পরিবার ও পর্যটন

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৪২:০২ দুপুর

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ গঠিত হয় পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমে। পরিবার গঠিত হয় বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ে রাসূলের সুন্নাত। বালেগ হওয়ার সাথে সাথে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেয়া অভিভাবকদের অন্যতম দায়িত্ব। দেরী করার ফলে যে সব ক্ষতি বা পাপ হবে তার দায়ভার তাদেরকেও বহন করতে হবে। সাধারণত ছেলেরা চৌদ্দ বছরে ও মেয়েরা বার বছরে বালেগ হয়। কিন্তু এ দেশের প্রচলিত আইনে মেয়েরা ১৮ বছরের আগে ও ছেলেরা ২১ বছরের আগে বিয়ে করতে পারে না। তবে বিয়ে ছাড়া আর সবকিছুই করতে পারে। এ সময় ছেলে-মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বিধান অভিভাবকদের জন্য বড় টেনশনের বিষয়। একদিকে সহশিক্ষা, অন্যদিকে মোবাইল-ইন্টারনেট। একদিকে রাস্তা-পার্কে অবাধ চলাফেরা, অন্যদিকে চিত্রজগতের প্রেমপ্রশিক্ষণ। একদিকে মনের আকর্ষণ, অন্যদিকে আইনের বাধা। সব মিলে এমন এক অবস্থা যে, কিছু বলাও যাচ্ছে না, করাও যাচ্ছে না। ফলে বেহায়াপনা, মরিচিকার পেছনে দৌঁড়, হতাশা, ধূমপানের ব্যাপ্তি, প্রবঞ্চনা, অঘটন, ভিডিও ধারন, ব্লাকমেইল, আত্মহত্যা, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুক, পরকিয়া, নারীপাচার, দেহব্যবসা, ইয়াবা-মাদক সেবন, মাস্তানী, গুম, খুন ইত্যাদি এমন কোন অপরাধ নেই যা হরহামেশা সংঘটিত হচ্ছে না। অন্যদিকে বালেগ হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে হলে সন্তান প্রসবে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও নিশ্চয়তা নেই। তবে অনেকের অনেক ধরনের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কিছুতেই বিয়ের বয়স কমানো যাবে না, বরং আরো বাড়াতে হবে। এমতাবস্থায় ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা রাসূলের সুন্নাত বিধায় অন্তত তা অনুসরণ করি। এর চেয়ে যেন আর দেরী না করি। নিজের চেয়ে ১৫ বছরের বড়, বিধবা, সন্তানের মা বিয়ে করা রাসূলের সুন্নাত। তাই অন্তত বিধবাদের বিয়ের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়াই। কারণ স্রষ্টা নারীর জন্য পুরুষকে এবং পুরুষের জন্য নারীকে পোষাক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সঙ্গীহীন থাকা আর পোষাকহীন থাকা একই কথা। অতএব প্রত্যেকের পরিবার গঠনে প্রত্যেকেই সহযোগিতা করি। অন্তত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করি। প্রয়োজন মুহূর্তে স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক যেভাবে সেবা করতে পারে তা অন্য কেউ পারে না। তাই সন্তানদের উচিত সঙ্গীহীন পিতা/মাতাকে সঙ্গীযুক্ত করে দেয়া। এতে অসম্মানেরও কিছু নেই। হারানোরও কিছু নেই। স্রষ্টা প্রদত্ত সন্তানবৃদ্ধিতেও আপত্তি থাকার কোন কারন নেই। মাঝে মধ্যে সপরিবারে ভ্রমনে বের হলে সবার মন ভাল থাকে। পরিবারের সাথে পর্যটন শিল্প উৎপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবারহীন পর্যটন মানুষকে মন্দের দিকে আকর্ষণ করতে পারে। সর্বোত্তম ভ্রমণ হচ্ছে সপরিবারে উমরা ও হজ্জ্বে যাওয়া। প্রথম জীবনেই হজ্জ্ব করা উচিত। প্রথম সুযোগে হজ্জ্ব না করার ফলে সুযোগ হাতছাড়া হলেও ফরজ মাথার উপর বাকী রয়ে যাবে। অনাদায়ে বদলী হজ্জ্ব করাতেই হবে।

ককসবাজার বাংলাদেশের প্রধান ও বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী। এটাকে আমরা ধর্মীয় পর্যটন নগরীও বানাতে পারি। এখানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান মুসলিম সব ধর্মের অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, যা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি। তা নিজ নিজ ধর্মীয় লোকদের মাধ্যমেই করতে হবে। সব পর্যটক এসে হোটেলে থাকবে এমন কোন কথা নেই। মসজিদ মন্দির কিয়াং গির্জায় থাকার মত পর্যটকদেরকেও আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক মসজিদ তিন দিনের তাবলীগ জামায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে দাওয়াত দেয়া যায়। ফলে একদিকে আগন্তুকদের ব্যয় ও পাপকর্ম কম হবে। অন্যদিকে স্থানীয়রাও কিছু উপকার পাবে। মসজিদ-মাদরাসারও কিছু উন্নয়ন হতে পারে। এডুকেশনও পর্যটনের একটি মাধ্যম। শিক্ষাসফরের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখা যায়।

----চলবে।

বিষয়: বিবিধ

১১১২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351394
২৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
আফরা লিখেছেন : জীবনে ঢাকার বাহিরে একবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি গিয়েছিলাম, ককসবাজার যাওয়ার ইচ্ছাছিল যেতে পারি নাই । ইচ্ছা আছে আবার দেশে আসলে যাব ।ইনশা আল্লাহ !

লিখা ভাল লেগেছে ধন্যবা ভাইয়া ।
351408
২৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
হতভাগা লিখেছেন : কক্সবাজারে ক্রিকেট স্টেডিয়াম করার কথা ছিল ২০১৪ এর আগে এবং সেখানে ২০১৪ এর টি২০ বিশ্বকাপের বেশ কিছু খেলা ফেলা যেত ।

কি সমস্যা হয়েছিল সে সময়ে -কক্স ভাই ?
351422
২৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫২
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : জীবনে খুব কম জায়গাতেই বেড়াইছি।
সময়ের অভাবে যাওয়া হয় না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File