মাথা ছাড়া হিজড়া
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ৩১ মে, ২০১৪, ০৭:০৩:৫৯ সকাল
হিজড়াদেরকে অসম্মান করার কোনো কারন নেই। তারা আমাদের মতই মানুষ কিন্তু সুস্থ্য মানুষ হিসেবে আমরা যা কিছু করতে পারি ,তারা তা থেকে বঞ্চিত। তারা শারিরীকভাবে অক্ষম। এর জন্যে তাদেরকে দোষ দেওয়া যায়না। তবে তারা মানুষিকতার বিকাশ সাধন করতে পারে এবং তারা অন্যদের মতই মর্যাদার অধিকারী হতে পারে। এমন অনেক হিজড়া রয়েছে,যারা তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। অতএব প্রকৃতিগতভাবে হিজড়া হওয়া দোষের কিছু নয়।
কিন্ত কোনো সুস্থ্য লোক যদি মনে করে তাকে হিজড়া হতে হবে। তাকে তার অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ পরিত্যাগ করতে হবে। এবং যদি সে মনে করে নিজের মেধার বিকাশ ঘটানোর চেয়ে অন্যের হুকুম মানা বেশী সহজ। তাতে চিন্তা-ভাবনা করার কষ্ট লাঘব হয় এবং মস্তিষ্ককে অপ্রয়োজনীয় অংশ মনে করে সেটা ফেলে দিয়ে যদি সেখানে কমান্ড শোনার একটি চিপ বসায়,তাহলে এটা দোষের।
একটা দেশের আর্মী না থাকলে তৈরী করা যায়। এতে তারা শক্তিশালী হতে থাকে,যদি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক রেখে একসাথে আগাতে থাকে। কিন্তু তৈরী করা আর্মীকে বিনাশ করলে নিজের অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি হয়। কোনো সরকার যদি নিজেই নিজের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পেয়াজ,মরিচের ব্যবসায় নামায়,নিজের ক্ষমতা,বানিজ্য-প্রভাব প্রতিপত্তির উদ্দেশ্যে কাজে লাগায়,স্বাবলম্বী না করতে চেয়ে পা চাটা প্রানী বানাতে চায়,তাহলে সেই সরকার পরিচালিত দেশটি আক্ষরিক অর্থেই এই শিরোনাম হয়ে যায়।
আজকের বাংলাদেশের সেই অবস্থা হয়েছে। আফ্রিকার চরম মরা গরিব,সংঘাতপূর্ণ কোনো দেশও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের মত এতটা আত্মমর্যাদাহীন নয়। তারা অন্তত যোদ্ধা। তারা খেতে পায়না কিন্তু প্রতিপক্ষের শত্রুতার জবাব বন্দুক দিয়েই দেয়। কিভাবে জবাব দিতে হয় সেটাও জানে।
কিন্তু বাংলাদেশ তার মর্যাদা হারিয়েছে। সীমান্তে তাকে প্রতিদিন অপমানজনকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। সরকার তার বাহিনীকে পতাকা বৈঠক করার অনুমতি দেয় এবং লাশ ভিক্ষা করার নসিয়ৎ করে। কখনও কখনও হাতে পায়ে ধরে লাশটা ফেরত পায়,আর কখনও তীব্র অপমান করে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। তারা তখন মাথা নীচু করে- মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু নমষ্কার বলতে বলতে বাড়ি এসে হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করে। সরকারও এটাকে নিজেদের ভুল আখ্যায়িত করে আবারও মাফ চায়। অনুরোধ করে, দয়া করে এই নিমক হালাল বন্ধুকে আর মারবেন না। কিন্তু তারা কথা রাখেনা। আবারও হত্যা করে। আবারও লাশ ফেরৎ পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। এদের আচরণ দেখেই অনুমান করা যায় ৪৩ বছর আগে এরা যুদ্ধ করছিল নাকি এসবই করছিল.....
গত কয়েকদিন ধরে দেখছি আরেক সীমান্তে গুলি হচ্ছে। গুলি করে সাধারণ মানুষ নয়, আধা সামরিক বাহিনীকে হত্যা করা হয়েছে। এবারও দুহাত জোড় করে লাশ প্রার্থনা করতে গিয়েছিল এবং তারা যখন দেখেছে, এদের মেরুদন্ডে হাড় দূরের কথা বাশের চটাও নেই,তখন ঘৃণায় আলোচনাও করেনি,বরং গুলি করেছে। এবং বুঝিয়ে দিয়েছে তোরা মিয়াও বাঘ,আগে গায়ে ডোরাকাটা দাগ ছিল ,এখন সেটাও নেই।
এক অসহ্য অনুভূতীতে ভুগছি। খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরীদেরকে মুশরিকদের বান্দা বানানো হচ্ছে.....যাদের কাছে এই ওহী এসেছে যে, হিন্দুস্থান বিজীত হবে তাদের হাতে,তাদেরকেই পা চাটা প্রানী বানানো হচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে দারিদ্র পীড়িত বার্মা....এ কি সহ্য করা যায় !!!
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন