ফ্লাই আমেরিকা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৬:১৭ রাত



২০১৪ সালের ১৮ই জানুয়ারী, বসবাস করার উদ্দেশ্যে সুদূর উত্তর আমেরিকার ওরেগন রাজ্যের উদ্দেশ্যে উড়লাম। গত ২০দিন ধরে বেশ খোঁজাখুজি করে এমিরেটতস এয়ার লাইন্স এর একটি সস্তা গোছের টিকেট জোগাড় করেছি। বছরের এই সময়টাতে মানুষ ভ্রমনে বের হয় তাই ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এয়ার লাইনগুলোর লেজে পা দেওয়া যায়না। তাই এসময়ের সস্তা মানে আসেলে সস্তা নয়।

ঢাকা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের উপর মানুষের চাপা অথবা স্ফুলিঙ্গসম ক্ষোভ থাকা অতি সাধারণ ব্যাপার,তা কর্মকর্তাগণকে দেখেই আচ করা যায়। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সব থেকে বেশী আয় আসে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে। আমাদের সরকার অসহযোগীতা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে এ খাতকে দমাতে। ইচ্ছা করলেই যে অনেক কিছু করা যায় না,তার প্রমান প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। কারন এখানে মানুষ স্বয়ং রাষ্ট্র কর্তৃক সর্বস্ব লুটপাটের শিকার,তাই জীবনের তোয়াক্কা না করে বিদেশ পাড়ি দিতে কাওকে উড়ো জাহাজের চাকা ধরে,কাওকে সাগর সাতরে বিদেশ যেতে দেখা যায়। এমন অপ্রতিরোধ্য যে জনতা,তাকে ঠেকানো এত সোজা কাজ নয়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাটি অযাচিত প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে থাকল,মনে হল আমাকে ভদ্রতার সাথে নানাভাবে বিব্রত করার মধ্যেই তার যাবতীয় ইহজাগতিক সুখ-শান্তি-কল্যান নিহিত। তিনি আমার নাম-ধাম,বংশ পরিচয়,ভ্রমনের উদ্দেশ্য,সেখানে আমার অবস্থান,আমার পেশা,নেশা,পরিবার সম্পর্কে ডজন খানেক প্রশ্ন করলেন। মনে হল আমার এ ভ্রমনে তার যমের অরুচী। আমার পূর্ব অভিজ্ঞতাও এমনই। এরা অন্যেদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম। আমার ধারনা হয়েছে এরা আমার সাথে তুলনামূলক ভাল আচরণ করে। প্রতিবারই আমি দেখী আমার সামনের লোকদেরকে নানাভাবে প্রশ্ন করা হয়। অথচ ভারত-বাংলাদেশ বাদ দিলে তাবৎ দুনিয়ার বেশীরভাগ কর্মকর্তাগণই সুআচরণ করে তাকে এবং অযথা সময় নষ্ট করেনা। একবার একজনকে জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম বিদেশে গিয়ে যাতে বিপদে না পড়ে তার কারনে এরা পূর্বেই এমন সব প্রশ্ন করে সঠিক বিষয়টি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই প্রশ্নের উত্তরে অট্টহাসি হাসা ছাড়া উপায় নেই। কারন এটা জানতে জেরা করার কোনো প্রয়োজন নেই,কাগজপত্র সমূহ দেখাই যথেষ্ঠ। আর যদি কর্মকর্তাসমূহ কাগজপত্র দলিল দস্তাবেজ দেখে সঠিকতা নির্ণয় করতে না পারে,তাহলে এখনও যথেষ্ট সরকারী খাস জমি পড়ে আছে,সেখানে আবাদ করে অনেকে বেশ সাবলম্বী হয়েছে,তাদেরকে সেখানে পূণর্বাসিত করার কথা সরকার নিজ মুখ রক্ষার্তেই ভাবতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। অনেক শিক্ষিত লোকই এখন চাষাবাদ করছে। মানুষকে বহুভাবে সেবা করা যায়।

পৃথিবীতে সবথেকে ভাল এবং ভয়ঙ্কর প্রাণী হল মানুষ। এরা শুধু অন্য মানুষের ক্ষেত্রে খারাপ বা ভাল হতে পারে তাই নয়,বরং নাগালের মধ্যে পড়া সকল সৃষ্টির ব্যাপারেই এদের ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগে কিনা জানিনা,তবে এবছর প্রকৃতি মানুষের একহাত দেখে নিচ্ছে,বোধহয় পা’সহ। গত বিশ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশী ঠন্ডা পড়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু অংগরাজ্যে মারাত্মক তুষারপাত হয়েছে এবং তাপমাত্রা অনেক স্থানে হিমাঙ্কের নীচে ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত চলে গেছে। জানলাম এটা মঙ্গল গ্রহের চাইতেও নি¤œ তাপমাত্রা এবং উত্তর মেরূর কোনো কোনো এলাকার চাইতে নী¤œ। বেশ কিছু মানুষ ঠান্ডায় জমে মারা গেছে। এরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিধায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এই পরিমান তাপমাত্রায় আমাদের মত হতভাগা দেশগুলোতে এক রাতে অন্তত ৫০ভাগ লোক মারা যেতে পারত। পত্রিকায় পড়েছি ফুটন্ত এক কাপ গরম পানি শুণ্যে ছুড়ে দিলে তা পড়ার পূর্বেই বরফ হয়ে যায় এই তাপমাত্রায়। ওরেগনে অবশ্য এমন তাপমাত্রা পড়েনি কিন্তু আমার ট্রানজিট আছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে হাজার হাজার প্লেনের সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়েছে বা বাতিল করা হয়েছে।

আল্লাহর অশেষ রহমত যে আমি কেন জানি এক সপ্তাহ পরের একটি দিন হঠাৎ করেই নির্ধারণ করলাম। নইলে আমার নিয়ত ছিল ১০তারিখে যাওয়া। আর সেসময় মারাত্মক শৈত্য প্রবাহ চলছিল এবং দুই ফুট পুরু তুষারপাত। একইসাথে ঘন কুয়াশা,যা কয়েক মিটার দূরের বস্তুও দৃষ্টি গোচর করেনা। আমি ৫ঘন্টারও অধিক উড়ে দুবাই শহরে আসলাম। এখানে আমাকে দীর্ঘ আট ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। বরাবরের মতই আমি অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহন করছি। হাতে ৭ কেজী বহন করার অনুমতি থাকলেও আমি ১৩ কেজী বহন করছি এবং সাথে আছে বঙ্গ বাজার থেকে কেনা দুটি কম্বলসম ওভারকোট,আর মূল ব্যাগের সাথে আটকানো আছে আরও একটি ছোট ব্যাগ। স্যুট পরে এইসব আমাকে মুখে হাসির রেখা টেনেই বহন রতে হচ্ছে,কারন মুখ বেজার করে লাভ নেই,বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ,তাই ...।

আমার ব্যাগটি একটি বিশাল সাইজের মাউন্টেন ব্যাগ এবং এর নিজস্ব ওজনই ৫ কেজীর উপরে। এর আকৃতি দেখে আপত্তি করা স্বাভাবিক কিন্তু জিনিসটি বেশ উপকারী। প্লেনের ভেতর ভত্র মহিলা আমার ব্যাগটির ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানাল। একজন ক্রু সেটা হাতে ওজন করে দেখল কিন্তু বলল ঠিক আছে। তবে উক্ত ভদ্র মহিলা মানতে চাইল না। তিনি বললেন,এটা এভাবে বহন করা যাবেনা। আমি বললাম আমি তো এটা নিয়ে পূর্বেও ভ্রমন করেছি,কই সমস্যা তো হযনি ! এমনকি ১৭কেজি বহন করেছি। তিনি বললেন,কোন এয়ারলাইন্সে ভ্রমন করেছেন ? বললাম,সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্স। তিনি বললেন সেটা তো তাদের ব্যাপার,সেটা তো আর এটা নয়। আমি বললাম তাহলে কি আপনারা তাদের থেকে অপেক্ষাকৃত কম মানের সার্ভিস দিচ্ছেন ? তিনি আর কথা বাড়ালেন না, বললেন, আচ্ছা পরবর্তিতে আপনি এটা খেয়াল করবেন। নাহ, জিনিসটা আসলেই বড়। আমাকে কিছু জিনিস কমিয়ে তারপর নির্ধারিত বক্সের মধ্যে ব্যাগটা ধরাতে হল।

দুবাই বিশাল এয়ারপোর্ট। একটা নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত আমাকে এই ভারী জিনিস নিয়ে হাটতে হয়েছে,সেটা ছিল কষ্টকর,তবে যখন মনে হয়েছে সবটুকু ওজনই নিয়ে ভ্রমন করতে পেরেছি,কিছুই রেখে আসতে হয়নি,তখন ভাল লেগেছে। গত একমাস ধরে ব্যাগ গোছানো সফল হয়েছে। শক্তি কিছু ক্ষয় হলে সমস্যা নেই। দুবাই এয়ারপোর্ট হল ধনীদের আখড়া। এখানে আসলেই মানুষের সেই কথাই মনে হবে। এত দামী জিনিস দিয়ে সজ্জিত এটা যা না দেখলে বিশ্বাস হবেনা। বাহ্যিক চাকচিক্য তো ছিলই। কিন্তু এখানে যেসব দোকানপাট আছে তাতে পৃথিবীর সবথেকে দামী পণ্য সামগ্রী বিক্রী হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পোষাকের দামও অনেক বেশী। কিন্তু আকৃষ্ট করল বেশ কিছু দোকান,যারা শতভাগ খাটি স্বর্ণ বিক্রী করে থাকে। দেখলাম বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের বার বিক্রী হচ্ছে। কিছু বার দেখলাম ১ কেজী ওজনের। স্বর্ণের ওজন লোহার চাইতেও বেশী ফলে এক কেজী স্বর্ণের বার আকারে বেশ খানিকটা ছোট। কিন্তু আমি জীবনেও এমন স্বর্ণের দোকান দেখিনি। বেশ খানিকক্ষন তাকিয়ে থাকলাম কিন্তু সত্যিই আমার লোভ লাগল না। আমার মনে হল এইসব সম্পদের জন্যে মানুষ কত মারামারিই না করে। হাজার হাজার ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড এই সম্পদের জন্যেই ঘটে চলেছে। অথচ এর মূল কাজ হল সৌন্দর্য বর্ধন করা। ভাবলাম,আচ্ছা আমি যদি মনে করি স্বর্ণ আমার সৌন্দর্য বর্ধন করবে না,তাহলে স্বর্ণের কোনো দাম আছে ? আসলে এর মূল্য আমরাই নির্ধারণ করেছি। কাজের বিচারে স্টিলের যে উপযোগীতা ,তা স্বর্ন পূরণ করতে পারবে না। কাজেই এর চাইতে স্টিল সেরা। এটা একটা যুক্তি,কিন্তু হাজার হাজার বছর ধরে এই ধাতুটি একটি লোভনীয় বস্তু হিসেবে পৃথিবীর সকল প্রান্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এটি লোহার মত সহজলভ্য হলে অবশ্য এর তেমন কদর থাকত না। এমনই একটি ঘটনা ঘটবে কিয়ামতের পূর্বে। সূরা জিলজালে এটি বর্ণিত হয়েছে...পৃথিবী মহা কম্পনে প্রকম্পিত হবে এবং এর অভ্যন্তরস্থ সম্পদসমূহ বের করে দিবে। মানুষেরা অবাক হবে এবং অজ¯্র সম্পদের উদগীরনে তারা বুঝতে পারবে কতটা খারাপ কাজ তারা করেছে এই তুচ্ছ সম্পদের কারনে।.... যাইহোক, আমি এত সাধু না। প্রচুর টাকা পকেটে থাকলে এখান থেকে স্বর্ণের বার কিনতাম না,এ কথা আমি আবার কখন বললাম ?

দুবাই এয়াপোর্ট ভাল লেগেছে শুধু এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,আভিজাত্যের কারনে নয়। এখানে কিছুদূর পরপর রয়েছে নামাজের ঘর। সেখানে নারী ও পুরুষের জন্যে আলাদা আলাদা নামাজের ঘর নির্ধারিত রয়েছে। ফজরের আযান শুনে আমি নিকটস্থ নামাজের ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম অনেক লোক নামাজ আদায় করছে। আমিও কসর আদায় করলাম। বেশ পরিপাটি,সুদৃশ্য নামাজের স্থান,ভাল লাগবেই।

এবার একটি স্থান খুজতে থাকলাম যেখানে কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম নেওয়া যায়। এখানে ৪৯ ডলারের বিনিময়ে মারহাবা .... নামক একটি বিশেষ টিকিট কাটা যায় বা এরকম কিছু একটা সুবিধার কথা শুনেছিলাম। এর বিনিময়ে স্বল্পকালীন বিশ্রাম,খাওয়া ও ঘোরাঘুরি করা যায়। বেশীরভাগ মানুষ দেখলাম এয়ারপোর্টের ভেতর বেঞ্চে বসে সময় পার করছে,আমি সংখ্যা গরিষ্ঠের পক্ষ নিলাম। এখানে সাধারণ যাত্রীদের কথা চিন্তা করে একটি বিশাল করিডোর বরাবর লম্বা এক ধরনের বিশেষ চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে,যেখানে মানুষ দুপা তুলে বেশ আরামে শুয়ে থাকতে পারে। আমি বেশ কিছুদূর হেটে দেখলাম সবগুলোতেই মানুষ ঘুমাচ্ছে। তারপর একটি পেলাম খালি। আমার ট্রলিটা পায়ের কাছে রেখে আরামে শুয়ে পড়লাম এবং ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসল। প্লেন ভ্রমনে আমার তেমন ঘুম হয়না। এখানে শুয়েই মনে হল,বিনা কারনে ৪৯ ডলার খরচ করে মারহাবা সুবিধা নেওয়ার কি দরকার ? আর প্লেনে যে পরিমান খেয়েছি এবং ব্যাগে যে পরিমান অছে তাতে আগামী দুদিন পার করা যায়। কিন্তু শান্তি কপালে তো থাকতে হবে ! এক বাঙ্গালী এসে আমাকে অমার্জিত ভাষায় ঘুম থেকে জাগাল। বলল-“হ্যালো ! এই যে হ্যালো !! দিস ইজ মাই সিট, আমি একটু টয়লেটে গিয়েছিলাম।” বাক্যের শেষের টুকু বাংলায় বলার পরই বোধহয় তার হুশ হল এবং আবারও ইংরেজীতে কিছু একটা বলতে চাইলে আমি তার দিকে না তাকিয়েই ঠিক আছে বলে উঠে চলে গেলাম। সিটটি ফিরে পেয়ে তার কি জাতের গর্ব হচ্ছিল,তা তার দিকে না তাকিয়েই বুঝতে পারছিলাম। প্রচন্ড খারাপ লাগা অনুভূতী কাজ করল। এটা কি বাঙ্গালী ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব হত ? প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। অত্যন্ত নীচু জাতের অশিক্ষিত না হলে এমন আচরণ প্রদর্শন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বেশীরভাগ লোক মুসলিম,অথচ আচার আচরনে ইসলামের ছাপ পাওয়া অনেক সময়ই দুষ্কর। আমি বেশ কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করে,সেই লোকটির সামনা সামনি বিপরীত পাশের সারিতে একটি সিট পেলাম কিন্তু তার দিকে চোখ পড়বে ভেবে অস্বস্তি লাগল। ট্রলিটা ঠেলে আমার চোখের সামনে রাখলাম যাতে তাকে দেখতে না হয়। আহ ! কি যে শান্তি লাগল। মোবাইল ফোনে এলার্ম সেট করে খানিক ঘুমালাম।

এবার উঠলাম পৃথিবীর সবথেকে বড় প্লেনে। এটি দ্বিতল বিশিষ্ট এবং একাধারে সম্ভবত ১৬ঘন্টার বেশী উড়তে পারে। যাত্রী সংখ্যা সম্ভবত: সাড়ে আট’শ, গন্তব্য নিউ ইয়র্ক। এটি সাড়ে চৌদ্দ ঘন্টার ভ্রমন। লক্ষ্য করলাম প্লেন যথাসম্ভব স্থল ভাগের ওপর দিয়ে উড়তে ভালবাসে। কারন তাতে বিপদের সম্ভাবনা কম এবং সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এটি সরাসরি আটলান্টিক পাড়ি না দিয়ে এক পাশে বেকে আটলান্টিক পাড়ি দিল। এতে তার অন্তত তিন হাজার কি:মি: অতিরিক্ত ওড়া লাগলেও সুবিধা আছে। প্লেনে কসর নামাজ আদায় করলাম। বহুক্ষন উড়লেও আমি মাগরিব পড়তে পারলাম না। কারন স্ক্রিনে দেখলাম আমরা দিনের অংশের ওপর দিয়ে উড়ে চলেছি। রাত আমাদের পেছনে এবং দিন আমাদের সামনে,ফলে দীর্ঘক্ষন উড়লেও রাতের নাগাল পেলাম না। যেহেতু যেসব স্থল বা জলভাগের উপর দিয়ে উড়ছি সেখানে দিন,তাই সে অংশে মাগরিব পড়া যাবেনা বলেই মনে হল। তবে ওজু করে রেখেছিলাম যাতে নামাজ আদায় করা যায়। কিন্তু নিউ ইয়র্কে যখন নামলাম,তখন বিকেল। এখানে দেখলাম আলো ঝলমলে অবস্থা। আকাশ সম্পুর্ণ পরিষ্কার,তাপমাত্রা মাত্র শুণ্য ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তুলনায় এটি অত্যন্ত চমৎকার আবহাওয়া। এটার জন্যে চিন্তায় ছিলাম। কারন ৪০ ঘন্টা ভ্রমনে যদি কোনো সময়সূচী বদলে যায় তাহলে সত্যিই তা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডী এয়ারপোর্টে দেখলাম প্রতি ঘন্টায় হাজারের উপরে যাত্রী আসে। আমি যে লাইনে দাড়িয়ে ইমিগ্রেশন দর্শন করতে থাকলাম,তা লম্বায় এক কি:মি: এর বেশী হবে,কারন তা একটি বড় স্থানে সাপের মত পেচিয়ে পেচিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষন পর আমি খুব চমৎকারভাবে এবং কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ইমিগ্রেশন পার হলাম। আমাকে কোনো প্রশ্ন তারা করল না।

এক স্থানে ট্রলি দেখলাম সারি সারি। একটা ঝেড়ে টান দিলাম,আসল না। আবারও হেচকা টান দিলাম কাজ হলনা। আশপাশে কেউ নেই দেখেই মারলাম লাথি,ভাবলাম আমি ভুল করছি। আবারও টানাটানি করলঅম,কাজ হলনা। আরেক স্থানের ট্রলি নিয়েও টানাটানি করলাম,ফলাফল একই। দেখলাম লক করা।

একজন সাউথ এশিয়ান ক্লিনারকে বললাম কিভাবে ট্রলি পাব ? তিনি বললেন ৫ ডলার দিয়ে ট্রলি নিতে হয় কিন্তু আমাকে ১০ ডলার দাও আমি তোমাকে নির্ধারিত কাউন্টারে পৌছে দেব। বললাম, না থাক আমি ভাল আছি। ৫ ডলারে ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত কাউন্টারে গেলাম এবং ব্যাগসমূহ প্রদান করলাম। এবার স্কাই ট্রেনে উঠলাম এবং টার্মিনাল ৫ এ বিশাল লম্বা লাইনে দাড়িয়ে নির্ধারিত গেটের সামনে অপেক্ষা করতে লাগলাম। এখানে প্রায় আট ঘন্টা অপেক্ষার পর জেট ব্লু নামক আমেরিকার স্থানীয় এয়ারলাইন্সের একটি ছোট প্লেনে উঠলাম। আমার খুব ঘুম পাচ্ছিল তাই ঘন্টা খানিকের জন্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙার পর দেখলাম পাশের যাত্রী ডিনার করছে। ভাবলাম আমারটাও সরবরাহ করবে কিন্তু করেনি। এদের সার্ভিস ভাল না। ভাল সার্ভিস হলে এরা আমার সিটের ওপর একটি স্টিকার লাগিয়ে যেত এবং আমার ঘুম ভাংলে খাবার সরবরাহ করত। পাশের যাত্রী হাভাতে টাইপের। দেখলাম নিজের সাথে আনা বিশাল এক বক্স নুডুলস খেল। তার বেশ কিছুক্ষন পর দেখলাম আরেক বক্স খাবার খেয়ে ফেলল। আমার লোভ হল। আমি পেছনে থাকা কেবিন ক্রুদের স্থানে গেলাম,দেখলাম তারা খাচ্চে। আমি গিয়ে এক প্যাকেট চিপস আর এক বোতল পানি আনলাম। তারা তাদের মত খেতে থাকল। বুঝলাম এরা এরকমই। এক মহিলাকে দেখলাম তার কালো রঙের মাঝারি সাইজের কুকুরটাকে তার পাশে বসিয়ে ভ্রমন করছে। এটা আমার মাথায় ঢুকল না। যদি মেনেও নেই,কুকুর ছাড়া ইহ জীবনে তার কেউ নেই ,তারপরও এত মাখামাখি অস্বস্তিকর। আর এভাবে ভ্রমন করা যায় তা প্রথমবার দেখলাম। আমি জানতাম কুকুরদের জন্যে আলাদা খাচা থাকে,তাদেরকে সেখানেই রাখা হয় এবং সেটা থাকে মালপত্র রাখার স্থানে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টার ভ্রমনে তার পাশের সিটের যাত্রী হলে আমি টিকতে পারতাম না। আমি ওরেগনে নামলাম এবং একইভাবে আমাকে ট্রলি ভাড়া করতে হল। এ বিষয়টি জীবনে প্রথমবার দেখছি। এত বিশাল দেশ অথচ কতটা অনুদার চরিত্রের ! শুনেছি এদেশে মানুষের উপর ভয়াবহ ট্যাক্স আরোপ করা হয়, সেটা ট্রলির উপরও পড়েছে,জানতাম না।

বিষয়: বিবিধ

২৯৯০ বার পঠিত, ৯৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

168220
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার অভিজ্ঞতা জানান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য দুয়া রইলো প্রবাস জীবন যেন সুন্দর হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৫
122116
দ্য স্লেভ লিখেছেন : zazakallah khairan..ameen my brother
168231
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২২
গন্ধসুধা লিখেছেন : অনেক বড় তবে খুব মজা করেই পড়লাম।ইমিগ্রেশন অফিসার যেভাবে আতিঁপাতিঁ করে আপনার বায়োডাটা মুখস্হ করছিল ভাবছিলাম শেষমেষনা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবটাই দিয়ে বসে Happy
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৬
122118
দ্য স্লেভ লিখেছেন : police er meye k biye bora...ore baap re... !!!
168239
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২৬
হলুদ রঙ মেঘ লিখেছেন : ভাল লিখেছেন অনেক ধন্যবাদ।
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৬
122119
দ্য স্লেভ লিখেছেন : thanks
168253
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪৫
সাদাচোখে লিখেছেন : চমৎকার লাগলো সাবলীল লিখা। আমেরিকায় যা ট্যাক্স - লিটারেলী তা কোন কোন দেশের ট্যাক্স পেয়ারের কাছে অতি সামান্যই মনে হবে।
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৭
122120
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ji, sunesi canada te aro beshi...dhonnobad
168264
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১১
নূর আল আমিন লিখেছেন : আল্লাহ বাচাইছে গরীব হইছি কোন ঝামলা নাই
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৮
122121
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ore bhai ami dhoni lok na. r problem dhoni gorib sobar kase e jai... Happy ashun amra porosporer jonne dua kori,allah jeno amader k sokol somoy valo rakhen
168265
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১১
মারজান বিন ছনা লিখেছেন : খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যার জন্য এক সাথে পড়ে ফেললাম।

সফর বরাবরই কষ্টের,সুখের অনুভতি মিশ্রিত থাকে।
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৯
122123
দ্য স্লেভ লিখেছেন : zazakallah my sister in islam. dua koren
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৯
122124
দ্য স্লেভ লিখেছেন : or brother Happy
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০০
122989
মারজান বিন ছনা লিখেছেন : Tongue Happy
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০১
122991
মারজান বিন ছনা লিখেছেন : সবাই মারজান নাম মেয়েদের মনে করে !!
168282
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৮
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : দারুণ লিখেছেন। এ রকম গল্প আমার ও আছে কিন্তু আপনাদের মত যে সুন্দর করে লিখতে পারিনা!
গত ২ বছরে আমি আমেরিকার লোকাল ফ্লাইটগুলাতে ২০ বারের বেশী ভ্রমন করেছি। আপনি হলে প্রত্যেকটার জন্যই হয়তো এমন একেকটি লেখা উপহার দিতেন।
আমি বর্তমানে গত দুই বছর যাবৎ আ্যারিজোনায় আছি চাকুরির সুবাদে, কিন্তু আমার প্রাণ নিউইয়র্কে, তাই এত ওড়াওড়ি!
এবার কাছাকাছি পেনসেলভেনিয়াতে চাকুরী পেয়েছি, আগামি রবিবার আবার উড়াল দিচ্ছি।

ও ইয়েস! ওয়েলকাম টু আ্যামিরকা!

২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০০
122634
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ ভাই। দোয়া করেন Happy
168305
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৪১
আফরোজা হাসান লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো। যাক নিত্যনতুন কাহিনী পড়তে পারবো আমরা, ইনশাআল্লাহ। Happy Good Luck Rose
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩১
122192
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : Tongue Tongue Tongue Tongue
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৩
122636
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এক জোড়া বোনকে এক সাথে ফুলের তোড়া Good Luck Good Luck ধন্যবাদ Happy
168324
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৮
পলাশ৭৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৪
122637
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধন্যবাদ
১০
168339
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:০৭
ভিশু লিখেছেন : প্রতিটি বাক্য পড়লাম অন্নেক মজা করে! আপনার বর্ণনাভঙ্গি সত্যিই খুব আকর্ষণীয়! বিশেষত্ব রয়েছে, মাশাআল্লাহ! স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন! দুবাইতে জিনিসের দাম বেশি, কিন্তু এটি মনে ডিউটি-ফ্রি শপে! বাইরে তো খারাপ না! আর জিনিসের মান খুবই ভালো! ইশ্‌ জেট ব্লু'র ডিনারটা মিস করাতে কষ্ট পেলাম খুব! তো, কেমন লাগছে ওরেগনে? লিখবেন আশাকরি! ভালো থাকুন...Praying Happy Good Luck Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৫
122638
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভিশু ভাই। হা লিখব নিয়মিত Happy
১১
168344
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:১৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : খুব শীত পড়েছে তাই না,তার উপর আপনি নতুন বলে শীতটা লাগবেও বেশি মাত্রায়।শুভ কামনা রইলো।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৬
122640
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওরেগনে কম ঠান্ডা,তবে -৩ থেকে ৪ পর্যন্ত থাকছে... অন্যখানে -৪৭ পর্যন্ত চলে যাচ্ছে
১২
168347
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:২০
পলাশ৭৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৭
122641
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধন্যবাদ
১৩
168352
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩২
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আমিও আফরোজার মত বলতে চাই যে,নিত্যনতুন কাহিনী পড়তে পারবো আমরা, ইনশাআল্লাহ। Big Grin ভালো লাগলো অনেক। Happy Good Luck
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৮
122643
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি, ওই বাক্সের মধ্যে না থেকে বের হয়ে আসেন..দিলাম ঘসা..হুহাহাহা করতে করতে বের হয়ে আসেন HappyRolling on the Floor Rolling on the Floor
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৭
122913
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৪
168373
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৩১
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : কয়েকদিন আগে ইতালিয়ান এক মহিলা দেখলাম বাচ্চার ট্রলিতে কুকুর বসিয়ে রেখেছে । বাবুটার সাথে আর মেয়ে বাবুটা ভয় পাচ্চিল খুব । ওর চোখ মুখ দেখে বুঝছিলাম । খুব খারাপ লেগেছিল দেখে ।
যাক খুব ভালো লেগেছে পড়ে ।অনেক ধন্যবাদ Rose Good Luck Happy
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৯
122644
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দাড়ান কুত্তার কাহিনী লিখছি...
১৫
168374
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : যাক আপনার দেখা সপ্নগুলো শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিল। নিত্য নতুন কাহিনীর সাথে ওবামা সাহেবের সাথে ডিনার এ কি কি খেলেন জানাবেন Happy কানাডায় ট্যাক্স আরো বেশি। দুবাই এর চাকচিক্য দেখার পর আমেরিকা ভালো লাগার কথা নয়। শুভকামনা রইলো Good Luck Rose Good Luck
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১০
122645
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঠান্ডা আমার ভাল লাগেনা,নইলে কানাডার ব্যাপারে আগ্রহ ছিল। আর দেখী বারাক মিয়া আমাকে দাওয়াত করে কিনা।
১৬
168377
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:০৫
সাইদ লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন!!! অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১০
122646
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই,বহুদিন দেখা নেই, আছেন কেমন ?
১৭
168404
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
মনসুর লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১০
122647
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমীন
১৮
168423
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৩
ইমরান ভাই লিখেছেন : আর একজন মেধাবীকে হারালো দেশ। হায়রে বাংলাদেশ!
আজ আমার কোম্পানিতে একজন নতুন মুখ জয়েন্ট করেছে সে ব্রাজিলিায়ান। ব্রাজিল থেকে আসে বাংলায় আর আমরা বাংলাথেকে পালাই।

আপনি দেশে নাই ভেবে খুব খারাপ লাগছে ভাই। সত্যি একজন ইসলাম প্রিয় মুসলিম ও মেধাবিকে হারালো বাংলাদেশ তার নিজের অজান্তে। জানিনা আরো কতো হারাবে এভাবে।

আপনাকে আল্লাহ ইহজীবন ও পরজীবনে ভালো রাখুন।
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
122268
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনি ভাববেন না, আমি আপনার উপর রাগ ঝারছি। আসলে আপনার কথাগুলো পড়ে যখন ভাবলাম আপনি দেশেনাই তখন এক মুসলিম ভাইকে দেশ থেকে হারানোর বেদনায় আমার চোখের কোনে পানি এসে গিয়েছিল তাই এভাবে লিখলাম।
আসলে আমি যদি আপনাকে মনের কস্টটা দেখাতে পারতাম।!!
তার পরেও আপনার জন্য দুআ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আপনার ইমান,আমল,মুসলিম,দ্বীনে অবিচল থাকা,সকল বিষয়ে যথেস্ট হন। আমিন।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১২
122648
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সত্যিই দেশের বর্তমান অবস্থায় সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছি। দেশ হিন্দুস্থানের কাছে বন্দী। সামনে আরও সমস্যা হবে...
১৯
168425
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
আয়নাশাহ লিখেছেন : ওরাগনে গেলেন আমাদেরকে দেখে যেতে পারতেন। যা হোক, ওয়েলকাম টু ওয়ান ওয়ে কান্ট্রি। ট্রলির জন্য পাঁচ ডলার দিয়েছেন সেটা সহ্য হয়েছে। যদি কোনোদিন শরীরখানা ট্রলিতে উঠে(দোয়া করি আল্লাহ যেনো সেটা না করেন)সেদিন বুঝবেন এই দেশটা কতো উদার। আমার এক বন্ধুকে ক্যথেটার লাগিয়ে দেশে যেতে হয়েছে। এটার নাম আমেরিকা। তার পরও সবাই মরার আগ পর্যন্ত আমেরিকার স্বপ্ন দেখে।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৩
122649
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন...আমি বুঝতে শুরু করেছি
২০
168426
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩১
হতভাগা লিখেছেন : ''২০১৪ সালের ১৮ই জানুয়ারী, বসবাস করার উদ্দেশ্যে সুদূর উত্তর আমেরিকার ওরেগন রাজ্যের উদ্দেশ্যে উড়লাম।''

০ ওখানে কি আপনার কোন আপনজন থাকে ?

০ আপনি কি ওখানে চাকরি করবেন ?

''এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সব থেকে বেশী আয় আসে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে। ''

০ এই প্রবাসীদের মধ্যে আবার ভাগ আছে ।

১. যারা শুধু চাকরীর উদ্দেশ্যে প্রবাসী হয়

২. যারা বসবাসের জন্য প্রবাসী হয়

রেমিটেন্সের বিশাল অংশই আসে এই চাকরীর উদ্দেশ্য প্রবাসীদের কাছ থেকে । এবং এরা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী প্রায় সবাই । চাকরি শেষ হয়ে গেলে তারা আবার ফিরে আসবে । কোন কোন সময় এর আগেই তাদের বের করে দেওয়া হয় ।

আর যারা বসবাসে উদ্দেশ্য প্রবাসী হয় তারা এই সব মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যায় না , যায় আমেরিকা , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া - এসব দেশে । এসব দেশে যারা বসবাস করতে যায় তাদের আসল উদ্দেশ্য হয় ঐ দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করা । এই প্রবাসীরা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের মত নিজের দেশে টাকা পাঠায় না কারণ এসব দেশ তো লিভিং কস্ট খুবই বেশী । নিজেরাই চলতে হিমশিম খায় , সাবেক-দেশে টাকা পাঠালে চলবে কি করে ?

''ভাবলাম,আচ্ছা আমি যদি মনে করি স্বর্ণ আমার সৌন্দর্য বর্ধন করবে না,তাহলে স্বর্ণের কোনো দাম আছে ? আসলে এর মূল্য আমরাই নির্ধারণ করেছি। কাজের বিচারে স্টিলের যে উপযোগীতা ,তা স্বর্ন পূরণ করতে পারবে না। কাজেই এর চাইতে স্টিল সেরা। ''

০ আমার কাছেও স্বর্ণকে খুব বেশী দাম দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় । সৌন্দর্য্য বর্ধন ছাড়া এটা আর কি উপকার করতে পারে লোহা বা তামার চেয়ে ? সূরা কাহফ এ জুলকারনাইনের ঘটনায় আমরা লোহা ও তামার কথা জানতে পারি ।

''এত বিশাল দেশ অথচ কতটা অনুদার চরিত্রের ! শুনেছি এদেশে মানুষের উপর ভয়াবহ ট্যাক্স আরোপ করা হয়, সেটা ট্রলির উপরও পড়েছে,জানতাম না। ''

০ এজন্যই তো তারা এতটা উপরে উঠতে পেরেছে ।

বসবাসের জন্য যদি ওখানে যান তাহলে কি বেকার ভাতার উপর চলার চিন্তা ভাবনা আছে যেখানে চাকরির ব্যাপারে কিছু বললেন না?

''কারন এখানে মানুষ স্বয়ং রাষ্ট্র কর্তৃক সর্বস্ব লুটপাটের শিকার,তাই জীবনের তোয়াক্কা না করে বিদেশ পাড়ি দিতে কাওকে উড়ো জাহাজের চাকা ধরে,কাওকে সাগর সাতরে বিদেশ যেতে দেখা যায়। এমন অপ্রতিরোধ্য যে জনতা,তাকে ঠেকানো এত সোজা কাজ নয়।''

০ সবাই যদি এত অপ্রতিরোধ্যভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে শুরু করে তাহলে দেশের কি হবে ? দেশে কি কর্ম সংস্থান হচ্ছিল না ?

''......তাহলে এখনও যথেষ্ট সরকারী খাস জমি পড়ে আছে,সেখানে আবাদ করে অনেকে বেশ সাবলম্বী হয়েছে,তাদেরকে সেখানে পূণর্বাসিত করার কথা সরকার নিজ মুখ রক্ষার্তেই ভাবতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। অনেক শিক্ষিত লোকই এখন চাষাবাদ করছে। মানুষকে বহুভাবে সেবা করা যায়।''
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৭
122651
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হুমম মন দিয়ে পড়েছেন দেখছি....জাজাকাল্লাহ...হ্যা এখানে আমি চাকুরী করব। আর আত্মীয় স্বজন এখানে আছে
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
122738
হতভাগা লিখেছেন : 'হ্যা এখানে আমি চাকুরী করব। আর আত্মীয় স্বজন এখানে আছে ''

০ সব রসূনের কোয়া শুরু হয় এক জায়গা হয়ে , মিলিতও হয় আরেক জায়গায় গিয়ে ।
২১
168435
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০২
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ঊনিতো দেখি আম্রিকায় আসার পর একদম লাপাত্তা!

ওরেগণ কেন গেলেন। ওদিকটার আবহাওয়া সারা বছরই বাজে। ঠান্ডা-মেঘলা আর বৃষ্টি।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৭
122652
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আবহাওয়া খারাপ না। তবে ক্যালিপোর্নিয়া,ফ্লোরিডা ভাল লাগে
২২
168437
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে কার সাথে তুলনা করি? ইবনে বতুতা নাকি সৈয়দ মুজতবা আলী?
অসাধারণ ভ্রমণ কাহিনী, সাবলীল রম্য! Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up পরবর্তী ঘটনাবলী জানান দিতে যেন কসুর না হয়। Rose Rose Rose Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৮
122653
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জানান দিব ইনশাআল্লাহ
২৩
168446
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩০
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া লেখাটি পর্ব আকারে দিলে ভাল হতো।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৮
122654
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাইয়া,লেখাটি আরও বড় হবে...
২৪
168456
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
বাকপ্রবাস লিখেছেন : আমার পছন্দের ব্লগারদের মধ্যে আপনি অন্যতম কিন্তু যাদের লিখা কম পড়া হয় তাও আপনি, কারনটা হল আপনি লিখলে আমি নিশ্চিত এটা লিখা, কিছুনা কিছু পাবই, বাট আমার সময় এর চাইতে ভয় যেটাতে লিখাতে ঢুকতে হবে সেটা নিয়ে, যদি ঢুকে যায় তাহলে আমার অপিস কাজের ১২টা বাজে, অনেক ভূল হয়, তাই ভয়ে ঢুকিনা, বড় লিখা এভয়েট করি, তবুও আজকের টা পারলামনা, শেষ করেই ডেস্ক এর কাজ ধরতে হল.......... Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৯
122655
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ ভাই,আপনি অনেক ভাল লেখেন Happy
২৫
168465
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : বেশ কয়েক মাস পূর্বে আপনি ছোট একটি ব্লগ পোস্ট করেছিলেন যাতে দু'টো স্কলারশীপ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তো আমেরিকাতে কি আপনি পড়াশুনার জন্য গেলেন নাকি স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্য পাড়ি জমালেন তা তো উল্লেখ করলেন না।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২১
122657
দ্য স্লেভ লিখেছেন : স্কলারশিপ পেয়েছিলাম হাঙ্গেরী এবং কোরিয়াতে। ওখানে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এখানে রুটি রুজি খুজতে এসেছি , দেশে ব্যবসা ছিল আমার বোনের সাথে,শেয়ার ছেড়ে দিয়ে চলে আসলাম। দেখি কি হয়...দোয়া করেন
২৬
168481
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
সিকদারর লিখেছেন : সুন্দর সাবলীল ভ্রমন কাহিনী । আপনার সাথে আমারও বেড়ানো হয়ে গেল কোন কষ্ট ছাড়া ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২১
122658
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ ভাই
২৭
168485
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমাদের দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা প্রতিটি যাত্রীর ব্যাপারেই নেগেটিভ ধরণা পোষণ করেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
এবার দেশ থেকে আসার সময় প্রশ্ন করলেন, আমি কত তারিখ দেশে এসেছি। বুঝতে পেরেছি এটাও নাযেহাল করার একটি কৌশল। জবাব দিলাম- পাসপোর্টে সিল আছে একটু কষ্ট করে দেখে নিন, ঠিক এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২২
122660
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সত্যিই খারাপ কাজ...কোনো কারন ছাড়াই বিরক্ত করা স্বভাব...আপনাকে অনেক দিন পরে পেলাম,দোয়া করেন ভাই Happy
২৮
168502
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
লোকমান লিখেছেন : চমৎকার পোস্ট। অসাধারণ শব্দ চয়ণ। লেখাটি পড়ে মনে হল যেন আমি আপনার সাথেই ছিলাম।
নারে ভাই আমি আমেরিকা যামু না। বিমান দেখলে বুকের মধ্যে দরফর দরফর করে দ্যাশে যাইতে মুঞ্চায়।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৩
122661
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাইলে আপনি দেশে যান,দাওয়াত কনে, কব্জি ডুবিয়ে ডাল ভাত খাব
২৯
168511
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্ট Thumbs Up Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৪
122662
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Happy Happy Happy
৩০
168528
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : বিমানে চড়া এবং এয়ারপোর্টের অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৪
122663
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck
৩১
168537
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : আমি খাঁটি দেশপ্রেমিক। দেশের জন্য দিবানিশি প্রাণ আকুপাকু করে। ভালোই হয়েছে এভাবে যদি আপনাদের মত কিছু মানুষ বিদায় হয়ে এর জনসংখ্যা চাপ কিছুটা কমে তবে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে দেশে গেলে থাকতে আমার সুবিধাই হবে। তবে মন খারাপ হল একটা জলজ্যন্ত বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার আশা মনে হচ্ছে ছাড়তেই হবে। আচ্ছা অত বড় ব্যগে করে কি নিয়েছিলেন? আর কুকুরের ব্যাপারে আপনার লিখার ধরণটা পড়ে হাসিই পেল। ভাগ্যিস মহিলা সেটা বুঝতে পারেনি। যাই হোক আপনার এই নতুন আস্থানায় সুন্দর ও সুখকর জীবন প্রত্যাশা করছি।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৬
122664
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সময় মত বিয়ে দিতে পারলেন না,এখন তো পস্তাতেই হবে...দোয়া করেন যেন আল্লাহ একটা মিলিয়ে দেন। Happy দেশের খবর শুনে সত্রি।ি খারাপ লাগছিল। পত্রিকা পড়িনা,কারন হিন্দুস্থানের অধিপত্য মানতে পারব না।
৩২
168613
২৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৫
বড়মামা লিখেছেন : সুন্দর ভালো লগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৭
122665
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
৩৩
168636
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৩
স্বপন২ লিখেছেন : ওয়েল কাম টু আমেরিকা। আপনার টেলিফোন
নাম্বার দেন। আমি আপনাকে কল করবো।
আপনার উচিৎ ছিল সাউতের ষ্টেটে থাকা।
ওখানে প্রচুর ঠান্ডা। আমি জর্জিয়াতে থাকি।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৯
122666
দ্য স্লেভ লিখেছেন : a mail koren plz Happy
৩৪
168642
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২১
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : মজার ভ্রমন। ফ্লোরিডায় আপনার জন্য ভাল হত।কুকুরটা ছিল মহিলার গাইড। কেউ চোখে না দেখলে কুকুর নিয়ে ভ্রমন করতে পার।
যা আমেরিকান সরকার অনুমোদন করেছে।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩১
122667
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সে মহিলা অন্ধ ছিলনা। Happy আপনি ফ্লোরিডা থাকেন ? স্থানটা আমার পছন্দ
৩৫
168653
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫১
আবু জারীর লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন।
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩২
122668
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই Happy
৩৬
168711
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৫৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মাত্র গেলেন না আগেও ছিলেন? ভাল ই লাগলো। সাদা চামড়ার দেশে কেমন কাটে তা জানতে দিবেন আগামীতে। আপনার লেখা ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
122669
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মাত্র আসলাম,লিখছি...
৩৭
168726
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বরাবরের মত, মুগ্ধতা ছড়ানো পোস্ট! খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন দূর প্রবাসে............ Rose Rose Rose
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
122670
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ ভাই...
৩৮
168749
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৩
শিকারিমন লিখেছেন : অনেক সুন্দর চমত্কার লেখনি। বর্ণনাতে ও আছে অসাধরণ শব্দচয়ন।
ধন্যবাদ।
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
122671
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই...
৩৯
168920
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : পিলাচ +++++++++++ Happy Good Luck
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫০
122982
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Happy Happy Happy
৪০
169279
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪০
নোমান সাইফুল্লাহ লিখেছেন : সুন্দর অভিজ্ঞতা.... Rose
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৮
125032
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি আলহামদুলিল্লাহ
৪১
170188
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
অজানা পথিক লিখেছেন : বিরাট সুন্দর Thumbs Up
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৮
125033
দ্য স্লেভ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck
৪২
170891
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
ইবনে হাসেম লিখেছেন : স্যরি ইয়ঙ ব্রাদার। মাত্র আজকেই পাঠ করলাম। খুব খুব মজা করে পড়লাম। ভ্রমন কাহিনী লিখায় যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠেছেন এর মধ্যে।
এখনো মন খুলে মন্তব্য করার সময় হলো না বলে দু:খিত। তবে ভ্রমণ কাহিনী পেলে পাঠ করবো এর নিশ্চয়তা দিলুম।
আপনার উদ্দেশ্য সফল হোক, আন্তরিক দোয়া করছি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আমাদের জন্য আরো বেশী করে লিখা পরিবেশন করুন, এই কামনা।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৯
125034
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ ভাই। আরেক পর্ব লিখেছি Happy আপনাকে লিস্টে নিয়ে নিচ্ছি। দোয়া করবেন Happy
৪৩
171427
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আচ্ছা ভাই, আপনার প্রো-পিকটা কি চেঞ্জ করার কথা কখনো ভেবেছেন? আপনার স্বভাবসূলভ একটা ভালো মনের মানুষের সাথে প্রো-পিকটা কেমন বেমানান মনে হয়। আর যদি কথাটা আপনার মনে কষ্ট দিয়ে থাকে তো, স্যরি, উইথড্র করলাম।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৩
128083
দ্য স্লেভ লিখেছেন : hehehehehe somossa nai...kisu bouchitro thaka kharap na Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File