দুটি দারুন ঘটনা ঘটল এবং পচা কাঠাল ও মুচী খরিদ্দার প্রসঙ্গ
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৩০:২৮ দুপুর
১. আজ বব নামক একজন সাদা দাড়ী বিশিষ্ট বৃদ্ধ আমার সাথে পরিচিত হল। আমি তখন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ভদ্রলোক বলল আমি তোমাকে আমার সন্তান হিসেবে পেতে চাই। আমি হাসলাম। ভদ্রলোক আমাকে কেন পছন্দ করল,তা বুঝলাম না। আমি বললাম -তোমাকে আমি কখনও ভুলব না। .........এদেশে এমন সব ভাল মানুষ আছে যাদের আচরনে অবাক হতে হয়।
ঁ**** আজ পত্রিকা পড়ার সময় খেয়াল করলাম, গত এক মাসে এক বারের জন্যেও ইসরাঈল-ফিলিস্থিন নিয়ে পত্রিকায় কিছু লেখা হয়নি। আমার বিশ্বাস আমরা ফিলিস্তিনের নারী-শিশুদের যেমন চেহারা দেখেছি,তা আমেরিকানরা দেখলে এরা ব্যপক প্রতিবাদ করত এবং বিভৎস্য দৃশ্য দেখে সহ্য করতে পারত না। সম্ভবত সরকার সেটা জানে,তাই ইহুদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জনগণকে সর্বদা অন্ধকারে রাখে।
আজ দুজন বৃদ্ধ এক পার্কিং লটে আমার সাহায্য চাইল। তারপর একজনের গাড়ির নীচে থাকা একটি বিড়ালকে বের করতে বলল। আমি একটা ইট মারার জন্যে অগ্রসসর হলে বলল-অন্যভাবে চেষ্টা কর। আমি মাটিতে হাত দিয়ে শব্দ করাতে সে বেরিয়ে আরেক বৃদ্ধার গাড়ির নীচে ঢুকল। আবারও বের করলাম তাকে। বিড়ালটা চাপা পড়তে পারে বলে তারা চিন্তিত। আমি নিশ্চিত এই সংবেদনশীল মানুষেরা সত্যের স্বপক্ষেই থাকবে। তবে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পত্রিকার স্থান দখল করে নিচ্ছে। মানুষ জেনে যাচ্ছে যে, মিডিয়া দালালী করে।
২. আজ আমি বেশ কিছু গিফট পেলাম। জন্মদিনের জন্যে আমি কিছুই করিনা। এসব ফাউল মনে হয়। কিন্তু কিছু মানুষ যখন ভালবেসে কিছু উপহার দেয় অথবা মনে রাখে,তখন নিজেকে সম্মানিত মনে হয়। যা পেয়েছি তার বেশীরভাগই খাবার জিনিস। একজন ফুল দিতে চাইলে আরেকজন নাকি বলেছে, ফুল তার দিয়ে লাভ নেই, বরং চিজ কেক দাও, এটা তার পছন্দ। হায় হায় !!! এসব কি জাতের কথা !!! আমি কি হাভাতে ???
যাইহোক দুটি চিজ কেক হল।....একজন একটা গিফট কার্ড দিল। খুলে দেখলাম ২০ ডলারও আছে। সত্যিই মানুষের এসব ভালবাসা ভাল লাগে। আমি লক্ষ্য করেছি আমার আশপাশের মানুষ কেন জানি আমাকে পছন্দ করে। আমি অবশ্য মানুষের সাথে সুআচরণ করি।
দুটি ঘটনাই ছিল দারুন।
এবার পচা কাঠাল আর মুচী খরিদ্দার প্রসঙ্গ:
মুচীদেরকে তাদের পেশার কারনে সম্মান করি। কিন্তু আমাদের সমাজে এটা সবথেকে ছোট পেশা এবং মানুষ হিসেবে তারা সবথেকে বঞ্চিত। এটা অবশ্য হিন্দুতান্ত্রিক চিন্তা। মুচি শব্দ ব্যবহার করার যুক্তিসঙ্গত কারনও আছে। আমাদের ও ভারতীয় সমাজে মুচীরা সবথেকে খারাপ জিনিসটি খাবে ,খারাপ থাকবে এমন বিধান ছিল। ফলে তাদের উন্নতি হয়নি বংশ পরম্পরায় পদদলিত হওয়ার কারনে। আমাদের এলাকায় গরু মরলে এরা তা নিয়ে যেত এবং রান্না করে খেত,যদিও হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না। ........যাইহোক প্রসঙ্গ তুললাম নিম্নোক্ত কারনে :
ইসরাইলের কাছ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি মূল্যের ২৬২টি বারাক অ্যান্টিশিপ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ও খুচরা সরঞ্জাম কিনতে যাচ্ছে ভারত। গাজায় হামলা প্রশ্নে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশনে তেলআবিবের বিরুদ্ধে আনা একটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়ার দুই সপ্তাহ পর ভারত এখন সেখান থেকে অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এখন মন্ত্রিসভায় তা উত্থাপন করা হচ্ছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর জন্য ভারতের ইসরাইলি বারাক ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র বিমান ও নৌযানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। এই ক্ষেপনাস্ত্র অন্তত ১৪টি ভারতীয় রণতরীতে স্থাপন করা হবে।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
হামাস মুসলিমদের মূল বাহিনী নয়। এরা সাধারন যোদ্ধা,যারা অত্যাচারিত হয়ে নিজেদের বাচার তাগিদে যোদ্ধা। অস্ত্র-শস্ত্র্র সুবিধার নয়। প্রতিপক্সের তুলনায় বলা যায় ভাঙ্গা বন্দুক সমৃদ্ধ বাহিনী।
কিন্তু গত এক মাসের যুদ্ধে হামাস তার ভাঙ্গা বন্দুক নিয়ে যা করেছে,তাতে ইসরাইল হতাশ হয়েছে,ভয় পেয়েছে এবং দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যুদ্ধে ইসরাঈলের পরাজয় হয়েছে। এখন অবস্থা এমন যে, অল্প কিছু সাধারণ যোদ্ধা,যাদের অস্ত্রই নাই তারা বলছে ৭২ ঘন্টা পর আবার আক্রমন হবে। আর ইসরাইল বলছে, যুদ্ধবিরতী আরও দীর্ঘ হোক। যে কোনো কানাও বুঝবে,ইসরাইলের খবর হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবথেকে উন্নত টেকনোলজী ইসরাইল ব্যবহার করে থাকে। এর কাছের লোক আমেরিকাও মহা শক্তিধর বলে বিশ্বাস করা হয়। এরা সম্মিলিতভাবে আয়রন ডোম বানিয়েছে,যা পৃথিবীর সবথেকে অত্যাধুনিক্ । কিন্তু হামাসের ১০০ ডলার মূল্যের পটকা ক্ষেপনাস্ত্রও তা রুখতে পারেনি। মাত্র ৬% মিসাইল ঠেকাতে পেরেছে। রবার্ট ফিস্ক একটা লেখা লিখেচে,তাতে দেখলাম এটা আসলে ২০১২ সালের অবস্থাতেই আছে,কিন্তু মিডিয়ায় এমনভাবে প্রচারিত হয়েছে যে,সেটা না জানি কি এক জিনিস।
বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়, ইসরাইলের অস্ত্র এখন আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারের পচা কাঠাল। আর সেই পাচা কাঠাল কিনেছে ভারত। আমার তো মনে হয়, ভারতের উচিত হামাসের কাছ থেকে তাদের জংধরা লেদ মেশিনে বানানো রকেট আর মিসাইল কেনার জন্যে লবিং করা।
আমি ভাবছি, তাবৎ দুনিয়ার পেশী ওয়ালারা একের পর এক সাধারণ ছররা মুসলিম বাহিনীর কাছে মাইর খাচ্ছে,নাস্তানাবুদ হচ্ছে, তাহলে মুসলিমরা একত্রিত হয়ে জল,স্থল,আকাশপথে হামলা চালালে অবস্থা কি হবে !!! পৃথিবীর সম্মিলিত বাহিনীরও তো টেকার কথা না। কিন্তু হারামখোরের দল,দলবাজি,পা চাটাচাটি,ফুর্তি এসব নিয়ে ব্যস্ত আছে। সত্য প্রতিষ্ঠার এরা আত্মনিয়োগ করবে না, যতক্ষণ না নিজেরো আক্রান্ত হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঢিলা কুলুখ এর ফতোয়ায় আটকে থাকলে মুসলমানদের উন্নতি সম্ভব নয়- এ সত্যটি আমাদের আলিমদের বুঝতে হবে।
হামাসের তীর ধুনক নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্ভশীলতা ছিল অন্তরের বিশ্বাস। আবার এসব তীর ধনুকগুলো পতিপক্ষের প্রতি নিক্ষেপের সময় তাদের পিছুটান ছিল না, ছিল না প্রার্থিব জীবনের জৌলুসীয় ভোগ বিলাসীতার প্রতি মায়া মমতা। এসব তীরন্ধাজ যোদ্ধাদের অন্তরে কখনো নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি স্থান পায়নি বরং তারা যোদ্ধা হিসেবে জাতিকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টিই মূখ্য বিবেচনা করেছে।
অপরদিকে ইস্রাইলের ভীরু এবং আধুনিক আত্মরক্ষার সর্বৌতকৃষ্ট প্রযুক্তির ছাতা মাথার উপর দিয়ে কিছু বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষ হত্যায় দক্ষকতা দেখানোর মত সুপ্রশিক্ষিত চৌকস বিশাল সৈন্যবাহিনী!
হামাসের তীর ধুনক নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্ভশীলতা ছিল অন্তরের বিশ্বাস। আবার এসব তীর ধনুকগুলো পতিপক্ষের প্রতি নিক্ষেপের সময় তাদের পিছুটান ছিল না, ছিল না প্রার্থিব জীবনের জৌলুসীয় ভোগ বিলাসীতার প্রতি মায়া মমতা। এসব তীরন্ধাজ যোদ্ধাদের অন্তরে কখনো নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি স্থান পায়নি বরং তারা যোদ্ধা হিসেবে জাতিকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টিই মূখ্য বিবেচনা করেছে।
অপরদিকে ইস্রাইলের ভীরু এবং আধুনিক আত্মরক্ষার সর্বৌতকৃষ্ট প্রযুক্তির ছাতা মাথার উপর দিয়ে কিছু বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষ হত্যায় দক্ষকতা দেখানোর মত সুপ্রশিক্ষিত চৌকস বিশাল সৈন্যবাহিনী।
গ্যাঞ্জামডা আসলে এখানেই লাগছে। ইয়াহুদীরা কাউকে মারার সময় নিজে পালানোর পথ পরিস্কার রাখার চিন্তা মাথায় রাখে। অপরদিকে হামাসের যোদ্ধারা কাউকে মারার আগে নিজে সোজা জান্নাতে যাওয়ার পথ পরিস্কার আছে কিনা সেটা চিন্তা করে। যদি তাদের কাছে অনুমিত হয় কাউকে একান্ত বাধ্য হয়ে মারার ফলে তার জান্নাতে যাওয়ার পথ পরিস্কার না হয় তবে সে খামোখা কারো উপর আক্রমণ করে না।
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো তিন্টি দিক থেকে ইসরাঈলের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকবার সে বলাই বাহূল্য রক্তপিপাসু
আপনার আমেরিকা যাবার পরের ঘটনা তো এই গাজার ঘটনা গুলো । আপনি সে সময় আমেরিকার বাইরে হলে বলার কিছু থাকতো না । যে ঘটনা আপনার সেখানে থাকার সময়কারই সেটা আপনি জানতে পারলেন আর আমেরিকা বাসী জানলোই না !
আর ভারত-ইসরাইল সামরিক সথ্য পুরান ব্যাপার। বিজেপি নেতা লেঃজেঃ(অবঃ) জেএফআর জ্যাকব ভারতে ইসরাইলের প্রধান বিক্রয় এজেন্ট। ভারতিয় আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব বিধান না থাকলেও তিনি ইসরাইল এর নাগরিক। ভারত বেশ কিছুদিন ধরে দাবি করছিল তাদের নিজস্ব বিমান বিদ্ধংসি ক্ষেপনাস্ত্র "আকাশ" অত্যন্ত সফল। কিন্তু এই আমদানি কেন তার ব্যাখ্যা নাই!!
সব শেষে একটা চিজ কেক আমারে দেননা....
মন্তব্য করতে লগইন করুন