আজ আমি কোথাও যাব না
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩০:২৪ রাত
অফসিরে পিওনের অফসি খোলার কথা ছিল সে আজ একটি কাজে বাইরে থাকার কারনে আজ আমার অফিস খোলার কথা। আমি অফিসে গেলাম এবং মনে পড়ল চাবি ভুলে ফেলে রেখে এসেছি।আমি আবার বাসায় আসলাম। আসার পথে কামাল আতার্তুক এর প্রিয় নামক কসমটেকিস এর দোকান থেকে শ্যাম্পু এবং ঘামের র্দূগন্ধ মুক্ত থাকার জন্যে ঘসাঘসি(এর নাম জানিনা) কিনলাম। বাসায় ঢুকলাম। জনিসিগুলো রাখলাম। তারপর দশ কি:মিটার দূরের অফিসে গেলাম। আবারও মনে পড়ল, ওহ ! চাবি আবারও ভুলে ফেলে রেখে এসেছি ! এমনটা কারো ক্ষেত্রে সচরাচর হয়না।
সিদ্বধান্লত নিলাম, আজ আমি কোথাও যাবনা। লোক এসে চাবি নিয়ে গেল। সব দোষ সজিবের। সে সকালে বাসায় এসে গল্পরে আসর জময়িছে।েসে অফিসের কাজে আমার বাসার কাছাকাছি এসেছিল। আমাকে বলল ইউক্রেনে ভ্যাগ্যান্যেষনে যান। বললাম ঠিক আছে যাব। কিন্তু কোথায় যাব,থাকব,খাব ? সে বলল কোনো ব্যাপার না,সেখানকার অনুন্নত অঞ্চলে যাবেন,থাকবেন,খাবেন,বিয়ে করে ফেলবেন দারুন দেখে আর দাওয়া করবেন। প্লান মন্দ নয় এর যে ভাব দেখছি টিকেট কেটে নিয়ে এসে বলবে এক্ষুনি যান । এদিকে ভাই ৩০০ পিছ মিস্টি পাঠাচ্ছে জামতলা থেকে। বলল গ্রিন লাইন কাউন্বটার থেকে নিয়ে আসতে। বললাম,পারব না। আজ আমি কোথাও যাবনা। তবে খাবনা একথা বলা যাবে না।
রাতে শেষ পর্যন্ত আমাকেই যেতে হল। ৩০০পিছ মিস্টি নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলাম রাত ১২টায় এক আর্মী অফিসারের বাড়িতে। ৫তলা থেকে নামার সময় লিফ্টে অনেকক্ষন দাড়িয়ে থেকে মনে হল লিফ্ট আটকে পড়ল নাতো। চলে না ক্যান ? খানিকপর তাদের বাসার ছেলেটা এসে দরজা খুলে বলল আপনি ভেতরে দাড়িয়ে আছেন ক্যান ? তারপর বুঝলাম আমি আসলে বাটন পুশ না করেই দাড়িয়ে ছিলাম। আত্মভোলা দিনটা গেল। অফিসার চাচা তিনশত মিস্টির মধ্যে আমাকে দুই প্যাকেট মিস্টি দিলেন খাবার জন্যে। রাতে সেটা খেলাম। মজা লাগল।
তারিখ ৫ই সেপ্টেম্বর,২০১৩
ফজরে নামাজের পর ঘুমালাম এবং স্বপ্ন দেখলাম আমি আমাদের বাড়ি থেকে বিশাল একটা পাকা আম(অন্তত দুই কেজী ওজনের হবে) খানিক দূরের এর প্রতিবেশীকে দিতে যাচ্ছি। প্রতিবেশীর বাড়ি নদীর ধারে। প্রতিবেশী পছন্দ করবে ভেবে আমটা কেটে তারপর তাকে দিতে গেলাম। আমটা কাটার পর মনে হল এটা না কাটলেই ভাল হত। কাটা আম দিলে আবার কি না কি মনে করে। পথিমধ্যে কয়েকটা শিশুকে পেলাম যারা আম খেতে চাচ্ছিল কিন্তু আমার কাছে অতিরিক্ত ছিলনা। আবার এটা প্রতিবেশীকে দেওয়াও জরুরী ছিল। চিন্তা করছিলাম আরও আম থাকলে বাচ্চাদের দিতে পারতাম। এমনকি এটাও চিন্তা করেছিলাম আমটুকু প্রতিবেশীকে আর আমের বিচিটা ওদেরকে দিলে কেমন হয়,তাতে একটু আমও খেতে পারল।
দিলাম না চলে গেলাম আম দিতে। সেসময় তারা ভেতরের বাড়িতে ছিল। আমি নদীর উচু এবং খাড়া পাড় বিশিষ্ট অংশে রান্নাঘর ছিল সেখানে গেলাম। তারা ছাদের থেকে আমাকে দেখল। এবং আমটা ওখানে রাখতে বলল।
এরপর দেখলাম সেখানে আমার আত্মীয় ফুফা(মাহাবুবের পিতা)উপস্থিত হলেন। আরও বেশ কিছু লোক ছিল। আমি একপাশের পাড়ে দাড়ালাম। পানিতে দেখলাম একটা ডাল পড়ে আছে খানিকপর বুঝলাম পাতলা ডালটার সাথেই লুকিয়ে আছে একটা সাপ। আমি লাঠি দিয়ে বাড়ি মারলাম কিন্তু সে পানির বেশ খানিকটা নীচে থাকার কারনে বাড়িটে লাগল না তবে তার গায়ে ছোটকরে স্পর্শ লেগেছে। সাপটা ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল। আমি লাঠি নিয়ে অনুসরন করলাম। খানিকপর দেখলাম আরেকটি সাপ পালিয়ে গেল ভয়ে। ওপর থেকে লোকেরা আমাকে অনুসরন করতে বলল সাপকে মারার জন্যে।
এবার অন্য পাড়ে গেলাম। এ অংশে দেখলাম পাড়টা খাড়া এবং অন্তত ১৫ফুট উচু। এসময় এক ভয়াল দর্শন জীব দেখলাম। দেখতে ঘোড়ার মত কিন্তু মুখ অজগর সাপের মত,সারা শরীর কুচকুচে কালো। গা তার তেল চকচকে। সে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু কোনোভাবেই উঠতে পারছে না। তারপর সে আরেক পাড়ে গেল ওঠার জন্যে কিন্তু তবুও উঠতে পারল না,তারপর সে বিদায় হল। আমি মোবাইলে এর ছবি ওঠালাম।
এরপর দেখলাম নদীর পানি শুকিয়ে গেল। পুরো নদীতে একফোটাও পানি নেই। কোনো এক ঠুনকো অপরাধে সমাজের প্রভাবশালী মানুষেরা কালো রঙের একটা মানুষকে ধরে আনল এবং নির্যাতন করতে লাগল ,আমি প্রতিবাদ করলাম এবং আমার সাথে আরও কিছু মানুষ প্রতিবাদ করল কিন্তু তারা থামল না এবং আমাদেরকে পাত্তাই দিলনা।একটি গাছে বেধে তারা নির্যাতন করল এবং তারা বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারল তার গায়ে।সে মারা গেল। তার গোটা পরিবারকে ধরে আনা হল। এমনটি তার দাদীকেও,যার বয়স ৮০র ওপরে হবে। তার পরিবারের সদস্যদেরকে রাস্তায় ফেরে দেওয়া হল এবং হত্যা করা হল বল্লম জাতীয় কিছু দিয়ে। ব্যাপারটা ছিল নির্দয়।
আমি গাছে বাধা সেই লোকটাকে বাচাতে পারিনি। যারা হত্যা করছিল তারা ছিল সাদা চামড়ার লোক কিন্তু চেহারা বাঙ্গালীদের মতই ছিল। কিন্তু আমি এই নির্যাতনের চিত্র অন্য মানুষদেরকে দেখানোর জন্যে ছবি তুলতে লাগলাম এবং ভিডিও করতে থাকলাম মোবাইলে। আমার হাত ছবি তোলা অবস্থায়ও আমি মুখে প্রতিবাদ করছিলাম এবং তাকে ছেড়ে দিতে বলছিলাম।
এরপর দেখলাম ওখানেই এক ধনী লোকের বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমি আমন্ত্রিত হলাম। বিয়েতে মূল্যবান উপহার সামগ্রী এসেছে। একজন বড় ব্যবসায়ী এবং সমাজপতি সমালোচনা করল যে তাদের রুচী তেমন ভাল না,কারণ দামী খাট ও আসবাবপত্র দিলেও সেটা আনকমন নয়। লোকটা একটা স্থানে বসলে একজন আমার পাশ থেকে বলল সে অনেক কিছু অবিশ্বাস করে,সে কড়া কমিউনিস্ট। তাকে তোমার ওঠানো ভিডিও দেখাও। আমি তার কাছে গিয়ে বললাম আমি আপনাকে এমন কিছু চিত্র ও ভিডিও দেখাব যে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। লোকটা আগ্রহী হল। আর আমি মোবাইল থেকে বিভিন্ন চিত্র; বিশেষ করে সেই ঘোড়ার মত প্রাণীর ভিডিও দেখাতে চাইলাম কিন্তু মোবাইলে সেই ভিডিওটা খুজে পেলাম না। লোকটা খুব বিরক্ত হল। এমনকি আমার খানিক পূর্বে তোলা ছবিও খুজে পেলাম না। আমি খুব লজ্জায় পড়ে গেলাম। লোকটা কিছুই বিশ্বাস করল না। কিন্তু তাকে বিশ্বাস করানোর জন্যে আমি পরিকল্পনা করতে থাকলাম। সে ছিল কড়া নাস্তিক এবং সমাজপতি।
আমি আরও একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম একই সাথে যা ছিল এই স্বপ্নেরই একটা অংশ কিন্তু লেখা শুরু করার পর তা ভুলে গেলাম।
এই স্বপ্ন দেখার আগে আমি আরেকটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, যে রাস্তাঘাট সব ডুবে গেছে এবং আমি আর আমার বন্ধু বুক সমান পানিতে মোটর বাইক নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। এটাও বেশ দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল কিন্তু ভুলে গেছি।
বিষয়: বিবিধ
৩১৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন