ব্লু মাউন্টেন

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ মে, ২০১৩, ১০:১২:০৩ সকাল





এক রবীবারে ভাইগনা,ভাগনী সহকারে রওনা হলাম ব্লু মাউন্টেনের উদ্দেশ্যে। এটি এমন একটি চমৎকার পাহাড়ীয়া অঞ্চল যা ওর্য়াল্ড হেরিটেজের অংশ। এখানে ট্রেনেও যাওয়া যায় । সিডনীর সেন্ট্রাল ট্রেন স্টেশন থেকে ৬৫কি:মি: দূরত্বে এটি অবস্থিত। সময় লাগে ২ঘন্টা। সারাদিনের জন্যে ২০ ডলারে কেনা একটি ট্রেন-ফেরী-ট্রামের মাল্টি টিকেটই যথেষ্ট। আমরা গাড়িতে রওনা হলাম। হাইওয়েতে উঠলে ম্যাকডোনাল্ডস এর ছড়াছড়ি। আধাঘন্টা ড্রাইভ করে একটি পেট্রোল স্টেশন এসে বিরতি নিলাম। এখানে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে কোক,আইসক্রিম,স্নাকস খেলাম।

আমার ভাগনী জামাই হালাল-হারামের ব্যাপারে খুবই কঠোর। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে ইসলামের অনেক কিছু পালন করা সম্ভব না হলেও তার চিন্তা-চেতনা খুবই পরিষ্কার। ইসলামের প্রতি রয়েছে তার গভীর মমত্ববোধ। তার এমন কিছু যোগ্যতা আছে ,যা অনেক পরিচিত আলেমের মধ্যেও দেখিনি। সড়ক পথে ইঙ্গেলবার্ণ থেকে আনুমানিক প্রায় ১২০ কি:মি: দূরে এই ব্লু-মাউন্টেন। ব্লু মাউন্টেনের মোট এরিয়া ১১৪০০ব:কি: মি: অর্থাৎ একটি বিশাল এলাকা। ঢাকা শহরের চাইতে ২২ গুন বৃহৎ এই এলাকায় বসবাস করে মাত্র এক লক্ষ ৬২ হাজার লোক। এর সর্বোচ্চ উঁচু স্থান মাউন্ট ওয়েরং এর উচ্চতা সাগর বক্ষ থেকে ১২১৫মিটার(৩৯৮৬ফুট)। পুরো অংশ কয়েক দিনেও দেখে শেষ করা সম্ভব নয় তাই এর বিশেষ বিশেষ কিছু স্থানেই পর্যটকরা ভ্রমন করে থাকে।



আমরা হাইওয়ে ধরে এগিয়ে গেলাম বেশ গতিতে। পথে এত সুন্দর রাস্তা এবং প্রকৃতি দেখেছি যা ভোলার নয়। এক স্থানে একটা নদী দেখলাম আর আমার মনে হল একটা চমৎকার ছবির ওপর দিয়ে চলে গেলাম। নদীর ওপরের ব্রিজের ওপর দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন নদীতে একটা দ্রুতগামী স্পিডবোট দেখলাম। মনে হচ্ছিল আমি চালাচ্ছি। নদীতে ঢেউ তুলে সেটা এগিয়ে যাচ্ছিল। নদীর দুধারে সবুজ বনভূমী। নদীর পানি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এসব নদীতে ডুবে মরলেও আফসোস কম হয়।

অনেক স্থানে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। এরা পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করলেও সেটা খুবই প্রশস্ত করে তৈরী করে। কোনো কিছু তৈরী করতে টাকার যোগান নিয়ে ধনী দেশগুলোর আমাদের মত সীমাবদ্ধতা থাকেনা। এরা এসব কাজে ফাঁকি দেয় বলেও মনে হয়না।



আমরা খুবই মসৃন সুন্দর রাস্তা ধরে পাহাড়ের ওপরে উঠে আসলাম। রাস্তার পাশ দিয়ে কাঠের ব্লক পুতে রাস্তার নিরাপত্তা এবং সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। পর্বতের মাথায় গাছগাছালি এবং ফুলের বাগান রয়েছে। দুধারে গাছপালা,তার মাঝে বিশেষ পাথর দিয়ে তৈরী মনোরম রাস্তা ধরে থানিক এগিয়ে থামলাম। আমরা একটি পাহাড়ের মাথায় এসেছি। এটি এমন একটি পার্বত্য অঞ্চল যার সৌন্দর্যের বর্ণনা করার জন্যে চিন্তা ভাবনা করছি কিন্তু তেমন যুৎসই শব্দ খুঁজে পাচ্ছিনা। আজ একটু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। বোধহয় ১৮/২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পার্কিং জোনে গাড়ি পার্ক করে আমরা খানিক হাটলাম। কিছুক্ষন পর আমরা একটি দর্শনীয় স্থান পেলাম,যেখানে দাড়িয়ে বহু দূরের পর্বতশ্রেণী দেখা যায়। সৌন্দর্য্য দর্শনের জন্যে এখানে পাহাড়ের কিনার ঘেষে একটি বিশেষ স্থান তৈরী করা হয়েছে,যা মজবুত কংক্রিটের তৈরী এবং বুক সমান লোহার গ্রিলে ঘেরা। এখানে আরামে বসার জন্যে কাঠের তৈরী দৃষ্টিনন্দন বেঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। মাঝখানে রয়েছে খাট সদৃশ একটি বড়সড় বসার স্থান,যেটা একটি পরিবারের জন্যে উপযোগী। এটিও মজবুত কাঠ এবং কংক্রিটের তৈরী। এই স্থানটির নীচ বরাবর খাড়া পর্বতের ঢাল। নীচে তাকালে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। যতদূর চোখ যায় নীল রঙের গাছগাছালি শোভিত পর্বতশ্রেণী। গীরিখাত জুড়েও নীলের সমারোহ আর কখনও কখনও দেখা যায় সাদা মেখ ভেসে চলেছে সেসব নীল বনের ওপর দিয়ে। মনে হয় জঙ্গলের ভেতর থেকেই মেঘের উৎপত্তি। এই নীলের সমারোহের কারনে এটি ব্লু-মাউন্টেন হিসেবে খ্যাত।



সামনের দিকে একটা উঁচু শৃঙ্গ দেখলাম যেটি পাথর এবং পাথুরে মাটির তৈরী। এর খাড়া পাশটা দেখলে যে কারো ভাল লাগবে। লাল রঙের পাথররের বিরাট চাক যেন একপাশ থেকে খাড়া ভাবে কেটে এটি তৈরী করা হয়েছে,মাঝে মাঝে কিছু খাঁজ রয়েছে। এর ওপর রয়েছে ছোট ছোট সবুজ গাছ পালা,জঙ্গল। ওপরের দিকটি মোটামুটি সমতল। গিরিখাতের দিকে তাকালে শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছা করে। পর্বতের নীচের দিকে বড় বড় গাছের জঙ্গল রয়েছে। সেটা ঘন এবং সন্নিবেশিত। এই জঙ্গলে চার’শ ধরনের জীবজন্তু রয়েছে। এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল ডিংগো নামক এক ধরনের বণ্য হিংস্র কুকুর এবং ব্লাক প্যানথার। আর কোয়েলা তো সারা অস্ট্রেলিয়া জুড়েই রয়েছে।

প্যানথার আসলে কালো চিতা। চিতার পেট থেকেই প্যানথারের জন্ম। যেসব চিতার জন্মগত কিছু ত্র“টির কারনে এর গায়ে হলুদ-কালো ফোটা ফোটা রং প্রকাশিত না হয়ে কালো হয়,সেটিই হল প্যানথার। তবে এর কালো চামড়ার ওপর উজ্জ্বল আলো ফেললে কালোর ভেতর থেকে গোল গোল ছাপ দেখা যায়। ডিংগো খুব হিংস্র হয়ে থাকে। কোনো পর্যটক পাহাড়ের পাদদেশে ক্যাম্প তৈরী করে রাত যাপন করলে তাদেরকে সতর্ক হতে হয়। এরা দিনে রাতে সব সময়ই বিচরন করে। মানুষের সাথে খাবার থাকলে সে খাবার এদেরকে আকর্ষণ করে এবং খাবারের লোভে এরা তাবুর নিকটবর্তী হয় এবং বাগে পেলে ক্ষতি করতে পারে।

খানিকক্ষন এখানে দাড়িয়ে দেখে ভাইগনাকে বললাম চল হাটতে থাকি। দুজন হেটে চলেছি। একস্থানে দেখলাম বন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পাথুরে মাটি কেটে তার খাঁজে খাঁজে কাঠের ব্লক দিয়ে সিড়ি তৈরী করা হয়েছে। সিড়িগুলো আনুমানিক প্রায় চারফুট প্রশস্ত করে তৈরী করা হয়েছে যাতে দ্রুত ধাবমান কেউ ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে না যায়। তারপরও কিছু কিছু স্থানে বেশ খাড়া সিড়ি দেখলাম। বনের ভেতর দিয়ে নেমে যাচ্ছি সিড়ি দিয়ে। এই সিড়িযুক্ত রাস্তা আমার খুব ভাল লাগল। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। কোথাও কোথাও গাছের শুকনো বা সজিব ডাল পথের ওপর এসে পড়েছে। পাখির কন্ঠে মুখরিত বন। আমরা নেমে যাচ্ছি অজানার উদ্দেশ্যে। আমরা নীচে নেমে আসলাম। এই নীচে নামা অবশ্য প্রকৃত নীচে নামা নয়,এটি একটি পর্বত শৃঙ্গ থেকে আনুপাতিক হারে নীচে নেমে আসা মাত্র। নীচে নেমে দেখলাম আমরা আরেকটি পর্বত চূড়ায় অবস্থান করছি। এখানে আসার সময় খানিকটা ওপর থেকে একটি বড় সড় ঝর্নার উপস্থিতি বুঝতে পেরেই মূলত এদিকে আসা।







নীচে এসে কি যে ভাল লাগল ! ঝর্ণার পানি কয়েক ধাপ পাথরের ভূমীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই উঁচু স্থান বেয়ে খাড়াভাবে নীচে নেমে যাচ্ছে। বামের উঁচু স্থান থেকে পানির ধারা বেশ বেগবান। সেটা একটা বিশাল সমতল পাথর খন্ডের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় চারিদিকে পানি বহু ধারায় ছিটকে প্রবাহিত হচ্ছে। এখান থেকে পানি গড়িয়ে একটি ছোট জলাধারে পতিত হচ্ছে এটি গভীর নয়,বড়জোর এক মিটার হবে এবং সেখান থেকে মাত্র ৪০ /৫০ফুট দূরে গিয়ে খাড়া ঢাল বেয়ে নীচে গড়িয়ে পড়ছে।

এখন গরমকাল তাই পানির ধারা প্রবল নয়। প্রবল বর্ষনের পর এটি যথেষ্ট ভয়াবহ আকার ধারন করে। এটি হচ্ছে ওয়েন্টওর্থ ফলস। বহুদূর থেকে উৎপন্ন হয়ে এটি এখানে পতিত হচ্ছে।

আমরা বিছিয়ে রাখা বড় বড় মসৃন পাথরের চাকের ওপর দিয়ে ওপাশে গেলাম। পানি যেখানে সমান্তরালে পতিত হচ্ছে সেখানকার গভীরতা এখন এক মিটারের বেশী হবে না। এর গতি বর্ষার সময়ের মত ততটা প্রবল নয় তবে দর্শনীয়। চওড়ায় ২০ ফুটের কাছাকাছি হবে। পানির পতিত হওয়ার দৃশ্য দেখতে খুব ভাল লাগে। পানির ধারাগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পতিত হচ্ছে এবং পাথরের ওপর দিয়ে তা প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা ঝর্ণার কাছে আসলাম। কাছ থেকে এর সৌন্দর্য্য আবলোকন করলাম। পানির পতিত হওয়ার যে শব্দ তা বেশ দারুন লাগে। যে পাথরখন্ডের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তার ওপর উঠলাম এবং আরও ভালভাবে অনুভব করার চেষ্টা করলাম। ঝর্ণার দুধারে গাছপালা। ঘন গাছপালার মধ্যে অনেকগুলি দেখলাম শুকনো গাছ। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই মরে পড়ে আছে। এগুলো কাটার কেউ নেই,দরকারও নেই। সেই মরা গাছগুলোই যেন বেশী আকর্ষণ করে। ঝর্নার ওপর থেকে দেখেছি অনেকগুলো শুকনো গাছ এবং ডাল পালা ঝর্ণার পানির ওপর এসে পড়েছে। অনেক ঝোপঝাড় রয়েছে এবং সেগুলো যেন ঝর্ণার সৌন্দর্য কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বশব্দে জলধারা বিরামহীন গতিতে নেমে আসছে। পানিতে হাত দিয়ে সিক্ত হওয়ার চেষ্টা করলাম। আরও কিছু পর্যটক এসেছে দেখতে। ভাল লাগল।



এবার আমরা ওপরের দিকে উঠব। এপাশে চমৎকার শৃঙ্গ রয়েছে। দূর থেকে অনেক সুন্দর লাগে,এবার কাছ থেকে দেখার পালা। এখানে আরও একটি ঝর্ণা আবিষ্কার করলাম তবে এটি মরার মত বেঁচে আছে। একটি উঁচু পাথর খন্ডের ওপর থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে পিটপিট করে। পাথরখন্ডের চারিপাশে শ্যাওলা এবং ঝোপঝাড়। এটা দেখতে চমৎকার। আরও ওপরে উঠতে লাগলাম। এখানে পায়ে হাটা পথ এবং চারিদিকে বুনো ঝোপঝাড়। টিভি চ্যানেলে অস্ট্রেলিয়ার পোকা-মাকড়,সাপখোপের কথা শুনলেও বাস্তবে সেটার দেখা পেলাম না। অবশ্য সাপেরা ভীতু প্রকৃতির। কেউ আসছে বুঝতে পারলে তারা পালায়। তারপরও সতর্ক ছিলাম। এখানকার কিছু বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় হাজার প্রজাতির মাকড়সা থাকলেও তার মধ্যে মাত্র তিন প্রজাতির মাকড়শা বিষাক্ত। এটা হল ট্যারানটুলা,রেড ব্যাক এবং অন্যটির কথা মনে নেই। ট্যারানটুলা বেশ বড় হওয়ায় দেখতেও ভয়াল। রেড ব্যাকগুলো আকারে ছোট। এর পিঠের ওপর লাল রং,ফলে চিনতে সহজ। আমার অত চেনার শখ নেই অবশ্য বাড়ির সামনের ঝাউগাছের সাথে রেডব্যাক দেখা গিয়েছিল সেদিন। আমার ভাগনী সেটা মেরে ফেলেছে। আমার ভাগনীর ছেলে(নাতী- অর্ভিক) মাঝে মাঝে গাছে হাত দেয় এজন্যে আমরা সেদিন গাছগুলো ছেটে সুন্দর করে রেখেছি।

আমরা ওপরে উঠতে উঠতে একেবারে মাথায় আসলাম। এখানে বড় পাথরের প্রাকৃতিক ফাটলই একটি দরজার জন্ম দিয়েছে এটি একটি সুড়ঙ্গ তবে দীর্ঘ নয়। মাত্র কয়েক মিটার। আমরা সেটার ভেতর দিয়েই সু-উচ্চ একটি লুক আউটে পৌঁছলাম,এটাই রকেট পয়েন্ট। স্থানটির নাম রকেট পয়েন্ট হওয়ার যৌক্তিকতা আছে। এখানে দাড়ালে নিজেকে রকেট মনে হয়,যেন এখনই আকাশে ছুটে যাব। পর্বতের একটা খাড়া অংশের মাথায় দাড়িয়ে আছি।

এখান থেকে অন্য পর্বত শৃঙ্গ দেখা যায়। আমরা খানিক পূর্বে যে পাহাড়ের ওপর ছিলাম সেটার নীচের দিকটা দেখলে ভয় পেতে হয়। সেটি একেবারে খাড়া এবং পাথরের খাড়া অংশে অনেক খাজ কাটা আছে। মজার ব্যাপার হল,সেখানে আরও খানিকটা কেটে পায়ে হাটা রাস্তা তৈরী করে রেলিং লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে পর্যটকরা সেখানে গিয়ে দেখতে পারে। দূর থেকে দেখলাম কিছু মানুষ সেখানে হাটছে। খাড়া পাথরের পাহাড় আর সবুজ বনভূমী কার না ভাল লাগে ! কিন্তু এসব দৃশ্য দেখতে হলে একা আসা ছাড়া উপায় নেই। আমার ভাইগনার আবার বেশীক্ষন কোনো কিছু ভাল লাগে না। তাছাড়া পরিবার নিয়ে এসেছি,আরও অনেক কিছু দেখতে হবে। ফিরলাম। পায়ে হাটা রাস্তাগুলো বেশ ভাল লাগল। রাস্তার দুপাশ থেকে বুনো ঝোপঝাড় এসে কোথাও কোথাও রাস্তাকে ঢেকে দিয়েছে,সেখানে আবার সেগুলো সরিয়ে চলছিলাম।

নীচে আসলাম আরামেই,তবে জ্বালা বাধল ওপরে উঠতে গিয়ে। খানিক ওপরে উঠে ঝর্ণাটার আগমন পথ বরাবর কিছুদূর চললাম। মনে হচ্ছে একটা ছোট নদী এঁকে বেঁকে চলেছে। এর পানির পরিমান যদিও বর্ষা কালের তুলনায় কম তারপরও এটা সিতাকুন্ডের মত নয়। এটি সেটার তুলনায় অনেক তেজী। ওপরে ওঠার সময় বুঝলাম প্রথমে অনন্দের চোটে বুঝতে পারিনি কতটা নীচে নেমেছিলাম। এখন বুঝছি। রাস্তা শেষই হতে চায়না। তবে বিশ্রাম না নিয়েই উঠে আসলাম।

ওদের সাথে মিলিত হয়ে খানিক হাটলাম। ভাগনীর ছেলেটা সম্পর্কে আমার নাতি। চরম অস্থির স্বভাবের। এক দণ্ডও স্থির নয়। বয়স দুবছর হয়নি কিন্তু ভাংচুরে ওস্তাদ। এ বয়সেই বেশ কয়েকটি নতুন মডেলের অইফোন,স্মার্ট ফোন,ল্যাপটপ ভেঙ্গে তার ভাংচুরে হাতেখড়ী হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

৩২৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File