আজকের স্বপ্ন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২৫:০৩ সকাল
আজ ১০ই নভেম্বর,২০১৩। একটু আগে স্বপ্ন দেখলাম আমি ঢাকার কোনো একটি এলাকায় আছি মনে হল কাকারাইল এলাকা। কিন্তু এলাকাটি কাকরাইলের সাথে মিলল না। এর মোড়ে দুটি বিশাল ভবন দেখলাম যা প্রায় ৩০ তলা হবে। দুটি একই উচ্চতার ভবন পাশাপাশি রয়েছে। ভবনের মালিক ছিল পরষ্পরের প্রতিদ্বন্দী,এরা আকে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে ভবন উঁচু করেছে। একটি ভবনের ভিত্তি ততটা শক্তিশালী ছিলনা কিন্তু নিছক পাল্লা দেওয়ার স্বার্থে ভবন উঁচু করেছে। এরপর এই দূর্বল কিন্তু উচু ভবনটি ধ্বসে পড়ল একটি সুদর্শন,কাঁরুকার্যময় ৩/৪ তলা উঁচু মসজিদের ওপর। মসজিদের লোকেরা খুব সতর্ক ছিল তাই ভবন ধ্বসে পড়ার পূর্বেই তারা নিরাপদে চলে গিয়েছিল। কিন্তু একজন লোক ওখানে ভুল করে নামাজ পড়তে গেলে সে চাপা পড়ে মারা যায়। লোকেরা বলতে লাগল, এই ভবন মালিক নিজের ভবনটা তো ধবংশ করলই ,এখন তাকে মসজিদের জন্যেও ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
আমি এর পাশে একজন ভাল মুসলিমের সাথে কথা বলছিলাম। ইসলামের কারনে তাকে আমার ভাল লাগত। এরপর একজন যুবক অলিম আমাদের সাথে দেখা করলেন। তিনি আমার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন একং ভালবাসার সাথে আমার হাত ধরেই রাখলেন,ছাড়লেন না। এমনকি অপর লোকটির সাথে অন্য হাতে মোলাকাত করলেন কিন্তু আমার হাতটি ছাড়লেন না। তারপর আমরা তিনজন হাটতে শুরু করলাম। অলিম লোকটা বাদাম খাচ্ছিল। হঠাৎ তিনি পকেটে হাত দিয়ে বাদাম বের করলেন, সেখানে তিনটি বাদাম ছিল এরমধ্যে মোটামুটি ভাল বাদামটি তিনি আমার সাথের লোকটিকে দিলেন,সবথেকে ছোটটি আমাকে দিলেন। আমি তা খুলে দেখলাম ভেতরে খুব ছোট একটি দানা। আমি হাসতে হাসতে বললান- জান্নাতের জন্যে এই ছোট একটি দানাই যথেষ্ট,বলেই আমি খেতে লাগলাম। তখন তিনি আমাকে সবথেকে ভাল ও বড় বাদামটিও দিলেন। আমরা একটি এলাকার উদ্দেশ্যে হেটে রওনা হলাম। হাটার সময় তিনি আমাদের দুজনকে দুহাত ধরলেন, তিনি মাঝে ছিলেন। এরপর মনে নেই।
আমি হাটতে থাকলাম। একটি সুন্দর মসজিদের সামনে আসলাম এবং তার পাশ ধরে ফুটপাথের ওপর দিয়ে হাটতে থাকলাম। ছায়াঘন রাস্তা ধরে হাটলাম। দেখলাম রাস্তার পাশধরে একাধিক স্থানে হিযাব পরিহিতা মহিলা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আত্মরক্ষার কৌশল শিখছে। কিন্তু তারা যেখানে এটা চর্চা করছে ,সে স্থানটি মোটেও ভাল না,স্থানটি ছিল কর্দমসাক্ত এবং কিছু স্থান মোটামুটি ভাল। প্রশিক্ষককে তেমন প্রশিক্ষিত মনে হল না। আর এতে মনে হলনা তারা কার্যকরীভাবে বিদ্যা শিখছে। আমি আবারও হাটতে থাকলাম।
এবার একটি সুন্দর বাগানের রাস্তা ধরে হাটলাম। হঠাৎ দেখলাম একটি বাগান খুবই সুন্দর। সেখানে বড় বড় এবং পরিপক্ক আম ধরেছে। এমন সুন্দর আম আমি আগে দেখিনি। আমি সুন্দর নারকেল ও দেখলাম। হয়ত ভেতরে আরও ফলবান বৃক্ষ ছিল। কিন্তু এই বাগানের ভেতরে রাস্তার দিকে মুখ করে এক বয়োবৃদ্ধ কিন্তু শরীরে যথেষ্ট শক্তি আছে এমন মহিলা রূদ্রমূর্তী নিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি যখন বাগানের পাশ দিয়ে হাটছিলাম সে আমার চোখের দিকে অগ্নী দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল,এবং চোখের পলক ফেলছিল না। যাতে আমি ফল পাড়া বা খাওয়ার কথা কল্পনাও না করি,সে জন্যেই এমন করছিল। তার ভাবভঙ্গীতে মনে হল আমার হাতে থাকা ক্যামেরা দিয়ে এই বাগানের ছবিও হয়ত সে তুলতে দিবেনা। তারপরও ভয়ে ভয়ে চমৎকার ফল সমৃদ্ধ বাগানের ছবিটা তোলার জন্যে ক্যামেরা বের করে ক্লিক করতে থাকলাম এবং একইসাথে হাটতে থাকলাম।
এই বাগানের পাশেই দেখলাম এক প্রভাবশালী লোকের বাড়ি। বাড়িটা অনেক বিশাল। এটা ৬/৭ তলা হবে কিন্তু অনেক বড় এলাকা নিয়ে। এটি একটি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী পরিবারের বাড়ী। এরা রাজনীতিতেও জড়িত। এই বাড়ির ছবি তোলার পর প্রবল বৃষ্টি শুরু হল।
আমি দেখলাম আমার পিঠে ব্যাগ। তার ভেতরে ছাতা আছে। আমি ছাতাটা বের করলাম কিন্তু বুঝলাম আমার হাতে এর চাইতেও বড় ছাড়া ছিল। তখন ছোটটা ফোল্ড করে আবার ব্যাগে রেখে বড় ছাতাটা খুলে হাটতে থাকলাম। এখানে একজন সাধারণ দেখতে লোক আমাকে বসতে বলল। আমি তার সাথে সু-আচরণ করলাম। তিনিও করলেন। তিনি তার নিজের পরিচয় দিলেন। তিনি একজন বিশাল প্রভাবশালী লোক বুঝলাম। তারপর নিজেকে আবিষ্কার করলাম আমি তার সুন্দর একটা বাড়ির দ্বিতীয় তলার ড্রয়িং রুমে আছি। এখানে বসার ব্যবস্থা ধনীদের মতই। আমি পূর্বের সেই বিশাল বাড়ী,যা ছিল প্রভাবশালী ব্যক্তিটির বা পরিবারের। সে বাড়িটির দিকে তাকালাম। দেখলাম ওপরের তলা ফাকা। কারণ সেখানে সে থাকত। সে রাজনৈতিক কারনে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গেছে। পরে সুযোগ বুঝে ফিরবে।
আমি জানালা দিয়ে সেই বাড়ির দুটি ঘরের দিকে তাকালাম,আমি ভেতরের খানিকটা দেখতে পেলাম। দেখলাম সেখানে দুশ্চরিত্রবান লোকেরা রয়েছে। সেখানকার উপরের তলার লোকটি ব্যভীচারে লিপ্ত ছিল এবং নীচের তলার লোকটি খারাপ ভিডিও দেখছিল। আমি আমার মুখটি ফিরিয়ে নিলাম এবং জানালার পর্দা টেনে দিলাম। আবারও সেই ভাল ও প্রভাবশালী লোকের সাথে গল্প শুরু করলাম। সেখানে তার পরিবারের আরও কয়েকজন ছিল। আর কিছু মনে নেই.....সম্ভবত এটা রাজনৈতিক স্বপ্ন
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন