সিডনীর পথে ৩
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৮ মে, ২০১৩, ০৯:২০:১৬ সকাল
হাতটা থেকে মিহি সুগন্ধ ছড়াচ্ছে এবং মনে হচ্ছে হাতটা আমার খুবই পরিচ্ছন্ন,কোমল। খানিকক্ষন বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখলাম তারপর ফেরার সময় আবার সেই মেয়েটার সাথে দেখা। সে আমাকে দেখেই বলল,আমি জানতাম তুমি আবার আসবে ,কারন এটা তোমার পছন্দ হতেই হবে। আমি একগাল হেসে তাকে বিদায় জানালাম। সে তখন নতুন কাওকে খুঁজতে থাকল,হাত থেকে ময়লা বের করার জন্যে। কিছু বলার নেই,এটাই তার কাজ।
যাইহোক বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর এমনিতেই ভাব বেশী। কিন্তু এখানকার এসব বৃহৎ কোম্পানীর আচরনে মনে বড় ব্যাথা পেলাম। মনে হতে লাগল,আমি তৃতীয় বিশ্বে জন্মে এদের কাছে তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ হিসেবেই বিবেচিত হলাম।
তবে আজ যে কোম্পানীর সাথে মিটিং হল,তারা আমাকে মূল্যায়ন করেছে। যদিও এরা সর্ব বৃহৎ কিন্তু আচরন অন্য কোম্পানীর মত করেনি। উক্ত কর্মকর্তাটি চায়নিজ হওয়ার জন্যে এমন সুআচরণ করলেন কিনা বুঝলাম না। তবে সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের কিছু আচরনে খুশী হতে পারিনি,যদিও রাস্তাঘাটে তারা অতি অমায়িক। ফোন বেজে উঠল। আমার ভাগনী ফোন করে আমাকে মাসকট ট্রেন স্টেশনে আসতে বলল,ওরা আমাকে ওখান থেকে নিয়ে যাবে সেন্টানিয়াল পার্কে। আজ শনিবার ছুটির দিন,একটা পিকনিক আছে। এখানে পুরোপুরি ছুটির দিন হল রবিবার। শনিবারে অনেক অফিস খোলা থাকে।
দুপুর প্রায় বারোটা বাজে। মাসকট স্টেশনে আসলাম। এখানে ট্রেন চলেছে মাটির বহু নীচ দিয়ে। এটা এয়ারপোর্ট লাইন। আমি একতলা সিড়ি বেয়ে উঠে তারপর লিফটে উঠলাম,লিফট আমাকে একেবারে রাস্তার ওপর নিয়ে আসল। লোকজন তেমন নেই। আকাশ একটু মেঘলা মেঘলা,একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। সিডনীর আবহাওয়া ঘন্টায় ঘন্টায় পরিবর্তিত হয়। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকার অর্থ এই নয় যে,সেটি পরিষ্কার হতে পারেনা। দেখা যায় ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই মেঘ সরে রোদ দেখা যাচ্ছে। একইভাবে রৌদ্রজ্জল দিনটি কিছুক্ষনের মধ্যেই মেঘে ঢেকে যেতে পারে। তবে আবহাওয়ার একটা নিয়ম আছে এখানে। যার কারনে আবহাওয়া অধিদফতর পরবর্তী এক মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারে এবং তা প্রায় সময়ই সঠিক হয়ে থাকে।
রাস্তার পাশে থাকা বেঞ্চে বসে অপেক্ষমান থাকলাম। কিছুক্ষণ পর ওরা আসল ২২মাস বয়সী নাতি আমাকে দেখে হেসে বলে উঠল-না...না(নানা) এবং আমরা সেন্টানিয়াল পার্কের দিকে চললাম। পার্কটি এখান থেকে নিকটে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন