জাহান্নাম পছন্দ করা যাবেনা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৪ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২৫:৪৩ রাত

“আবু হুরায়রা(রাHappy থেকে বর্ণিত,রসূল(সাঃ)বলেছেন-দুই শ্রেণীর জাহান্নামী রয়েছে যাদেরকে আমি দেখিনি। এক শ্রেণী হল তারা; যাদের হাতে গরুর লেজের মত চাবুক রয়েছে,যা দিয়ে তারা মানুষকে নির্যাতন করে,আর অপর শ্রেণী হল সেসব নারীগণ,যারা কাপড় পরলেও উলঙ্গ দেখা যায়। তারা নিজেরা বিপথগামী হয়েছে এবং অন্যদেরকেও বিপথগামী করছে। তাদের মাথা বুখতী উটের মত এক দিকে ঝোকানো। তারা না জান্নাতে প্রবেশ করবে,আর না জান্নাতের সু-ঘ্রান পারে। যদিও বহু দূর থেকেই জান্নাতের সু-ঘ্রান পাওয়া যায়।” -(সহিহ মুসলিম)

এ হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি উল্লিখিত প্রথম শ্রেণীর লোকেরা হল যালিম,যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে যদি এ রাস্তা পরিত্যাগ করে এবং অত্যাচারিতের কাছে ক্ষমতা প্রার্থনা করে,যদি তারা তাকে ক্ষমা করে ,অত:পর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন,তাহলে ভিন্ন কথা। তবে বান্দার হক নষ্ট করার ক্ষেত্রে সাবধান। আল্লাহ মাহান এবং অতি ক্ষমাশীল। তিনি মহা পাপ কাজেরও ক্ষমা করে দেন কিন্তু কেউ বান্দার হক নষ্ট করলে উক্ত বান্দা ক্ষমা না করলে তা আল্লাহ ক্ষমা করেন না। আর অধিকাংশ মানুষই উদার নয়। ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন।

এরপর বর্ণিত হয়েছে ঐ সকল নারীদের বিষয়ে,যারা কাপড় পরিধান করে কিন্তু তার অবয়ব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে বা শরীর দেখা যায়। বর্তমান কালের মোজা সদৃশ পাজামা,স্বচ্ছ শাড়ী ও তা পরার ধরন,অন্যান্য পোষাক যা তাদেরকে পুরুষের চোখে হট দেখায়,এসব কিছুই হাদীসে উল্লিখিত পোষাকের অন্তর্গত।

আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে পুরুষের জন্যে আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। একইসাথে তাদের পোষাকের বিষয়ে বা পর্দার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দান করেছেন। পুরুষ ও নারী উভয়কেই দৃষ্টিশক্তি ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করতে বলেছেন। পর্দা উভয়ের জন্যেই প্রযোজ্য। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা পুরুষ ও নারীদের মধ্যে পারষ্পরিক আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন। তবে পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণটি স্পষ্ট ও আগ্রাসী। সুসম্পর্ক অথবা কুসম্পর্ক স্থাপন উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ অগ্রগামী। ফলে কোনো নারী যখন পুরুষকে আকর্ষণ করে,পুরুষের পক্ষে সীমা লঙ্ঘন করা সহজ হয়ে যায়। কোনো নারী যদি কোনো পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহলে , অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে থাকে। বিষয়টি গোপনে ঘটলে এর মাত্রা অধিক বৃদ্ধী পায়।

তাই যদি কোনো নারী এমন কোনো পোষাক পরে যাতে তার শরীর পুরোপুরি না ঢেকে শরীরের আকর্ষণীয় অংশগুলি প্রকাশিত হয় বা উম্মাদনা সৃষ্টি করে,তাহলে উক্ত নারীই শুধু বিপথগামী হলনা,বরং সমাজের আরও বহু পুরুষকে বিথগামী হতে সে উৎসাহিত করল। যেহেতু পুরুষের ভেতর বিশেষ কিছু উত্তেজনাকর অনুভূতী রয়েছে তাই আল্লাহভীরু মানুষও আল্লাহর আদেশ ভুলে কখনও কখনও সীমা লঙ্ঘন করে বসতে পারে। ফলে সমাজে ফিতনা এই একটি কারনে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং ব্যপক সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

যে লোকটি নিজে পাপ করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়,আল্লাহ তাকে ইচ্ছা করলে ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু যে লোকটি নিজে পাপ করার পাশাপাশি অন্যকে পাপ পথে উৎসাহিত করছে,তার বিষয়টি ভয়ঙ্কর। আখিরাতে তাকে নিজের ও অন্য বহু লোকের দায় গ্রহণ করতে হবে এবং এ কারনে হয়ত তার নিজের পাপটি ক্ষমা করা হলেও অন্যের দায় কাধে নেওয়ার কারনে জাহান্নামী হতে হবে।

শেষ কথা হল, আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে বলছেন-‘নারীরা তাদের দৃষ্টিশক্তি ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করবে, পুরুষরা তাদের দৃষ্টিশক্তি ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করবে।’ আর নারীরা উল্লিখিত হাদীসটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিজেদেরকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির হাত থেকে হেফাজত করবে। আর যদি কেউ আল্লাহর আদেশকে তুচ্ছ করতে চায়,তাহলে তাতে সে নিজেকেই ধবংশ করল। পুরুষরা যেন অন্তত তার পরিবারের লোকদেরকে সতর্ক করে।

বিষয়: বিবিধ

১৩২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File