ভালবাসা বড়ই বিচিত্র !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৪৯:৫২ সন্ধ্যা
বয়ষ্ক মহিলাদ্বয় আমার পরিচিত। তারা দুই বোন। তাদের ভেতর বেশ ভাব। একে অপরের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে। একে অপরের খোজ খবর করে নিয়মিত্। আমেরিকায় এমনটা কম দেখা যায়। বড়বোন শেফ,আর ছোটবোন ব্যাঙ্কার।
ছোটবোন বছরে ৬৫হাজার ডলার বা তার বেশী বেতন পান,আর বড়বোনও মোটামুটি কাছাকাছি। উভয়ের রয়েছে একাধিক গাড়ি এবং বাগানবাড়ি। উভয়েই দুটি কুকুরের মালিক। বড়বোনের একটি মেয়ে উপার্জন করে ভাল এবং বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আলাদা থাকে। মা তার অভাব পুরনে অন্য দুটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছে। ঘটনা চলছিল ভাল।
হঠাৎ কয়েকদিন পূর্বে বড়বোনের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ল। শুরু হল বড়বোনের জন্যে ছোট বোনের মায়াময় ফেসবুক স্টাটাস। খবর শুনে আমারও খারাপ লাগল। খুবই স্বাভাবিক যে এক বোনের জন্যে অপর জনের মায়া থাকবে। কিন্তু সেদিন যা দেখলাম তাতে হতবাক হলাম।
এখানে হেল্থ ইন্সুরেন্স কোম্পানী চিকিৎস্যার ৮০% পয়সা দেয় আর বাকীটা রোগীকে বহন করতে হয়। বড়বোনের প্রাথমিক ব্যয়ের ২০% এসেছে ৫০০০ডলার। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল, ছোট বোনটি বড় বোনের নামে অনলাইনে চাদা সংগ্রহ করছে। চিন্তা করলাম ৫০০০ ডলার তো বড় বোনের থাকার কথা। গত ৩ দশকের চাকুরীতে তার এই পরিমানের চাইতে বেশীই জমার কথা। তবে অর্থনৈতিক সমস্যা তার থাকলেও ছোট বোনের নেই,এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। যে ছোট বোনটি বছরে ৬৫ হাজার ডলার বেতন পায়,সে তো এই পরিমান টাকা প্রদান করতে পারে !! হিসাব মেলাতে পারলাম না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন মানুষ অনলাইনে দান করছে। বড়ই বিচিত্র কারবার।
পূনশ্চ: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের খবর: জনৈক মরা গরিব ভাই তার এক বোনের চিকিৎস্যার জন্যে নিজের ভিটামাটি বন্দক রেখেছে। জনৈক বোন তার অন্য অসুস্থ্য ভাই/বোনের জন্যে পরম মমতায় জমানো নিজের অলংকার বিক্রী করেছে,একমাত্র জমিটি বিক্রী করেছে। এসব খবর বাসী। চিন্তা করলাম ভালবাসার রকমফের আছে। ভালবাসা বড়ই বিচিত্র !!!
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতায়ালা আমাদের যে অতূলনীয় ভালোবাসার সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধন দিয়েছেন তার জন্য পশ্চিমা বিশ্ব হিংসায় জ্বলে মরে-
আর এটা নষ্ট করার জন্য কত যে ততপরতা!!
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
জি ঠিক বলেছেন
তবে ভা্ই আমাদের অবস্থা এখন তাদের থেকেও থারাপ হয়ে যাচ্ছে। একসময় এই দেশের অনেক ধনি ব্যাক্তি ছিলেন যারা নিজের বাড়ির বাইরের ঘরে একজন ভাল ডাক্তার কে রেখে মানুষের চিকিৎসা করাতেন। আর এখন মেডিকেল কলেজে গেলে দেখি ইন্টার্ন রা যারা এখনও পূর্নাঙ্গ চিকিৎসক হতে পারেনি তারাও সাধারন মানুষের সাথে কথা বলা কে তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য অপমানজনক মনে করে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন