কেমন আছেন ? বেঁচে আছেন তো ?
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২২:৪০ রাত
ওহে ভ্রাতা...সুহৃদ...বোনেরা.....আছেন কেমন ? বেঁচে আছেন তো ? থাকলে আওয়াজ দেন,নইলে এই অধম ভাবতে পারে দেশের অনেক মানুষের মত,শীতের দিনের ব্যালট বাক্সের মত,জনতার আশা-আকাঙ্খার মত আপনারা নিরব হয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে গায়েবানা জানাজা অথবা গায়েবানা শুভেচ্ছা জানানো ছাড়া উপায় থাকবে না।
ইদানিং অবাক হওয়া ছেড়ে দিয়েছি,কারন অবাক নামক শব্দটাই অভিধান থেকে ক্রস ফায়ার হয়ে গেছে। যদিও মানুষকে পরিচালনার বিধান নিয়ে নয় বরং চেয়ার নিয়ে মারামারি হচ্ছে তারপরও আম-কাঠাল জনতার আকাঙ্খা এর ভেতরেই ন্যস্ত থাকায় নানাভাবে আশান্বিত হতে থাকে। আর তাদের আকাঙ্খার তীরে তরী ডুবতে দেখলে আমারও হৃদয় ডুকরে কেদে ওঠে। মনে হয় বলে উঠি এবার তোরা মানুষ হ। কিন্তু এরা নিজেরাই নিজেদের নিয়তি সেট করে ফেলেছে,তা হল প্রতারিত হওয়া। অবাক হবেন না, আল্লাহ মুসলিমের অবস্থা অনুযায়ী'ই শাসক প্রদান করেন।খারাপ যা আমরা প্রাপ্ত হই তা আমাদের পাপের ফল। যা দেখছি তা আমাদের পাপেরই ফল। মাথার চুল না ছিড়ে নিজেদেরকে সংশোধন করে নেওয়াই উত্তম।
যখন কোনো জাতির সর্বোচ্চ শিক্ষিত অংশ এবং নেতারা আল্লাহকে সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক,সাংষ্কৃতিকভাবে অস্বীকার করে এবং যখন তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী,পাপাচারী,নিমকহারাম,প্রতারক,জোচ্চর,চোর,বাটপার,ডাকাত,ছিনতাইকারী,নির্লজ্জ,বেহায়া,হত্যাকারী তখন মাটির ওপরে বিচরণ না করে নীচে অবস্থান করা অথবা কিয়ামতের অপেক্ষা করাই শ্রেয়। তবে আসল কথা হল,জনতার যে অংশ ভাল এবং শিক্ষিত এবং যোগ্য,তাদের নিষ্ক্রয়তা তাদের নিজেদেরকে এবং আপামর জনতাকে প্রজ্জলিত আগুনে নিক্ষেপ করেছে। এটা আমাদের কামাই,ফলে ভোগ করতে এত আপত্তি কেন ?
এভাবে বেচে থেকে প্রতিনিয়ত মরার চাইতে একবারে বীরের মত মরাই উত্তম। জাতিকে উদ্ধারে কারা এগিয়ে আসবে,জানা নেই। তবে আশা আছে। উদ্ধারকর্তাদের চেহারাও সুবিধার মনে হচ্ছেনা। আমি চাই এমন কিছু মানুষ আসুক,যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যেই মানুষকে আল্লাহর জন্যেই পরিচালিত করবে। সকল শ্রেণীর,জাতের মানুষের ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। রাজনৈতিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে হবে শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিকভাবে আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবে। মুমিনরা একযোগে সকল ধরনের কুফরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করুক। সকল বাতিলকে একযোগে প্রত্যাখ্যান করুক। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের জন্যে উত্তম ব্যবস্থা করবেন।
আজ পুরো জনতা হতাশ। শাসকের প্রতি বিন্দুমাত্র ভরসা,শ্রদ্ধা,বিশ্বাস নেই। হানাহানিতে লিপ্ত জনতা। স্বার্থ নিয়ে সর্বোচ্চ জুলুম করছে মানুষ। সর্বস্তরে জুলুম নির্যাতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাহেলীয়ার চাইতেও জাহেল হয়ে পড়েছে সমাজ। আরবের জাহেল সমাজে মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ(সাযেখাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং বিপন্ন মানবতাকে মুক্ত করেছিলেন। আজ ঠিক সেভাবেই সুন্নাহ চর্চা করতে হবে সর্বস্তরে। কুরআন আর সুন্নাহর প্রয়োগে সমাজ পরিবর্তিত হবে ইনশাআল্লাহ । সকল শিরক এবং কুফরকে প্রত্যাখ্যান করুন। কুরআন আর সুন্নাহকে পূর্ণাঙ্গভাবে আকড়ে ধরুন। ফিতনা থেকে ফিরে এসে ইসলামকে আকড়ে ধরুন। পৃথিবীতে আল্লাহ মুসলিমদেরকে বিজয় দান করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। সম্মিলিতভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধরুন এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হবেন না। শাসক শাসিত সকলকেই যেন আল্লাহ হেদায়াত দান করেন। আমিন !!
বিষয়: বিবিধ
২৫৮৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আনা খইর আলহামদুলিল্লাহ
জাজাকাল্লাহু খাইরান
ভালো থাকুন আপনিও।
এই যদিটাই মুশকীলে ফেলেছে৷৷ তাই আসুন আগে মুসলীম হই৷ ধন্যবাদ৷
ইমান অন্তরে শুরু হয়ে ক্রমে বাইরে আসে আচরণে৷ মক্কার সাহাবীরা ইমান এনেছিলেন, সেখানে কোন মুনাফেক ছিলনা৷ মদীনার আনসাররা ইসলামে ঢুঁকেছিলেন, যেটা বাইরে শুরু হয়৷ ক্রমে মুমীন হয়ে ছিলেন৷ তাদের মাঝে মুনাফেক ছিল৷ আমরাও আগে মুসলীম (জন্মসূত্রে)৷ আসুন মুমিন হবার চেষ্টা করি৷ধন্যবাদ৷
এই মূহুর্তে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী একজন সত্যিকারের নেতা প্রয়োজন আমাদের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন