আমি বিশ্বের সবথেকে সুখী মানুষ। ইয়া আল্লাহ আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:৪২:৪২ সকাল
প্রতি দিনের প্রতিটি ক্ষনে আমি প্রচন্ড সুখী এবং খুশী। এমনকি আমার কোম্পানীও আমার ব্যাপারে তৈরী হওয়া রিপোর্টে আমি সুখী,খুশীমাখা মুখ বা অনুভূতির কথা উল্লেখ করেছে ইতিবাচক হিসেবে। আমি বহুদিন আগে থেকেই সর্বদা আল্লাহর কাছে চাইতাম -তিনি যেন আমাকে পৃথিবী এবং আখিরাত,সকল সময়ে শান্তিতে রাখেন। আমি এটাও ভাবতাম যে-আমি কি এমন কোনো পরহেজগার ব্যক্তি,যাকে আল্লাহ সর্বদা খুশী রাখবেন ?
আবারও ভাবতাম, আমি পাপী হতে পারি কিন্তু যার কাছে চাচ্ছি,তিনি তো নিয়ামত প্রদানের ক্ষেত্রে মানুষের মত হিসেবী নন,বরং তিনি দিয়েই খুশী। আর তার নিয়ামত অফুরন্ত। আমি মহাবিশ্ব এবং তার বাইরের বিষয় নিয়ে ভাবতাম। সেটা এতটাই বিশাল যার ক্ষুদ্র অংশেরও কল্পনা বিজ্ঞানীরা করতে সক্ষম হয়নি। আর এর স্রষ্টা তাহলে কত বিশাল ! আমি সেই বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন স্রষ্টাকে ভাবতাম এবং তার বিশালতার কাছে আশ্রয় চাইতাম।
আমি বলতাম- ইয়া আল্লাহ আমার অমলের বিবেচনায় আমি অযোগ্য কিন্তু আমি আপনার কাছে আপনার কথা অনুযায়ী প্রার্থনা করছি। আপনাকে খুশী করার মত রসদ আমার নেই কিন্তু আমি শিরক করিনা,কারন আমি আপনাকে জানি। আমি আপনার কাছে একেবারে নি:স্ব একজন হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করছি । আপনি আমাকে সর্বদা শান্তির মধ্যে এবং আপনার রহমতের মধ্যে রাখুন। আমাকে আপনার পথে রাখুন্। আমার এই এই দূর্বলতা আছে,আমি ভুল করি,আপনি আমাকে উদ্ধার করুন এবং ক্ষমা করুন ! আমার অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে আপনি আপনার জন্যে গ্রহন করুন এবং আমাকে এমন মর্যাদা ও সম্মান দান করুন যাতে আমি আখিরাতে সর্বোচ্চ সফল লোকদের মধ্যে থাকতে পারি। মানুষ যেন এটা বলে যে-এই লোকটির তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর উপর ব্যপক আস্থা,নির্ভরতা থাকার কারনে তাকে এত বিশাল সম্মান দেওয়া হল। মানুষ যেন সেদিন আমাকে দেখে হিংসা করে। আল্লাহ যেন কবুল করেন।
পৃথিবীতে আমার অবস্থা হল এই যে-আমি তেমন সম্পদশালী নই কিন্তু আপনার ভেতরের যে মারাত্মক সুখ,তা পৃথিবি বিক্রী করে দিলেও পাওয়া যাবেনা। আমি ভেতর থেকে পুলকিত হয়ে আল্রাহর শ্মরনে লাফ দিয়ে উঠি। মনে হয় আনন্দের জোয়ার বইছে। আমি যা ইনকাম করি তাতে আমার চলে যায় এবং কিছু অতি গরিব লোককেও কিছু সাদাকা করি। যারা উপদেশ চায়,তাদেরকে অত্যন্ত যত্নের সাথে সদুপদেশ প্রদান করি্ । ইসলামের বিষয়ে আলাপ হলে যেটা কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী সত সেটাই বলি। আমি যা কিছু করি তা অতি সাধারণ এবং ছোটকাট। এরথেকে অনেকে ানেক বেশী কিছু করে। কিন্তু এর বিনিময়ে নয়,বরং আমার ধারনা আল্লাহ আমাকে এমনিই রহমত দেন। তিনি যদি কিছু করতে চান তাহলে কুন বললেই হয়ে যায়। তিনি আমার কাজগুলোকে সহয করে দেন্ ।
আমি যখন হাটি, মনের চরম আনন্দ নিয়ে হাটি। আমি ঘুমালে চরম শান্তিতে ঘুমাই। খেলে চরম তৃপ্তী নিয়ে খাই। আল্লাহ আমাকে অসাধারন সুন্দর স্বাস্থ্য দিয়েছেন। আমি রোগ-ব্যাধী মুক্ত। আমি অপব্যয় তেমন একটা করিনা। আমি পাপ করি আবার ক্ষমা চাই। আমি ভুল করলে মানুষ তাড়াতাড়ি ক্ষমা করে দেয়। আমার গীবত মানুষ কম মাত্রায় করে,তবে অন্যের সমালোচনায় আমার খানিক খারাপ লাগে,তারপর আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই এই আশায় যে, আমার খারাপ আচরনের কারনে আল্লাহ আমাকে দ্রুত ক্ষমা করবেন্ । এরপর আমার ব্যপক শান্তি লাগে।
আমি আল্লাহর কথা শ্মরণ রাখি। প্রত্যেকটা ছোট খাট কাজ করার সময় ভাবি,এটা অন্যের জন্যে করছি অথচ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে এটা করলেও আল্লাহ পুরুষ্কার দিবেন্ । প্রত্যেকটি সাধারণ কাজেও তিনি পুরুষ্কার দিবেন। দু:খ লাগার মত ঘটনা আমার ঘটেনা তা নয়,কিন্তু খানিক পর,যখন ভাবি-পৃথিবীর এই সময় বেশী দিনের নয়,এখানে সুখ আর দু:খ দুটোই ক্ষণস্থায়ী ফলে বিনা কারনে দু:খ দীর্ঘায়িত না করে ক্ষমা করে দিয়ে নেকী নেওয়া লাভের। আর এরপর সন্তুষ্ট হওয়া মানে-আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট হওয়া। এরপর সত্যিই আমার ভেতরে আল্লাহ এক অতি আনন্দের অনুভূতী সৃষ্টি করেন। আমি বিশ্লেষণ করে দেখী আমাদের দৃষ্টিতে আনন্দিত হওয়ার তেমন কিছু ঘটেনি কিন্তু আমি আনন্দিত, তার মানে আল্লাহ সেটি নিয়ামত হিসেবে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন্।
শয়নে,স্বপনে,জাগরনে আমি আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। আমি অতিরিক্ত সুখী মানুষ। আমি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারিনা,কেবল তার কাছে আশ্রয় চাই,তার নিয়ামতের মধ্যে ফ্রি থাকতে চাই। তিনি এমন এক মালিক যনি দয়েই খুশী। আমি সেই স্রষ্টার কাছে তার অনুগত বান্দা হিসেবে থাকতে চাই। আমাকে যেন তিনি সকল সময়ে,সকল কালে খুশী রাখেন্। কাওকে এমনি এমনি জান্নাতুল ফিরদাউসে পাঠিয়ে দেওয়া আল্লাহর কাছে কোনো ব্যাপার নয়। তিনি কারো উপর খুশী হলে তার খবর হয়ে যায়। তিনি যেন আমার উপর সন্তুষ্ট থেকে আমার খবর করে দেন। আমি বিনা বাধায় আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত পেতে চাই। -আমিণ !!
বিষয়: বিবিধ
১৮৭২ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আপনাকে, আমাকে এবং অন্য অনেককে এমন সুখ-শান্তি আর নেয়ামত দিয়ে দুনিয়া ও আখিরাত ভরে দিক যাতে – বদেরা হিংসা করে ... আর আমরা আনন্দ পাই!
আমার মধ্যে দু:খ আসেনা তা নয়, কিন্তু আমি সেটাকেও উপভোগ্য করে ফেলি বা চেষ্টা করি। ফলে আমি সুখী।
তবে এখানে আল্লাহর কাছ থেকে মান্না সালওয়ার মত নগদ কিছু খানাপিনে চাইলে মন্দ হইতো না!!!
আপনার জন্যে উত্তম দোয়া রইলো,আমার জন্যে দোয়া করবেন,আমি অধম। আল্লাহ যেন কাফির মুশরিক,তাদের দোসরদের পরিকল্পনায় গ্যাঞ্জাম লাগায় দেয়,তাদের জন্যে ধ্বংস কামনা করছি
হঠাৎ করেই এমন অনুভূতি হল আপনার জন্যে যে-মনে হচ্ছে আল্লাহ হয়ত আপনার দোয়া কবুল করবেন। আমার জন্যে দোয়া করুন। কেন জানি মনে হচ্ছে দোয়া কবুল হয়ে যেতে পারে...বা যাচ্ছে....আমাদের আল্লাহ অতিরিক্ত মহান,অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী....তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন,সকলে তার মুখাপেক্ষী...মুহুর্তেই খুশী হয়ে মুহুর্তেই তিনি আদেশ লিখে দেন,আর তিনিই তো একমাত্র উত্তম প্রতিশ্রুতির রক্ষক
ইয়া আল্লাহ আপনি এই ব্যক্তিকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন বিনা বাধায়,তার চাওয়ার মত করে। তিনি আপনার উপর নির্ভর করেন। আর তার জন্যে এমন দোয়া করার কারনে আমার দোয়াটিও কবুল করুন। কারন আমি কৃপনতা না করেই খোলা মনে তার জন্যে দোয়া করলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
practicing Gratitude(like you) Can Make us Happier.
"If you are grateful, I will surely increase you [in favor]." -Surah Ibrahim
ইয়া আল্লাহ আমি যেন আপনার শুকর-গুজার বান্দা হই। আমাকে ক্ষমা করুন এবং আপনার রহমতে ধন্য করুন ! আপনিও সাথে আছেন...
মন্তব্য করতে লগইন করুন