ঘোড়ার জন্যে নয়,মানুষের জন্যে ঘাস কাটলাম
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:২৪:৫৩ রাত
৫ই এপ্রিল,২০১৪
সেদিন বাসার অনতিদূরে সাইকেল চালাতে চালাতে দেখলাম এক বৃদ্ধা তার ড়াড়ি থেকে মালামাল নামানোর চেষ্টায় মোটামুটি ব্যর্থ। সাইকেলটা ফুটপাথের উপর রেখে এগিয়ে গেলাম। সাইকেল চালালে অনেক কিছু চোখে পড়ে। এখানে অনেকে ফুটপাথ ধরে সাইকেলও চালিয়ে থাকে,আমিও কখনও কখনও চালাই,এমনকি রাস্তার বামপাশ ধরেও চালায়। তাতে সমস্যা হয়না,কারন রাস্তায় মানুষ চোখে পড়েনা তেমন,আর সাইকেলের লেন আলাদা,চালাতে মজা আছে। সাইকেল চালিয়েই চারিপাশটা ভালভাবে দেখা যায়,যদিও সপ্তাহের বেশীরভাগ দিনই বৃষ্টিপাত হয়। যাইহোক,আমি সাইকেল রেখে এগিয়ে তাকে সাহায্য করলাম।
তার গাড়ির সাইজ দেখে মনে হবে রুস্তম পালোয়ান,দামীও বটে,কিন্তু যিনি তা চালান তার অবস্থা কাহিল। জীবনের উপর দিয়ে সময় প্রায় সবটুকুই চলে গেছে,যা আছে তা নিয়ে উনি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমেরিকান বুড়ি বলে কথা ! এরা জীবনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিংড়ে উপভোগ করার চেষ্টা করে। হাটতে পারেনা,এমন অনেক বুড়ো বুড়িকে দেখেছি গাড়ি চালাচ্ছে,স্টোরে ঢুকে ইলেকট্রিক শপিংকার্টে করে ব্যপক কেনাকাটা করছে,সেখানকার সেবাকর্মীদের সাহায্যে মালামাল গাড়িতে উঠিয়ে নিচ্ছে এবং নিজের ইলেকট্রিক হুইলচেয়ারটিও গাড়ির পেছনে থাকা যন্ত্রের সাহায্যে গাড়ির পেছনের অংশে উঠিয়ে নিচ্ছে। আমাদের দেশে যেসব মানুষের এমন অবস্থা, তারা জীবনের সব আশা ছেড়ে দিয়ে এক স্থানে বসে থাকে। এভাবে তারা আশাহত হয়েই আরও বেশী অচল হয়ে পড়ে। এরা আশাহত হয়না বা হতে পারেনা তাদের বাস্তবতার জন্যে। এরা ভাবে এদের সাহায্যের কেউ নেই,ফলে না নড়ে উপায় নেই। বর্তমানের উপর বিশ্বাস এবং বাস্তবতা এদেরকে দুনিয়ায় চরকীর মত ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।
বৃদ্ধাকে সাহায্য করলাম। শুনলাম তার পুত্রের এসময় আসার কথা ছিল কিন্তু কোনো কারনে আসেনি,তাই এই চেষ্টা। গাড়ির পেছনে দেখলাম কিছু প্রাকৃতিক সারের বস্তাও আছে। জিজ্ঞেস করলাম বাগান আছে কিনা। তিনি বললেন,হ্যা বাগান করা তার শখ। বললাম এটাও আমার শখ। কেন যে একথা বললাম,আল্লাহই জানেন। কারন একেবারে ছোটবেলায় এর,ওর,তার বাগান থেকে কিছু ফুলগাছ চুরী করে ফুলের বাগান তৈরী করেছিলাম,তা নিয়ে নিয়মিত ক্যাচাল। এরপর আর কোনো কালে বাগান তৈরী করেছি,মনে পড়ার কারন নেই। তবে মনে মনে ভেবেছি,যদি আমার একটা বিশাল বাগান থাকত ! সব্জী,তরকারী নিয়েও অনেক বড় বড় পরিকল্পনা করেছি,কিন্তু সে তো বাস্তবে করিনি। বুড়ি আমার কথা শুনে আহলাদিত হলেন। বললেন-ও তাই ! বললাম ,জি হ্যা। এবার বাগান নিয়ে খানিক গল্প হল। তিনি বললেন,আমার বাগান এবং বাড়ির সামনের ঘাস বেশ বড় হয়ে গেছে,পূর্বে আমিই এটা কাটতাম কিন্তু এখন একজন মানুষ খুজছি যে এগুলো কেটে দেবে। বললাম,আপনি চাইলে আমিই কেটে দিতে পারি। শনি,রবিবার আমি ফ্রি থাকি,কোথাও ঘোরার না থাকলে সাইকেল চালায়। এটা কোনো ব্যাপার না।
তিনি বললেন, ওহ চমৎকার ! আমি তো এমনই একজন খুঁজছিলাম। তা তোমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে ? বললাম, না। জীবনেও এটা করিনি। লনমোয়ার কিভাবে চালায় তাও জানিনা,কিন্তু পারব। এটা কঠিন নয়।
তিনি বললেন, ওহ নিশ্চয়ই। আমি তোমাকে শিখিয়ে দেব,আমার একটা দারুন লনমোয়ার আছে,তুমি নিশ্চয়ই তা পছন্দ করবে। কিন্তু তুমি প্রতি ঘন্টায় কত চাও ?
আমি আসমান থেকে নীচে পড়ে ফালা ফালা হয়ে গেলাম। বুড়ি কয় কি ! এটুকু ঘাস কেটে দেব,পয়সা নেব ক্যান ? আসলে পয়সার বিষয়টা আমার মাথায়ই আসেনি। সম্ভবও ছিলনা কারন পয়সার বিনিময়ে ঘাস কাটব,এটা মাথার মধ্যে আনা সম্ভব ছিলনা। এখানে নিশ্চয়ই আমি ঘাস কাটতে আসিনি। বললাম,আপনি প্রতিবেশী,আগে কেটে দেই,পরে দেখা যাবে। বিদায় নিলাম।
আজ শনিবার, আকাশ বরাবরের মতই মেঘলা। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। এটাই ওরেগনের নিত্যদিনের চিত্র,তবে মাঝে মাঝে দারুন আবহাওয়া বিরাজ করে। সেটা সপ্তাহে দুদিনের বেশী না। ফজরের নামাজ পড়ে কিছু খেয়ে সকাল ১০ পর্যন্ত ঘুমিয়ে উঠে বড় নাস্তা করলাম। হঠাৎ ফোন আসল। আমার কাছে সচরাচর ফোন আসেনা। ফোন আমার কাছে বিরক্তিকর জিনিস। আমি নিজে খুব একটা মানুষকে ফোন করিনা এবং ফোন তেমন পাইও না। রিসিভ করেই বুঝলাম তিনি সেই বৃদ্ধা। আমাকে বললেন,আজ তো তোমার কাজ নেই,ঘাসগুলোর ব্যাপারে কি ভেবেছো ?
ওহ হো ! ...আমার হঠাৎ করেই মনে পড়ল,হারে আমি তো তাকে কথা দিয়েছিলাম ঘাস কেটে দেব। আকাশের ভাব ভাল না। বৃষ্টি নামবে,এ তো নিত্য দিনের ঘটনা। বললাম,ঘন্টা খানিকের মধ্যে আসছি। তিনি ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রাখলেন।
রেডি হয়ে চলে গেলাম। দেখী তিনি তার বিড়াল সাইজের কুকুরটাকে নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আছেন। শুভেচ্ছা বিনিময় হল। তারপর কোথায় ঘাস কাটতে হবে তা দেখলাম। তারপর মনে পড়ল,পাশের বাড়ির একজন ঘাস কাটার সময় দেখেছি চোখে চশমা পরে,হাতে গ্লাভস পরে,আবার পায়েও হাটু পর্যন্ত উচু জুতো পরে। আমি এখানে সাহেব বাবু সেজে আসলাম,তার মানে কি ?
তাকে বললাম আমি ঘন্টা তিনেক পরে আবার আসছি,আমার কিছু জিনিস নিয়ে আসতে হবে। তিনি বললেন,এখানে সবকিছুই আছে। বললাম আমার ব্যক্তিগত কিছু জিনিস আনা প্রয়োজন।
প্রবল ঠান্ডা বাতাসে অবস্থা কাহিল কিন্তু কথা রাখতে আজ এ যুদ্ধ। হাতে উলের মোজা থাকা সত্ত্বেও হাত যেন জমে যাচ্ছে,নাক দিয়ে একটু একটু পানিও ঝরছে ঠান্ডা বাতাসের কারনে। আমি চললাম স্টোরে সেখান থেকে গ্লাভস কিনলাম,চশমা কিনলাম। ওয়ালমার্টে গেলাম জুতো কিনতে, টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে বলে একটা রেইনকোর্টও কিনলাম। সবমিলে খরচ একেবারে কম হয়নি, একটার সাথে আরেকটা জড়িত বলে কোনটাকে বাকী রাখতে পারলাম না।
বাসায় এসে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিলাম। এবার রওনা হলাম। বুড়ির বয়স আশির কাছাকাছি কিন্তু বয়ফ্রেন্ড আছে। তিনি আরও বয়ষ্ক,থাকেন কাছাকাছিই। আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ভদ্রলোক অমায়িক ধরনের। তিনি আমাকে সাথে নিয়ে লনমোয়ার কিভাবে চালাতে হয় তা দেখিয়ে দিলেন। আমি বুঝলাম। বললেন,কোনো অসুবিধা হলে আমাকে জানাবে,আমি কাছেই আছি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম।
জীবনে প্রথমবারের মত লনমোয়ার ধরে সবুজ ঘাসের উপর চালাতে লাগলাম। বক্সে জমা হওয়া কাটা ঘাস একটা বড় ডাস্টবিনে ফেলতে লাগলাম। অত্যন্ত নিঁখুতভাবে কাজ করতে লাগলাম। খানিক পর বুড়ি এসে জিজ্ঞেস করল কিছু খাব কিনা,বললাম খেয়েই এসেছি। আমি হাভাতে তা সকলের জানানের দরকার নেই। তিনি বললেন,চা,কফি,জুস,কোক সবই আছে। যে কোনো একটা নাও। এমনভাবে বললেন যে না বলাটা অন্যায় হয়। বললাম জুস হলে চলে। তিনি এক কার্টুন পিওর জুসের ক্যান নিয়ে হাজির হলেন। বললাম এক ক্যানই তো বেশী হয় ! একটাই খেলাম। এবার জানতে চাইলাম,আপনার গাছগুলোর পাশে ব্যাগে ভরা মাটি ওভাবে জড় করে রেখেছেন কেন ? তিনি বললেন, ওটা গাছের গোড়ায় দেব এবং মাটির উপর পুরু করে ছড়িয়ে দেব মাটির উর্বরতার জন্যে। বললাম,তাহলে ওটাও আমি করে দিচ্ছি। তিনি বললেন,তোমার সময় হবে ? বললাম,আজ তো আমি ফ্রি এবং আজ ঘোরারও পরিকল্পনা নেই।
তিনি খুব আহলাদিত হলেন। এবার আমার পাশে দাড়িয়ে দুনিয়ার গল্প আরম্ভ করলেন। তিনি বললেন,সত্যিই তুমি আগে একাজ কখনও করনি ? বললাম না। তিনি বললেন,তুমি অসাধারণ সুন্দর করেছো,একেবারে প্রফেশনালদের মত। হাসলাম। যাক, আমি তাহলে পারি !
তিনি আমার ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করলেন। বললাম। আমিও তার ব্যাপারে জানতে চাইলাম। শুনলাম ২০১৩ সালে তার স্বামী মারা গেছে ব্লাডার ক্যান্সারে। তিনি কেমো থেরাপী নিতে চাননি,কারন সেটা অত্যন্ত কষ্টের। নিশ্চিন্তে মরতে চেয়েছিলেন এবং বৃদ্ধার দাবী অনুযায়ী তিনি শান্তিতে মরেছেন। দু:খ প্রকাশ করলাম। তারসাথে এক সময় সমাজিকতা নিয়ে কথা শুরু হল। মুসলিম পরিবার,ইসলামের পারিবারিক বিধান ইত্যাদী নিয়ে কথা বললাম। তিনি অনেক উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন। মুসলিম পরিবারে মায়ের মর্যাদা কেমন তা জানতে চাইলেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিলাম কাজ বন্ধ করে। পিতা-মাতা উভয়টিই আমাদের কাছে কতটা সম্মানিত তা বললাম। সম্পদের উত্তরাদীকারের বিষয়ে জানতে চাইলেন,তাও বললাম। তিনি বেশ খুশী হলেন। আমি আবার কাজ শুরু করলাম।
খুব যতেœর সাথে তার কাজ করলাম। নি:সন্দেহে এটা সহজ কাজ,কিন্তু দারুনভাবে করেছি এবং উপভোগ করেছি। তার কুকুরের নাম নেলসন। নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি ভালবাসা থেকে তার কুকুরের নাম রেখেছেন নেলসন। তার কথা শুনে গ্রামের একজনের কথা মনে পড়ল। তিনি উচ্চস্বরে একজনকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমার কথা যদি মিথ্যা হয়,তবে আমার নামে কুত্তা পুষবি। এর অর্থ কারো নামে কুকুর পোষা অপমানজনক। কিন্তু আমেরিকানদের কাছে বিষয়টি ভিন্ন। এদের কুকুর তাদের সন্তানদের থেকে কম আপন নয়। ভদ্র মহিলা মজা করে বললেন, কুকুরটার নাম আমি বদলে ফেলতে চাই । বললাম কেন ? তিনি বললেন, সে প্রতিনিয়ত ঘরের ফ্লোরে হিসু করে,তাই ওর নাম হওয়া উচিৎ ‘ফ্লোরে মুতা কুকুর’। হাসলাম। এদেশের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কথা বলার মওকা সহজে হাতছাড়া করেনা। সচরাচর মানুষ এদের সাথে কথা বলেনা। তবে বৃদ্ধা বেশ রসিক।
বৃদ্ধার সাথে কথা বলার সময় তিনি তার বড় মেয়ের প্রসঙ্গ তুললেন। শুনলাম তিনি একজন মার্শাল আর্টিস্ট,তার উচ্চতা ৬ ফুটের উপরে। তার ছেলের উচ্চতা ৬ফুট ৪ ইঞ্চি। ভাবলাম দৈত্য-দানবের পরিবারে এসেছি। তিনি তার মেয়েকে ফোন করলেন এবং আমার ব্যাপারে কথা বললেন। আগামী কাল তিনি তার পরিবারসহ তার মাকে দেখতে আসবেন,তাই আমাকেও তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। বললাম,যদি বাইরে কোথাও ঘুরতে না যাই তবে আসব। তিনি তার মেয়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলিয়ে দিলেন এবং তিনি আমাকে অনুরোধ করলেন আগামীকাল দুপুর সাড়ে তিনটার সময় যেন আমি অবশ্যই দেখা করি। বললাম ঠিক আছে আমি সকালে ফোন করে জানাব।
আমার কাজ শেষ হয়েছে। সব জিনিসপত্র জায়গামত রেখে দিলাম। এবার ফিরে আসব,কিন্তু তিনি বললেন,তোমার টাকাটা তো নিলে না। বললাম,কার টাকা ? কিসের টাকা ? তিনি বললেন,তুমি কাজ করলে,টাকা নিবে না ? বললাম আমাদের দেশে এসব আমরা এমনি এমনি করি। তিনি বললেন,এটা তো তোমাদের বাংলাদেশ না। এখানে টাকা নেওয়া অসম্মানের নয়। তিনি আমার হাতে ৫০ ডলার গুজে দিয়ে বললেন,এটাতে চলবে কিনা বল। বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। তিনি মুখটা কেমন একটা করে বললেন,এই পরিমান টাকা দিয়ে আমি তোমাকে অপমান করলাম নাতো ? বললাম, আমি খুশী হয়েছি। ৫০ ডলার যথেষ্ট।
আসতে আসতে চিন্তা করছিলাম,শখের কাজ করতে গিয়ে প্রায় শত ডলারের কাছাকাছি খরচ করেছি,খানিকক্ষন কাজ করে পেলাম ৫০ ডলার, মন্দ কি ? কিন্তু তিনি টাকাটা সম্মানের সাথে প্রদান করেছেন এবং এটা এদেশের রীতি। ভাবতে ভালই লাগছে, ঘোড়ার জন্যে নয়,মানুষের জন্যে ঘাস কেটেছি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৩ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হয়ে যাবেন। আপনি ওখানেও ফার্ম করার যায়গা পাবেন।
হ্যা অনেক ছবি জমা আছে । ছবি দিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি ।।।
অসাধারণ লেখা ...... আরো আরো মজার ঘটনা শেয়ার করুন !
খারাপ কি। এই রকম কাজ রেগুলার পাইলে আমি সেইদেশে যাইতে রাজি। ব্যবস্থা করা যায়??
আপনার লেখা গুলো খুব সুন্দর। তব...
এর পরেরটুকুন হিডেন কেনে??? তয় মানুষের জন্য ঘাস কেটেছেন, ভালো লাগলো। শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বুড়িটিকে তার পোটলা নিজের কাদে নিয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতে বুড়িটি খুশি হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম কল্যানের, ইসলাম ন্যায়ের,ইসলাম সহযোগিতার, ইসলাম সহমর্মিতার, ইসলাম শান্তির।।। আল্লাহ যেনো আমাদের সবাইকে ভালো কাজ করার তৌফিক দেন। (আমীন)
মন্তব্য করতে লগইন করুন