একটা অপ্রীতিকর ঘটনা শুনুন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২১ জুন, ২০১৪, ১২:২৩:২০ দুপুর
আমার আব্বার সাথে হিন্দুদের সম্পর্ক সর্বদা উষ্ণ ছিল। ৭১ এ এলাকা এবং আশপাশের এলাকার বহু হিন্দুকে তিনি সাহায্য করেছেন,যখন তাদেরকে লুটপাট করা হচ্ছিল তখনও আমার অঅব্বা সাহায্য করেছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করা এবং অর্থনৈকিভাবেও সাহায্য করেছেন। চাদাবাজ,মাস্তানদের হাত থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করেছেন।
আমার আব্বার প্রিয় কিছু হিন্দু শুভাকাঙ্খি ছিল,যারা আমাদের পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সুখে দুখে তারা কাছাকাছিই ছিল। এদের একজন ছিল স্থানীয় বড় মুদী দোকানের মালিক। লোকটিকে এবং তার পরিবারকে আমার আব্বা ব্যপক সাহায্য করেছেন। আমার আব্বার নিয়ম ছিল বাকী নেওয়া,তারপর হালখাতায় শোধ করা। এই হিন্দু শুভাকাঙ্খির দোকান থেকে তিনি বাকী নিতেন।
২০১০ সালে অাব্বা মারা যাবার পর এই লোকটি তাকে দেখতেও আসল না। অথচ পারিবারিক অনুষ্ঠানে এলাকার প্রভাবশালী হিন্দুরা আসত। তাদের সম্মানার্থে আমার ভাইয়ের বিয়েতে অঅব্বা গরু জবাই করেনি। বরং মুরগী,খাশি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিল সকলকে্ । লোকটি না আসাতে সমস্যার কিছু দেখিনি। কিন্তু লোকটি কয়েকদিন পর বলল,আমার আব্বা ....পরিমান টাকার বাকী জিনিসপত্র নিয়েছে। টাকার পরিমান শুনে বুঝলাম এটা মিথ্যা। মুদী দোকানে এতটাকা বাকী হতে পারেনা। তারপরও আমরা সে টাকা পরিশোধ করে দেই। এ বিষয়ে আমি লিখতাম না। কেন লিখছি তা নীচে দেখুন।
আজ ২২শে জুন,২০১৪। বাড়িতে ফোন দিলাম, আমার মা জানালো-তোর বাপের হিন্দু বন্ধুটা বলেছে- যে টাকার পাওনা ছিল সেটা শোধ হয়েছে বটে কিন্তু উক্ত টাকার উপর গত ৪ বছরের সূদ হয়েছে...... এত টাকা। আমি শুনে আসমান থেকে পড়লাম। যে টাকা শোধ হয়ে যায়,তার সূদ অবশিষ্ট থাকে কিভাবে ??
আমার আব্বার সকল বন্ধু ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে আমরা সুআচরণ করি। তাকে এই কথার জবাব এখনও দেওয়া হয়নি। আমার বড় বোন মনে হয় ওর খবর করে ছাড়বে। ..... হোয়াট এ শুভাকাঙ্খি !!!
আরেক হিন্দুর কাহিনী হচ্ছে। আমার আব্বা মারা যায় সকাল ৯.৩০ এ। চারিদিকে খবর ছড়ানোর পর সকাল ১১টায় এক হিন্দু এসে আমার মায়ের সাথে দেখা করে এবং বলে-আমি তার কাছে....এত টাকা পাই। তবে টাকাটা এক্ষুনি দিতে হবে এমন না। আপনি কালকে দিয়েন। আমি আজ এসেছি ভাইয়ের লাশটা দেখতে।.........
আমি কিছু বলব না। আপনারা পারলে মন্তব্য করেন। ......কাফির-মুশরিকদের সাথে আল্লাহ বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন। আমার পিতা তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং সর্বদা সাহায্য করতেন। সে অর্থে বন্ধু তারা ছিলনা,যাতে তাদের আদর্শে অনুপ্রানিত হতে হয়। আমার পিতার জন্যে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তাকে যেন ক্ষমা করেন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন। আপনারাও দয়া করে দোয়া করেন।
কথাটা শোনার পর খারাপ অনুভূতীর সৃষ্টি হচ্ছে ভেতরে......পৃথিবীতে উত্তম বন্ধুর উপর নিয়ামত নেই....
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৩ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কাউট্টা খোর ওরা,ওদেরকে কোন কারনেই প্রশ্রয় দিতে নাই।
আর ধার কিন্তু উনাকে অনেকটা জোর করে দেয়া হয়েছিল (দাদির ভা্ষ্যমতে)।
পরের বছর যখন ১৯৭০ এ যখন বন্যা হয়েছিল আমাদের এলাকায় তখন তিনি চাপ দিয়েছিল আকার জন্য সুদে আসলে। টাকা যোগারও করেছিল কিন্তু ততদিনে তিনি জমি বিক্রি করে দিয়েছিল অন্য জনার কাছে।
উনি দেশান্তরী হয়েছেন ১৯৭১এ আসেন নাই আর।
আমরা একটা প্রবাদ বলি ওজ (গরুর ভুরি) হয় টা গোস্ত আর হিন্দু হয় না দোস্ত।
ব্যক্তিমতঃ
বন্ধু নির্বাচন অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সকলের জন্য। এ ব্যাপারে সবার সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন। এই পোষ্ট থেকে আমরা সকলেই যেন শিক্ষা গ্রহণ করি। একটি সাপ কামড় দিলে একজন মানুষের জীবন জিন্দেগী খতম হয়ে যায় কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু এহকাল এবং পরকাল দু’টাই নষ্ট করতে পারে। বিষয়টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাস্তবতা হলো- কেবল হিন্দু নয়, নামধারী মসুলমানদের মধ্যে এর চেয়েও জঘন্য কিসিমের নরাধম আছে।
আপনার আব্বা সম্পর্কে পড়ে বুঝলাম তিনি আসলেই সাদা মনের মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে উচুঁ মাকাম দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন