লিংকন সিটি টু নিউপোর্ট বে
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২০ আগস্ট, ২০১৪, ১২:২৪:৪৮ রাত
ইদানিং ঘুরাঘুরি কররেও তেমন লেখা হচ্ছে না। লেখার ভাল ভাষা জানা নেই,আর সবখানে খাবারের ব্যাপারটা থাকার কারনে দেইনা। কারন এত খাওয়া ঠিক না !!! অথবা খাবারের কথা এত লেখা ঠিক না।
রবীবারে ছুটি ছিল এবং আকাশও দারুন। এরকমই পরিবেশে সাগরের তীরে দাড়িয়ে নির্মল বাতাশ আর সাগরের ঢেউ দেখতে ভাল লাগে। আর ভাল লাগে সবুজ প্রকৃতি দর্শনে।
চললাম ওরেগন কোস্ট। সুন্দর মনোরম রাস্তা ধরে চললাম। আজ গরম বেশ। সাথে ব্যাকপ্যাক আছে,সেখানে অতিরিক্ত কাপুড় এবং খাদ্য-পানীয়।
নিউপোর্ট বে তে গেলাম। সাগর তীরে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। আর কুয়াশা ভরা। অথচ অনতিদূরেই আকাশ নীল।
ভাবলাম আগে লিংকন সিটি যাই পরে আবার আসব। এখান থেকে প্রায় ৪০ মিনিটের ড্রাইভ। গেলাম লিংবন সিটি। এখানে বীচের কাছের একটি উচু পাড়ে দাড়ালাম। আকাশে মেঘ এবং সাগরের পানির উপর ঘন কুয়াশা। তরের অতি নিকটবর্তী ঢেউ দেখা যাচ্ছে,বাকটিা কুয়াশায় ঢাকা। বড় আকৃতির গাংচিল উড়ছে,এত বাতাসেও এদের উড়তে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। এখানে দাড়াতে ভাল লাগল। সাগরের বিস্তির্ণ এলাকা এখান থেকে দেখা যায়। কিন্তু ঠান্ডা বাতাসের কারনে চলে আসলাম্
চিনুক উইন্ড কেসিনোতে আসলাম। এখানে জুয়াখোররা আসে। আমি এসেছি দেখতে। প্রথমেই দেখলাম একটি চারকোনা ছোট্ট কাচের ঘরে ডলার উড়ছে। পরে জানলাম যে কোনো আগমনকারী তাদের নাম এন্ট্রি করে দুটি টিকেট নিতে পারে,যেখানে তাদের নাম ও একটি নাম্বার থাকে। সেটা একটি বড় লটারির পাত্রে রাখা হয়। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর লটারী হয় এবং যার নাম উঠে সে উক্ত কাচের ঘরে প্রবেশ করতে পারে,তখন হাওয়া দিয়ে ডলার উড়ানো হয়। এক মিনিটে সে যে কটি নোট ধরতে পারবে সেসব নোট তার । আমি কোনো টিকেট নিলাম না।
উপরের তলায় গেলাম। এখানেও নেচের মত অনেকগুলো জুয়ার মেশিন আছে। এটা কম্পিউটার গেমের মত। এখানে ডলার ঢুকানোর জায়গা আছে। এরপর ছবি মেলানোসহ নানান রকমের গেম আছে। সেটা জিতলে মেশিন থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা বেরিয়ে আসে। তবে অধিকাংশ লোকই হারে।
এক মহিলাকে দেখলাম ব্যাগ ভর্তি টাকা এনেছে। সবগুলো ২০ ডলারের নোট। একে একে মেশিনে ডলার বরছে এবং হারছে। সম্ভবত পূর্বে দু একবার জিতেছে আর সেই নেশায় এখনও ডলার খোয়াচ্ছে। আমেরিকায় ডলার কামানো অবশ্যই কষ্টের,আর তাই এখানকার মানুষেরা সহজে পয়সা কামানোর চেষ্টায় রত থাকে। কিছু ক্ষমতাালী এবং ধনী লোক এটা ভালই জানে,আর তাই তারা লটারীসহ বিভিন্ন জুয়ার ব্যবস্থা করে্ । এরা এদের কষ্টার্জিত অর্থ সেখানে খরচ করে। এর মত নেশা আর নেই।
এখানে দেখার কিছু নেই,কিন্তু শখ ছিল দেখার,দেখলাম।
এবার চলে আসলাম নিউপোর্ট বের একটি রেস্টুরেন্টে। এখানে তাজা শ্যামন এবং কড মাছের ফ্রাই খেলাম। খুব ভাল লাগল। আজ রেস্টেুরেন্টগুলোতে উপচে পড়া ভীড়।
আবার আসলাম বীচে। কিন্তু ব্যপক কুয়াশা,অথচ মাত্র ৩০০ মিটার দূরে আকাশ পরিষ্কার এবং রোদ। সাগর তীরে গেলাম। খুব ঠান্ডা বাতাশ বইছে। এখানে দাড়ানো সম্ভব হলনা। এতদূর থেকে এসে এত তাড়াতাড়ি চলে যাব !
এক কোনে ঘাপটি মেরে খানিকক্ষন বসে থাকলাম কিন্তু আবহাওয়ার কোনো উন্নতি হলনা। এবার ফিরতি পথ ধরলাম।
আবারও গরম শুরু হল। আমি বাসা না গিয়ে অলামেট রিভার চলে গেলাম। সেখানে নদীর ধারে বসলাম,হাটলাম। এখানে দারুন পরিবেশ,যাতে আমি মুগ্ধ হলাম।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৫ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খাবারের বিষয় এখানেও মিস করেন নাই দেখা যাচ্ছে, মিস না করাটাই উচিৎ কেননা সেটা আপনার পোষ্টে না থাকলে কি যেন নাই নাই মনে হয়!
যাই হোক আপনার নতুন কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় কিছু জানলাম, এ জন্য ধন্যবাদ।
শ্যামন কই। আমি প্রায়ই খাই তবে এগুলো তাজা
ন।
কত বইতে পড়লাম কিন্তু খাওয়া হইল না!
সুন্দর ভ্রমনকাহিনির জন্য ধন্যবাদ। সিঙ্গাপুর ক্যাসিনো দেখাল অভিজ্ঞতা আছে।
যেমন স্ত্রী ছাড়া স্বামী
মন্তব্য করতে লগইন করুন