কখন এমন ঘটনা ঘটে ?
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৬:৫৩ সকাল
আপনি যদি ইউরোপের দিকে তাকান, তাহলে সেখানে দেখবেন সেক্যুলারিজম দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে এবং তারা আম-জনতার মানুষিকতা বিবেচনায় এনে খ্রিষ্ট ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আপনি দেখবেন তারা তাদের প্রত্যেকটি বিষয়ে তাদের বিশ্বাসগত বিষয়ের মূল্যায়ন করছে। তারা তাদের বিশ্বাস,কনসেপ্ট অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে থাকে। তারা অনেকে মিলে চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, কিছু সংখ্যক চিন্তাশীল মানুষ চিন্তা করে আইন-কানুন তৈরী ও পরিচালনা করলে মানুষের কল্যান হবে। এই নীতিতে তারা কাজ করে।
তারা পৃথিবীতে তাদের ভোগকে দীর্ঘায়িত এবং জীবনকে নানাভাবে উপভোগ করার নীতিতে বিশ্বাসী। এই চিন্তায় তারা জীবন যাপন করে এবং সকল আচরণ করে থাকে।
এই নীতি আমেরিকায়ও প্রচলিত। আবার যদিও রাশিয়া বা বাম ঘরানার রাষ্ট্রগুলো ইউরোপ আমেরিকার রাজনৈতিক চিন্তার বিরোধী,কিন্তু জীবনকে বিশ্লেষণ এবং উপভোগের িবিষয়টি একই রকম।
এসকল রাষ্ট্রগুলো তাদের এক ধরনের নীতিতে বিশ্বাসী এবং সেটা অনুযায়ী রাষ্ট্র-সমাজ পরিচালনা করে।
এসকল রাস্ট্রগুলোর অনুসৃত নীতিতে অন্যরা দ্বীমত পোষণ করতে পারে। এমনকি এটাও ঠিক যে,তাদের এসকল নীতির বাস্তবায়নে তারা সামাজিকতার নানা দিকে, ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হয়নি। আমার বক্তব্য এদিকে নয়,তাই এ সংক্রান্ত আলোচনায় যাব না।
বলতে চাচ্ছি যে, পৃথিবীর অন্য সকল রাষ্ট্রের লোকেরা এবং সরকার এক ধরনের চিন্তায় নির্ভরশীল এবং তাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে সমাজ রাষ্ট্র পরিচালনা করার কারনে তারা এক ধরনের রেজাল্ট উপভোগ করে। তারা যা করে তা এনজয় করার চেষ্টা করে এবং সমস্যা হলে ,সমাধানটাও সেখান থেকে নেয় । তাদের কোথায় ভুল বা তারা কোথায় সঠিক তা বলছি না। বিষয় হল তাদের একটি নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে কাজ পরিচালনা করার কারনে অনেক ক্ষেত্রে ঐক্য রয়েছে এবং অন্তত প্রাযুক্তিক,অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।
আমাদের সমসা হল টাল হওয়া। অর্থাৎ মাথায় এক ধরনের বিশ্বাস,পরিচালিত হওয়ার পদ্দতি বা আইন-কানুন আরেক ধরনের। এখানে মানুষ নেশায় মদ পান করে,আর খাওয়ার সময় চিন্তা করে তার পাপ হচ্ছে,এটি হারাম। সারা সপ্তাহ আকাম করে,জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়ে নতুন উপলব্ধী হয়। আবার অনেকে কমিউনিজম স্ট্যাডী করে, বা বিশ্বাস করে ক্যাপিটালিজম দ্বারা শাসন করে,আবার একইসাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে সামনের কাতারে। বিশ্বাস করে আলকুরআন,আবার বিশ্বাস করে পাশ্চাত্বের বিধানে চললেই উন্নতি। জনগনের বড় অংশ এবং শাসকের পুরোটাই যা বিশ্বাস করে ,সে অনুযায়ী পরিচালিত হয়না বা পরিচালনা করেনা। ফলে এখানে সিস্টেম ক্রাক হয়ে গেছে।
জনগনের অন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আইন-কানুষের সংঘর্ষ থাকলে জনগন শাসকের ভয়ে কিছু বলেনা বটে, কিন্তু এতে শাসন বলে আর কিছু াবশিষ্ট থাকেনা্ । যেহেতু এটায় না আছে পুজিবাদ পুরোটা, না আছে সমাজতন্ত্র পুরোটা,আর না আছে ইসলাম....আবার জনগনের অধিকাংশই মুসলিম....ফলে পুরোটাই ভজঘট।
যেহেতু শাসক যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় পরগাছার মত,তাই শক্তিশালি রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশন অনুসরন করে চলতে গিয়ে নানান রকমের মতবাদ নিজেদের পরিচানা করার কৌশল হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে। তারা নিজেরাও জানে এটা অথর্ব শাসন ব্যবস্থা এবং জনগনের বিশ্বাসের বিপরীত। ফলে শুধু বক্তব্য প্রদানের জন্যেই কথা বলা। তাদের নিজস্ব যে সেক্যুলার চিন্তা এটি তার সাথেও সাংঘর্ষিক।
ফলে এখান থেকে ফলাফল একেবারেই হাস্যকর। আর এখন সেটা এমন মাত্রা পেয়েছে যে, শাসক ব্যক্তি হিসেবেও হাস্যকর প্রাণীতে রুপান্তরিত হয়েছে।
http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/41/90711
এই ভিডিওতে দেখুন একজন মন্ত্রী কিভাবে একজন শিল্পীর সাথে নাচছে। পৃথিবীকে যেসব দেশ নেতৃত্ব বা শোষণ করছে উচু স্তর থেকে,তাদেরকে আপনি নীতিগতভাবে সমালোচনা করতে পারলেও এমন ফাউল বলতে পারবেন না।পৃথিবরি কোনো শাসকের পক্ষে এত নীচে নামা বা সস্তা হওয়া সম্ভব নয়।এটা আসলে শাসকের ব্যপক হতাশা থেকে আসতে পারে। যখন তারা চিন্তাগত এবং কর্মগতভাবে দেউলিয়া,তখন বিনা কারনে একটু মজা করার প্রবনতা জাগে । এটা সেটাই। এমনকি এরা দালাল হিসেবেও অন্যের কাছে তেমন সুবিধার নয়। এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার একটি জাতির জন্যে। অবশ্য আমাদের জাতিয় পরিচয়ও প্রশ্নবিদ্ধ...আমরা বাঙ্গালী,নাকি বাংলাদেশী,নাকি মুসলিম !!!???
বিষয়: বিবিধ
১২০৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আসীন ব্যক্তিদের কর্মকান্ডের সঠিক মুল্যায়ন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.....।
আর "আমাদের জাতিয় পরিচয়ও প্রশ্নবিদ্ধ...আমরা বাঙ্গালী,নাকি বাংলাদেশী,নাকি মুসলিম !!!???"- এই প্রশ্ন এই লেখা পড়বার পর থেকে আমার মনেও নিরন্তর বেজে চলেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা এমন একটি লেখা পড়বার সুযোগ দেবার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দেশ ছেড়ে গিয়ে আপনি সত্যিই ভালো করেছেন, আমার না ছাড়াটা বোকামী হয়ে গেছে!
আমি ছোটবেলায় এলাকার আওয়ামি-বিএনপির রাজনিতিকদের মিছিলে নারায়ে তাকবীর,আল্লাহু আকবার বলতে শুনেছি....মানে, ইসলাম কনসেপ্টে না থাকলেও ফ্লেভারে ছিল,আর এখন কোনো কিছুতেই নেই। এজন্যে-আমি একজন মুসলিম, শুধুই মুসলিম
আমি ছোটবেলায় এলাকার আওয়ামি-বিএনপির রাজনিতিকদের মিছিলে নারায়ে তাকবীর,আল্লাহু আকবার বলতে শুনেছি....মানে, ইসলাম কনসেপ্টে না থাকলেও ফ্লেভারে ছিল,আর এখন কোনো কিছুতেই নেই। এজন্যে-আমি একজন মুসলিম, শুধুই মুসলিম
মন্তব্য করতে লগইন করুন