৫০ টাকায় ৫ স্টারে খাওয়া
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ১১:১১:০৪ সকাল
বাদশা মিয়া প্রখ্যাত পকেটমার। মানুষের কান পরিষ্কার করে দেওয়ার কাজ করে সে্ । মাত্র ৫ টাকায় দারুনভাবে কাজটি করে সে। দারুন এবং আরামদায়ক অনুভূতিতে ভোগার সময় সযতনে অন্য হাতের ২টি আঙ্গুলের কাজ করে সে পেট চালায়। তবে মানিব্যাগ থেকে একটি দুটি নোট বের করে আবার যথাস্থানে রেখে দেয়।
বাস কন্ট্রাকটরের পকেট মেরে বাসের ভাড়া মেটায়। লোকটার জ্ঞান বুদ্ধী বেশ উচু মানের। প্রতিদিন রেডিসনের সামনে দিয়ে যায় আর ভাবে, ইশ যদি একদিন এখানে খেতে পারতাম ! কিন্তু ক্ষুদ্র এই পকেটমারের এখানে খাওয়ার পয়সা নেই। এখানে খেতে হলে তাকে পকেটমার হলে চলবে না, নেতাদের মত বড় বড় চোর ডাকাত হতে হবে। তার মন ভেঙ্গে যায়,কারন নেতা হওয়া এত সহজও নয়। নানান আকাম করে তবেই বড় দের চোখে পড়তে হয়। সে ছোটখাট মানুষ ,কারো সাথে পাছে নেই। নিজের বুদ্ধিতে চলে। যা করে ,তাতে অন্তত ক্রস ফায়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে স্বাধীন দেশের স্বাধীন পকেটমার। কিন্তু ৫ স্টারে কি তাহলে খাওয়া হবে না !
সে হাল ছাড়ে না। একদিন রাতে প্রচন্ড ক্ষুধায় কাতর হয়ে বের হল ধান্দায়। বিড়ি বের করে ধুমপানরত পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে একটু আগুন চেয়ে নিল,তাতেই তার পকেটে কিছু চলে আসল। দূরে এসে দেখল মাত্র ৫০টাকার নোট। এটা দিয়ে তো ফুটপাথেও খাওয়া হবে না।
হঠাৎ মাথায় প্লান আসল। সে ফুটপাথে খাবে না। যাবে রেডিসনে।
গেল সেখানে। একটি সুপার ডিনার করল সে। জীবনেও এতসব খাবার সে খায়নি। আজ বহু রকমের খাবার পেয়ে গলা পর্যন্ত খেল। তারপর ওয়েটার আসল। পকেট থেকে বিড়ি বের করে বলল-এইটা অঅর ৫০টা টাকা ছাড়া আর কিছু নেই্ । খেয়েছি,খায়েশ মিটেছে। এখন আপনাদের যে কোনো খায়েশ মেটাতে পারেন।
তারা পুলিশ ডাকল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে চলল। বাইরে এসে পুলিশকে বলল-স্যার গরিব মানুষ ,বটা খেয়েছি,তাতে জেলে দিবেন ? কিছু টাকা দিচ্ছি,ছেড়ে দেন। আর এই কাজ করব না। পুলিশ বলল-কত দিবি ?
:সে বলল স্যার ৫০ টাকাই আছে,আর নেই্ । অন্য পুলিশ পকেট তল্লাশী করে আর কোনো টাকা না পেয়ে বলল,তাইলে ওটাই দে, এখন ভাগ।
এমনটাই যে ঘটবে তা বাদশা মিয়ার জানা ছিল। সে এখন অন্য একটি ৫স্টার হোটেলে খাওয়ার চিন্তা করছে। সে আর অভূক্ত থাকতে চায় না।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৭ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাস্তব জিনিসটি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আইন অপরাধকে লালন করছে। কারণ আইনের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি ভালো লাগল। শুভেচ্ছা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
থু থু....
রতনে রতন চিনে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন