যুদ্ধবন্দী সম্পর্কে
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১২:৫০:১৪ রাত
মদীনায় রাষ্ট্র গঠনের পর রসূল(সাঃ) আনসার ও সকল ইহুদীদের সাথে যে চুক্তি করেন তা হল:
১. রক্তপণ পূর্বের মতই থাকবে।
২.ইহুদীরা স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে,কেউ কারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না।
৩.ইহুদী ও মুসলিমরা পরষ্পর সুসম্পর্ক স্থাপন করবে।
৪. ইহুদী ও মুসলিমরা শত্রু কর্তৃক আক্রান্ত হলে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করবে।
৫. কুরাইশদেরকে কেউ আশ্রয় দেবে না।
৬. মদীনা আক্রান্ত হলে উভয়ে মিলে শত্রুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধ করবে।
৭. কোনো গোত্রের সাথে কোনো পক্ষ সন্ধি করলে অপর পক্ষও সন্দী করবে। তবে ধর্মীয় যুদ্ধের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।
ইহুদীরা স্বভাবগতভাবে প্রচন্ড কাপুরুষ এবং দুষ্ট প্রকৃতির। পূর্বে তারা তাদের ভীরুতার নিদর্শন রেখেছে। তারা কখনও তাদের নাম পরিবর্তন করেনি,সকল স্থানেই তাদের নাম ছিল ই¯্রায়েল। কিন্তু প্রাচীন আরবের ইহুদীদের গোত্র ছিল নাযীর,কাইনূকা,মারহাব,হারেস,কুরায়যা ইত্যাদী। ইহুদীদের কাপুরুষতার ব্যাপারে সূরা মায়েদার ৪ নং আয়াতে আল্লাহ হযরত মূসা(আঃ)এর সময়ে
আমলেকাদের সাথে যুদ্ধের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে জানাচ্ছেন যে-“তুমি এবং তোমার রব উভয়ে গিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসে থাকব।” এই যুদ্ধের পূর্বে আল্লাহ হযরত মূসার(আঃ)উপর আয়াত অবতীর্ণ করে জানিয়ে ছিলেন যে,তোমরা আক্রমন করলে শত্রু পালাবে এবং বিজয় তোমাদের। শত্রুদের মনে আমি ভীতি সৃষ্টি করেছি..ইত্যাদী। কিন্তু ইহুদীরা যুদ্ধ করেনি।
মদীনার ইহুদীরা ছিল বীরযোদ্ধা। কিন্তু ইহুদীদের ক্ষেত্রে বীরযোদ্ধা শব্দটি মোটেও মানানসই নয়। ঐতিহাসিক ইয়াকুবী বলেন-"বানু কুরায়যা এবং বানূ নাযীর ছিল আরব গোত্র কিন্তু পরে তারা ইহুদী ধর্ম গ্রহন করে। বানু নাযীর আরবের যুজাম গোত্রের লোক ছিল। বানূ কুরায়যাও তাই"-(ইয়াকুবী,২য় খন্ড,পৃ-৪৯,ঐতিহাসিক মাসুদী-কিতাবুল আশরাফ ওয়াত-তাম্বিহ,ইউরোপ ভার্সন-পৃ-২৪৭)
মদীনার ইহুদীদের প্রধান গোত্রসমূহ ছিল বানু কুরায়যা,কায়নুকা এবং বনূ নাযীর। রসূল(সাঃ) মদীনাতে এসে তাদের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক স্থাপন করেন এবং কিতাবী হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করেন। কিন্তু তারা নিজেদের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে আক্রান্ত ছিল,যদিও তারা তাওরাতের বহু নিয়ম-কানুন,বিধি-বিধান পরিবর্তন করেছিল স্বজ্ঞানে। আল্লাহ বলেন-“তারা মিথ্যা কথা শ্রবনকারী এবং হারাম মাল ভক্ষনকারী।-(সূরা মায়েদা ৬)
“তুমি তাদের মধ্যে অদিকাংশ লোককে দেখবে তারা দ্রুত গতিতে গোনাহ ও অত্যাচারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।-(মায়েদা-৯)
“তারা সূদ গ্রহন করে থাকে,অথচ সূদ গ্রহন করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। এবং হারাম ও অবৈধ উপায়ে মানুষের ধন-সম্পদ ভক্ষন করতে নিষেধ করা হয়েছিল।”-(আন-নিসা-২২)
শুরু থেকেই ইহুদীরা নতুন ইসলামী রাষ্ট্র পছন্দ করেনি,কারন তারা মনে করত-এটি তাদের প্রভাব নষ্ট করে ফেলবে। তাই শুরু থেকেই তারা শত্রুতা পোষণ করত,যদিও প্রকাশ্যে তারা বন্ধুত্বের নীতি অবলম্বন করত। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তার রসূলকে(সাঃ) ধৈর্য ধারন করার পরামর্শ দেন। আল্লাহ বলেন-“তুমি আহলে কিতাব এবং মুশরিকদের পক্ষ থেকে বহু দুঃখজনক কথা শুনবে। যদি তুমি ধৈর্য ধারন কর এবং এড়িয়ে চল,তবে তা হবে অত্যন্ত দৃঢ়তার কাজ। ”-(আল-ইমরান:১৯)
এমনকি ইহুদীরা রসূল(সাঃ)এর সাথে দেখা হলে আস সালামুআলাইকুম না বলে ,একই রকমভাবে বলত-“আস্সামু আলাইকুম” অর্থাৎ তোমার মৃত্যু হোক। এমনকি উম্মুল মোমেনিন আয়েশার(রাঃ)সামনে একবার ইহুদীরা এমন করলে তিনি রাগান্বিত হন এবং উত্তরে বলেন-তোমাদেরই মৃত্যু হোক। তখন রসূল(সাঃ) আয়েশাকে থামিয়ে দিয়ে ন¤্রতা অবলম্বন করতে বলেন।....(বুখারী)
রসূল(সাঃ)এর ক্ষেত্রে মুসলিমরা রায়না শব্দটি ব্যবহার করে বুঝাতেন তিনি আমাদের সর্বত্তম ব্যক্তি। এই শব্দটির হিব্রু অর্থ হল "আমাদের নিকৃষ্ট ব্যক্তি" ইহুদীরা প্রকাশ্যে রায়না শব্দ ব্যবহার করে মুসলিমদের মতই আচরণ করত। কিন্তু গোপনে পরষ্পর মিলিত হয়ে বলত,আমরা তো তাকে আমাদের নিকৃষ্ট ব্যক্তি বলেই সম্বোধন করেছি। তাদের এই আচরণ আল্লাহ অপছন্দ করার কারনে আয়াত নাযিল করে রায়না শব্দটির স্থলে ‘উনযুরনা’ বলতে নির্দেশ দেন। এই শব্দটির অর্থও আরবী রায়নার মত কিন্তু শব্দটি হিব্রুতে নেই।
আউশ ও খাজরাজের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল বুয়াস। এরপর তারা দূর্বল হয়ে পড়ে। ইহুদীরা উভয়কে উচ্চ সুদে ঋণ দিয়ে যুদ্ধ টিকিয়ে রাখত এর এর মাধ্যমে ফায়দা লুটত। তারা এই যুদ্ধের ঘটনা উভয়ের কাছে রং চড়িয়ে বর্ণনা করে উভয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করার চেষ্টা করত,যাতে তাদের শত্রুতা শেষ না হয়।
রাস্তা দিয়ে ইহুদীদের জানাযা গমন করলে রসূল(সাঃ) তাদের সম্মানে দাড়িয়ে যেতেন। একদা জনৈক ইহুদী একজন আনসার সাহাবীর সামনে হযরত মূসা(আঃ)এর অতিরিক্ত প্রশংসা করে প্রমান করার চেষ্টা করে যে,তিনি মুহাম্মদ(সাঃ)এর থেকে অনেক বেশী উত্তম ছিলেন। তখন উক্ত আনসার সাহাবী তার এহেন বক্তব্যে রাগান্বিত হয়ে তাকে চাপেটাঘাত করে। তখন রসূল(সাঃ) এর কাছে উক্ত ইহুদী বিচার নিয়ে আসলে তিনি(সাঃ) বলেন-আমাকে অন্য নবীদের উপর এমন শ্রেষ্ঠত্ব দিওনা যাতে তাদের সামান্যতম মর্যাদা হানির আশংকা থাকে। যখন কিয়ামতের দিন সকল লোক বেহুশ হয়ে যাবে,আমি সর্ব প্রথম চৈতন্য ফিরে পাব এবং দেখব হযরত মূসা(আঃ) আরশের পাশে অবস্থান করছেন।-(বুখারী) সে সময়ে আহলে কিতাবদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যে আয়াতও অবর্তির্ন হত যেমন-“আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল।”-(সূরা মায়েদা-১)
কিন্তু মুসলিমদের সুসম্পর্কের বিপরীতে তারা মারাত্মক ঘৃণা প্রকাশ করত,বিশেষকরে গোপনে। তারা মুসলিমদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলনা,আর এই কারনে তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাথে মিশে শত্রুতা করেছে। তারা ছিল মারাত্মক শত্রুতায় লিপ্ত।
তাওরাতে রসূল(সাঃ)সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও এবং রসূলকে তারা নিজেদের সন্তানদের মতই চিনলেও এবং ইসলামের ব্যাপারে তারা সঠিকভাবে জানলেও ,শুধুমাত্র নিজেদের অহমিকার জন্যে ও অসৎ কাজ চরিতার্থ করার সুবিধার্তে মুশরিকদের কাছে গিয়ে বলত-তোমরা মুসলিমদের থেকেও উত্তম। আল্লাহ এই বিষয়টি সম্পর্কে বলেন-"তারা কাফিরদের উদ্দেশ্য করে বলত-মুসলিমদের চেয়ে তারাই অধিক সৎপথ প্রাপ্ত"-(সূরা আন নিসা-৮)
তারা ইসলামকে হেয় করার অভিপ্রায়ে এই নীতি অবলম্বন করে যে-সকালে ইসলাম গ্রহন করে বিকেলে তা প্রত্যাখ্যান করবে। আল্লাহ বলেন-"আহলে কিতাবদের মধ্যে একদল বলে থাকে যে-মুসলিমদের উপর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর প্রভাবে ঈমান আন এবং সন্ধ্যায় তা অস্বীকার কর।”-(আল ইমরান:৮)
“যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তারা হবে চরম লাঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্ত”-(সূরা মুজাদালাহ-২০)
“আল্লাহ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন,আমি এবং আমার রসূল অবশ্যই বিজয়ী হব-২১,
“তুমি পাবেনা আল্লাহ এবং অখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায়,যারা ভালবাসে আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে, হোক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা,পুত্র,ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতি গোত্র। তাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ সুদৃঢ় করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রুহ দ্বারা। তিনি তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে,যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখাতে তারা স্থায়ী হবে, আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন,তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল, এবং জেনে রেখ-কেবল আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।- (সূরা মুজাদালাহ-২২)
“আল্লাহ এবং তার রাসূল এর পথে জিহাদ করার চাইতে যদি তোমাদের কাছে প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভ্রাতা, তোমাদের পতœী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী, তোমাদের তোমাদের অর্জিত সম্পদ,তোমাদের ব্যবসা-বানিজ্য,যার মন্দার আশঙ্কা তোমরা কর, এবং তোমাদের বাসস্থান,যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর অল্লাহর বিধান(শাস্তি) আসা পর্যন্ত। আল্লাহ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না।”-(৯: ২৪)
এই আয়াতটি (সূরা মুজাদালাহ-২২) হযরত আবু উবায়দাহ ইবনূল জাররাহ(রাঃ) এর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছিল(একইসাথে হযরত ওমরের একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও) যখন বদর যুদ্ধে তিনি তার কাফির পিতাকে হত্যা করেছিলেন। একই যুদ্ধে আবু বকর(রাঃ) তার পুত্র আব্দুর রহমানকে হত্যা করতে অগ্রসর হয়েছিলেন কিন্তু সে পালিয়ে যায়। মুসয়াব বিন উমায়ের তার আপন ভাই ওবায়েদ বিন উমায়েরকে হত্যা করে। হযরত হামযা(রাঃ),আলী(রাঃ) এবং উবায়দাহ ইবনে হারিস(রাঃ) তাদের নিকটতম আত্মীয়স্বজন উতবা,শায়বা,ওয়ালিদ ইবনে উৎবাকে হত্যা করে।
বদর যুদ্ধের পর যুদ্ধবন্দীদের সাথে কি আচরণ করা হবে,এ নিয়ে রসূল(সাঃ) যখন সাহাবীদের সাতে পরামর্শ করেন,তখন আবু বকর(রাঃ) তাদের থেকে মুক্তিপণ গ্রহন করে মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি যুক্তি পেশ করেন- এতে মুশরিকরা আমাদের উদারতায় আকৃষ্ট হবে এবং হতে পারে তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহনও করবে। আর এই সম্পদ দ্বারা মুসলিমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এবং আমরা অস্ত্রশস্ত্রও ক্রয় করতে পারব। কিন্তু ওমর(রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল(সাঃ) আমাদের ভেতর যাদের আত্মীয়-স্বজন আটক রয়েছে,তাদেরকে তাদের মুসলিম আত্মীয়দের হাতে সমর্পন করুন,এবং নির্দেশ দিন যাতে তারা তাদেরকে হত্যা করে। আমরা আল্লাহকে দেখাতে চাই যে, আমাদের অন্তরে মুশরিকদের জন্যে কোনো ভালবাসা নেই। আমার হাতে আমার অমুক আত্মীয়কে সমর্পন করুন, আলীর হাতে আকীলকে সমর্পন করুন, অমুক সাহাবীর হাতে অমুককে সমর্পন করুন।-(তাফসীর ইবনে কাসির)
রসূল(সাঃ) হযরত আবু বকর(রাঃ) এর পরামর্শ গ্রহন করছেন এবং সে অনুযায়ীই ফয়সালা হল। আল্লাহ সূরা মুজাদালাহ এর ২০-২২ নং আয়াত অবতীর্ণ করেন। সেখানে মূলত হযরত ওমরের অভিমতের স্বপক্ষেই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল এই যে, যখন রসূল(সাঃ) যুদ্ধবন্দীদের সাথে পরামর্শ করছেন,তখন আল্লাহ তায়ালা আয়াত অবতীর্ণ করেননি। তিনি আয়াত অবতীর্ণ তখন করেছেন ,যখন আবু বকরের(রাঃ)পরামর্শ অনুযায়ী রসূল(সাঃ)সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গেছে। এমন ধরনের ঘটনা আরও বেশ কয়েকবার ঘটেছে। সুমহান আল্লাহ মানুষের জন্যে কিছু ছাড় দিয়েছেন। এখানে যদিও যুদ্ধবন্দী মুশরিক যোদ্ধাদেরকে এমনকি সাহাবীদের নিকটআত্মীয় যোদ্ধাদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অন্তরের ঘৃণাকে প্রশংসা করে আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করে কঠোর সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেছেন,কিন্তু আল্লাহর অনুরূপ ইচ্ছায়ই প্রতিপক্ষকে একটি ছাড় দেওয়া হল। দুটি নীতিই জায়েজ সেটিই প্রমানিত হল,তবে একটি ছিল সর্বাধিক উত্তম। অবস্থার প্রেক্ষিতে মুসলিমদের খলিফা যে যুদ্ধবন্দীদের সাথে উভয় রকম আচরন করার ক্ষমতা রাখে এটি তার প্রমান। তবে মুসলিমরা অধিকাংশ সময় ছাড়ই দিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬০১ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কুরআন,আর সুন্নাহ । আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। আমি শুধু তুলে ধরছি
চালিয়ে যান!
বিশ্ব ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে।
বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ...
মে আল্লাহ্ এক্সেপ্ট ইয়োর এফোর্ট, রিউয়ার্ড ইউ প্রফাউন্ডলি।
যাইওনিজম কন্সপিরেসি এর উপর ভিডিওটা দেখেন।
ভিডিওটা যদি না দেখে থাকেন তো দেখেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন