আলুর উপকারিতা

লিখেছেন লিখেছেন ফারুক আহমদে ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০২:০২:০৫ দুপুর

আলুর উপকারিতা :-

খাদ্য তালিকায় আলু আমাদের অতি পছন্দের একটি সবজি বা খাদ্য। মানবদেহের পুষ্টিগুণের দিক থেকে আলু যেমন উপকারি রুপচর্চায় ও অতুলনীয় ।

আলুর পুষ্টি উপাদান : আলু কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করাপ্রধান সবজি। এতে একদিকে যেমনি ভাতের মতো শর্করা আছে তেমনি সবজির মতো খাবার আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে

শর্করা - ১৯ গ্রাম,

খাবার আঁশ - ২.২ গ্রাম,

উদ্ভিদ প্রোটিন - ২ গ্রাম,

খনিজ লবণ - ০.৫২ গ্রাম যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম,

এবং ভিটামিন - ০.০২ গ্রাম।

প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণ বেশি থাকায় এটি একটি সুষম খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

রোগ-প্রতিরোধ :

আলু শরীরের ভেতরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে। আলুতে কোনো চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ এতে আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এই দু’টি খনিজ উপাদান হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য। আবার এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহিবিটর থাকায় এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া থাকে না। আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য । আলুকে বলা হয় স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক। আলুর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকার কারণে। শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য।

রুপচর্চা : আলুতে জিংকসহ অন্যান্য উপাদান থাকায় তা ত্বকের যত্নে বিশেষ উপযোগী। আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের দাগও দুর করে। বিভিন্ন ধরনের ব্রণ নির্মূলেও বিশেষ সহায়ক।

বিষয়: বিবিধ

১৩১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File