কিভাবে একটি হটডগ বানাবেন ???
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৪৭:২০ সকাল
হটডগ বেশ মজাদার ফাস্টফুড হিসেবে পরিচিত। দুনিয়ার সেরা পেটুক আমেরিকানদের প্রিয় এটি। এখানে এক হাত লম্বা হটডগও পাওয়া যায়। হটডগের ইতিহাস অনেক পুরোনো। গ্রীক প্রাচীন কিতাব থেকে জানা যায় প্রাগঐতিহাসিক প্রাণী ডাইনোশুয়োরের(শুয়োর ২ প্রকার। ১. কচু বনের কালা মানিক। ২. ডাইনোশুয়োর) সময় থেকেই মানুষ হটডগ খেয়ে আসছে।
শুনেছি আগে হটডগে তেলাপোকা দেওয়া হত খাবারে সুগন্ধী হিসেবে। হটডগ কিভাবে আবিষ্কৃত হল,তা নিয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মত হল-একদা এক লোক সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল তার পোষা কুকুর নিয়ে। তখনও হুইল ,বর্শী আবিষ্কৃত হয়নি। লোকটি একটি লাঠির সাথে কুকুরের লেজ বেধে দিয়ে পানিতে কুকুর নিক্ষেপ করত। কুকুর এক দমে পানির নীচে ইতিউতি করে দু এক পিছ মাছ পেলে কামুড় মেরে তুলে আনত। এভাবেই চলছিল।
একদিন লোকটি তার নৌকা নিয়ে সাগরে গেল। যথারীতি কুকুরের লেজে একটি লাঠি বা গাছের ডাল বাধল। কিন্তু প্রচন্ড ঝড় উঠল এবং নৌকা ডুবে গেল। তখন লোকটা এবং কুকুর একটানা ১ সপ্তাহ ভাসতে থাকল। সময়টা ছিল ১৪৯২ সাল। ঠিক সেসময় সান্তামারিয়া,পিন্টা এবং নীনা নামক ৩ টি জাহাজ নিয়ে কলম্বাস এবং তার সঙ্গীরা অজানার উদ্দেশ্যে চলছিল আবিষ্কারের নেশায়। তারাই একদিন সাগরে শুকনো গাছের ডাল দেখে স্থলভাগের সম্ভাবনার ব্যাপার জানতে পারে। কিন্তু ডালটা যে কুকুরের লেজে বাধা ছিল এবং তার সাথেই যে আস্ত আরেকটি মানুষ ছিল,সেটা কানা কলম্বাস এবং তার কানা সাথীরা দেখেনি।
যাইহোক, কুকুরসহ লোকটি ভাসতে ভাসতে একটি নতুন দ্বীপে এসে ওঠে। সে দ্বীপে কোনো গাছপালাও ছিলনা। পাথর আর পাথর। এদিকে লোকটা এবং কুকুর দুটোই ক্ষুধার্ত। কুকুরটি যখন তার মনিবের দিকে তাকায়,তখন ভাবে মনিব একটি কাবাব। আর মুনব তার প্রিয় কুকুরের দিকে তাকিয়ে ভাবে সে এটিকে রান্না করে খাচ্ছে।
শেষে মনিবই জিতল। কুকুর যেহেতু মানুষ নয়,তাই মায়ার কারনে ক্ষধা হযম করল। আর মনিব তাকে হত্যা করে,তার লেজের সাথে থাকা লাঠি বা কাষ্ঠকণ্ডটিতে আগুন জ্বালালো পাথরে পাথরে ঘষাঘষি করে। তারপর আগুনে কুকুর বা ডগটিকে গরম বা হট করল এবং খেল। সেখান থেকেই হটডগের উৎপত্তি।
যাইহোক আমরা চটপট দেখে নেই কিভাবে হটডগ বানানো যায়।
প্রথমে দুই পিছ বড় সাইজের ব্রেড নিন। এবার একটা নেড়ী কুকুর ধরুন। এটাকে দুভাবে হট করতে পারেন। ১. একে ক্ষেপিয়ে। ২. একে পুড়িয়ে। যেটা অঅপনার পছন্দ সেটাই ওকে। এবার ডগটিকে ২ পিছ ব্রেডের ভেতর রেখে বেধে ফেলুন এবং টমেটো সস প্রয়োগ করুন।
খাওয়ার ব্যাপারে একটু ঝামেলা আছে। যদি আপনি উক্ত লোকটির মত পরিস্থিতিেতে পড়েন তবে,জীবন বাচাতে যতটুকু দরকার ততটুকু খেতে পারেন। আর যদি হালাল-হারামের বিধানের আওতামুক্ত কেউ হন,তবে সর্বদা ওকে।
বি:দ্র: প্রাকটিস করার আগে, দেখে নিন কুকুরের বংশ পরিচয়। পাগলা কুত্তার পাল্লায় পড়লে কিন্তু আপনি হটডগ খাওয়ার পর হটডগ আপনাকে খাবে...মানে জলাতঙ্ক....কাজেই সাধু সাবধান !!
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৫ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা হটডগ সংক্রান্ত কোন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। কোরিয়ানরা নাকি বেশ মজা কর্রেই ডগ থেয়ে থাকে। তবে সেটা এই পদ্ধতিতে কিনা জানিনা। এই ডগ দিয়ে আমাদের দেশের কুকি,মুরুং উপজাতিয়রা কুত্তা পোলাও নামে তাদের বিভিন্ন উৎসবে তাদের মতে খুবই সুস্বাদু খাবার রান্না করে। এর রান্নার রেসিপি আমি জানি তবে এখাদে দিলাম না তা অনেকের বিবমিষার উদ্রেক করবে(প্রথমবার শুনে আমারও হয়েছিল)।
তা ভাইজান আর দেরী কেন! অভিজ্ঞাতা শেয়ার করে তারাতারি গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে দেন!
বাহ্ বাহ্ রেসিপিডা চমেত্কার ভাল্লাগ্ছে মাগার আমি খাইতে চাইনা !
আরেক ধরনের গরম কুত্তার উদ্ভব হয় বাংগাল দেশে ভাদ্র মাসে। ভাদ্র মাসে এদের দেখা গেলেও খাসলতে চরম অভদ্র। কুন পন্ডিত এই মাসডার নাম ভাদ্র রাইখলো বুঝার কুদরত নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন