহ পথে চলতেও অন্ধ অনুসরন করে যাচ্ছেন।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১০
222581
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দরবারী আলেমে ভরে গেছে চারিদিক
278750
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৫
ইক্লিপ্স লিখেছেন : Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Hypnotised Hypnotised Hypnotised Hypnotised Hypnotised
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১০
222582
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Smug Smug Smug Worried Worried Worried
278759
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৯
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : যদি কম্পাস না থাকে তাহলে সূর্য কে হাতের ডানে রেখে নামায পড়লেই কেবেলা অভিমুখি হয় -- আমি সাধারণত এই সূত্র অবলম্ভব করি --- আপনিও করতে পারেন বা অন্যদের বলতে পারেন ---
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫৫
222497
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : সকালে সূর্যকে ডানে রাখলে আপনি মুখ করবেন উত্তরে, আর বিকালে ডানে রাখলে মুখ হবে দক্ষিণে। আপনার সূত্রটি স্বঠিক নয়।
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫৯
222503
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : আবার গরম কালে সূর্যের ডেক্লিনেশন হবে উত্তরে আর শীত কালে তা হবে দক্ষিণে।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১১
222507
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : O sorry ami europinder hisabe bolechi.... ekhane sokale suruzo ke bame rekhe aar bikale surzo ke dane rekhe kebla bujano hoi@ motharul islam
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১০
222583
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Happy
278768
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:০০
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপনার স্বপ্নটি ১০০% ঠিক। সারা বিশ্ব একই ঈমামের পিছনে ছুটছে।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৩
222585
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আলেমদের অবস্থা খারাপ,বেশীরভাগ দরবারী
278778
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৩৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : কবে যে মানুষ সঠিক পথে চলবে????
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৫
222587
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সকলে জীবনেও সঠিক পথে আসবে না। আল্লাহ অবশ্যই তার দ্বীনকে পছন্দ করবেন,যদিও কাফিররা অপছন্দ করে
278782
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : সোলেমানীী খাব নামায় কি পাওয়া যাবে? সে যাই হোক, যুক্তি আছে৷ আজ যদি দেওয়ানবাগী, চরমোনাাইবাগীরা এমন আদেশ দেয় তবে আমার বিশ্বাস স্বপ্ন সত্যিই হবে৷
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৬
222588
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শোলাকিয়া ঈমাম আর ইসলামী ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আরও এসব দরবারী আলেম দেখে বুঝে নেনRolling on the Floor Rolling on the Floor
278793
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৩৭
সাদাচোখে লিখেছেন : পাকিস্থানের তাহিরুল কাদরীর একটা প্রতিষ্ঠান মিনহাজুল কোরান। ডেনমার্কে ভদ্রলোকের ফান্ডে করা একটি মসজিদ হতে কেবলার লোকেশান বিল্ডিংয়ের দক্ষিন-দক্ষিনপূর্বে। মাস ছয়েক আগে ঘটনাক্রমে কিছু বাংলাদেশী ভাই আবিষ্কার করলো - তারা কেবলামূখী হয়ে নামাজ না পড়ে পূর্বদিকে ফিরে নামাজ পড়ছে। এ নিয়ে খতিব সাহেবের সাথে কথা বললে - খতিব সাহেব এমন একটি ফতোয়ার অবতারনা করলেন - যেখানে বলা হয়েছে মুসলিমরা কাবাঘরের অবস্থান হতে ৪৫ ডিগ্রী এদিক সেদিক করে নামাজ পড়লে - তা শুদ্ধ হবে।

মসজিদের দালানটি পূর্বপশ্চিমে হওয়ায় মসজিদের ভিতরের সৌন্দয্য ও স্পেইস ভালভাবে ব্যবহারের জন্য - উনি মসজিদের কার্পেট কোনাকুনি করেছেন।

এ নিয়ে গ্রাজুয়ালী নামাজির সংখ্যা কমছে। তার উপর খতিব সাহেব রিসেন্টলী মুসলিমদের ব্যবসা বানিজ্যে উন্নতি করতে এবং অমুসলিমদের সাথে কমপিটিশান এ টিকে থাকার সুবিধার জন্য ডেনমার্কের 'সুদ'কে হালাল বলেছেন। উনি যুক্তি দেখিয়েছেন - যেহেতু এখানে প্রতিটি পরিবার সামহাউ সরকার কিংবা ইউনিয়ন হতে মাসে কোন না কোন খাতে টাকা পায় এবং ঐ টাকা সুদ হতে অর্জিত সেহেতু ডেনমার্কের ব্যাংক হতে সুদ নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য কিংবা বাড়ী গাড়ী কেনা বৈধ।

উপরে এক ভাই বললেন কেয়ামতের কথা - কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের অনেকেই বুঝিনা - আসলে সে কেয়ামতের টাইমটা আমাদের ঠিক কতটা কাছে।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৮
222589
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এমন আলেমের সংখ্যা অনেক
১০
278815
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : কেবলা ঠিক আছে কিনা দেখুন তো!
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:২০
222590
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দৃশ্যটা দেখে খুব ভাল লাগল

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File