সমন্বয় ও নেতৃত্ব
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:০৯:০৯ রাত
যে লোক সবার মধ্যে ও সর্ববিষয়ে সমন্বয় করতে পারে সেই নেতৃত্ব দিতে পারে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়া উচিত। চেয়ার ভিত্তিক নেতৃত্ব জাতিকে কিছুই দিতে পারে না। তাই সংগঠন, সমিতি, সংস্থা, সর্বত্র কাজ ভিত্তিক দায়িত্বশীল ঠিক করা দরকার।
এখানে যে ১৫টি বিষয় আলোচিত হল তন্মধ্যে যার যে বিষয় পছন্দ তিনি সে বিষয়ে কাজ করতে পারেন। প্রথম কাজ নিজে জানা, পরের কাজ অন্যকে জানানো। অতঃপর পরামর্শ ভিত্তিক বাস্তবায়ন। বিষয় ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ, সমস্যা চিহ্নিত করণ, সমাধানের উপায় উদ্ভাবন, গবেষণা, মুল্যায়ন ইত্যাদির মাধ্যমে যে কেউ যে কোন বিষয়ে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠতে পারে অতি সহজেই। প্রাথমিক স্তর থেকেই বিষয় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে যে কর্মী কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে, তার পক্ষেই কেবল কেন্দ্রীয় বিষয় ভিত্তিক দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে। এ দেশে প্রত্যেক দলে ও প্রত্যেক স্তরে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে কোন প্রতিযোগিতা নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অন্যকে ল্যাং মেরে চেয়ার দখলের কুচেষ্টা চলে। কিন্তু চেয়ার পেলে সৃষ্টিশীল অগ্রগামী কিছুই করতে পারে না। কারন সে রকম কোন অভিজ্ঞতাও জীবনে অর্র্জন করার সুযোগ হয়নি। তাই আজ থেকেই প্রত্যেক স্তরে বিষয় ভিত্তিক দায়িত্ব নেয়ার ও দেয়ার সিস্টেম চালু করি এবং কাজের দক্ষতা প্রমাণ করেই উর্ধ্বমূখী হওয়ার যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করি। এতেই জাতির লাভ। এ সিস্টেমে প্রতি এলাকায় গড়তে পারি বৃহত্তর নাগরিক পরিষদ ও বৃহত্তর ওলামা পরিষদ। এভাবে প্রত্যেক দলীয় কমিটির দায়িত্ব বণ্টন হলে সৃষ্টিসেবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে সর্বত্র। যারা সমাজসেবা করতে চান তারা আগে সেবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হোন। অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট নিজেরা মিলে বানিয়ে ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করুন। কারণ বাজেট করে ব্যয় করলে দুর্নীতি হয়। কিন্তু ব্যয় করে বাজেট করলে দুর্নীতির সুযোগ কম।
যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনপূর্বক দেশ জাতি ধর্মের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার লক্ষ্যে নিুোক্ত যে কোন এক বা একাধিক প্লাটফর্মকে নিজের ও অন্যের জন্য বেছে নিতে পারি। এ সবই যে এলাকায় পরিপূর্ণ রুপে বাস্তবায়ন করা যাবে সেখানে এমনিতেই “স্বনির্ভর পল্লী সরকার” সৃষ্টি হবে, যা “দেশ-জাতি-সরকার, সবার জন্যই দরকার”।
১ যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ
২ পল্লীকেন্দ্র।
৩ কেএইচ কুটিরশিল্প হাউজ।
৪ ল্যান্ড সলিউশন বাংলাদেশ।
৫ সৃষ্টিসেবা ইনস্টিটিউট এন্ড নার্সিংহোম।
৬ মসজিদ ভিত্তিক সুফ্ফাহ মাদরাসা।
৭ শেখ-জিয়া এতীমখানা-অনাথাশ্রম।
৮ বৃহত্তর ওলামা পরিষদ।
৯ বৃহত্তর নাগরিক পরিষদ।
১০ জাকাত ব্যাংক।
১১ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান মুসলিম ঐক্য পরিষদ।
১২ প্রতিভা শিল্পী গোষ্টি।
১৩ একেজে গ্র“ফ অব কোম্পানীজ।
১৪ এক্সিমকক্স ইন্টারন্যাশনাল।
১৫ সীমান্তঅসি লাইব্রেরী এন্ড পাবলিকেসন্স।
১৬ স্বনির্ভর পল্লী সরকার।
লেখক পরিচিতি ঃ
সাইফুল ইসলাম। পিতা ঃ আল্লামা হাফেজ ছৈয়দ করিম। জন্মস্থান ঃ মাইজপাড়া, ঈদগাঁও, ককসবাজার। বর্তমান ঠিকানাঃ সায়দাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও, ককসবাজার, বাংলাদেশ। লেখাপড়া ঃ বেসরকারী ভাবে চৌফলদন্ডী নোমানিয়া, পোকখালী এমদাদিয়া ও জামিয়া দারুল মা’আরিফ হয়ে ১৯৯৮ সালে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম হতে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন। সরকারী ভাবে খুরুস্কুল মুনিরিয়া, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ও ঢাকা আলিয়া হয়ে ২০০৫ ও ৬ সালে দাইবি ঢাকা হতে বিএ অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। কর্মজীবনে বেসরকারী মাদরাসা, সরকারী মাদরাসা ও একাধিক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখিসহ বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। বাল্যকালে তিনি সপরিবারে সৌদি আরব ভ্রমণ করেন। তিনি চকরিয়া ডিগ্রী কলেজ ও আমজাদিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্জ্ব রফিক আহমদ চৌধুরীর চাচাতভাই আলতাফ মিয়ার মেয়ের ঘরের নাতি এবং বরাইতলী খতীবে আযম মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ সাহেবের ছোটভাই মাওলানা আহমদ কবির সাহেবের মেয়ের ঘরের নাতিন জামাই। তিনি এক ছেলের জনক। বর্তমানে তিনি আল-করিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহসেক্রেটারী এবং বৃহত্তর ঈদগাঁও ওলামা পরিষদের সেক্রেটারীর দায়িত্বে আছেন। এটি লেখকের প্রথম বই। লেখার তারিখ, শুরু ঃ ৫/১১/১৫, শেষ ঃ ৯/১১/১৫। তিনি আগামীতে বিশ্ব দাওয়াতী সফরের প্রস্তুতিতে আছেন।
(লেখকের উন্নয়ন বিষয়ক লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করা যায় কিনা এবং কে প্রকাশ করতে পারে? কোথায় কী সংশোধন করতে হবে পরামর্শ দিই।)
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন