অভিযুক্ত আরেকটি যুদ্ধ: বানূ নাযীর এর পরিনতী সম্পর্কে জেনে নেই
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১১:৫২:১১ রাত
বনী নাযীর সম্পর্কেঃ
হযরত সাঈদ ইবনে যুবায়ের(রাঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ)কে বলেন যে-এটি হল সূরা হাশর, তখন ইবনে আব্বাস(রাঃ)বলেন-এই সূরাটি বনূ নাযীরের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়।-(বুখারী,মুসলিম)
“আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে,সবই তাঁর(আল্লাহ) পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহা-পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। তিনি কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমাবেশেই তাদের আবাসভূমী হতে বিতাড়িত করেছিলেন। তোমরা কল্পনাও করনি যে তারা বিতাড়িত হবে, এবং তারা মনে করেছিল যে তাদের দূর্ভেদ্য দূর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহর থেকে, কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে আসল,যা ছিল তাদের ধারনাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাশের সৃষ্টি করল। তারা ধ্বংস করে ফেলল তাদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও। অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ ! তোমরা উপদেশ গ্রহন কর ! (সূরা হাশর: ১-২)
“আল্লাহ তাদেরকে নির্বাসিত না করলে পৃথিবীতে তাদেরকে অন্য শাস্তি দিতেন। আখিরাতে রয়েছে তাদের জন্যে জাহান্নামের শাস্তি। এটা এই কারনে যে, তারা আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করেছিল। এবং কেউ আল্লাহর সাথে বিরুদ্ধাচারন করলে ,আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর। -(সূরা হাশর: ৩-৪)
“তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলো কর্তন করেছো এবং যেগুলোকে কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছো সে তো আল্লাহর অনুমতিক্রমেই। এটা এই কারনে যে, আল্লাহ পাপাচারীদেরকে লাঞ্চিত করবেনই।-(সূরা হাশরঃ৫)
মদীনায় জিরত করার পর অন্যদের মত বনূ নাযীরের ইহুদীদের সাথে রসূল(সাঃ) চুক্তি করেছিলেন যে, তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন না এবং তারাও রসূলের(সাঃ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে সাহায্য করবে না...ইত্যাদী।
কাব ইবনে মালিক(রাঃ) বর্ণনা করেন যে, মক্কার কুরাইশরা মদীনার ইহুদী নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এবং আউশ ও খাযরাজ গোত্রীয় মুশরিক সঙ্গীদেরকে একটি গোপন পত্র লিখে। পত্রটির বিষয়বস্তু ছিল এই যেঃ
‘তোমরা আমাদের সাথী(মুহাম্মদ সাঃ)কে তোমাদের ওখানে আশ্রয় দিয়েছো। এখন হয় তোমরা তাকে যুদ্ধের মাধ্যমে মদীনা থেকে বের করে দাও,নয়ত আমরাই যুদ্ধের মাধ্যমে তোমাদেরকে বের করে দেব। আমরা আমাদের সমস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে তোমাদেরকে আক্রমন করব, তোমাদের সমস্ত যোদ্ধা ও বীরপুরুষদেরকে হত্যা করে ফেলব এবং তোমাদের নারী-শিশুদেরকে দাস-দাসী বানিয়ে নেব। আল্লাহর শপথ ! একাজ আমরা অবশ্যই করব, অতএব তোমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ।’ -(তাফসীর ইবনে কাসির,সূরা হাশর অধ্যায়)
এ পত্র প্রাপ্ত হওয়ার পর আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এবং তার মুশরিক সঙ্গীরা পরষ্পর পরামর্শ করে আল্লাহর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুতি গ্রহন করে। পত্রটি বদর যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পূর্বেই রসূল(সাঃ) এর হস্তগত হয়। পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক চিন্তা করে ,তখন রসূল(সাঃ) স্বয়ং তাদের কাছে গমন করেন এবং বলেন-আমি অবগত হয়েছি যে, কুরাইশদের পত্র তোমাদের হস্তগত হয়েছে এবং পত্রের মর্মানুযায়ী তোমরা তোমাদের মৃত্যুর আসবাসপত্র নিজেদের হাতেই তৈরী করতে শুরু করেছো। তোমরা নিজেদের হাতে তোমাদের সন্তানদেরকে এবং ভ্রাতাগণকে হত্যা করতে ইচ্ছা করেছো। আমি আরেকবার তোমাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি(পূর্বেও তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এবং ক্ষমা পেয়েছিল),তোমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ এবং এই অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বিরত হও।-(তাফসীর ইবনে কাসীর)
রসূল(সাঃ) এর উপদেশ তারা গ্রহন করল। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও কুরাইশরা পত্র প্রেরণ করে তাদেরকে পূর্বের মত হুমকি দিল। ফলে তারা আবারও রসূলের(সাঃ) সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহন করতে শুরু করল। বনূ নাযীর আল্লাহর রসূলের(সাঃ) সাথে কৃত চুক্তি অপমানজনক উক্তির মাধ্যমে প্রকাশ্যভাবে ভঙ্গ করল। কিন্তু তারপর আবার তারা রসূল(সাঃ)কে বলল, আপনি আপনার ৩০জন সহচরসহ অমুল স্থানে আসুন, আমাদের নেতৃস্থানীয় ৩০ জন সেখানে উপস্থিত হবে। পরষ্পর আলোচনা হবে, যদি আমাদের লোকেরা আপনাদেরকে সত্যবাদীরূপে গ্রহন করে এবং ঈমান আনয়ন করে,তবে আমাদের সকলে আপনাকে গ্রহন করবে।
কিন্তু এটা যে বেঈমানী তা রসূল(সাঃ) অনুধাবন করলেন এবং চুক্তি ভঙ্গের কারনে তিনি দ্রুত একটি বাহিনী প্রস্তুত করে বনূ নাযীরকে অবরোধ করেন। রসূল (সাঃ) তাদেরকে বললেন-“তোমরা যদি নতুন করে চুক্তি কর ,তবে তো ভাল কথা,নইলে আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্যে কোনো নিরাপত্তা নেই।” বনূ নাযীর রসূলের(সাঃ) এই প্রস্তাব প্রকাশ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করল এবং যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হল।
আরেকটি ঘটনা হল: একদা কিছু মুশরিক রসূল(সাঃ)এর নিকট এসে তাদের নিজেদের জন্যে কিছু সংখ্যক আলেমকে চাইল,যারা তাদের নিজ গোত্রে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবে। রসূল(সাঃ) ৭০ জন সাহাবীকে পাঠালেন,কিন্তু তারা নিজ গোত্রের কাছাকাছি ‘বীর’এ মাউনা’ নামক স্থানে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিরস্ত্র সাহাবীদেরকে হত্যা করে ফেলে। শুধুমাত্র আমর ইবনে উমাইয়া জামারী(রাঃ) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পালানোর সময় মদীনার সন্নিকটে তিনি বানু আমির গোত্রের দুজনকে মুশরিক হত্যাকারীদের লোক ভেবে ভুল করে হত্যা করে ফেলেন। বানু আমীর রসূলের(সাঃ) সাথে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ ছিল এবং তারা ছিল বনূ নাযীরের বন্ধু গোত্র। এই ঘটনায় রসূল(সাঃ) উক্ত সাহাবীর প্রতি রাগান্বিত হলেন এবং তখন তিনি বানু আমীর গোত্রের দুজনের রক্তপণ প্রদান এবং আপোষ মিমাংসার জন্যে বনূ নাযীরের কাছে গমন করলেন(বনূ আমীরের সাথে বনূ নাযীরের সুসম্পর্ক ছিল) এবং ঘটনা যে ভুরক্রমে ঘটেছে তা বর্ণনা করলেন। বনূ নাযীর সন্তুষ্টচিত্তে মিমাংসায় রাজি হল।
কিন্তু রসূলের নিকট থেকে সরে গিয়ে তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আলোচনা করল,এর চাইতে আর বড় সুযোগ কি হতে পারে যে, শত্রু আমাদের হাতের মুঠোয়। এসো আমরা মুহাম্মদকে হত্যা করে ফেলি। তারা সিদ্ধান্ত নিল যে, তিনি যে দেওয়াল ঘেষে দাড়িয়ে আছেন তার উপর উঠে বড় পাথর খন্ড নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করা হবে। আমর ইবনে জাহ্হাশ ইবনে কাব এই কাজে নিযুক্ত হল। কার্যসিদ্ধির জন্যে সে দেওয়ালের উপর যখন উঠেছে তখন আল্লাহ তার রাসূলকে বিষয়টি অবগত করালেন এবং তিনি(সাঃ) সেখান থেকে সরে যান। সে সময়ে তার(সাঃ) সাথে আবু কবর(রাঃ),ওমর(রাঃ),আলী(রাঃ)সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবী ছিলেন। রসূল(সাঃ)মদীনায় ফিরে এসে বনূ নাযীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন। -(ইবনে কাসিরসহ প্রায় সকল সীরাতগ্রন্থ)
সারাদিনব্যপী যুদ্ধ চলল।
বনূ নাযীর এর বসতি মদীনার পূর্বদিকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। পরের দিন সকালে রসূল(সাঃ) বনূ নাযীরকে ওই অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে বাহিনী নিয়ে বনূ কুরায়যার নিকট গমন করেন। বনূ কুরায়যার ইহুদীরাও বনূ নাযীরের মত বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এবং প্রকাশ্যভাবে চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। রসূল(সাঃ) বাহিনী নিয়ে বনূ কুরায়যাকে নতুন করে সন্ধীচুক্তিতে আবদ্ধ হবার কথা বলেন এবং তারা তা মেনে নেয়। তাদের সাথে সন্ধী হয়। এরপর রসূল(সাঃ) আবারও বনূ নাযীরের কাছে ফিরে আসেন। মুসলিম বাহিনী দেখে বানূ নাযীর তাদের অত্যন্ত শক্তিশালী ও দূর্ভেদ্য দূর্গের ফটকগুলো বন্ধ করে দেয়। মুসলিম বাহিনী তাদেরকে অবরোধ করে। এবার বনূ নায়ীর রসূল(সাঃ)এর কাছে একটি পত্র প্রেরন করে- মাত্র ৩ জন লোক নিয়ে একটি স্থানে তাদের তিনজন আলেমের সাথে সাক্ষাত করতে বললেন। উক্ত আলেমরাই চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে বলে জানালো। রসূল(সাঃ) ৩জন সহযোগী নিয়ে অগ্রসর হলে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলেন-ইহুদীরা আবারও তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। কারন তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তৈরী হচ্ছে।-(ফুতহুল বারী,গাযওয়ায়ে বনু নাযীর ৭ম খন্ড)
এবার বনূ নাযীরের সাথে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকল না। তাদের গর্ব ছিল তাদের বিখ্যাত সব বড় বড় দূর্গসমূহ। এই প্রথম ও শেষ বারের মত রসূল(সাঃ) গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দিলেন। সাহাবারা গাছ কাটতে ভয় পাচ্ছিলেন,কারন এমন নির্দেশ আর কখনও আসেনি। আল্লাহ তায়ালা আয়াত অবতীর্ণ করে জানালেন গাছ কাটা এবং তা রেখে দেওয়া দুটোরই অনুমোদন রয়েছে(মূলত তাদের গোপন শত্রুতার প্রকান্ডতার কারনেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত। আর আল্লাহ জানিয়েছেন আখিরাতে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। কারন অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ জানিয়েছেন, তারা তাদের নিজেদের সন্তানদেরকে যেমনভাবে চেনে ঠিক তেমনিভাবে রসূল(সাঃ)যে শেষ নবী তাও চিনে। তারপরও তারা তাকে গ্রহন না করে শত্রুতা করছে)। এটার উদ্দেশ্য ছিল তাদেরকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দূর্বল করা এবং রাগান্বিত করা,কারন তারা এই খেজুর গাছের উপর নির্ভরশীল ছিল। ঈমাম আহমেদ বলেন যে,যুদ্ধক্ষেত্রে গাছ তখনই কাটা হয় যখন তা না কেটে উপায় থাকেনা। তাছাড়া বনূ কুরায়জা গাছের আড়ালে থেকে যুদ্ধ ও গোপন তথ্য আদান প্রদান করত। ফলে তাদের গাছগুলি শুধু অর্থনৈতিক সম্পদই ছিলনা,সেটা একটি ঢাল হিসেবেও কাজ রত। তাই গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের জঘন্ন আজরনের কারনে তাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা হয়।
মদীনার বানু আউফ ইবনে খাযরাজের গোত্রটির প্রধান নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আব্দুল্লাহ বিন উবাই,ওয়ালিয়াহ,মালিক ইবনে কুকিল,সওয়ায়েদ,আমাস প্রমূখ বানূ নাযীরকে এই নিশ্চয়তা প্রদান করে যে,তারা যেন যুদ্ধ অব্যাহত রাখে,কারন দ্রুত সাহায্য আসছে। বলাহয়-কোনোভাবেই আত্মসমর্পন করোনা। তোমাদের শত্রু মানে আমাদেরই শত্রু। তোমরা যুদ্ধের জন্যে বের হলে,আমরাও যুদ্ধের জন্যে বের হব এবং সম্মিলিতভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।
-(ইবনে কাসীর)
কিন্তু ইহুদী নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাই ইহুদীদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করে,সে ওয়াদা রাখেনি। ফলে বানূ নাযীর মানুষিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে।
তারা পরাস্ত হবে এমনটা ভাবতেও পারেনি কিন্তু তাদেরকে যুদ্ধের মাধ্যমে পরাস্ত করা হয়। তারা রসূল(সাঃ)এর কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রান ভিক্ষা চায়। রসূল(সাঃ) তাদেরকে মদীনা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ইহুদীরা জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাব ? জবাবে রসূল(সাঃ)বলেন হাশরের ভূমীতে (সিরিয়া) চলে যাও। তারা অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া বাকি সকল সম্পদ সাথে নিয়ে যেতে পারবে বলে রসূল(সাঃ)ঘোষনা করেন। এতে ইহুদীরা তাদের ঘরের দরজা,জানালাও খুলে নিয়ে যায় এবং ঘরগুলোও ভেঙ্গে ফেলে। তারা সিরিয়ায় চলে যায়। বানূ নাযীরের ২ জন ইসলাম গ্রহন করেন। এদের একজন হলেন ইয়ামিন ইবনে আমর ইবনে কাব,যিনি ছিলেন আমির ইবনে জাহ্হাশের চাচাত ভাই,অর্থাৎ যে লোকটি রসূল(সাঃ)কে দেওয়ালের উপর থেকে পাথর মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল,দ্বিতীয় জন হলেন সাদ ইবনে আহাব । এই যুদ্ধটি বদরের যুদ্ধের ছয় মাস পর সংঘটিত হয়েছিল(অনেক ঐতিহাসিক বলেন এটি খন্দকের যুদ্ধের পরের ঘটনা)। -(তাফসীর ইবনে কাসীর)
‘তারা যখন দেশ ছেড়ে যাচ্ছিল তখন তারা উৎসব আনন্দ করতে করতে অগ্রসর হয়। নানান রকমের বাদ্য বাজনা চলতে থাকে। মহিলারা তবলা বাজিয়ে গান গাইতে গাইতে অগ্রসর হয়। উরওয়া ইবনে আবসী নামক বিখ্যাত কবির স্ত্রী,যাকে ইহুদীরা ক্রয় করেছিল,সেও তাদের সাথে ছিল। মদীনাবাসীরা ইতিপূর্বে এমন ধনসম্পদে পরিপূর্ণ কোনো কাফেলা আর দেখেনি।-(সীরাতুন্নবী-আল্লামা শিবলী নূমানী)
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন