আমেরিকার কুত্তাগুলো
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৭ মে, ২০১৪, ০৬:২১:৩০ সকাল
আমেরিকাতে কুকুর দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেলাম। এমন কোনো স্থান নেই,যেখানে কুকুর নেই। এখানে এসে আমার অনেকগুলো উপলব্ধীর মধ্যে এটাও একটা যে,এখানে কুকুরের মর্যাদা মানুষের থেকে কোনো অংশে কম নয়,বরং কখনও কখনও এদের গুরুত্ব,মর্যাদা মানুষের থেকেও বেশী। অবশ্য বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ভিভিন্ন দেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা-নেতৃদের দিকে তাকিয়ে অবলীলায় কুকুরের প্রশংসা করা যায়। মানুষ মনুষত্ব হারালে পশুর নীচে নেমে যায়। মনুষত্বের বিপরীতমুখী অবস্থা কখনও পশুত্ব হতে পারে না। পশুরা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি মেনে চলে এবং তারা অবশ্যই কৃতজ্ঞ প্রাণী। একবার শুনেছিলাম কোনো এক কুকুর,আরেক কুকুরকে মানুষ বলে গালি দেওয়ার কারনে উক্ত কুকুরটি ক্ষোভে,দুক্ষে আত্মহত্মা করেছিল। খারাপ মানুষের সংস্পর্শে অবশ্য বাংলাদেশের কুকুরগুলোরও চারিত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কুকুরের সাথে কুকুরের তুলনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুকুরদেরকে সামনের সারিতে রাখতেই হয়। এটা আমার একান্ত বিবেচনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। চলুন কিছু কুকুর সংবাদ শুনে নেই,এটাই আজকের টপিক।
এদেশে একের সাথে অপরের প্রেমের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হল কচু পাতার পানির মত। বড্ড বেসামাল। এমন অনেক লোকের সাথে কথা হয়েছে,যারা পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় ধরে সহাবস্থান করছেন ভালবাসায়। তবে এটার পরিমান যথেষ্ট কম। আমার স্বল্প জ্ঞান এবং অনুসন্ধ্যানী মনের হিসেব মতে এদেশে নারীদের ধৈর্য্যশক্তি বলে কিছু নেই,বিশেষকরে সুন্দরী নারীদের। এরা পুরুষের থেকে বহু দ্রুত কঠিন সিদ্ধান্তে চলে আসে। কঠিন সিদ্ধান্ত মানে যুদ্ধের ময়দানে বসে যুদ্ধে জেতার সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটা হল সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত।
এ্যালেন যাকে জান পরান দিয়ে ভালবাসত ,তার নাম হল এমিলি। রূপে গুনে দুজনই সমান সমান। চলছিল বেশ। একে অপরকে হানি বা মধু বলে সম্বোধন করত। নিজেদের ভালবাসার গভীরতা প্রকাশার্থে খানিক পরপরই ‘আই লাভ ইউ’ বলে মুখোমুখী বা ঠোঠাঠোঠি হত যেখানে সেখানে,যখন তখন। এক সাথেই বসবাস করছিল তারা ডমেস্টিক পার্টনার হিসেবে। এদেশে ডমেস্টিক পার্টনার আর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য ধরা হয়না কিছু সরকারী ধকল ছাড়া। অবশ্য সরকার পরষ্পরের সম্পর্ক স্থাপনে এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে। এতদিন আটকে থাকা গে সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন হয়েছে দিন চারেক আগে। এখন সমকামীরা এ অঙ্গরাজ্যে বিয়ের লাইসেন্স পাবে।
যাইহোক একদিন এ্যালেনকে বিরস বদনে বসে থাকতে দেখে একজনের কাছে জানতে চেয়ে জানতে পারলাম তার হানি কোনো এক নতুন মৌমাছির সাথে উড়ে গেছে। ঘটনা হল, এ্যালেন এমিলির জন্যে ভালবেসে কিছু একটা রান্না করতে চেয়েছিল এক রবীবারে। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু এমিলি চাচ্ছিল সে কাঠের চামুচ ব্যবহার করুক,তাকে বিষয়টি কয়েকবার বললোও। কিন্তু এ্যালেন স্টিলের চামুচ ব্যবহার করল এবং সবিনয়ে তাকে প্রত্যাখ্যান করল। নিজের সিদ্ধান্ত না মানার কারনে চাপা ক্ষোভের সাথে এমিলি বলল-তুমি কখনও আমার কোনো কথা শোনো না,আমার কোনো ইচ্ছাকে প্রাধান্য দাওনা। এ্যালেন এটাকে সামান্য বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতেই তার হানি দাহ্য পদার্থে পরিনত হল। তার আচরনে এ্যালেন মর্মাহত হল এবং এক নাগাড়ে কথা বলতে থাকায় বেশ বিরক্তও হল। খানিক বাদে এ্যালেনও উত্তেজিত হয়ে উঠল এবং একে একে বলতে থাকল এমিলির কত রকমের ইচ্ছাকে সে প্রাধান্য ইতিপূর্বে দিয়েছে। আর এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে চিল্লা-চিল্লী না করে খাবার খেতে অনুরোধ করল। এমিলি তার প্লেটের খাবার রাগে ক্ষোভে ডাস্টবিনে ফেলে দিল। এবার এ্যালেন আমেরিকান মাতৃভাষার প্রথম শব্দটি ,অর্থাৎ ইংরেজী এফ অদ্যাক্ষরের যে শব্দটি আমেরিকানরা অতিরিক্ত এবং সর্বসময়ে,সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকে,তা প্রয়োগ করল। এমিলিও বারকয়েক শব্দটি প্রয়োগ করল এবং তারা খানিক ক্ষনের মধ্যেই এই বিশেষ অশ্লিল শব্দটিকে বাংলাদেশের কোনো এক ইউনিভার্সিটির জনৈক মানিকের মত শতাধীকবার ধর্ষণ করে বসল। এমিলি শেষবার বলল- “এফ.... ইউ নাউ”(এর ভাবগত অর্থ হল, এক্ষুনি তোর সাথে সম্পর্ক শেষ,তোকে ত্যাগ করলাম), জবাবে এ্যালেন বলল-“এফ.... ইওরসেল্ফ”(ভাবগত অর্থ হল, দূর হ,যা ভাগ)। দুজন আলাদা হয়ে গেল, সম্পর্ক শেষ হল। এ্যালেনকে দেখেছি বিমর্ষ। খুবই স্বাভাবিক যে পরে বিষয়টা নিয়ে উভয়ই ভাববে এবং নিজেদেরকে বিশ্লেষণ না করলেও অপরকে দোষারোপ অন্তত করবে। খানিক খারাপ লাগবে,তারপর কেউ কেউ সরি শব্দটি প্রয়োগ করে পূণরায় মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে কখনও সফল হয়,আর কখনও বিফল। তবে বেশীরভাগ সময় তারা আরেকজনের খোজ করে অথবা পূর্বেই যে লাইনের আশে পাশে ছিল তাকে লাইনে তুলে নেয়। এভাবেই এদের জীবন চলে। অত্যন্ত ঠুনকো,ফাঁপা,ফাকা মূল্যবোধ,জীবন দর্শন নিয়ে এরা হাসতে হাসতে জীবন পার করার চেষ্টা করে। ফলে এক সময় এরা এদের আশপাশে কাওকে দেখতে পায়না। এরা লাইন হারিয়ে ফেলে,ফলে লাইনের আশপাশে কেউ আছে কিনা তা বুঝতে পারেনা। এক বিরাট শূণ্যতা সৃষ্টি হয় তখন। আর সেই শুণ্যতা পূরণ করতে তখন একান্ত নিবেদীত প্রাণ,অমায়িক,কৃতজ্ঞ বন্ধু হিসেবে হাজির হয় এক বা একাধীক কুকুর। তার কাছে তখন সেই কুকুরটির মর্যাদা হয় মানুষেরও উপরে। এটাই আমেরিকার নিয়তি।
এই ট্রাক এরাই তৈরী করেছে। এদের অবাধ গণতান্ত্রিক মন মানুষিকতা কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে শেখেনি,অন্তত ১৮ বছরের পর হতে। এরা যেভাবেই হোক এই ব্যাপারে একমত যে ১৮ বছর বয়স হলে এরা ভাল-মন্দ বুঝতে পারে এবং সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একইসাথে তারা কারো সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। আর যেচে উপদেশ দেওয়া এদের নীতি পরিপন্থী,ফলে কেউ ভুল করল,নাকি সঠিক করল তা কেউ দ্যাখেনা। এমনকি পিতা-মাতাও ছোটবেলায় কিছু একটা শিখিয়ে ছেড়ে দেয়,যার অর্থ হল তোমাকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের কথা শুনতে হবে,এরপর তোমার সিদ্ধান্ত তোমার। এরা সবাই স্বাবলম্বী,আর এই জন্যেই এদের এই দশা। এরা নিজেরা নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মনে করে,যার কারনে আপন স্বাধীনতার চুড়ান্ত রূপ না দেখা পর্যন্ত এরা থামেনা। এখানে পরামর্শ বিষয়টা বেশ কঠিন,আর মানুষের এত সময় নেই যে কাওকে পরামর্শ দিতে যাবে। আর গায়ে পড়ে উপদেশ দিতে গেলে প্রাইভেসী সংক্রান্ত নিয়ম-নীতির পরিপন্থী হয়ে যেতে পারে। কেউ উপদেশ দেয়না বা পায়না এমন নয়,তবে এটি নিয়মের মধ্যের বিষয় নয়। সলা পরামর্শ এদের কাছে অবাঞ্চিত ব্যাপার। আর যারা পরামর্শ দেয়,তারাও চিন্তায় মননে এদের মতই। ফলে সমস্যা আর সমাধান দুজনই ভাইরা ভাই, মানে যাহাই সমস্যা তাহাই সমাধান,অথবা সমাধান নিজেই একটি সমস্যা। অবশ্য এরা এদের অবস্থাকে সমস্যা মানতে রাজি নয়,বরং এটাই এরা উপভোগ করে। ভাল হোক আর মন্দ হোক এর ভেতরেই এরা থাকতে চায়। কারন এরা ডিজায়ার বা নফ্স’কে পূজা করে সর্বদা। নফসের সন্তুষ্টিকেই জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়েছে এরা। ফলে সমস্যা কিছু হলেও এটাকেই নিয়তি হিসেবে মেনে আনন্দ উপভোগে মত্ত হয়। জীবন মানেই এখানে আনন্দকে বর্ধিত করা,তা সে যেভাবেই হোক না কেন।
যাইহোক পেচাতে পেচাতে মূল টপিক থেকে বোধহয় আরেক দিকে চলে গেছি, সহজ লেখাকে বোধহয় পেচিয়ে ফেলেছি। উদ্দেশ্য ছিল কুকুর নিয়ে দু-চার কথা লেখা।
কুকুরের অবদান এখানে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমি একজনকে চিনি,যার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক টিকে আছে ¯্রফে কুকুরের কারনে। তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস,ভালবাসা,আবেগ সবকিছুই হারিয়েছে ,কিন্তু স্ত্রীর দূর্বলতা হল,সে তার স্বামীর কুকুরটাকে অতিরিক্ত ভালবাসে। কুকুরের প্রতি ভালবাসায় সংসার করছে। কিছুদিন আগে মা দীবস পালিত হল। এই দীবসে দম্পতিরা তাদের কুকুরের পক্ষ থেকে মানুষ মা’কে নানান উপহার সামগ্রী প্রদান করেছে। আমার এক পরিচিত লোক তার মেয়ে বন্ধুকে কুকুরের মা হিসেবে নিজের কুকুরের পক্ষ থেকে এক প্যাকেট ক্যান্ডী উপহার দিয়েছিল। ক্যান্ডীগুলো দেখতে ছিল বেশ। ভাবলাম খেতেও হবে বেশ, প্যাকেট খুলে অর্ধেক খেয়ে দেখলাম এগুলো বেশ দারুন। সে বলল-এখন তাকে আমি কি করে এই অর্ধখাওয়া ক্যান্ডির প্যাকেট উপহার দেব ? বললাম আরেক প্যাকেট দিলেই তো হয়। সে তো আমার খাওয়া দেখেনি,আর তোমার সন্তান কুকুরটি তো আর বুঝতে পারছে না !
এদেশে কুকুরগুলো অন্য বহু দেশের মানুষের বাচ্চাদের থেকেও আরামে থাকে। এটির মালিক যদি হয় অবসরপ্রাপ্ত কেউ,তাহলে তো কথাই নেই। এমন আদর যত্ম শুরু করে যে কুকুর নিজেই টাস্কি খায়। কুকুরের জন্যে অনেকে দারুন দারুন পোষাক তৈরী করে নিজ হাতে। কুকুর পালনকারী বেশীরভাগ মানুষের পোষাকে,গাড়ির ছিটে,বাড়ির চেয়ার,সোফায় কুকুরের লোম লেগে থাকে। অরিজিন্যাল গরুর হাড্ডি পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো খুব সুন্দর করে প্যাকেট করা থাকে। জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম কুকুররা নাকি এই রিয়েল হাড্ডি নিয়ে খেলতে বেশী পছন্দ করে। আমি নিশ্চিত ব্যবসায়ীরা এই জিনিস শিখিয়েছে। কারন একটা গরু জবাই করলে এর অনেক হাড়গোড় বাদ দিতে হয়,কিন্তু কুকুরের ওছিলায় এখন তারা সবকিছুই বিক্রী করতে পারছে। বলা যায় অনেক ব্যবসায়ে কুকুরের অবদান ব্যপক। কুকুর-বিড়ালের খাবার তৈরীর কারখানা এখানে অনেক। কোটি কোটি কুকুর বিড়ালের জন্যে বহু মানুষ খেয়ে পরে বেচে আছে,অনেকে বিলিয়ন ডলারের মালিকও হয়েছে। ফলে কুকুরকে খাটো করার কোনো কারন নেই। মর্যাদা তার পাওনা।
কর্মক্ষেত্রে এক সহকর্মীর কাছে তার বাড়ী থেকে মোবাইল বার্তা আসল যে তার কুকুরটি অসুস্থ্য। সে ছুটি নিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটল বাড়ীর উদ্দেশ্যে। পরে শুনলাম সে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর ডাক্তার বলেছে অবস্থা খুব একটা খারাপ নয়। তবে কিছু ওষুধ,পথ্য লিখে দিয়েছে। কিছুদিন বোধহয় তাকে আরও যতœ করতে হবে। আমার ধারনা সহকর্মীটি এই কারনে দু,এক দিনের ছুটিও নিতে পারে।
....পরের পর্বে শেষ
বিষয়: বিবিধ
১৫০১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এরা কি লেসবিয়ান ? না হলে কে স্বামী , কে স্ত্রী ?
বোঝাই যাচ্ছে এরা লিভ টুগেদার করছিল যা সেখানে স্বাভাবিক ।
''এরা পুরুষের থেকে বহু দ্রুত কঠিন সিদ্ধান্তে চলে আসে। কঠিন সিদ্ধান্ত মানে যুদ্ধের ময়দানে বসে যুদ্ধে জেতার সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটা হল সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত। ''
০ সম্পর্ক চুকিয়ে ফেললে লাভ মেয়েরই সম্পর্ক ধরে রাখার চেয়ে । এজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাদের জন্য বরং সহজ । মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পায় তারা স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হয়ে যাবার ফলে ।
স্বামীর পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন - এক তো মানসিক সমস্যা আছেই , তার উপর সবচেয়ে বড় সমস্যা যে, এমন একজনকে সে তার জীবনের প্রায় সমস্ত সম্পদ দিয়ে দিচ্ছে যে কি না তার সাথে আর থাকছে না এবং তার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে ।
সুন্দরী মেয়েদের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সোজা , কারণ তার চাহিদা অসুন্দরী মেয়েদের চেয়ে বেশী ।
কুকুর এমন একটা প্রানী যা ২৪ ঘন্টাই নাপাক থাকে । আর আমেরিকান তথা পশ্চিমারা হেন কিছু নাই যে কুকুরকে নিয়ে করে না । শুধু সেক্স ছাড়া । নাকি সেটাও বাদ নেই ?
ভাইজান আর কত খাবেন? শেষ পর্যন্ত আদরের কুকুটার জন্য কেনা উপহারের ক্যান্ডির উপর ভাগ বসালেন?
মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশে মানুষ না হয়ে আমেরিকার কুত্তা হইলে ভাল হইত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন