ঈদ মোবারক, শেষ কিস্তি

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২০ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২৬:৩৪ সকাল



আজ সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি আমার ভাল লাগে কিন্তু কাজের সময় বৃষ্টি হলে পিত্তি জ্বলে। বৃষ্টির সময় নদী বা পুকুরের পানি গরম গরম লাগে। সেটা খুব দারুন অনুভূতি। লুঙ্গি পরলাম,যদিও আমি লুঙ্গি কখনই পরিনা। বহুকাল পূর্বে এক শীতের রাতে লুঙ্গী পরে কম্বলের নীচে ঘুমিয়েছিলাম। সকালে খাট থেকে নামার পর নীম্নাঞ্চলে ঠান্ডা অনুভূত হওয়াতে বুঝলাম দিগম্বর হয়েছি। কিন্তু লুঙ্গি আমি কোথাও খুঁজে পেলাম না,এমনকি কম্বলের নীচেও নয়। ভাবলাম কেউ আমাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছে। তবে পরক্ষনেই আবার কম্বলের নীচে ঢুকে গেলাম এবং পায়ের কাছে লুঙ্গীটা খুজে পেলাম। লুঙ্গীর ইতিহাস ওখানেই শেষ। যাইহোক আমি বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম,ভাল লাগল। এবার পুকুরে লাফ মারলাম,তবে শৈশবের সেই অনুভূতি আর পাওয়া গেল না।

আজ আমার যাওয়ার কথা দূরের এক গ্রামে। সেখানে এক গরিব আত্মীয় আমাকে দাওয়াত করেছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চললাম। অনেক মিস্টি কিনলাম এবং গৃহকর্তার জন্যে একটি চমৎকার উপহার নিলাম সাথে। এটি হল খুবই সুদর্শন এবং অতি শক্তিশালী টর্চলাইট। তারা আমাকে নিয়ে যেতে এক কিশোরকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। আমি যখন সেখানে পৌঁছলাম,তখন সন্ধ্যা হয় হয়। খুবই আন্তরিকতার সাথে তারা আমাকে গ্রহন করল। তারা আমাকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে গেল। আমি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের সাথে খুবই প্রানখোলা আচরণ করতে পারি এবং অন্তর থেকেই করি। মনে মনে সবসময় সওয়াবের কথা খেয়াল থাকে। আখিরাতের প্রেক্ষাপটে আমি একজন কড়া ব্যবসায়ী। আল্লাহ তায়ালা বহু স্থানে অসংখ্য নেকী ছড়িয়ে রেখেছেন,সেটা সংগ্রহ যে না করে ,সেই’ই আহাম্মক।

এরা নানা রকম পিঠা তৈরী করেছে। আমি যে মিস্টি নিয়ে গেলাম সেটা তারা অনেকের মধ্যে বন্টন করল এবং ধুমধাম করে কিছুক্ষনের মধ্যে তারা মহা তৃপ্তীসহকারে সব খেয়ে ফেলল। ভাবলাম এরা কি ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জানে ? সম্ভবত: ডায়াবেটিস রোগটি নিজেই এদেরকে চিনেনা। তাদের একটি ঘর,ভাবলাম এই ঘরে আমি থাকলে তাদের সমস্যা হবে,তাই চলে আসতে চাইলাম। তারা কোনোভাবেই চলে আসতে দিলনা। রাতে তারা যা খাওয়ালো তা অত্যন্ত তৃপ্তী সহকারে খেলাম এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম এ কারনে যে,এদের দৃশ্যমান কোনো সম্পদ নেই কিন্তু এরা খুবই সুখী। এরা অল্লাহর ওপর নির্ভর করে। এরা আত্মীয়তার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকারভাবে রক্ষা করে। এরা সন্তানাদীর সাথে উত্তম আচরণ করে। এরা পিতা-মাতাকে অধিক সম্মান মর্যাদা দান করে। একজন উত্তম মানুষের কি কি গুন থাকা দরকার তার একটা লিস্ট তৈরী করলাম মনে মনে,দেখলাম এদের অধিকাংশ বড় গুণগুলোই রয়েছে। কিন্তু এরা এসব জানেনা। তারা নিজেদের সাথে কারো তুলনা করলে তা টাকা পয়সা দিয়ে করে থাকে। এক্ষেত্রে তাদেরকে নির্বোধ বলা যায়।

রাতে অনেকক্ষন ধরে গল্প হল। এক সময় এলাকার আটরশী পীরের মুরিদদের ব্যাপারে জানলাম,যদিও পূর্বেই এসব জানা আছে অতিরিক্ত। এদের নাকি নামাজ-রোজা করা লাগেনা। ওরা শরিয়তের নিয়মের উর্ধ্বে। ভাবলাম আল্লাহ মানব জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্যে যেসকল নবী-রসূলদেরকে পাঠিয়েছেন,তারা শরিয়তের উর্ধ্বে ওঠা পরের কথা,কোনো ছোট নিয়ম লঙ্ঘন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হননি। এরা তাহলে কোন গ্রহ থেকে নাযিল হল ? আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বেশ কিছু স্থানে রসূল(সাঃ)কে কড়া ভাষায় আক্রমন করেছেন। তিনি(সাঃ) ছিলেন অল্লাহর ভয়ে ভীত,যদিও সর্বোত্তম জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে পূর্বেই তার স্থান নির্ধারিত। এরা তাহলে কারা ? এরা জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়ে নিজেরা গর্বিত এবং তারা অন্যদেরকেও তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে। বললাম, আপনি কি কখনও জানতে চেয়েছেন, যেসকল পীরের মাজারে বা দরগায় এরা ঢোল তবলা বাজিয়ে মৃগী রোগীর মত মাথা কুটে হু হু রবে জিকির করে, সেসব পীর কি এমন করতেন ? তারা কি তাদের পীরের/শিক্ষকের মাজারে এমন রসম রেওয়াজ চালু করেছিলেন ? কেউ কি কখনও বলতে পারবে যে,খানজাহান আলী,শাহ আলী,শাহ পরান,বায়েজিদ বোস্তামী,শাহ জালাল(রহঃ)সহ সকল পীর নামক ব্যক্তিবর্গ এমন অচরণ করেছেন ???

তাহলে তাদের অনুসারী হিসেবে দাবী করা এসব লোক এমন আচরন করার নিয়ম পেল কোথা থেকে ? কারো অনুসারী মানে হল,ওস্তাদ যে আচরণ করেছেন,সাগরেদ সেই আচরণ করবে। এরা তাহলে এসব করে ক্যান ? শুনলাম একজন মুরীদ নাকি বলেছিল, আমার পীর ঢোল তবলা বাজায়নি বটে কিন্তু তারা একসাথে জিকির করা আরম্ভ করলে তবলা এমনিতেই বাজত। ব্যপক হাসাহাসি ছাড়া আর কিছু করার নেই। আমাদের স্কুলে কিছু অগাচন্ডী ছাত্র ছিল,তারা সাধারনত: কোনো কিছু সহজে বুঝত না। কিন্তু তারা মাঝে মাঝে ভাল বুঝত,যখন কিছু প্রখ্যাত স্যার দু-হাত লম্বা লাঠি দিয়ে পশ্চাৎদেশে যথেচ্চাচার করত। পাস্ট টেনস কি, তা আমি কখনই ভুলব না। কারন আমার পাস্টে আব্দুস সামাদ স্যার দুহাতের তালুতে এমনভাবে বেত মেরেছিলেন যে কয়েকদিন তাজা দাগ ছিল। কখনও কখনও মাইরের ওপর ওষুধ নেই। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবার পর যথাযথ কতৃপক্ষের একটি বয়ান শুনলেই,অধিকাংশ পীর মাজারের দোকান বন্ধ করে মারেফতের অসীম আকাশ থেকে শরীয়তের পৃথিবীতে নেমে আসবে। দেওয়ান বাগীর মত যারা আল্লাহর সাথে হ্যান্ডশেক করেন এবং ফেরেশতাদের সাথে প্রতিনিয়ত খানাপিতা করেন,মুরীদদের জন্যে ইলাহ হয়ে যান,তারাও দু:স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবে।

এই ভদ্রলোকটি জামাতে ইসলামীর সাথে যুক্ত,তার স্ত্রী এবং দুই পুত্রও একই সংগঠনের সাথে। পুত্রদ্বয়ের মাতা তাদেরকে বিভিন্ন সময় মিছিলে পাঠায়। প্রতিবেশী একজন যখন বলছিল,যদি ওরা গুলি খায় ? তার মা উত্তর দিল, ওটাই সফলতা। আসলে গুলি খাওয়া তো সফলতা নয়,বরং ইসলামের জন্যে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হয়ে পিছু না হটতে চাওয়ার কারনে যে নির্যাতন নেমে আসে,তাতে কেউ মারা গেলে সে শহীদ হবে যদি তার নিয়ত সহি হয়ে থাকে। শহীদরাই কেবল বলতে পারে,তারা শতভাগ সফল। কে শহীদ তা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেন।

আমার কোনো মুসলিম ভাই যদি ইসলামের কারনে আমাকে আক্রমন করার পরিকল্পনা করে,তাহলে প্রথমে তাকে উত্তম রূপে বোঝানো উচিত। এটাই উত্তম পন্থা। কারন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে রসূল(সাঃ) এবং সাহাবীদের ওপর মারাত্মক অত্যাচার চালানো হয়েছে কিন্তু তারা তখন আক্রমন করেননি। এমনকি সাহাবায়ে কেরামগণ তাদের শক্তিমত্তা ও সুযোগের কথা জানিয়ে আক্রমনের অনুমতি চাইলেও রসূল(সাঃ) তা দেননি,কারন তখন আল্লাহ তায়ালা অনুমতি দেননি। মদীনাতে যখন ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হল,তখন সম্পুর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করা হয়েছে,রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জিহাদ হয়েছে,এটাই প্রকৃত সমাধান। তারপরও যদি মাথা পচে যাওয়া অজ্ঞ কোনো মুসলিম বা অমুসলিম ইসলামের কারনে আক্রমন করে,তবে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়া ভাল,তাদেরকে উত্তম পন্থায় নসিয়ত করা ভাল। যদি সেটির সুযোগ না থাকে তখন আক্রমন থেকে নিজেকে নিরাপদ করার জন্যে যে প্রতি-আক্রমন সেটা আল্লাহ তায়ালা বিবেচনা করবেন। আল্লাহ তায়ালাই সর্বোত্তম,সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক।

ক্রমাগত অত্যাচারে পেটের সহ্য,ধৈর্য্যশক্তি কমে গেল। সদা শান্ত জিনিসটি আমার কতৃত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানাল,বারবার তর্জন গর্জন করে নিজের রাগ প্রকাশ করল। এক বদনা পানি,একটি টর্চলাইট নিয়ে বাগানে ছুটলাম। ছোট ছেলেটা বলল, অন্ধকারে এই টয়লেটে আপনার সমস্যা হবেনা। বললাম,দূরে যা,ভাগ। এটাকে খারাপ টয়লেট বলা যাবেনা। খারাপের সংজ্ঞা আমার চাইতে বেশী কে জানে ? একাধীকবার সলিড কাচা টয়লেটে এক্রোবেটিক স্টাইলে বসেছি। বড় এক গর্তের এপাশ ওপাশ দুটি লম্বা বাঁশ বসানো। সতর্কতার সাথে তার মাঝ বরাবর গিয়ে কার্য সমাধা করা আর দড়ির ওপর দাড়িয়ে সার্কাস খেলা দেখান মোটামুটি একই। ছোটবেলায় একবার আমার এক আত্মীয় এরকম গর্তে পড়ে গিয়েছিল। তার বুক পর্যন্ত পুতে গিয়েছিল। ঘটনার পর সে খুব মর্মাহত হয়েছিল এবং উক্ত আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করেছিল। এরকম আরও বেশ কিছু কাচা টয়লেটে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ফলে এটা কোনো ব্যাপারই নয়। নীচে পাকা স্লাবের ওপর একটি প্যান বসানো,চারিদিকে সারের বস্তা দিয়ে দুই আড়াইফুট উচু করে ঘেরা । এখানে দিনের বেলা বসলে মাথা দেখা যেতে পারে বাইরে থেকে। অবশ্য এলাকার লোক অসভ্য নয়। .....যাক ,এখন আমি বেশ প্রশান্ত। রাতে আমাকে ঘুমাতে দিল তাদের একমাত্র ঘরে। এটি মাটির ঘর। আমি ছেলেটাকে পাশে ঘুমাতে ডাকলাম। ওরা সকলে ঘুমালো বারান্দায়,অবশ্য বারান্দায় ঘুমাতে ওরা অভ্যস্ত। ওরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেনা।

ভোর রাতে ছেলেটার মা তাকে ডেকে তুলল মসজিদে যাবার জন্যে। ছেলেটা খানিক পর আমাকে জিজ্ঞেস করল,মসজিদে যব কিনা। বললাম অবশ্যই যাব। সকলে মসজিদে গেলাম। ফজরের জামাত মসজিদে পড়তে সত্যিই ভাল লাগে। অলস মানুষেরা অনেক কিছু মিস করে। এরা কখনই ফজরের পর আর ঘুমায়না। ভদ্রলোকটি চাষ কাজ করেন। তিনি বাড়ির বিভিন্ন কাজে লেগে গেলেন। খানিক পর দেখলাম বড় এক বাটি গুড় কয়েকটি রুটি দিয়ে তিনি খেয়ে ফেললেন। এরপর এক গামলা পান্তা ভাত খেলেন। তারপর আমাকে আজকের দিনটি থাকতে বলে মাঠে চলে গেলেন। তার স্ত্রী বললেন, এ সিজনে আমরা ৬ভাড় গুড় খেয়েছি,আর মাত্র এক ভাড় আছে। আমার মাথায় আসমান ভেঙ্গে পড়ল। এটার পরিমান ৭০কেজির মত। এরা প্রচুর পরিশ্রম করে তাই এদের সমস্যা হয়না।

তার স্ত্রী আমার নাস্তার জন্যে বাড়িতে পোষা মুরগী ধরল,কড়া ভাষায় নিষেধ করলাম। বললাম,আমার জন্যেই তো এটা করছেন,তো আমি যদি না খাই তাহলে শুধু শুধু কেন করছেন ? আমি তো খাব আটার রুটি আর ডাল। আসলে তাদেরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করলাম। আর তিনি যে ডাল রান্না করলেন,তার স্বাদ এখনও মনে মনে অনুভব করতে পারছি। মজা করে খেলাম। বড় একটা গাছে অনেক বাতাবী লেবু বা জাম্বুরা ধরেছে। মাত্র দুটি নিলাম,কারন এটা বিক্রী করে তারা কিছু পয়সা পায়। খানিক পর বাড়িতে চলে আসলাম। সাথে নিয়ে আসলাম তৃপ্তীদায়ক স্মৃতি।

আজ রাতে পিকনিক। র‌্যাফেল ড্র আয়োজনের জন্যে যে পরিমান টাকা দিতে চেয়েছিলাম,সেটাই দিচ্ছি তবে পিকনিকের জন্যে। স্থানীয় এক বাবুর্চী আছে আব্দুস সামাদ। সে চমৎকার রান্না করে। বাচ্চারা অনেক আনন্দ করল। কয়েকজন লাউড স্পিকারে গান শুনতে চাইল কিন্তু না করার জন্যে বললাম। তবে কামানের বদলে বন্দুক স্বরূপ হাতে বহনযোগ্য ছোট প্লেয়ারে গান শুনল। কিন্তু তেমন ধরনের সাপোর্ট না থাকাতে সেটা ছিল গুরুত্বহীন। রান্না হয়েছে সুপার। খেলাম গলা পর্যন্ত।

আজ দুপুরে এলাকার দু-জন ফোন করল যে,তাদেরকে পথিমধ্যে আটকাতে পারে সেই লোকজন,যারা লিটন নামক একজনকে মেরে কব্জী ভাঙ্গার পর ওদের একজনকে ধরে পেটানো হয়েছিল। ওরা বেশ কয়েকজন একটি কালভার্টের ওপর বসেছিল বলে জানলাম। আমরা কয়েকজন চললাম সেদিকে। কালভার্ট পেরিয়ে রেললাইনের ওপর উঠলাম। ওরা আমাদের আগমনে পিছু হটল। আমরা স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলছিলাম। ঠিক এমন সময় দেখলাম একদল অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে এগিয়ে আসছে। এদের বয়স ১৫-১৮এর মধ্যে। এদের রেকর্ড হল, এরা মেরে ভারতে চলে যায়। এদের বেশীরভাগই নেশা-আসক্ত। মার্ডার করা এদের পক্ষে সম্ভব। আমরা একেবারে খালিহাতে গিয়েছি। অবস্থা বিবেচনায় দৌড় দিলাম। আমরা আমাদের এরিয়ায় চলে আসলাম। আমি পূর্বের মত নেই,তাই এখন মারামারিতে আগ্রহ নেই। তাছাড়া আমরা ওদের মারলে ,তারাও আবার মারবে,এটা সমাধান হতে পারেনা। সিনিয়ররা ওদেরকে পেটাতে বলল। কিন্তু আমি আপোসের পক্ষে। কারণ আমরা মোটামুটি কাছাকাছি বসবাস করি। এত কাছাকাছি শত্র“তা করে বসবাস করা কষ্টকর। এপাশের নিরিহ মানুষদেরকেও ওরা ধরে পেটাতে পারে। আবার এপাশেও এমন কিছু ছেলে আছে তারাও এভাবে প্রতিশোধ নিবে। সকলের মঙ্গলের জন্যে শেষ মেষ আপোশ রফা হল।

নদীতে গেলাম। বর্ষায় পানি অনেক বেড়েছে। মহা আনন্দে সাতার কাটলাম মাঝ নদীতে। সবাই উঠে গেলেও আমি অন্তত তিন ঘন্টা গোসল করলাম। বেশ কয়েকদিন ধরে এমনটা করছি। এবার ঈদের ছুটি বেশ উপভোগ করলাম।

বিষয়: বিবিধ

২৩৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File