এত ভাল কিভাবে হয় !!!
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১০:৪১ সকাল
ইদানিং রান্না করছি সুপার। অসাধারণ অবস্থা। নিজেই অবাক। আজ গরুর মাংস আলু দিয়ে ঝোল করলাম। গতকাল তেতুল এবং টমেটো দিয়ে যে সুপার ডাল রান্না করেছিলাম তার কোনো তুলো(তুলনা) নেই। গতকাল মুরগীর মাংসের ঝোল করেছিলাম,সেটা যা হয়েছিল না ! ভাত দিয়ে খেলাম।
অনেকদিন পর হাত দিয়ে ভাত খেলাম। চামুচ দিয়ে খেলে আমার পেট ভরেনা,তৃপ্তীও পাইনা। হাত দিয়ে খেতেই মজা। অার রাতে টমেটো,শশার সালাদ বানাই। পেয়াজ কুচি,মরিচ এবং একটু শরিষার তেল থাকে। এর সাথে একটু তেতুলও শৈল্পিকভাবে মাঝে মাঝে ব্যবহার করি। তবে শুধু তেতুল খেলে একটু রসুনও থাকে সাথে।
সব্জীও রান্না করেছি। সীম এনেছি অনেক দূর থেকে ,দাম বেশী হলেও তেমন সুবিধার না। আর কাচ কলা রান্না করেছি। রান্নায় রান্নায় সয়লাব করে ফেলছি। তবে রান্নাটা সত্যিই সুপার হচ্ছে।
আমার যে কি হয়েছে, শুধু খাবারের কথা মনে হয়,আর কিভাবে কোন জিনিস রান্না করব সেই প্লানটাও কাজ করে। আরও অনেক প্লান যদিও আছে কিন্তু রান্নার ব্যাপারটা হঠাৎ ঘোড়া রোগের মত জেকে বসেছে।
রিজিক সম্পর্কে সহি বুখারীতে একটা হাদীস পড়েছিলাম। -মানুষ বলে আমার সম্পদ,আমার সম্পদ কিন্তু সম্পদ হল তাই,যা মানুষ খায় এবং পরে,বাকীটুকু পড়ে থাকবে এবং মানুষ এসে তা নিয়ে যাবে।
আল্লাহ আমাকে দারুন স্বাস্থ্য দিয়েছেন ,চমৎকার সক পোষাক প্রদান করেছেন আর অতি দারুন সব খাবার খাওয়াচ্ছেন। আমি আসলেই ভাগ্যবান।
সে যাই হোক,রান্না কিন্তু সুপার হচ্ছে। আহ যা দারুন লাগছে....!!!
আচ্ছা পোলাও কিভাবে রান্না করতে হয় ???
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৯ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খাদক ভাই
অসম্ভব ক্রিয়েটিভ....
আমাদের দেশের যা অবস্থা এখানে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাওয়া যায় না । আবার কেউ কেউ তার প্রতিভা কাজে লাগায় না বা লুকিয়ে রাখতে চায় ।
দেশের বাইরে গেলে এসব হিডেন ট্যালেন্ট আস্তা আস্তে বের হয়ে আসে।
পোলাও রান্না একটু কঠিন। ইন্টারনেটে রেসিপি পাবেন। কয়েকবার ট্রাইকরলে হয়ে যাবে। আমেরিকাতে একটা বাংলাদেশি খাবারের দোকান দিয়ে দেখুন।
আমিও কিন্তু খাইপন্থি!
তবে আপনার রান্নার হাত ভালই বলতে হবে। ছবি থেকে ঘ্রাণ পাচ্ছি। দাওয়াত দিবেন না!
টমেটো,শশা, গাজর ,পেয়াজ কুচি,ধনে পাতা , পুদিনা পাতা ,কাঁচা মরিচের সাথে লেবুর রস আর পরিমান মত ভিনিগার দিন তারপর এরপর দেখুন সালাদ করে কয় ।
আপনি যেভাবে খাওয়ার পোষ্ট দেন ভয় লাগে । আমার কোন পেট খারাপ হয় কিনা ।
রাইস কুকারে ৬ পট চাউলে নয় দাগ পানি, ঘি, আদা, লবন, লং, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, থাকলে সামান্য জয়ত্রী দিয়ে বসিয়ে দিন। ডিশে বাড়ার পরে পেঁয়াজের বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। এখানকার পেঁয়া্জ বেরেস্তার জন্য ভাল নয়, পেলে রেডিমেড বেরেস্তা ব্যাবহার করতে পারেন।
আলহামদুলিল্লাহ
উপকরণ:
পোলাওর চাল ৪ কাপ, লবণ ১ টেবিল চামচ, ঘি ১/২ কাপ, পানি ফুটানো ৭কাপ, দারচিনি ২ সেমি ৪ টুকরা, কেরড়া ২ টেবিল চামচ, এলাচ ৪টি, পেঁয়াজ, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, আদা, বাটা ২ চা চামচ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী:
১। চাল ধুয়ে পানি ঝরান।
২। হাঁড়িতে ঘি দিয়ে গরম মসলা দিন। চুলায় চাপিয়ে নেড়ে অল্প পানিতে আদা গুলে দিন। নেড়ে গরম পানি ও লবণ দিয়ে ঢাকুন।
৩। পানি ফুটে উঠার সাথে সাথে চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। কয়েকবার ফুটে উঠলে কেওড়া দিয়ে ঢেকেদিন। সাত-আট মিনিট পরে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন যেন পোড়া গন্ধ বের না হয়। পোড়া গন্ধ মনে হলে চুলার উপর হাঁড়ির নিচে তাওয়া বা ভারি কিছু বসিয়ে দিবেন। ঢাকনা দেয়ার পর থেকে ২০-২২ মিনিট পর পোলাও চুলা থেকে নামিযে রাখবেন। ঢাকনা দেওয়ার পর কোনোক্রমেই ঢাকনা খুলবেনা।
৪। ডিসে বেড়ে বেরেস্তা, কিসমিস, স্লাইস করা ডিম, ছোট ছোট কোফতা, টিনের মটরশুঁটি বা মিহি ঝুরি করা ভাজা আলু দিয়ে সাজাতে পার। পোলাও সাজাবার জন্য পেঁয়াজ বেরেস্তা খুব হালকা বাদামি রং করে ভাজবে, পেঁয়াজ সামান্য বাদামি হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়বেন। তারপর ঘি থেকে ছেঁকে তুলে ছড়িয়ে রাখবেন।
১. ১ পট পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২.চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ তেল দিন। সাথে খানিকটা ঘিও দিতে পারেন।
৩. ১টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুঁচি, আধা চা চামচ আদা বাটা, আধা চা চামচ রসুন বাটা, ১টা তেজপাতা, ২টা এলাচ, ২টা দারুচিনি, ২/৩টা লং তেলের মধ্যে দিয়ে অল্প ভেজে নিন।
৪. তারপর এতে পোলাওয়ের চাল ঢেলে খানিকটা ভেজে নিন (না ভাজলেও চলে)।
৫. এরপর যে পটের মাপে ১ পট চাল দিয়েছেন, ঐ পট অনুযায়ী ২ পট পানি দিয়ে দিন।
৬. পরিমাণমত লবন দিন, কয়েকটা কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। লবন দিয়ে পানিটা একটু মুখে দিয়ে দেখুন। পানি খানিকটা কটা হলে সিদ্ধ হওয়ার পর পোলাওয়ে লবন ঠিকমত হয়।
৭. দমকা জ্বালে কয়েক মিনিট ফুটতে দিন।
পানি কমে মাখা মাখা হয়ে এলে জ্বাল কমিয়ে তাওয়ার উপর মৃদু আঁঁচে কিছুক্ষণ রাখুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৮. ডিশে ঢেলে পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
১ পট সাধারণত দুইজন খেতে পারে, তবে আপনি যেই ভোজনরসিক, আপনার একাই মনে হয় দুইজনের সমান খাবার লাগে! তাই এই পরিমাণই বললাম!
তুমি আমার ব্লগে যাও। ভাবনার চড়ুইভাতিতে খেয়ে আসো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন