অস্ট্রেলিয়ার পথে ২
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ মে, ২০১৩, ১০:০১:২৮ সকাল
প্রায় চার ঘন্টা উড়ে সিংগাপুর এয়ারপোর্টে অবতরণ করলাম। পুরো এয়ারপোর্টের ফ্লোরগুলো দামী কার্পেটে মোড়ানো। চারিদিকে ঝকঝকে তকতকে করে রাখা। পরবর্তী ফ্লাইটের জন্যে অল্প হেটেই স্কাই-কারে উঠলাম। আমি অন্য কোনো এয়াপোর্টে এমন বিশেষ ট্রেন দেখিনি। এটা সম্ভবত ম্যাগনেটিক ট্রেন। এটি ছোট এবং দ্রুতগামী,চলে নিঃশব্দে। সিংগাপুর এয়ারপোর্টের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি কম্পিউটার রয়েছে। আমি আমার গন্তব্য আপনজনদেরকে জানিয়ে পরবর্তী প্লেনে উঠে গেলাম। সিংগাপুর এয়ালাইন্সের দূরপাল্লার এ এয়ারবাসটি নতুন,অত্যাধুনিক এবং বিশাল,এটি দ্বিতল বিশিষ্ট।
অস্ট্রেলিয়া একটি বিশাল দেশ। এর আয়তন ৭৭লাখ ব:কি:মি:,যা বাংলাদেশের চাইতে ৫২ গুন বড়। অস্ট্রেলিয়া তার স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে বিখ্যাত। আছে সম্পদের প্রাচুর্য্য। তবে সম্পদ ভোগ করার লোকের অভাব রয়েছে। এত বিশাল দেশের লোকসংখ্যা সোয়া দুই কোটি মাত্র। যারা জনসংখ্যাকে সমস্যা ভাবে তাদের এদেশটা ঘুরে দেখা উচিৎ। জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিনত করলে তার বৃদ্ধি কারো মাথা ব্যাথার কারন হতে পারেনা,দূর্জন ছাড়া। আর জনসংখ্যা যদি হয় আপদ তাহলে ,আপদের আধিক্য কাম্য নয়। তবে যেখানে মানুষ গড়ার কারিগররা তাদেরকে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করে সেখানে মানব সম্পদের আশা করা অর্থহীন। সু-মহান আল্লাহ তার পৃথিবীকে উম্মুক্ত করেছেন জীবিকা অন্বেষনের জন্যে কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের বিভিন্নমুখী স্বার্থকে চরিতার্থ করতে নিরাপত্তার অজুহাতে আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারন করে মানুষকে বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত করেছে। শক্তিশালীরা দূর্বলদের নির্যাতন করে তৃতীয় শ্রেণী নামক অঞ্চলের জন্ম দিয়েছে,যারা হবে প্রথম বিশ্ব বা উন্নত বিশ্বের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দাস।
সাত ঘন্টায় ৬৫০০কি:মি: পথ পাড়ি দিয়ে সিডনীতে অবতরন করলাম বিকেলে। এই সাত ঘন্টার মধ্যে ৫ ঘন্টাই অস্ট্রেলিয়ার ভেতর উড়তে হল। আমার ভাগনী আমাকে রিসিভ করল তার পরিবারসহ। বাড়িতে আমার ভাইগনা অধির আগ্রহে আমার জন্যে অপেক্ষমান।
একঘন্টা ড্রাইভ করে ইঙ্গেলবার্ন ভাগনীর বাড়িতে পৌঁছলাম। ভাইগনাকে দীর্ঘদিন পর দেখে পেছনের বহু কথা মনে পড়ে গেল। সকলে আমাকে সাদরে সম্ভাষণ জানালো,প্রিত হলাম। রাতে ভাগনীর হাতের বিরিয়ানী খেলাম। এর স্বাদ কেমন তার চাইতে বড় কথা অনেক কষ্ট করে সে তৈরী করেছে এবং এটি আমাকে প্রদত্ত একটি হৃদয় নিংড়ানো সম্মান। তবে স্বাদে তা সত্যিই অতি উত্তম ছিল। উপভোগ করলাম। রাতে আমরা সবাই আশপাশের রাস্তায় হাটাহাটি করলাম। বহু গল্প গুজব করলাম কিন্তু রাতে ঘুম হলনা। কারন আমার দেহ-মন ঢাকার সময়ের হিসাব কষছে। ফজরের নামাজের পর ঘুমালাম। পরের দিন আমি এখানকার সময়ের সাথে আপোস করে ফেললাম। শুরু হল ঘোরাঘুরি আর দাওয়াত খাওয়া।
চলিতেছে......
বিষয়: বিবিধ
২৫৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন