বালমোরাল টু চওডার বে
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ জুন, ২০১৩, ০৬:২২:২১ সন্ধ্যা
আজ মসমান নামক এলাকায় যাব। সাগর দেখতে আমার ভাল লাগে,তবে রোদের হাত থেকে বুাঁচার চেষ্টা করি। সাগরের নোনা জলের ওপর সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে গায়ে পড়লে বা সাগরের কাছে দাড়ালে সূর্যের আলো গায়ে পড়লে ত্বকের নীচের মেলানীন মারাত্মক হারে বেড়ে যায়। তখন চামড়া কালো হয়ে ওঠে। এটা ঠিক হতে মাসাধিককাল লেগে যায়। লবনাক্ত পানির সাথে সূর্যের আলো মিশে যা দাড়ায় তার ফলাফল স্বরূপ অনেকসময় ত্বকের ক্যানসার হয়।
আমাদের চামড়া কালো হলেও একটা গুন আছে। আমাদের ত্বকের নীচে থাকা মেলানীন সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মী থেকে আমাদের বাঁচায়। তবে এর মাশূল হিসেবে চামড়া কালো আকার ধারণ করে। সাদাদের এই মেলানীন না থাকায় শীতে তাদের ত্বক অধিক শুষ্ক,রুক্ষ হয়ে পড়ে,ফলে তাদের ত্বকে সরাসরি সূর্যের আলো দরকার হয়। অবশ্য প্রয়োজন না হলেও গরমের দিনেও এরা সরাসরি সূর্যের আলো গ্রহন করে থাকে। আমি সি-বীচে গিয়ে এমন একটি স্থান খুঁজে বের করতাম যেখানে ছায়া আছে এবং মানুষের উপস্থিতি নেই অথবা কম। সেখানে দাড়িয়ে বা বসে আমি সাগরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতাম। তাছাড়া ফেরীতে উঠে সামনের সীটে বসতাম। স্বচ্ছ কাচের বিশাল জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগত। প্রচন্ড গতিতে চলার সময় পানি ছিটকে জানালার ওপর পড়ত। সাগর অশান্ত হলে আরও বেশী মজা। এরা যেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়কেও জয় করেছে। অশান্ত সাগরের ওপর ফেরী টালমাটাল হয়ে যায় কিন্তু তারপরও প্রচন্ড গতি নিয়ে চলে।
টিকেটটি পাঞ্চ করে ঘাটে প্রবেশ করলাম, খানিকক্ষন অপেক্ষা করার পর মসমানের ফেরী আসল। একজন ক্রু একটি মোবাইল করিডোর পন্টুনের একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেট করলেন এবং সম্মানের সাথে যাত্রীদের আহবান করলেন ফেরী থেকে নামার। সে পথ ধরে লাইন মেনে সকলে ভিন্ন রাস্তা ধরে চলে গেল। এবার তিনি ঘোষনা করলেন এটি অমুক স্থানের উদ্দেশ্যে চলেছে আপনারা উঠে আসুন। অবশ্য পন্টুনের ওপর থাকা মনিটরে সর্বদা ফেরীর সময়সূচী দেখায়। তারপরও মানুষ কানে না শুনলে ফেরী মিস করতে পারে ভেবে মুখেও বলা হয়। চালক ছাড়া প্রত্যেকটি ফেরীতে মাত্র একজন এরকম হেলপার থাকেন। এরা যথেষ্ট শিক্ষিত,পেশাদার এবং অতি মার্জিত। যাত্রীরা খানিক পূর্বেই লাইন ধরে দাড়িয়ে গেল। কোনো সোরগোল নেই। বয়স্কদের জন্যে সকলে উদার। তাদেরকে আগে উঠতে দিচ্ছে এবং তারাও হাসিমুখে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে। মসমান এখান থেকে একেবারে কাছে অবস্থিত তাই এদিকে পুরোনো ফেরীগুলো চলে। তবে পুরোনো মানে আমাদের দেশের মত পুরোনো নয়। আমি যেহেতু নতুন তাই ফেরীর কর্মীটির কাছে জিজ্ঞেস করলাম এটি মসমান যাচ্ছে কিনা। এদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করলে এরা বিরক্ত হয়না বরং হাসিমুখে আন্তরিকতার সথে যথাযথ উত্তর প্রদান করে। এটাই হচ্ছে পেশাদারীত্ব। ব্যাপারটা এমন যে আমি একবার প্রচন্ড গতিতে দৌড়ে ফেরীর কাছে এসেছি। ফেরী তখন কেবল ছেড়ে দিবে। আমাকে দৌড়াতে দেখে ক্যাপ্টেন তার সময় পূর্ণ হলেও ফেরী ছাড়ল না এবং চলন্ত রাস্তাটি ওভাবেই রেখে দেওয়া হল যাতে আমি উঠতে পারি। কিন্তু আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম এটি কোন গন্তব্যে যচ্ছে। যে এলাকায় ছিলাম সেখানে মনিটর ছিলনা বরং একটি বোর্ডে লেখা ছিল,আর সেটা দেখতে সময় লাগত। হেলপার লোকটি আমার সাথে কথা বললেন। আমি জানতে চাইলাম,এটি কোথায় যাচ্ছে ? সেখান থেকে ফিরে কোথায় যাবে ? আবার এখানে আসবে কিনা,পরবর্তী ফেরী কখন আসবে? ইত্যাদী। আমি বললাম ঠিক আছে আমি ওখানেই যেতে চাই। আমাকে বললেন,এই গন্তব্যে যেতে আলাদা টিকেট লাগে।
আমি তার সাথে অযাচিতভাবে অন্তত ২ মিনিট কথা বললাম। মূলত এটা দীর্ঘ সময়। কারন যাত্রী ভর্তী ফেরী এবং এরা এক মিনিট দেরী হওয়াকেও খারাপ মনে করে। কিন্তু একজন যাত্রীর প্রয়োজনে ক্যাপ্টেন ফেরীটি দাড় করিয়ে রাখল। আর ফেরীর যাত্রীরা হাসি হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল,কেউ কেউ আমাদের কথপকথন উপভোগ করছিল। কাওকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনী। আমি অবশ্য দু:খ প্রকাশ করলাম তাদের বিলম্ব ঘটানোর জন্যে। হাসি মুখে তারা বিদায় হল এবং কোনো বিরক্তী প্রকাশ করল না।
একস্থানে এসে ফেরী থামল আর আমি নেমে গেলাম। নেমে দেখলাম একটি বাস থেমে আছে ঘাটের কাছে। মূলত ফেরী থেকে যাত্রী নামলেই তাদেরকে বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যায়। ফেরীর সময়ের সাথে এসকল বাসের সময় নির্ধারণ করা আছে। আমি ড্রাইভারকে বললাম,মসমান যাব। ড্রাইভার বললেন,মসমানের বাস তো এখান থেকে পাওয়া যায় না। এটা হল ক্রমন পয়েন্ট। তোমাকে বাসে উঠতে হলে অনেকদূর যেতে হবে। আমি বুঝলাম ভুল করেছি। তিনি আমাকে পরবর্তী ফেরীর জন্যে অপেক্ষা করতে কললেন।
সম্ভবত একঘন্টা অপেক্ষার পর ফেরী আসল। আমি উঠে দেখলাম ভেতরে মানুষ মাত্র কয়েকজন। হেলপারকে বললাম মসমান যাব,আমাকে চিনিয়ে দিও,কোথায় নামতে হবে বলে দিও। তিনি সম্মতি জ্ঞাপন করলেন। পরবর্তী স্টপ ছিল ওল্ড ক্রমন,আমি অন্যদের সাথে নেমে যাচ্ছি দেখে তিনি বললেন,তোমার গন্তব্য আসেনি,আমি জানিয়ে দেব,নিশ্চিন্তে বসে থাক। তারপরও বাঙালী বলে কথা,মিস্গাইড হতে অভ্যস্ত। ভাল সার্ভিস কাকে বলে সেটাও তো জানা নেই। আর সিডনী এসেছি মাত্র কয়েকদিন হল। এবার ওপরের তলায় উঠে সাগর এবং তীরের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে অগ্রসর হলাম। ওল্ড ক্রমনের পাশেই মসমান। ফেরীর ওপর থেকেই এর সৌন্দর্য্য দেখে পাগল হলাম। অবশ্য এখানকার সকল এলাকাই সুন্দর। আমরা সাগররের তীর ধরে ভেতরে একটা চ্যানেলে ঢুকলাম। এটি কয়েকশ মিটার হবে। এখানে শতশত মাছ ধরার বোট,স্পিড বোট,ব্যক্তিগত ছোট প্রমদতরী,উঁচু মাস্তুল বিশিষ্ট বিশেষ নৌকা দেখলাম। প্রায় সকল নৌযানের রং সাদা। অনেকে দেখলাম হুইল ফেলেছে পানিতে। এখানে সাগরের ঢেউ একেবারে কম।
সাউথ মস্মানে ফেরী ভিড়ল। পন্টুনের ওপর মসমান নাম দেখেই নেমে গেলাম। হেলপার সাহেব বললেন,হে ম্যান ! তোমার গন্তব্য এটা নয়। উঠে এসো। পরের স্টপে নামবে তুমি। সাউথ মসমানে অল্প কিছু লোক থাকে ,এরা বেশ ধনী। সাগর পাড় ঘেষে তারা চমৎকার বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে। পাড় মূলত পাহাড়ের মত উঁচু।
আমি ফেরীতে উঠে আসলাম। প্রায় তিনশ মিটার গিয়ে একটি ঘাটে ফেরী থামল। এটিই শেষ স্টপ এবং এর নাম মসমান। আমার সাথে মাত্র দুই/তিন জন ছিল। দেখলাম ওপাশে একটা বড় বাস দাড়িয়ে আছে,সেটাতে করে মসমান জংশন যেতে হয়,তারপর আমার গন্তব্য,অবশ্য আমি আমার গন্তব্য জানিনা। বাসে উঠলাম না,কারন ইতিমধ্যে খানিক সময় নষ্ট হয়েছে। যদি কোনো অজানা গন্তব্যে চলে যায়,আবার সময় লাগবে রুটে ফিরে আসতে। আমি হাটা শুরু করলাম। এটা খুব দারুন জায়গা।
ফেরীঘাটটা খুব সুন্দর করে বানানো। ওপরে উঠলেই লনের পাশে সারি সারি ফুলগাছ। ছোট্ট একটা পার্ক মত আছে। হাটতে হাটতে ওপরে উঠলাম। সুন্দর রাস্তা ধরে হেটে চললাম প্রায় পচিশ মিনিট। তারপর একটি রাস্তায় উঠলাম,এতক্ষণ শুধু নীচ থেকে ওপরে উঠেছি। এটাই মসমান জংশন।
এখানে অনেক দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এখানকার দোকানে বেশ দামী জিনিসপত্র দেখলাম। দামী দোকান-পাটে ব্যবসা করা বেশ কষ্টকর। অনেক দোকান খালি দেখলাম এবং লেখা আছে ভাড়া দেওয়া হবে। রাস্তার দুপাশে অনেক প্রসাধনীর দোকান,খাবার রেস্তোরা,পানশালা রয়েছে। একজন পথচারীকে জিজ্ঞেস করলাম সি-বীচ কোন দিকে ? তিনি বললেন, একটু দূরে,তুমি ওই বাস স্টপে যাও সেখানে বাস পাবে।
তোর এত লেকচারের আমি ধারী ? আমি হলাম হন্টন বিশারদ। ধন্যবাদ দিয়ে চলতে লাগলাম। এবার এক কুকুর ওয়ালী ভদ্র মহিলাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম,সি-বীচে কিভাবে যাব ? তিনি আঙ্গুল নির্দেশ করে রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। আমি আরেক পাশের ঢালু রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলাম। বিভিন্ন প্যাচে রাস্তা চলে গেছে নীচের দিকে। প্রায় বিশ মিনিটের মত হাটলাম। একটা সাংঘাতিক সুন্দর স্থানে এসেছি। এটা হল বালমোরাল বীচ। সাগরের পাশে অর্ধ চন্দ্রাকারে এটি অবস্থান করছে। পুরো এলাকা খুবই পরিচ্ছন্ন করে তৈরী করা হয়েছে। বীচের পাশ ধরে বড় বড় বটগাছ। সেগুলো থেকে শাখা বা রশী ঝুলে পড়েছে। আছে সবুজ মাঠ আর তার সাথেই কংক্রিটের চওড়া রাস্তা। যা বক্রাকারে এক কিলোমিটারেরও অধিক হবে। এরপরে আছে একটি কংক্রিটের রেলিং এবং তারপর বালুকাময় সাগর তীর। এ বীচে ধনীক শ্রেণীর আনাগোনা বেশী। প্রত্যেকটি স্থানে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। পুরো বীচটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায়। আছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাড়ি পার্কিয়ের জন্যে বন্ধের দিনে প্রতি ঘন্টায় তের ডলার হারে গুনতে হয়। গাড়ি পার্ক করে অটোমেটিক একটি মেশিনে কার্ড পাঞ্চ করতে হয় এবং এভাবেই যন্ত্রের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়। কেউ হাতে হাতে টাকা নিয়ে যায়না বা কাগজের স্লিপ ধরিয়ে দেয়না।
আমি এখানকার প্রকৃতির সান্নিধ্যে মুগ্ধ হলাম। এখানে বীচের সাথে তিনটি দামী রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে খাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি,না হয়ে ভালই হয়েছে। আমাদের দেশের একজন মধ্যম মানের অফিসার তার এক মাসের বেতন দিয়ে এখানে ভরপেট খেতে পারবে না। আমি হাটাহাটি করলাম। এ রাস্তা ধরে হাটতে ভাল লাগে। পুরো বীচটা একবার দেখলাম,তারপর শেষের অংশে নেমে গেলাম বালিতে। ওদিক দিয়ে হাটতে হাটতে সাগরের কাছাকাছি আসলাম। তবে আমি কেড্স পরে হেটেছি যা অন্যরা করেনা। বালিতে খালিপায়ে হাটাই নিয়ম। তবে এ নিয়ম লঙ্ঘনে কেউ কিছু বলে না। কিন্তু কদিন পর আমার কেডসের তলার আঠা উঠে যাওয়াতে বুঝলাম নোনা বালির ওপর কেডস পায়ে হাটা উচিৎ হয়নি।
এখানে বিশাল বিশাল প্রাকৃতিক পাথরের চাক রয়েছে। তার ওপর দিয়ে বেশ খানিক হেটে গেলাম। এদিকে লোকজন নেই। আমি একটি পাথর খন্ডের ওপর বসে সাগর দেখতে লাগলাম। বিশাল ঢেউ পাথরের খাজে ঢুকে প্রচন্ড বেগে ওপরে পানি ছুড়ে দিচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে প্রায় সকলেরই ভাল লাগার কথা। বাম পাশ ধরেই রয়েছে একটি বাগান। এটি একটি উচু টিলা। সেখানে উঠলাম। এক বৃদ্ধকে দেখলাম তার বাড়ির সামনের বাগানে পানি দিচ্ছে। তার সাথে চোখাচোখী হতেই কথা হল খানিক। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,আমি এদিকে কোথায় যাচ্ছি। বললেন, এদিকে তোমার তেমন ভাল লাগবে না আর অনেক হাটতে হবে এই উঁচু স্থানে। তার চাইতে তুমি বরং ওই দিকটাতে যাও। ওখানে একটা মাঠ আছে তার ওপর দিয়ে চলে যাবে। ওপাশে একটা সিড়ি দেখবে পাহাড়ের ওপর চলে গেছে। সেটা তোমার ভাল লাগবে,আর এনার্জী থাকলে পাহাড়টা পার হয়ে ওপাশে গিয়ে হাটতে থাকবে অথবা ২৪৪নং বাসে করে ‘চওডার বে’ দেখে এসো। ধন্যবাদ দিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিলাম।
বালমোরাল বীচের মাঝামাঝি স্থানে একটা উপদ্বীপ(তিন দিকে পানি একদিকে মাটি)। এটি একটি গাছগাছালিতে ঘেরা ছোট্ট স্থান। পাথুরে মাটির ওপর বড় বড় গাছ। এর কিনার থেকে সাগরের পানি অন্তত ২৫/৩০ ফুট নীচে। এখানে গাছের ছায়ায় বেশ কয়েকটি বেঞ্চ রয়েছে বসার জন্যে। আমি সেখানে গিয়ে বসলাম। সামনে দীগন্ত বিস্তৃত জলরাশী। বড় বড় ঢেউ পাথরের ওপর এসে পড়ছে। চমৎকার হাওয়া বইছে। সত্যিই চমৎকার লাগল। উঠে আসলাম। এবার বীচের অন্য প্রান্তে আসলাম। এখানে কংক্রিটের একটি ব্রিজ আছে তবে সেটি সাগরের সৌন্দর্য উপভোগের জন্যে আর এটি চক্রাকারে অবস্থিত এ কারনে যে,এর নীচের অংশে স্টিলের নেট দিয়ে ঘেরা রয়েছে,যাতে বাচ্চারা এর ভেতরের পানিতে সাতার কাটতে বা খেলাধুলা করতে পারে। অবশ্য বড়রাও এ অংশে সাতার কাটতে পারে। এখানে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ,আমি হাটতে থাকলাম। পার্কিং জোনটির পরেই একটি বিশাল মাঠ। মাঠের এক কোনে বাচ্চাদের স্কুল আছে। সম্ভবত প্লে গ্র“প এবং নার্সারীর বাচ্চারা এখানে পড়ে। সে স্কুলে দেখেছি হাজার রকমের খেলনা। তাদেরকে শিক্ষকেরা বিভিন্ন গ্র“পে বিভক্ত করে নানান খেলায় মত্ত রেখেছে। খেলার সরঞ্জামগুলো বেশ দামী মনে হল। বোধহয় ধনী লোকেদের বাচ্চারা এখানে আসে।
বিষয়: বিবিধ
২২১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন