সবাই চলুন ওরেগন চিড়িয়াখানায় , না দেখলে মিস করবেন !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১১ জুন, ২০১৪, ১২:১৩:৩০ দুপুর
গেটের পরই এই দৃশ্য
অনেক দিন আগে এক ফুফাত ভায়ের সাথে ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম,তারপর আর কোনো চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নি,তবে চিড়িয়া দেখেছি অনেক। সেসময় চিড়িয়াখানায় গিয়ে যেসব হালাল প্রাণী এবং পাখি দেখেছিলাম,তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আমার মন্তব্য ছিল -এর গায়ে মাংস কতটুকু হবে ? স্বাদ কেমন হবে..ইত্যাদী।
আজ এতগুলো বছর পরও আমার মন্তব্যগুলো সেই একই রকম থেকে গেল। নাহ...আমি মানুষটা বদলালাম না। আজ এখানে চিড়িয়ার পরিমান একটি বেশী হল.....চলুন ছবি দেখী....
নিশ্চিত করে বলতে পারি,আমার বাপও এতবড় ছাগল দেখেনি। এটা পাহাড়ে চরলেও,দেখলাম ভেতরে ঢুকেই। অন্তত ১ হাত লম্বা পশম। প্রথম দর্শনেই মুখ থেকে বের হল...ওহ এর ভুনা যা লাগবে না !!! এটি আকারে একটি ছোট গরুর মত।
এরকম এবং আরও সুন্দর ব্রিজ ও রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম। প্রাণীগুলোকে তাদের পরিবেশে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভাল্লুক নিজের মত পায়চারি করছিল। কাছ থেকে দেখলাম। এরা মানুষের কাছে খাবারের গন্ধে আসে। একটি হাভাতে টাইপের।
এটা কনডর শকুন। বিশাল বড়। এরা পচা মাংশ খায়। এদের হযম শক্তি অনেকটা আমার মত।
এটা চিতা.....মানে লাশ পোড়ানো চিতা নয়,এটা বিড়ালের অভিজাত আত্মীয়। দুটোকে দেখলাম উপরে তৈরী মাচায় শুয়ে আছে। আবার মাঝে মাঝে নেমে এসে এখানে সেখানে হাটাহাটি।
উনি বেঙ্গল টাইগার। প্রায় সকল চিড়িয়াখানা উনাদের অন্তত ১ পিছ হোলেও রাখেন।
দূর থেকে চিড়িয়াখানা।
এরা বাঘ না মহিলা সিংহ না বোঝা বড় দায়। ইদানিং নারী-পুরুষ দূর থেকে তেমন পার্থক্য করা যায় না...
চিড়িয়াখানার আফ্রিকা অংশে এটা আছে। উনি তার সন্তানকে ভদ্রতা শেখাচ্ছেন। অবশ্য ভাষায় কিছু তারতম্য রয়েছে।আফ্রিকার অনেক প্রানী রয়েছে এবং অন্য মহাদেশেরও।
এ হল চোরের মা । গলা দেখেছেন ???
এটি কচ্ছপের মত মনে হলেও-গন্ডার। কথিত আছে একে কাতুকুতু দিলে মাস খানেক পর হাসাহাসি করে। দেশের অনেক সরকারী কর্মকর্তার সাথে এর আত্মীয়তা আছে(স্বভাবের ক্ষেত্রে)।
ছোটবেলা থেকেই এর পিঠে চড়ার শখ আমার। কিন্তু জেব্রা ক্রসিংয়ে হাটলেও এর পিঠে উঠা হয়নি। ভদ্র মনে হলেও তা নয়,এদেরকে ঘোড়ার মত পোষ মানানো যায়নি।
এশিয়ান হাতি। বড়গুলোও আছে। ছোট ব্লগে বড় হাতি ধরানো গেলনা।
এটা আমেরিকান এল্ক,মানে বড় হরিন। কোনো কোনোটার মংস অবলিলায় ১০/১২ মন হবে। একটিতে বহু লোক খাওয়ানো ব্যাপার না। তবে ভাল করে কষিয়ে রান্না করতে হবে। সামনের ঠাংয়ের মাংস আমার পছন্দের। কিন্তু দেখলাম চিকন জাতের হরিন। মনে হল, আস্ত শিক কাবাব বানাই।
একে দেখলে মনে পড়ে, আই লাইক টু মুভ ইট মুভ ইট......
এই দ্যাখ,দ্যাখ মানুষেরা সব উল্টো হয়ে হাটছে.......
এখানে আফ্রিকার রক্ত চোষা বাদুড়ও দেখলাম।
সাপ-খোপ দেখলে আমার গা ঘিনঘিন করে।
ভেতরে একটা সুন্দর মাঠ এবং সেখানে গানের অনুষ্ঠানও হয় মাঝে মাঝে....
মেরু ভল্লুক সবথেকে ভাল লেগেছে। এরা বেশ মজার। এক হাত কাছ থেকে দেখেছি। তবে অনেকে বেশী কাছ থেকে দেখতে গিয়ে বিপদে পড়েছে। এখানে অবশ্য কাচের দেওয়াল আছে।এরা দাড়ালে ১২ ফুট উচু হতে পারে।
মারুত্মক শিকারী পাখি ঈগল। শখ ছিল ঈগল থাকবে,বন্দুকও। শিকারে যাব...সে উড়ে এসে হাতে বসবে। কিন্তু তা হলনা...
ছোটবেলায় আমার স্বভাব ছিল ওরাওটাং টাইপের। এরা দড়ি ধরে ঝুল খেয়ে এখানে সেখানে লাফ মারে...
ইনি কারো কারো পূর্ব পুরুষ। কয়েকজন বিজ্ঞানীসহ বহু নাস্তিক এই দাবী করেছে। তাদের আচরনে মনে হয়েছে,এই দাবী যথার্থ...
সি-লায়ন খাওয়া ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা,বুঝতেও চায়না। একজন ব্লগারের সাথে এর মিল আছে।
এদের দেখতে সবসময়ই ভাল লাগে। তবে বদ্ধ স্থানে শ্রীহীন।
আমার চোখে ওরেগন চিড়িয়াখানার পাখিসমূহ
আরও অনেক কিছু দেখেছিলাম, এত পিকচার আপলোড করতে ভাল লাগছে না।
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৪ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সি-লায়ন খাওয়া ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা,বুঝতেও চায়না। একজন ব্লগারের সাথে এর মিল আছে।
তবে .... লিখেছেন ভালো । পড়ে হেসেছি অনেক ।
অ . ট : মন্তব্য লিখিয়া প্রমান করিলাম , আমি মরি নাই ।
খুব ভালো লাগলো!!
পাখি দেখার ক্ষেত্রে আমাদের অসম্ভব মিল.............
দারুন.............
মডু মামা কই গেলো??
এরপড় আপনি যতখুশি কামড় দেবেন।
এইডা আবার কি জিনিষ? (বুঝতে পারছি টাইপিং এরর)।
একবার কিছু চাইনিজ আমার ভাইকে দাওয়াত করে অনেক খাবারের সাথে সাপ ভাজিও দিয়েছিল.....
আর আমি এক চায়নিজ বাড়িতে দাওয়াতে অনেক কিছুর সাথে শামুক,ছিনুক,শুরের জিহবা পেয়েছিলাম...
তবে সবশেষে সি লায়ন এর সাখে আমারও পুর্ন মিল আছে বলে অনেকেই দোষারোপ করেথাকেন।
প্রায় ২৫ বছর আগে ঢাকা মিরপুর চিড়িয়াখানায় তোলা।
সিঙ্গাপুরের সেন্টোসা দ্বিপের আন্ডারওয়াটার ওয়ার্লড এ জেলি ফিস এবং অ্যাঞ্জেল ফিস এর সাথে।
সুন্দর জায়গা, ভালো লাগলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন