রজার স্টকহাম বোমা মেরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ মসজিদ উড়িয়ে দিতে গিয়ে গ্রেফতার
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ জুন, ২০১৪, ১২:০৫:৩৫ দুপুর
ঘটনা আজকের:
একটু আগে ব্লগে একজনের আপলোডেড আর্টিকেল পড়ছিলাম্ । তাছলিমা নাছরিন সাহেবা ইসলামী জঙ্গীবাদ নিয়ে মমতা এবং মাধুরী মিশিয়ে একটি লেখা লিখেছেন্ । তার লেখা পড়ে মনে হল কিছু সংখ্যক মানুষের বিপথগামীতা অথবা বৃহৎ কোনো শক্তির মদদে সৃষ্ট জঙ্গী নাটকের কারনে মুসলিমরা লজ্জায় আত্মহত্যা করবে। এবং ইতিমধ্যে অনেকেই ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে নাস্তিক্যবাদ গ্রহন করেছেন(মানে লজ্জায় ল্যাঙ্টা হয়ে পড়েছেন)। আরও জানতে পারলাম মুসলিমরা সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসবাদ তাদের অনেকের আকাঙ্খা। আরও মনে হল এবং পড়লাম অমুসলিমরা সন্ত্রাস কিছু করেছিল কিন্তু এখন সেসব ছেড়ে দিয়েছে। তসলিমা নাসরিন ইদানিং কোনো এক গায়েব থেকে নিউজ পাচ্ছেন,যদিও তিনি গায়েব বিশ্বাস করেন না।
যাইহোক আসল খবরে আসি। রজার স্টকহাম নাকম যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন ক্যালিফোর্নিনার ৬৩ বছর বয়ষ্ক একজন ভদ্র,সজ্জন এবং অসন্ত্রাসী ব্যক্তি গাড়ি ভর্তি ব্যপক শক্তিশালী বিস্ফোরক নিয়ে মিশিগানের বিখ্যাত এবং গোটা আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ মসজিদে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। টেলিভিশন খবরে দেখলাম, উক্ত মসজিদে একটি জানাজা নামাজ চলছিল,যেখানে ৫০০র বেশী লোকের উপস্থিতি ছিল। লোকটি মুসলিমদেরসহ পুরো মসজিদটি উড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন।
কিন্তু পথিমধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর প্রশাসন এবং মিডিয়া একেবারে চুপ। যে মিডিয়া মুসলিমরা বোম বানায়,খায়,মারে,মরে এসব বলতে বলতে জিহবা মাথার উপর তুলে ফেলে, তারা মুখ ভোতা করে মিউ মিউ রবে দু একটি কথা বলে চুপ।
তসলিমা....আরে ও তসলিমা.....গেলি কইরে......কানে গোজা পুতে তুই ও কি ঘুমালি....!!!
শুধু আমেরিকায়ই বেসামরিক ব্যক্তিদের হাতে ৩১ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এবং তারা খুনোখুনিও করে।
***৩ সপ্তাহ আগে,আমার বাড়ির কাছের হাইস্কুলের এক মেয়ে ৬টি শক্তিশারী তাজা বোমসহ গ্রেফতার হল। সে তার ক্লাশরুমের টিচারসহ স্টুডেন্টদের উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
যেহেতু মিডিয়া আর তসলিমা টাইপ লোকেরা তাদের,তাই মুসলিম ছাড়া অন্যরা সন্ত্রাসী হতেই পারে না। এসব ঘটনা এদেশে প্রায় প্রতিদিন ঘটে***
http://www.foxnews.com/us/2011/01/30/man-arrested-explosives-outside-nations-largest-mosques/
http://www.huffingtonpost.com/2011/01/30/roger-stockham-arrested-explosives_n_815984.html
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একে এড়িয়ে চলি।
সেটা আমেরিকা হোক বা বাংলাদেশে। এক চোখে দেখে সবকিছু।
চেষ্টা হয়েছিল ওটাকেও প্রসেস করা জন্য । এত কটা জিনিস আসলেই খাওয়ানো যেত না ।
মিডিয়াতে কাজ করা। আপনার এই লিখাটা আরো একটু বিস্তারি করে (ইংরেজীতে) টুইট করুন।ধন্যবাদ।
বিশেষ লেখিকার জন্য সামান্য লেখিকার তরফ থেকে বিশেষ উপহার..
মন্তব্য করতে লগইন করুন