নারী অধিকারের পোস্টমর্টেম...৬
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৮ মে, ২০১৩, ০৯:৩৮:২৪ রাত
পাশ্চাত্যের জীবন ব্যবস্থা
তাদের জন্য সুফল বয়ে আনেনি
পাশ্চাত্যের তৈরী জীবন ব্যবস্থা (এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ঋৎববফড়স)তাদেরকে নৈতিকভাবে পশুর পর্যায়ের উন্নিত করেছে। আমি জানি আপনি এখন ক্ষেপে যাবেন এবং বলবেন তাদের নৈতিক চরিত্র প্রশ্নের উর্ধ্বে, করণ তারা অভাবীকে খাবার খাওয়ায়, তারা বৃদ্ধকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দেয়, গরীবদের দান করে এমনকি তুমি যে লম্বা লেকচার দিচ্ছ, তোমার দেশের অর্থনীতিতে তাদের যথেষ্ট অবদান আছে, তারাই টাকা দিয়ে আমাদের ঘাটতি বাজেট পুরণ করে।
যদি আপনি এভাবে মহিমা কীর্তন করেন তাহলে তো আমাকে বলতেই হয়, মানে মুখ খুলতেই হয়। আজ তাদের যে নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিটি বৃদ্ধকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিল। সেই’ই তার বৃদ্ধ পিতা মাতাকে খুবই ভদ্রভাবে বলে “উধফ তোমার ঘরে আমার একটা স্নুকার বোর্ড(বা কোন একটা অজুহাত) রাখতে হবে। কোন রুম তো খালি পাচ্ছিনা তাই এ ঘরটা তোমাদের ছেড়ে দিতে হবে। তোমাদেরকে সবথেকে সুন্দর আশ্রমে রেখে আসবো, টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা, সময় মত পেয়ে যাবে।” হ্যাঁ, এই লোকটি সারাদিন অফিসে কাজ করে সন্ধ্যায় স্ত্রীর সাথে একটি সুবর্ণ সময় কাটানোর জন্য ক্লান্ত, শ্রান্ত দেহে বাসায় আসে, তারপর দেখতে পায় তার স্ত্রী তার বেড রুমে তার boy friend এর সাথে সুবর্ণ সময় কাটাচ্ছে। তখন সে তার girl friend এর কাছে চলে যায়। কিন্তু স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে শূধুই দৈহিক সম্পর্ক থাকেনা এখানে প্রেম, ভালবাসা,আবেগ,অনুভূতি এবং বোঝাবুঝির ব্যাপার থাকে। তাই ওই লোকটির পক্ষে ওরকম পরিস্থিতিতে সবসময় তার Girl friend কে চিন্তা(অথবা স্ত্রীর পক্ষে বয় ফ্রেন্ডের চিন্তা) করা সম্ভব হয়না। তাই এ পরিস্থিতিতে কখনও কখনও উত্তপ্ত হয়ে তাকে হত্যাকান্ড ঘটাতেও দেখা গেছে, আত্মহত্যা করতেও দেখা গেছে। আর স্ত্রীকে এ ব্যাপারে বলা মানে তো আরেক বিপদ, কারণ এটা স্ত্রীরFreedom। সে Freedom এ হস্তক্ষেপ করলে তাকে জরিমানা গুনতে বা জেল খাটতে হতে পারে। একই ঘটনা তার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও বিপরীতভাবে ঘটে থাকে। এছাড়া আছে কথায় কথায় ডিভোর্স। একটু মনোমালিন্য হলেই তারা আলাদা হয়ে যায়। এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি স্বামীর উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল থাকে তবে উক্ত নারীর বিপদটা সহজেই অনুমান করা যায়। এই মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতা পিতা, পুত্র, কন্যা, স্ত্রী প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তাই সন্তানকে শাসন করার ক্ষেত্রে তাকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়, যাতে তারFreedom খর্ব না হয় নইলে আবার জেল জরিমানা।
“More Earn More fun” এই নীতি নিয়ে কি তারা খুব সুখে আছে ? হ্যাঁ ,তাদের অধিকাংশ মানুষ বিত্তশালী হয়েছে, কিন্তু সম্পদের সুষম বন্টন তারা করতে পারেনি তাই সর্বোচ্চ বিত্তশালীদের দেশেও মজলুমের অভাব নেই।(শুধু পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোতেই নয়, পুঁজিবাদ ধ্বংস করতে চাওয়া সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোও শ্রেণীহীন সমাজের কথা বলে যে শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাতে শাসক গোষ্ঠী নামক এক প্রচন্ড শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর শ্রেণী গড়ে উঠেছিল যারা মানুষকে শোষণ করেছে নির্মমভাবে।)Western Societyi র উদাহরণ দিলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেহারা ভেসে ওঠে। অথচ সেখানকার জনগনের ১২% সম্পদহীন যারা দু-বেলা, দু-মুঠো খাবারের জন্য যুদ্ধ করে(তাদের আয়ের পরিমান বেশী তবে পণ্য ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের বহু মানুষ গরিব)। আবার ধনী মানুষের তালিকায় তাদের লোকরাই শীর্ষে থাকে। অর্থাৎ বাংলায় বলতে হয় ‘দশ তলা ও গাছ তলা’ দশা। তারা যে জীবন ব্যবস্থা কায়েম করেছে এটা তারই সুফল(?), কারণ তাদের জীবন ব্যবস্থা সম্পদ কুক্ষিগত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন