অর্থ ও বাণিজ্য
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৭:১৯ বিকাল
অর্থ রক্তের মতই নাপাক হলেও আবশ্যক। প্রচলিত অর্থ কিছু কাগজের টুকরা মাত্র। আসল অর্থ হল স্বর্ণ-রূপা, জমি-বাড়ী, পশু-পাখি, মাছ-গাছ, ক্ষেত-খামার ইত্যাদি। সর্বক্ষেত্রে অর্থ জড়িত থাকলেও অর্থের আসল ঠিকানা হল বাণিজ্য। নগদ বাণিজ্য ছাড়া বর্তমান কাগজ বা ধাতব মুদ্রার ভিত্তিতে কেউ যদি কারো সাথে কোন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করে তবে সে নির্ঘাত ঠকবে। কারন আজকে একশ টাকা দিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে কালকে তা পাওয়া নাও যেতে পারে। এর অর্থ হল অর্থের মান দিনদিন কমছে, তা যত কম পরিমানেই হোক না কেন। তাই দীর্ঘমেয়াদী যে কোন চুক্তি করতে হবে স্বর্ণ-রূপা ভিত্তিক। যেমন মুহরানা নির্ধারণ করবে মোট কত ভরি স্বর্ণ তার উপর। নগদেও স্বর্ণ, বাকীতেও স্বর্ণ। অথবা কাগজ বা ধাতব মুদ্রা ছাড়া অন্য যে কোন কিছুই হতে পারে। ভবিষ্যতে প্রচলিত মুদ্রাও থাকবে না। সব ‘বিকাশ’-এর মত মোবাইলে সংখ্যা ভিত্তিক হয়ে যাবে। সবাই শুধু জানবে আমার এখানে এত আছে, ওখানে অত আছে। কিন্তু তা কখনো ধরে বা ছুঁয়ে দেখতে পারবে না। যা আছে তা হঠাৎ “নাই” হয়ে যেতে পারে। তখন হায় হায় করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। তাই প্রত্যেকের উচিত অর্থনীতিতে সম্পূর্ণ ডিজিটালের উপর নির্ভর না করে কিছু কিছু এনালগ সিস্টেমও চালু রাখা। তা না হলে যখন বিপদে পড়বে তখন কেউ কাউকে উদ্ধার বা সাহায্য করতে পারবে না। সবাই একযোগে বিপদে পড়তে পারে। অতএব সময় থাকতে হুশিয়ার।
নিজে বিনিয়োগ করে নিজে সারা দিন বসে দোকানদারী করার যুগ শেষ। আপনার টাকা থাকলে টাকাই টাকা আনবে, আপনার দরকার নেই, আপনি সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান। আপনার জমি থাকলে তাহলেও আপনি সারা দেশ ঘুরতে পারেন। কারন সারা দিন বসে থেকে যা পাবেন, তাই যদি বসে না থেকেও পান, তবে কেন বসে থাকবেন? আপনার উক্ত কিছুই না থাকলে তবেই কেবল আপনি সময়-শ্রম-মেধা দিয়ে উপার্জন করবেন। দোকানের কাজ দোকান করবে। আপনার পুঁজি থাকলে বিনিয়োগ করবেন, আর লভ্যাংশ আপনার একাউন্টে পৌছে যাবে। আবার আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করবেন সর্বদা ততটাকার মার্কেটিংও করতে পারবেন কিস্তিতে। অবশ্য আরো বেশি টাকার মার্কেটিং করতে চায়লে আপনাকে ততটাকার চেক জমা দিতে হবে, ব্যাস। আপনার মর্টগেজ আছে কিনা বা আপনি সরকারী চাকুরে কিনা, সে সব দেখার প্রয়োজনও নেই, সময়ও নেই। আপনার অবর্তমানে আপনার নমিনিই লেনদেন করবে। আপনার ঋণ থাকলে আপনার উত্তরাধীকার সম্পদ থেকে আদায়যোগ্য। তা যথেষ্ট না হলে জাকাত ফান্ড থেকে পরিশোধযোগ্য।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেক প্রসার। তবে গোটা দুনিয়ার সব প্রান্ত দেখাশুনা করা পুরুষ হলেও আপনার একার পক্ষে কষ্টকর হতে পারে। আবার অন্য কাউকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি গোটা বিশ্বকে চার ইউনিটে ভাগ করতে পারেন এবং চার ইউনিটের দায়িত্ব চার জনকে দিতে পারেন। কাকে দায়িত্ব দেবেন? যাকে এ কথা বলতে পারেন যে, “তোমার ইউনিটের যাবতীয় আয়ের ৫০% তোমার এবং গোটা কোম্পানীর ১৫% তোমার। বাকীটা কার সেটা দেখার দায়িত্ব তোমার নয়, আমার। এতে কি তুমি রাজি? রাজি থাকলে আমার সাথে আস। আমার জীবনসঙ্গীও হতে পার”। কোম্পানীর যাবতীয় আয়ের ১০% স্রষ্টার লক্ষ্যে সৃষ্টির তরে উৎসর্গিত। ৩০% আপনার নিজস্ব। বাকী চার চেয়ারের জন্য ১৫% করে মোট ৬০%। সর্বমোট ১০০%। সর্বনিু ৪দিন হতে সর্বোচ্চ ৪মাস পরপর প্রত্যেকের কাছে যাবেন। তখন প্রত্যেকেই নিজ স্বার্থে কোম্পানীর উন্নতির চেষ্টা করবে। এরূপ এক কোম্পানী হচ্ছে “এক্সিমকক্স ইন্টারন্যাশনাল”।
-----চলবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
“এক্সিমকক্স ইন্টারন্যাশনাল”
"ম্যাক্সিম" ও "বেক্সিম" এর সাথে নামের মিল আছে- দুটো ই বিখ্যাত(!)
শেষ পর্যন্ত নেমে পড়লেন তাহলে!!! ??
সাবধান!!!!
আকাশে ওড়ার আগে ডানার শক্তি ও দেহের ওজন যাচাই করা জরুরী!!!
আল্লাহতায়ালা আপনার ভালো করুন, আমীন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন