শয়তানের কথোপকথন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৪ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৪৭:০৩ সকাল
এই কি করিস ! কি করিস !! পশ্চাৎদেশ জুড়ে লাথি মারলি কেন ? সর, ভাগ,,,,,,সরি স্যার আপনি !!...তা এই অবেলায় ?
: হারামজাদা , এই অবেলায় পাড় মাতালের মত ঘুমাচ্ছিস তার মানে ?
: কি করব স্যার, কাম কাজ তেমন নাই, অফুরন্ত অবসর,সময়ই কাটেনা...
: সময় কাটেনা মানে ? তুই জানিস তোদের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে দিতে আমার নাওয়া খাওয়া হয়না তিন দিন হল ?
: সে তো আপনাদের মত সুপারভাইজারদের কাজ। আপনার কাজ তো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত। ফিল্ডে কাজ তো করি আমরা। ওদিকে গিয়ে দেখেন, সবাই পড়ে ঘুমাচ্ছে।
: কেন ? ঘুমাচ্ছে ক্যান ?
: বাংলাদেশে ডিউটি ফেলছেন,তাও আবার বেছে বেছে গুটি কতক লোকের উপর দৃষ্টি দিতে বলেছেন। ওরা আমাদের ছাড়াই ভাল চলছে,এমনকি তেল দেওয়া ছাড়াই ওরা চলে। সেদিন তো আমাদের এক শয়তান খলকাশ দেব অঘটন ঘটালো , সে নাকি এক বাঙ্গালীর দ্বারা অনুপ্রানিত হয়েছে........
: সেই মেয়েটির দ্বারা নাকি , যে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলতে বলতে রাস্তায় দাড়িয়ে মুতার প্রস্তাব করেছিল ?
: আপনাকে সুপারভাইজার বানাইছে কোন ইতর ? আপনি তো ব্যাকডেটেড মাল। বাংলাদেশে এরকম কথা বলার লোক কি শুধু ওই মহিলাই নাকি ? হাজারে হাজারে নারি পুরুষ এখন এক তালে চলছে, আছেন কই ??
: বলিশ কি !! এত উন্নতি ??
: আবার জিগস ! এমনেই কি ঘুমাচ্ছি ??
: আচ্ছা লেটেস্ট নিউজ বল।
: লেটেস্ট নিউজ হল, দুই হারামীকে জেল থেকে ভাগিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে আমাদের এক ভাই। তাদেরকে মিলিত করেছি সেই মহিলার সাথে, মানে যে রাস্তায় দাড়িয়ে.......চেয়েছিল, অত:পর অসভ্য জনতার ধাওয়ায় বিদেশে গিয়ে ......করেছে।
: খিক খিক খিক !!! তুই কি জানিস ওকে আমরা কি করেছিলাম ?
: না,জানিনা।
:আমরা ওর মগজ হাটুতে,আর কিডনী মাথায় সেট করেছলাম , ফলে সে ওই রকম কথা বলত। আর যেহেতু ইসলামের বিরুদ্ধে বলত, তাই পাশের দেশ এবং ইউরোপ ওকে ন্যাপকিনের মত ব্যবহার করেছে, এখন আর তারা ওকে পোছে না। কারন এরকম টয়লেট ন্যাপকিনের সংখ্যা এখন ব্যপক, কোনটা নিয়ে কোনটা ছাড়বে !
তবে সেদিন তাদের বৈঠকে ব্যপক মজা পেলাম। তিন চাড়াল বাংলাদেশ নিয়ে আফসোস করছে- দেশটা গোল্লায় যাচ্ছে ! ভারতীয় চ্যানেলে সাংষ্কৃতি সয়লাব করেও লাখে লাখে লিভটুগেদার হচ্ছেনা, চোখে পড়ার মত নাস্তিকের মিছিল বের হচ্ছেনা,গৃহদাহ হচ্ছে না। .......
: স্যার, হবে কিভাবে ! ওরা তো মাত্রা বোঝেনা। যা শিখিয়েছিলাম তা ঠিক ছিল কিন্তু মাত্রা হয়নি। স্লো পয়জনের স্থলে তড়িঘড়ি করেছে,ফলে বিশাল সংখ্যক মানুষ বিপথে যাওয়ার বদলে জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভেবেছে এবং বহু লোক পূর্বের তুলনায় আরও কঠোরভাবে ইসলামে ফিরে গেছে। এরা আসলেই বোঝেনা।
:হুম,ঠিক। আর চেলা গুলো প্রকাশ্যে অনেক কিছু করতে গিয়ে আরও বিপদ বাধায়।
: স্যার, শুনলাম-তাদের বৈঠক চলা কালীন সেই স্বাধীনচেতা মহিলাটি চেতনায় বলিয়ান হয়ে অন্য দুজনের সাথে লিভ টুগেদারের প্রস্তাব করেছিল ?
: আরে না, ওই দুই ছোকরার রূচী এত খারাপ না। আর মহিলাটির যৌবন এখন সন্ধ্যা হব হব করছে, ইচ্ছা করলেও এখন অনেক কিছু সম্ভব না। ওরা বাংলাদেশে লিভটুগেদার বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করছিল।
: তা, হবে হয়ত, তা ওটা কি পারবে ?
: তার আমি কি জানি ! আমাদের দায়িত্ব সততার সাথে পালন করে যাব, এটাই কর্তব্য...
: স্যার তারপর ?
: তারপর অঅর কি, আমাদের আর ওদের পরিনতি একই।
: স্যার আমাদের পরিনতি কি সত্যিই জাহান্নাম !!!
: ছাগলের কথা শোনো, এতদিন পর তুই এই শিখলি ? আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করেছিল আমাদের আদী পিতা ,মনে আছে ? তার বান্দাদেরকে অামরা আমাদের বান্দা বানাবো।
: আচ্ছা স্যার আমাদের জাতির সকলের পরিনতিই কি জাহান্নাম ?
: না, সকলের না। কিছু হারামখোর আছে, তারা আল্লাহর ইবাদত করে। আল্লাগ তাদেরকে জান্নাত দিবে। ওদের সাথে দেখা হলেই মুখে লাথি মারবি, এটাই আমাদের গুরুজির নির্দেশ।
: কিন্তু স্যার, শুনেছি হারামখোররাও নাকি একই ঘোষণা করেছে-আমাদেরকে দেখলে মুখে জুতো মারবে ?
: হ্যা, তা তো বলেছেই,তবে আমরাই শক্তিশালি।
: আমরা আল্লাহর চেয়েও শক্তিশালি ?
: তুই তো দেখী চিন্তাবিদ হয়ে যাচ্ছিস, কেউই আল্লাহর থেকে শক্তিশালী হতে পারে না। সেই'ই সবকিছুর স্রষ্টা। তবে তার সাথে আমাদের একটা লড়াই আছে,সে কারনে আমরা তার বিরোধী।
: আল্লাহ সকল শক্তির উৎস্য,সর্বশক্তিমান, তা জেনেও তার সাথে লড়াই করবেন? পরিনতি জেনেও লড়াই ?
: হ্যা, এই কারনেই তো আমরা শয়তান !
এই এই কি করিস !! এই মুখে জুতো মারছিস মানে ? তোর এত বড় সাহস !! হারামখোর !
: আজ জুতোয় জুতোয় তোকে নিকেশ করব, তুই'ই হারামখোর !! তোর অাদী পিতার এক আহাম্মকী অহংকারের পরিনতি আমি বহন করব না। আমি জাহান্নাম দেখেছি। আমার জন্যে জান্নাতের সুযোগ থাকার পরও তোর মত শয়তানের কথা শুনে জাহান্নামে যেতে পারব না। তুই আর তোর সাথীরা সেখানে চিরস্থায়ী হ, ভাগ। আর তোর বাপ দাদাদের গিয়ে বল, আমি অন্যপক্ষে যোগ দিয়েছি, আর আমার খোজে আসেলে মুখে একইভাবে জুতো মারব, মনে রাখিস ! আমি আল্লাহকে ভয় পাই !!!
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিও ভিডিওটি দেখেছি, একটা কথা শোনে খুব হাসি পেল, চোরা দুইটাকে উদ্দেশ্য করে," তোমরাতো ব্লগ লিখ, সাংঘাতিক ভাল কাজ করে যাচ্ছ"। এই কথা শোনে কি যে খুশি হয়েছে চোরা দুইটা!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর হাস্যরসাত্মক লিখা পোস্ট করার জন্য।
নাস্তিকদের তীর্থস্থান তথা শয়তানের আঞ্চলিক কার্য্যলয় রমনা বটমূলে হেতারগো অধিকার আদায়ের রসালো আসর বসেছিল কুনো একদিন। ওখানে শয়তানের আঞ্চলিক অফিসের বিভিন্ন কর্মকুত্তাদের আগমন ঘটিল। মুরগি চোর ওরফে শয়তানে কবীর, সুলটানা চক্রান্তকারিনী, খুশী কবির ওরফে খবীশে কবির, রোকেয়া প্রাচী ওরফে পোক্কাইয়া বাসী, জমির চাচা ওরফে খোর-এ আজম প্রমূখ।
উপস্থিত ডেলিগেটদের হগলেই নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
ত্যাজলিমা নাচুনী'র যৌবনের জ্বালাতনময়ী বক্তব্যের এক পর্যায়ে নারী পুরুষের সমান অধিকারের পক্ষে বলতে যেয়ে নারীদের রাস্তায় দাড়িয়ে মুতার অধিকার দাবী করলেন।
এ সময় খোর-এ আজম জমির চাড়া ত্যাজলিমাকে প্রস্তাব দিলেন নিজেই সর্বপ্রথম এই শয়তানী কাজের অশুভ সূচনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে শয়তানে কবির দাড়িয়ে যান প্রস্তাবকে সমর্থন করার জন্য।
এদিকে ত্যাজলিমা নাচুনী এই প্রস্তাবে খুশী হয়ে শয়তানে কবীরের কাধের উপর উঠে সবার সম্মূখে কামডা সূচনা করার সাথে সাথেই দর্শকদের দিকে না গিয়ে শয়তানে কবীরের মাথার নিচে কপাল বেয়ে নাকের উপর দিয়ে সোজা লম্বা লম্বা গোপের সাথে মিশে গিয়ে কিছু অংশ তার গালের ভিতর আর কিছু অংশ তার শরীর বেয়ে নিচের দিকে গড়াতে থাকলো।
সেই থেকে এই বেত্তমিজডার পাক পবিত্র কোন খাদ্য তার হজম হয় না। তার পেটে একটি জিনিসই শুধু হজম করতে পারে। তা হলো মুরগির বিষ্টা। শয়তানে করীর প্রতিদিন তার খাদ্য মুরগির বিষ্টা যোগাড় করতে গিয়ে এই দোকান থেকে সেই দোকান, এই পাড়া থেকে সেই পাড়া ঘুরাঘুরি করতে করতে এক পর্যায়ে মুরগি চুরি শুরু করে দেন। সেই থেকে তিনি এখনো আমাগো দেশের প্রধান মুরগি চোর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন