হচ্ছেটা কি ??

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ জুলাই, ২০১৩, ০৬:২২:৫৪ সন্ধ্যা

দুপুরে রাস্তায় গেলাম একটা কাজে। দেখলাম রিক্সাতে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসেছে,হুড ওঠানো। এ রাস্তায় লোক সমাগম বেশী,তারপরও তারা বেহায়ার মত আচরণ করতে করতে চলল। দোকান থেকে ফেরার পথে দেখলাম মাথায় স্কার্ফ পরা একটি মেয়ে,যাকে দেখে ইসলাম অনুসরণকারী মনে হবে। তার পাশে বসে একটি ছেলে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। হুড ওঠানো। মানুষ তাদেরকে অন্তত এক নজর দেখছে ,তাতে তাদের কিছুই এসে যায় না। মাত্র অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি দৃশ্য দেখলাম। এটি প্রতিনিয়ত দেখছি।

একসময় গুলশান বনানীতে ভাসমান পতিতা দেখতাম প্রচুর। কয়েকবার বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়েছি। কিন্তু এখন তাদেরকে আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। সরকার তাদেরকে পূণর্বাসিত করেছে,এমনও নয়।বোধহয় তাদের আর প্রয়োজন নেই। ফ্রি সেক্স এখন ওপেন সিক্রেট কালচারে পরিনত হয়েছে। যারা জনসম্মুখে আপত্তিকর কাজ করতে পারে,তারা গোপনে অবশ্যই সীমা লঙ্ঘন করে। উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে বুড়োরা পর্যন্ত এই সাষ্কৃতিতে নিমজ্জিত।

সামাজিকভাবে আমাদের নির্দিষ্ট কোনো মতাদর্শ নেই। বেশীরভাগ মানুষ মুসলিম কিন্তু ইসলাম নির্বাসনে। যার মনে যা আসে সে তাই করে,এটাই ফ্রিডম অব থট। যার যা ভাললাগে সে তা করে,এটাই ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সমাজ-রাষ্ট্র সরাসরি না হলেও আসলে এটাই শেকাচ্ছে। যা কিছু ব্যতিক্রম সেটা সম্ভব হয়েছে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের কারনে। পরিবার প্রথাটা না থাকলে এটাও থাকত না। পাশ্চাত্য সভ্যতা এবং দালালরা চেষ্টা করছে কিভাবে এই পরিবারটাকেও ধ্বংস করা যায়।

নৈতিকতা বির্জিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকলে লোড তো একটু নিতেই হবে। তবে নিউ জেনারেশন নামের যে জেনারেশনকে আমরা আদরে লালন করছি,এরা এক খেলা দেখাবে। তখন খেলা দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। এরা ফাকা এক মূল্যবোধ নিয়ে নাচতে নাচতে বড় হচ্ছে। এমন কিছু বিষয় এদের আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রন করছে যেটা এরা তেমন একটা বিশ্বাসও করেনা আবার সে অনুযায়ী পুরোপুরি চলতেও পারেনা। এরা সবকিছুকে ফান হিসেবে নিচ্ছে বা হালকাভাবে গ্রহন করছে। এরা গভীরতাহীন চিন্তার অনুসারী। সামান্য সময়ের ফান ফুর্তিতে এরা জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিচ্ছে। আওলা বাওলা জেনারেশন সমাজটাকেই আওলা করে দিচ্ছে

বিষয়: বিবিধ

১৯৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File