যোগাযোগ ও পরিবহন
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:০৩:২৫ সন্ধ্যা
আগে রাস্তা, পরে নগরী হলে পরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠে। কিন্তু আগে নগরী, পরে রাস্তা হলে সেখানে পরিকল্পিত কিছুই করা যায় না। তাই পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী। যোগাযোগ এমন এক খাত যেখানে লাভ ছাড়া লস হতেই পারে না। যে বিভাগে বা যে অফিসে লস হবে সর্বপ্রথম সে বিভাগ বা অফিসের বসকে বরখাস্ত করুন। তার পর বাকিদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দেখুন, আর কাকে কাকে বহিষ্কার করা দরকার। হয়ত তাদেরকে কিছুটা সময়-সুযোগও দিতে পারেন ঘুরে দাড়ানোর জন্য। এ ক্ষেত্রে কোন আইন বাধা হয়ে দাঁড়ালে সে আইনকেই আগে অপসারণ করুন। প্রয়োজনে প্রত্যেক রোড ভাড়া দিয়ে দিন। যে বিমান, ট্রেন, লঞ্চ বা গাড়ী লস করবে তার ইঞ্জিন স্টার্ট হয় কোন যুক্তিতে, কোন সাহসে? জাতীয় পরিবহনে ফ্রী সার্ভিস দিয়ে ব্যক্তিগত মেহমানদারী করে কে বা কারা?
পাবলিক ব্যবসা করবে পরিবহন দিয়ে। কোম্পানী ব্যবসা করবে রোড নিয়ে। সরকার ব্যবসা করবে পলিসি ঠিক করে। সরকার কখনো নিজে ব্যবসা করে সুবিধা করতে পারে না। তা বিমান হোক, ট্রেন হোক, লঞ্চ হোক, গাড়ী হোক। বড় রোড বড় কোম্পানী, ছোট রোড ছোট কোম্পানী ভাড়া নিলে তারাই রাস্তা সংস্কার করবে, তারাই যানজট নিরসন করবে। শুধুমাত্র সরকার ঠিক করে দেবে, কী ধরনের রোডে কী ধরনের পরিবহন হতে কিলোমিটারপ্রতি কত পয়সা টোল আদায় করতে পারবে। তবে সবধরণের রোডে হাঁটা ও সাইকেল টোলমুক্ত থাকবে, যাতে মানুষ হাঁটতে ও সাইকেল চালাতে বাধাগ্রস্থ না হয়ে আগ্রহী হয়। রাস্তা ভাড়া দিলে তা ঠিকও থাকবে, গাড়ীও বাড়বে, যানজটও কমবে, সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। চুক্তি যত দীর্ঘমেয়াদী হবে ততই ভাল হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় কাজ করা যাবে।
যাবতীয় পরিবহন এ দেশেই উৎপাদন করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানী নিষিদ্ধ করে নির্মাতাদের এ দেশে এসে নির্মাণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। বিনিয়োগকারীগণ কেন অনুমোদনের জন্য অফিসে অফিসে ঘুরবে? অনুমোদনদাতারাই বিনিয়োগকারীদের পেছনে ঘুরবে অনুমোদন দিতে। কারন যে যতবেশি অনুমোদন দিতে পারবে সে ততবেশি পুরস্কৃত হবে, সম্মানিত হবে, প্রমোশন পাবে। প্রশাসনে এমন সিস্টেমই চালু করতেই হবে।
সরকার পরিপূর্ণ ট্যাক্স পেতে চায়লে অবশ্যয়ই সব ধরনের লাইসেন্স, পারমিট, আবেদন, নবায়ন, যাচাই ইত্যাদি যাবতীয় পর্ব অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। কারন ঘুষখুররা সরাসরি স্বাক্ষাত পেলেই সাহসী হয়। পথে পথে পুলিশী হয়রানী অসহ্য এক যন্ত্রণা। এর বিকল্প উপায় খোজে বের করতেই হবে। গায়ে হাত না দিয়ে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়েও ভদ্রভাবে চেক করা যায়। কিন্তু কিছু পাওয়ার লোভে তারা বেহায়ার মত মারমুখী অসভ্য আচরণ করতে মোটেও দ্বিধা করে না। আবার কিছু পেলেও যে পায় সে লুকানোর চেষ্টা করে, যাতে অন্য সাথিদেরকে ভাগ দিতে না হয়। সরকারকে তো দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
স্বর্ণ আমদানিকে ব্লেক লিস্টে না রেখে হোয়াইট লিস্টে রাখা উচিত। কারন দেশে যে কোন পথে যে কোন ভাবে স্বর্ণ যত ঢুকবে ততই দেশের লাভ। কখনো ডলার অকেজো হয়ে পড়লে এ স্বর্ণই দেশকে বিপদ হতে উদ্ধারে কাজে আসবে। বিশ্বের বর্তমান যে অবস্থা তাতে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। বরং বিদেশে সংরক্ষিত স্বর্ণগুলোও নিয়ে আসা উচিত। সব কিছুর পরিবর্তন হলেও স্বর্ণ-রুপার মুল্যায়ন কখনো শেষ হবে না। কারণ তা সৃষ্টি করা হয়েছে মুল্যায়নের জন্যেই। বিদেশে স্বর্ণ রেখে দিলে তা প্রয়োজনের সময় পাওয়া যাবে না।
-----চলবে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন