চিকিৎসা ও ব্যায়াম
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৪১:৪৯ রাত
স্বাস্থ্য ও সুস্থতা স্রষ্টার বড় দান। শরীর ঠিক তো মন ঠিক। মন ঠিক তো দুনিয়া ঠিক। শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম অতীব প্রয়োজন। যারা নিয়মিত পরিশ্রম করে বা নিয়মিত এবাদত-বন্দেগী করে, তাদের জন্য অন্য বেশি ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। তবে প্রত্যেকটি কাজ নিয়মিত ও পরিমিত করা দরকার। খাওয়া ও ঘুম পর্যাপ্ত ও সুষম হওয়া জরুরী। সর্বাবস্থায় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা আবশ্যক। যারা যে কোন পরিস্থিতিকে হাসিমূখে বরণ করে নিতে পারে তাদের জন্য দুনিয়াটাই জান্নাতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। যে কোন সুসংবাদে আলহামদুলিল্লাহ ও দুঃসংবাদে ইন্নালিল্লাহ পড়ে যাবতীয় ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে পারলে হার্টএ্যাটাক থেকে অনেকাংশে আত্মরক্ষা করা যায়। আরবীতে বলা হয় “আল ইলমু ইলমান, ইলমুন লিল আদইয়ান, ওয়া ইলমুন লিল আবদান”। অর্থাৎ “জ্ঞান দু’প্রকার। একপ্রকার জ্ঞান ধর্মসমূহের। অন্যপ্রকার জ্ঞান শরীরসমূহের”। অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসা করার তুলনায় অসুখ প্রতিরোধ করাই উত্তম। এ জন্য সর্বক্ষেত্রে সতর্কতা দরকার। যারা সর্বদা সর্বক্ষেত্রে ধর্মের সর্বশেষ সংস্কারকের প্রতিটি নির্দেশনা মেনে চলবে, তাদের তেমন কোন রোগব্যাধি হওয়ার কথা নয়। হলেও তা প্রতিকারের ব্যবস্থাও নির্দেশিত আছে।
রোগব্যাধির শিকার বেশি হয় সাধারণত শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। তাই প্রত্যেক মায়ের প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি জানা থাকা আবশ্যক। সাহাবাগণের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী, সাহিত্যিক ও ডাক্তার ছিলেন মা আয়েশা (রাঃ)। রাসূল (সাঃ) যুদ্ধে যাওয়ার সময়ও স্ত্রীগণকে সাথে নিয়ে যেতেন সেবিকা ও চিকিৎসক হিসেবে। তাই প্রত্যেকের জন্য সাধারণভাবে এবং নারীদের জন্য বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক চিকিৎসাবিদ্যা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরী। সবাই ডাক্তার হতে না পারলেও নার্স তো হতে পারবে। বাইরে না করলেও ঘরে নার্সিং করবে। কিন্তু নার্স তৈরী হচ্ছে না কেন? সে রকম পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার ফলে। ব্যবস্থা নেই কেন? আমি-আপনি করছিনা বিধায় হচ্ছে না। কেন করছি না? আসুন, আজ থেকেই প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে শুরু করে দিই। কিন্তু কিভাবে?
যারা ৮ম শ্রেণি পড়েছে বা পড়ছে তাদেরকে জীবনের টার্গেট নির্ধারণ করতে বলি। যারা সেবার লক্ষ্যে ডাক্তার বা নার্স হতে চায় তাদেরকে ৯ম শ্রেণীতে কোথায় কিভাবে ভর্তি হবে তার সুপরামর্শ দিই। সে লক্ষ্যের সহায়ক সাব্জেক্ট বাছাই করি। সাইন্স বা টেকনিক্যাল হলে ভাল। সে রকম প্রতিষ্ঠান না থাকলে নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করি। এ জন্য সর্বপ্রথম দুটি রুমই যথেষ্ট। একটি অফিস, একটি ক্লাসরুম। ক্রমান্বয়ে কারিগরী বোর্ড বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করি। বোর্ড পরীক্ষার জন্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করি। পরবর্তীতে যাওয়ার মত কোন প্রতিষ্ঠানের সাথেও যোগাযোগ-পরামর্শ করতে পারি। কিছু সংক্ষিপ্ত কোর্সও করাতে পারি। প্রয়োজনে “সৃষ্টিসেবা ইনস্টিটিউট এন্ড নার্সিংহোম”-এর শাখা চালু করতে পারি। তবে প্রথমেই বেশি লোক সম্পৃক্ত করে এবং বেশি অর্থ বিনিয়োগ করে কোন কিছু করলে পরে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুনিয়া-আখেরাত উভয় জাহানে সফলতা পেতে হলে সর্বাবস্থায় নারী-পুরুষের পৃথক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমেই বড় ডাক্তার খোঁজা বা কমিশনের লোভে টেস্ট দেয়া বা অপারেশন করা ইত্যাদি অভ্যাস পরিবর্তনীয়। সময় ভিত্তিক বেতন-ভাতা-বোনাস না দিয়ে রোগী ভিত্তিক দিলে সরকারী ডাক্তারগণ সরকারী হাসপাতাল ও রোগীমূখী হবে। সরকারী ঔষধপত্র সম্পূর্ণ ফ্রী না দিয়ে ন্যূনতম মুল্য নিয়ে দিলে দাতা-গ্রহিতা সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। নতুবা “সরকারকে মাল দরিয়া মে ঢাল”। জাকাত ব্যাংক সৃষ্টি হলে দরিদ্রদের সেবায় এক টাকাও ভর্তুকী লাগবে না।
----চলবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৩৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন