সৃষ্টিসেবায় ধর্মকেন্দ্র, শিক্ষাকেন্দ্র, সেবাকেন্দ্র, বাণিজ্যকেন্দ্র, এলাকা, শ্রেণী, পেশা, প্রকল্প ভিত্তিক উন্নয়ন কমিটি গঠন করুন
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৬:৪৭ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
উন্নয়ন কমিটি
প্রতিষ্ঠান/প্রকল্প ---------------------------------------------
ঠিকানা/এলাকা ----------------------------------------------
সদস্য সংখ্যা ঃ ৩১৩ জন। গঠন শুরু ঃ -----------। যোগবিয়োগ ঃ বার্ষিক।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় সোনালী অক্ষরে বরকতের ছাপ হয়ে আছে মদীনায় মুসলিম ও কাফেরের মধ্যে সংগঠিত প্রথম বদরযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণের ৩১৩টি নাম, যাদের বিজয়ে দুনিয়াতে ইসলাম টিকে আছে আজ পর্যন্ত এবং আমরা নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি। বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত যে, যে কোন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভের আশায় আল্লাহর দরবারে সে মহান সাহাবীগণের নামের উসিলা দিয়ে দুআ করলে অতিসত্বর কবুল হয়ে থাকে। এমনকি যেখানে তাঁদের বরকতময় নাম সংরক্ষিত থাকে তাও বরকতময় হয়ে উঠে। যে কোন প্রতিষ্ঠানে/ প্রকল্পে ৩১৩ সদস্যের উন্নয়ন কমিটি থাকলে তা অতিদ্রুত সফল, স্বনির্ভর ও উন্নত হবে এবং প্রত্যেক সদস্যের কাজকারবার ও ব্যবসাবাণিজ্যেও সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।
অতএব সে মহান বরকতময় বদরী সাহাবাগণের নামের সাথে নিজের নাম যুক্ত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এ প্রতিষ্ঠানের বা প্রকল্পের উন্নয়ন কমিটিতে আমিও নিয়মিত মাসিক-বার্ষিক দাতাসদস্য হলাম। আমার যাবতীয় দান যে কোন দ্বীনি ও প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা যাবে। হে আল্লাহ, আমাকেও আপনার সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ঐ বদরী সাহাবাগণের সাথে হাশর করুন এবং জান্নাত দিন, আমীন।
কতিপয় নীতিমালা
১. এ উন্নয়ন কমিটির যাবতীয় কাজ হবে পরামর্শ ভিত্তিক। প্রতি দশসদস্য মিলে একজনকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করবে, যারা হবেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য॥
২. সর্বোচ্চ অনুদানদাতা ৩ জন, প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি ৩ জন, ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি ৩ জন, সদস্য প্রতিনিধি ৩১জন, সর্বমোট ৪০জন নিয়ে নির্বাহী পরিষদ হবে।
৩. নির্বাহী পরিষদ পরামর্শ করে বিষয় ভিত্তিক দায়িত্বশীল ঠিক করবেন। তিনি বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় অস্থায়ী লোকবল নিজদায়িত্বে যোগবিয়োগ করবেন।
৪. ২০১৬ সালে নির্ধারিত মাসিক অনুদান যথাক্রমে মসজিদ/ মাদরাসা/ ছোট প্রকল্পে ৫০-৫০০, ওয়ার্ড/ ইউনিয়ন/ মাঝারী প্রকল্পে ৫০০-৫০০০ এবং উপজেলা/ জেলা/ বড় প্রকল্পে ৫০০০-৫০,০০০ টাকা। এ হিসেবে বার্ষিকও দেয়া যাবে।
৫. ২০১৬ সালে আজীবন সদস্যের নির্ধারিত এককালীন অনুদানের পরিমান ১ম স্তরে কমপক্ষে নিষ্কণ্টক জমি .৫ শতক বা ক্যাশ ওয়াকফ ৫০,০০০ টাকা।
৬. সাধারণসভা বার্ষিক, নির্বাহীসভা ষান্মাসিক, বিষয়ভিত্তিকসভা ত্রৈমাসিক, উন্নয়ন পর্যালোচনাসভা মাসিক, সমন্বয়সভা পাক্ষিক, উম্মুক্তসভা সাপ্তাহিক।
৭. এ উন্নয়ন কমিটি স্থানীয় উশর, জাকাত, ফিৎরা, কুরবানীর চামড়া, কাফ্ফারা, মান্নত ইত্যাদি সংগ্রহ ও বণ্টন করবে, কর্ম প্রশিক্ষণ-সংস্থানের ব্যবস্থা করবে॥
৮. এর প্রধান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-কর্মসূচী হল সর্বত্র ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন। অন্যান্য কর্মসূচী হল যথা
১. শিশু কল্যাণ।
২. যুব কল্যাণ।
৩. নারী কল্যাণ।
৪. শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ।
৫. পরিবার কল্যাণ।
৬. সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে বৈধ চিত্ত বিনোদন কর্মসূচী।
৭. নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে সামাজিক-নৈতিক-ধর্মীয় ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা।
৮. কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন।
৯. কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ।
১০. ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ।
১১. সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ।
১২. রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন।
১৩. বৃদ্ধ ও দৈহিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ।
১৪. সমাজকল্যাণ কাজে প্রশিক্ষণ।
১৫. সমাজকল্যাণমূলক সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।
১৬. যৌতুক বিরোধী সামাজিক কার্যক্রম ইত্যাদি।
.
৯. উন্নয়ন কমিটি কোন রাজনীতিতে জড়াবে না, কিন্তু রাষ্ট্রীয় সেবাকর্মে জড়াবে।
১০. এ উন্নয়ন কমিটির বিষয়ভিত্তিক দায়িত্বশীল ও কর্মী হবে যথাক্রমে নিন্মরূপ ঃ
১. খাদ্য ও কৃষি সম্পাদক ঃ -----------------------------
২. বস্ত্র ও শিল্প সম্পাদক ঃ -----------------------------
৩. বাসস্থান ও জমি সম্পাদক ঃ --------------------------
৪. চিকিৎসা ও ব্যায়াম সম্পাদক ঃ ----------------------
৫. শিক্ষা ও দীক্ষা সম্পাদক ঃ ---------------------------
৬. কর্মসংস্থান ও বিশ্বায়ন সম্পাদক ঃ --------------------
৭. পরিবার ও পর্যটন সম্পাদক ঃ ------------------------
৮. নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষা সম্পাদক ঃ --------------------
৯. ন্যায়বিচার ও বন্দীমুক্তি সম্পাদক ঃ ------------------
১০. ধর্ম ও সংখ্যালঘু সম্পাদক ঃ -------------------------
১১. প্রযুক্তি ও প্রতিভা সম্পাদক ঃ ------------------------
১২. অর্থ ও বাণিজ্য সম্পাদক ঃ ---------------------------
১৩. যোগাযোগ ও পরিবহন সম্পাদক ঃ ------------------
১৪. কেন্দ্র ও পাঠাগার সম্পাদক ঃ ------------------------
১৫. সমন্বয় ও নেতৃত্ব সৃষ্টি সম্পাদক ঃ --------------------
.
১১. আগ্রহীদের জন্য এ রকম উন্নয়ন কমিটি গঠন, তত্ত্বাবধান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে আল-করিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ঈদগাঁও, ককসবাজার, বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠা ২০১৩।
১২. এর যাবতীয় আয়ের ৯০% যাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে/প্রকল্পে এবং ১০% যাবে ফাউন্ডেশনে। এর ‘ক্যাশ ওয়াকফ ফান্ডে’র লভ্যাংশ উন্নয়ন খাতে ব্যয়যোগ্য।
১৩. স্থানীয় পরামর্শে সমাধান না হলে ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত গণ্য হবে।
১৪. এ উন্নয়ন কমিটি হল আল-করিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের স্থানীয় শাখা।
প্রধান কার্যালয়ঃ আল-গিফারী, সায়দাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও, ককসবাজার।
.
ফাউন্ডেশন পরিচিতি ঃ
আল-করিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সমাজসেবামূলক সংস্থা। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে এর ভূমিকা থাকবে সর্বাধিক। সৃষ্টির সেবার মধ্যে স্রষ্টার সন্তুষ্টি নিহিত। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশন গঠিত ও পরিচালিত। আল্লাহ-রসূল, জিব্রাইল-ওহি, কুরআন-হাদীস, মক্কা-মদীনা, এক কথায় যে শব্দটি সবার সম্মান বুঝাতে ব্যবহার করা হয় সে “আল-করিম” নামেই এ ফাউন্ডেশনের নাম করণ করা হয়, যাতে এর মাধ্যমে সমাজসেবা করে প্রত্যেকেই সম্মানিত হতে পারে এবং অন্যদেরকে সম্মানিত করতে পারে। দেশের অধিকাংশ শীর্ষ আলেম-ওলামা এর উপদেষ্টা। আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম-এর মহাপরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ইত্তেহাদের সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা আব্দুল হালিম বুখারী সাহেব এর পৃষ্ঠপোষক। আল্লামা হাফেজ ছৈয়দ করিম সাহেব এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। পর্যটন রাজধানী ককসবাজারস্থ বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার দশ জন গণ্যমান্য, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এর কার্যকরী পরিষদের মূল সদস্য। অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান-প্রধানগণ সাধারণ পরিষদের সদস্য এবং প্রতি ৩১৩ জন দাতা ও স্থায়ী সদস্য নিয়ে একটি করে শাখা উন্নয়ন কমিটি হবে। এ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষা-চরিত্র-সাংস্কাৃতিক মানোন্নয়ন, এর অন্যতম লক্ষ্য। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তা বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে এবং বিভিন্ন ভাষায় পুস্তিকা প্রকাশ করবে। এ ফাউন্ডেশন সবার জন্য উন্মুক্ত। এর হিসাব নম্বর ঃ ৩১৩২০, ইসলামী ব্যাংক, ঈদগাঁও শাখা এবং ০০১২২০০০৪১১৯৮, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ঈদগাঁও শাখা। উভয় হিসাব চেয়ারম্যান, সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ারের যৌথ নামে পরিচালিত।
.
প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি ঃ
আল্লামা হফেজ ছৈয়দ করিম। পিতাঃ মনিরুজ্জামান। জন্মস্থানঃ মাইজপাড়া, ঈদগাঁও, কক্সবাজার, বাংলাদেশ। বর্তমান ঠিকানাঃ জালালাবাদ, ঈদগাঁও, ককসবাজার, বাংলাদেশ। লেখাপড়া ঃ ঈদগাঁও আলমাছিয়া, খুটাখালী তমিজিয়া হয়ে ১৯৭০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম হতে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন। তিনি দাখিল, আলিম, ফাজিল কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় বোর্ডস্ট্যান্ডসহ প্রত্যেক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৭১ সালে তৎকালীন আলমাছিয়া হিফজখানায় ২৬ দিনে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করে এলাকায় “জিনের পুত্র” উপাধি লাভ করেন। তিনি কর্মজীবনে দশাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর তিনছেলে ও চারমেয়ে। তিনি নিজ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহ সুন্দরভাবে পরিচালনা, ঐক্য ও উন্নয়নের পাশাপাশি আরো বহুমুখী সমাজসেবার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আল-করিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। এর পরিপূর্ণ সফলতার লক্ষ্যে তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা, সুপরামর্শ ও অংশগ্রহণ কামনা করেন।
.
ঘোষণা ঃ মসজিদ-মাদরাসা ইত্যাদিকে আরো উন্নত-স্বনির্ভর-গণমূখী করতে উক্ত ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে দ্রুত উন্নয়ন কমিটি গঠনে যোগাযোগ করুন।
.
লেখকঃ
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন