ডেভিলস চার্ণ(ভেতরে আমার তোলা ছবি ভরপুর)
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ মে, ২০১৪, ০২:২৮:২২ দুপুর
তারিখ: ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এক রবীবার
আজ সূর্যের তাপ বেশী হবার কথা, তাই পরিকল্পনা হল নিউপোর্ট বে’তে যাওয়া। ওরেগন প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে। এদিকটাতে অনেকগুলো সৈকত আছে কিন্তু সবগুলোতে লোকসমাগম হয় না। তাছাড়া এখন কেবল বসন্ত শুরু হল,পুরোপুরি গরম পড়তে দেরী আছে। গরমেও সৈকতের এ অংশে মানুষ নামেনা, কারন এখানে পানি প্রচন্ড ঠান্ডা। উত্তর মেরুর বরফ গলা পানি এদিকে প্রবাহিত হয়েছে,অথচ পাশের প্রদেশ ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকত এমন নয়। সেখানে গরমে হাজারে হাজারে মানুষ যায় সৈকতে। তবে ওরেগন সৈকতে মানুষ সাতার না কাটলেও এর তীরে হাটাহাটি,বাতাস খাওয়া,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং সূর্য¯œানের জন্যে গমন করে। আমি আবার এসব দলের নই। শরীরের চামড়া বাঁচিয়ে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগে আমি অভ্যস্ত।
চমৎকার রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম। পাহাড়ী রাস্তায় চলতে বেশ ভাল লাগে। তাপমাত্রা বাড়তে লাগল। পাহাড়ের এদিকে বেশ কয়েকটি টিম্বার এবং লাম্বার কারখানা আছে। প্রথমটির কাজ হল গাছের কান্ড কেটে তা পানেট বা সিজনিং করা। অর্থাৎ বিশেষ ভাবে গাছের ভেতরকার জলীয় অংশ বাষ্পায়িত করা। লম্বার হল কান্ডগুলো বাড়ি বা অন্য কোনো কাজের উপযোগী করে কাটা। বিভিন্ন সাইজের হাজার হাজার টন কাঠ দেখলাম এসব কারখানায়। এরা গাছ কাটা,পানেট করা,চেরাই,সাইজিং সকল ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার করে।
হঠাৎ দেখলাম সামনে কুয়াশা। সেটা বেশ অন্ধকার করে ফেলল। ভাবলাম আজ সমুদ্র উপভোগ সুখের হবেনা। মনে পড়ল প্রথমবারের কথা। সেদিন তীব্র ঠান্ডা বাতাশে কাবু হয়েছিলাম। আজও কি তবে কপালে ঝড় বৃষ্টি আছে ! কিন্তু না। খানিক পর দেখলাম সব পরিষ্কার,দারুন রোদের দেখা পাওয়া গেল। বুঝলাম পাহাড়ী এই এলাকার অল্প কিছু অংশ নিয়ে মেঘের এমন তামাশা। আসলে শীতের দেশে সূর্যের দেখা পাওয়া বেশ আনন্দদায়ক ব্যাপার,বড়ই উপভোগ্য।
চলেছি সম্ভবত দক্ষিন-পশ্চিমে। সেদিকে বেশ কিছু সৈকত আছে। একটা সৈকতের ধারে আসলাম। এখানে পারিবারিকভাবে এবং স্কুল,কলেজ থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকসহ আসে। পুরোদিন এখানে আনন্দ ফুর্তি করার ব্যবস্থা আছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিশেষ শিক্ষামূলক বা বিনোদনমূলক কোনো ভিডিও দেখার ব্যবস্থাও রয়েছে। একটি বড় এলাকাকে নানান গাছ-গাছালি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গার্ডেন রয়েছে। বেশ কিছু মানুষ দেখলাম তাদের মোটরহোম নামক গাড়ী নিয়ে বসতি গেড়েছে। এই জাতীয় গাড়ি সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা কেনে। তারা এর সাথে আরেকটি গাড়ি আটকে চলাচল করে। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখী সেই গাড়িটা ভি৮ ইঞ্জির বিশিষ্ট বা সমমানের সুদর্শন পিকআপ। এসব মোটর হোমের মধ্যে সব রকমের ব্যবস্থা আছে। অনেক লোক এগুলোতে করে এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে আরামে ভ্রমন করে। অনেক সময় একটি মনোরম স্থানে পার্ক করে দু,এক দিন কাটিয়ে দেয়।
চলার পথে রাস্তার পাশে বড় বড় যেসব গাছপালা দেখেছি তা সত্যিই দেখার মত। সবগুলো গাছের উপরের অংশ পাতলা চ্যাপ্টা হয়ে আছে। এটা হয়েছে তীব্র বাতাশ প্রবাহের কারনে। বছরের বেশীরভাগ সময়ই জোর হাওয়া বয় এসব গাছের উপর দিয়ে,তাই গাছের শাখাপ্রশাখাগুলো সাগরের বিপরীতে বেকে আছে। রাস্তার দুপাশের এমন দারুন সব গাছ গাছালি দেখতে দেখতে চলতে সত্যিই ভাল লাগে। এখানে বেশ কয়েকটি সৈকত দারুনভাবে তৈরী করা হয়েছে মানুষকে আকৃষ্ট করতে। রাস্তার পাশে চমৎকার বাগান তৈরী করা হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি রাস্তা চলে গেছে সরাসরি সাগরের দিকে। আমি সেদিকে হাটলাম কিন্তু বাতাশে ঠান্ডা লাগল,তাই আবার রওনা হলাম অন্য সৈকতের দিকে। যেতে যেতে বেশ কয়েকটি লুকআউট পড়ল এবং সেখানে গাড়ি পার্ক করে দেখতে লাগলাম। অপূর্ব দৃশ্য। পাহাড়ী আঁকাবাকা রাস্তা এবং কিছুদূর পর পর উপর থেকে গাছগাছালির ভেতর দিয়ে সাগর দর্শন, ভাল লাগার মত।
এসব পাহাড়ে প্রচুর এল্ক রয়েছে। অনেক স্থানে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এল্ক হল বিশাল সাইজের হরিণ। এরা গরুর থেকেও বড় হয়। বহুদিন থেকে এদের মাংস খাওয়ার শখ আমার। ছোটবেলা থেকে হরিণ আমার ভাল লাগে। তবে এর মাংসও আমাকে আকৃষ্ট করে। এরা রাতে বিশেষ করে চাদনী রাতে সমুদ্র সৈকতে আসে দলবেধে। সৈকত এরা ভালবাসে। সকালে আবার এরা নিজেদের স্থানে ফিরে যায়। বিশেষ অনুমতি নিয়ে বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে এল্ক শিকার করা যায়, তবে শুনেছি তীর ধনুক দিয়ে শিকার করতে হয়। যে এলাকায় শিকারীরা শিকার করবে সে এলাকার তথ্য কর্মকর্তাদেরকে জানাতে হয়। অনেকে বনের মধ্যে হারিয়ে যায়,অথবা দাবানলের সৃষ্টি হলেও যাতে তাদেরকে সতর্ক করা যায় সে কারনে এই ব্যবস্থা। বিশেষ কারনে সতর্ক করতে হেলিকপ্টার থেকে নীচে নোটিশ ফেলা হয় বা বিশেষ বোধগম্য জরুরী সংকেত প্রদান করা হয়।
আবারও চলতে শুরু করলাম। এবার উদ্দেশ্য ডেভিল চার্ণ । পাহাড়ী রাস্তা এখানে বেশ উঁচুতে উঠে এসেছে। রাস্তার পাশের একটি লুকআউটে থেমে সাগর আর বনভূমীসমৃদ্ধ পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে থাকলাম।
প্রশান্ত মহাসাগরকে দূর থেকে শান্তই মনে হল। সবুজ প্রকৃতি আর সাগর মিলেমিশে একাকার। আবারও চলতে শুরু করলাম। এখনও একই উচ্চতায় আছি। সামনে একটি ইউ আকৃতির বাঁক এবং একটু ডানে মোড় নিতেই দেখলাম লেখা আছে ডেভিল চার্ণ। ইংরেজী চার্ণ শব্দের অর্থ দলিত মথিত করা। বিষয়টিকে আরও ভয়াবহ করতে এর সাথে ডেভিল শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ের উঁচু স্থান থেকেই স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম এর অর্থটা আসলে কি। পাহাড়ের এখানে একটি বড় প্রাকৃতিক গর্ত রয়েছে যা বেশ গভীরও বটে। এর সাথে একটি চ্যানেলে সাগরের সাথে সংযুক্ত। প্রকান্ড ঢেউ এর তোড়ে পানি উক্ত চানেল ধরে বিশাল ক্ষমতা নিয়ে গর্তের মধ্যে আছড়ে পড়ছে এবং তখন মনে হল কোনো প্রাণী ওখানে পড়লে তার হাড় মাংস কুচি কুচি হয়ে যাবে। পানির প্রবল বেগে আছড়ে পড়ার শব্দ দূর থেকেও শোনা যায়।
এ অংশের পাহাড় কেটে খুব চমৎকার দর্শনীয় স্থান তৈরী করা হয়েছে। একটি খাবার দোকান এবং টয়লেট রয়েছে। আর পুরো স্থানটি মজবুত কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে তৈরী। এটি ধাপে ধাপে নীচের দিকে চলে গেছে এবং একাধিক রাস্তা একাধিক দিয়ে চলে গেছে। প্রত্যেক রাস্তার দুপাশে নানান গাছ ও ফুলের শোভা পাচ্ছে। সে দৃশ্য দেখে মোহিত হলাম। আমি ধীরে ধীরে নীচে নামতে থাকলাম। দেখলাম রাস্তা দুভাগে ভাগ হয়ে একটি ডেভিল চার্নের দিকে এবং অপরটি পাহাড়ের অন্য একটি চমৎকার অংশে নেমে গেছে। আমি একটি ছোট্ট ব্রিজ পার হলাম। এটি দশ/বার ফুটের বেশী হবেনা। এ অংশে পাহাড়ের ঢাল ধরে বিশাল বিশাল পাইন গাছের বাগান রয়েছে। সবুজ শাওলা জমে থাকা সেসব গাছের সৌন্দর্য অসাধারণ।
আমি ডানের রাস্তা ধরে নীচে নামলাম। অনেকগুলো সিড়ির ধাপ পার হয়ে একেবারে ডেভিল চার্নের পাশে আসলাম। স্বচক্ষে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলাম। এখানে কাওকে ফেলে দিলে মারা যেতে বেশী সময় লাগবে না। সত্যিই ভয়ঙ্কর লাগল। সাগরের থেকে এটার দূরত্ব ২০০ মিটারের মত হবে। কিছুক্ষণ পর পর বিশাল জলরাশী প্রায় ২০ মিটার চওড়া খাল ধরে উচু হয়ে ধেয়ে আসছে এবং এর শেষ অংশ একটু গোলাকৃতির আর গভীর। ফলে সেখানে পানি এসে ব্যপক শব্দে আছড়ে পড়ছে। এখানে একটা ব্লো-হোলও দেখলাম,যেটার ভেতর দিয়ে পানি উপরে উত্থিত হচ্ছে স্ববেগে। আমি অন্তত দশ মিনিট সেখানে দাড়িয়ে থেকে পুরো বিষয়টি দেখতে থাকলাম। হঠাৎ আল্লাহর শাস্তির ভয়াবহতার কথা মনে পড়ল। এই সামান্য একটি গর্তে পড়ে শাস্তির কথা ভাবতে পারছি না,আর আখিরাতের অনন্ত অথবা বিশাল সময় ধরে চলা শাস্তির ব্যাপার কিভাবে আমরা সহ্য করব ! আমার গায়ের লোমগুলো ভয়ে খাড়া হয়ে গেল। আমি পেছন ফিরেই দৌড় দিলাম। সত্যিই আমি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় পাই।
এবার পাহাড়ের অন্য অংশে গেলাম। এখান থেকে গাছের ভেতর দিয়ে সমুদ্র দেখলাম। এখানে বনভূমী খুবই চমৎকার এবং আকৃষ্ট করার মত। সামনে আরও কিছু দেখতে হবে বলে চলে আসলাম। মনের মধ্যে গেতে যাওয়ার মত স্থান। চলতে থাকলাম, তবে এবার রাস্তা একেবারে স্বর্পীল। খানিক পর আমার কেমন জানি অস্বস্তি লাগতে থাকল। গতকাল সন্ধ্যার পর আর কিছু খাইনি। সকালে খাওয়ার কথা মনে ছিলনা। সাধারনত খেতে ভুল আমার হয়না। তবে হঠাৎ হিসেব করে দেখলাম কিছুই খাওয়া হয়নি। গাড়ীতে খাবার কিছুই নেই,আশপাশে কোনো খাবার স্থান বা বাজার নেই। যাচ্ছি দূরের একটি সৈকতে। রাস্তায় ঘন ঘন বাক নেওয়ার কারনে আমার অস্বস্তীর মাত্রা বাড়তে থাকল। কাছাকাছি একটি দারুন সৈকত দেখতে পেলাম। সেখানে গেলাম। এখানে পাহাড়ের উপর থেকে রাস্তা একেবারে নীচে নেমে গেছে। একটি পাহাড়ী নদী এখানে সাগরে এসে পড়েছে। চিকন নদীর উপর সুন্দর একটি ব্রীজ রয়েছে।
সমুদ্রের ধার ঘেষে একটি প্রাঙ্গন তৈরী করা হয়েছে। সেখান থেকে বহু সংখ্যক নুড়ী পাথরের স্তুপ সাগর সৈকতে গিয়ে মিশেছে। পাশের নদীর জলধারা প্রবাহিত হয়ে সাগরে গিয়ে পড়ছে। একপাশে দাড়িয়ে সেটা দেখছিলাম,এত ভাল লাগছিল তা বলার মত না। আশপাশের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। প্রকৃতির সান্নিধ্যে খানিক থাকার পর প্রকৃতি আমাকে ইশারায় ডাক দিয়ে বসল। উপায় না দেখে টয়লেটে ঢুকলাম। এদের পাবলিক টয়লেটগুলো খুব ভাল। কিন্তু ভেতরে কমডের উপর বসতে গিয়ে দেখলাম নীচে সুড়ঙ্গ, সে এক বিরাট গর্ত....। এ দৃশ্য দেখে ভয় পেলাম, আমার অবস্থা দেখে প্রকৃতি তার ডাক প্রত্যাহার করে নিল। আমি ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত না হয়ে চলে আসলাম। আরও খানিকক্ষন থেকে চলতে শুরু করলাম। আবার স্বর্পীল রাস্তায় চলতে চলতে আমার অস্বস্তী করতে লাগল। মনে পড়ল ২০১১ সালে ভারতের উঁটী থেকে মহিশুর ফেরার পথে পাহাড়ী রাস্তায় এমন অস্বস্তী লাগতে লাগতে হঠাৎ বমি করে চারিদিক ভাসিয়ে নিজের ইজ্জত আবরু ধ্বংস করেছিলাম। আজও কি সেটা হতে চলেছে !
এ সুযোগ আবার দেওয়া ঠিক হবেনা। খানিক বিশ্রাম নিলাম। একটু হাটলাম। এবার একটি ছোট্ট শহরে এসে উচ্চ ক্যালরীযুক্ত সেভেনআপ খেলাম। এটাতে পটাশিয়াম,চিনি সবই বেশী ছিল। বমী না হওয়ার একটা ট্যাবলেটও খেলাম। এতে কাজ হল। খানিক পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসল। এবার এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বেশ কিছু জিনিস ঝেড়ে দিলাম পেট বরাবর। ব্যস উদ্দীপনা ফিরে পেলাম। এবার গন্তব্য নিউপোর্ট বে। গরম বেড়েই চলেছে, এখন তাপমাত্রা ৬৫ ফারেহাইট।
এটা শহুরে সৈকত। আজ বেশ লোক সমাগম হয়েছে। আমি সাগরের তীর ধরে বহু দূর পর্যন্ত হাটলাম। হাটতে হাটতে মানুষের সীমা থেকে বের হয়ে এসেছি। এখানে এক মরা গাছের কান্ডের উপর বসে সাগরের কান্ড দেখতে থাকলাম। বেশী সময় বসলাম না,কারন সাগরের নোনা জল এবং সূর্য্যরশ্মী মিলে গায়ের চামড়া কালো করে দেয়। এ বয়সে একটু হুশিয়ার না হলে বিয়ে-শাদীতে শনির অবৈধ হস্তক্ষেপ সহ্য করতে হতে পারে। ভাল লাগল সৈকত। একটু গরম না পড়লে সাগর সৈকতে আসার মানে হয়না। আজ অনেক পরিবার এসেছে। অনেকে সৈকতের বালু নিয়ে ভাষ্কর্য নির্মান করছে। কেউ কেউ গায়ে ভেজা বালু মাখছে। বাচ্চারা হৈ-হুল্লোড় করছে। কয়েকজনকে দেখলাম,তারা বালিতে গর্ত করে শুয়ে আছে এবং তাদের মাথা ছাড়া সমস্ত শরীর বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকে দেখলাম কেউ কেউ সূর্য্য¯œান করছে। আমি চলে আসলাম। উপরের পাড় থেকে সমুদ্রের দিকে তাকালাম। তীরের কাছাকাছি বেশ কিছু বিশাল বিশাল আগ্নেয় শীলা রয়েছে। সেখানে সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। দূর থেকেও সাগরের গর্জন স্পষ্ট শোনা যায়।
আরেক পাড়ে গেলাম। এখানে বেশ কিছু দোকান-পাট আছে। রাস্তায় কিছুক্ষন হাটাহাটি করলাম। এখানে সাগর থেকে একটি অংশ সরু হয়ে বের হয়ে এসেছে স্থলভাগের ভেতরে। এ অংশে একটি উঁচু ব্রিজ আছে যার নীচ দিয়ে একটি ঝুলন্ত আন্ডারপাস রয়েছে ,ডেটা ধরে রাস্তার অপর পাশে যাওয়া যায়। আমি সেখানে বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে নীচের পানির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। খুব মজবুত করে তৈরী করা হয়েছে সেতুটি। ব্রিজের অপর পাশে একটি ছোট জাহাজ পোতাশ্রয়। মূলত মাছ ধরার জাহাজ এবং কিছু স্পিড বোট এখানে থাকে। ভাল লাগল। এখানে এক দোকানে ম্যাপল সিরাপ মিশ্রিত এক ধরনের ভুট্টার খৈ পাওয়া যায়। এটা আমার খুব প্রিয় জিনিস। বড় বড় দুই ব্যাগ কিনলাম। এটা টুকটাক করে সারাদিন খাওয়া যায়। ফিরতি পথ ধরলাম। আবারও অতি চমৎকার রাস্তা ধরে দ্রুত বেগে গৃহ অভিমুখে যাত্রা করলাম। দিনটা দারুন ছিল।
বিষয়: বিবিধ
২৪০০ বার পঠিত, ৮৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত সুন্দর ছবি !!
ঈস ! আমি যদি সেখানে যেতে পারতুম!!!
চমৎকার ভ্রমণ . . . খাবারের কি অবস্থা হলো
এলক হরিনের গোস্ত খাইতে কেমন সেটা খাওয়ার পর জানাবেন। রকি মাউন্টেন ট্রফি হান্টার গেম টাতে অনেক এলক শিকার করেছি। কিন্তু!!!!
জাজাকাল্লা খাইরান.. অনেক ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
দাওয়া সংগঠনের সাথে কাজে লেগে যান।
দ্বিতীয় ছবিতে একটা পিচ্চি ফোলা বাই সাইকেল নিয়ে একা একা দিন দুপুরে রাস্তায় এলোমেলোভাবে দৌড়া দৌড়ি করতাছে কিল্লাই? হেতে যদি কুনো আমেরিকান ইউফুর কপ্পরে পড়ে তাই তো সব শেষ!!!
জাজাকাল্লা খাইরান.. অনেক ভালো লাগলো পড়ে .
ধন্যবাদ।
গতকাল সন্ধ্যার পর আর কিছু খাইনি। সকালে খাওয়ার কথা মনে ছিলনা - অসাধারন ব্যাপার! কিভাবে হোল গবেষনা করতে হবে
এই সামান্য একটি গর্তে পড়ে শাস্তির কথা ভাবতে পারছি না,আর আখিরাতের অনন্ত অথবা বিশাল সময় ধরে চলা শাস্তির ব্যাপার কিভাবে আমরা সহ্য করব ! -
নেন আকটা মুরগি দিলাম আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করে খান। দেশি মুরগি বিদেশে তো আর পাবেন না...
ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার সময় হলে একবার গ্র্যান্ড-ক্যনিয়নটা দেখে আসবেন। আপনার কাছ থেকে একটু দুরে হলে ও কোনভাবেই যেন মিস না হয়।
লিখায় সরলতা, গাম্ভির্জ ও হিউমারের কারিশমা। ছবিও তেমন।
মে আল্লাহ্ ব্লেস ইউ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন