হিজরত, মুহাররাম ও আশুরাঃ আমাদের করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন এ টি এম মোনাওয়ার ২৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৫৭:১১ সকাল
সুপ্রিয় ভাই ও বোন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি ইসলামী ক্যালেন্ডারের হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা। হিজরী বৎসরের প্রথম মাস মুহাররামে আপনাদের জানাচ্ছি স্বাগতম। পাশাপাশি বিগত বছরকে বিদায় প্রাক্কালে আপনাদের সকলের জন্য আল্লাহর তালার কাছে ক্ষমা কামনা করছি। আরো কামনা করছি এই মুহাররাম মাসে আপনাদের জীবন হোক যাবতীয় অন্যায়ের ছায়ামুক্ত এবং ভবিষ্যত দিনগুলো হোক আল্লাহ্ তালার আনুগত্য, রাসূলুল্লাহর অনুসরণ এবং যুগের সোনালী পূরুষদের আদর্শে উজ্জীবিত, সুন্দর এবং সুখকর।
মুহাররাম মাস ইসলামের ইতিহাসে এক নব দিগন্তের সূচনা। রাসূল (সাঃ) এর হিজরতের মাধ্যমেই দিন গণনার এই নব সূচনা হয় এবং তৎকালীন পৃথিবীতে শান্তির আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। ‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর বিধানে আল্লাহর কাছে মাস গণনায় মাস বারোটি,তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত,এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান;সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ সূরা আত-তাওবা,আয়াত-৩৬)- সম্মানিত এই চার মাসকে চিহ্নিত করে বিদায় হজের ভাষণে রাসূল সাঃ বলেছেন, ‘তিনটি মাস হলো ধারাবাহিক জিলকদ,জিলহজ ও মহররম,অপরটি হলো রজব।’বুখারি, 2958)
মুহাররাম মাসের ১০ তারিখই ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। আশুরার দিন নফল রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঘোষণা করলেন,‘এ রোজা বিগত এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে থাকে।’ (মুসলিম, ১৯৭৬ ও তিরমিজি)- অপর হাদিসে রাসূল সা: এরশাদ করেন,‘রমজানের রোজার পরই আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হলো মহররম মাসের রোজা।’ (মুসলিম, 1982)- আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাঃ বলেছেনঃ রমযান মাসের পর মুহাররাম মাসে রোযা রাখাই সর্বশ্রেষ্ঠ রোযা পালন যেমনি ভাবে ফরয নামাযের পর তাহাজ্জুদ সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামায। (মুসলিম, ১১৬৩)- ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ কে রোযার রাখার জন্য আশুরার দিন ব্যতীত অন্য কোন দিনকে অধিক মর্যাদা দিয়ে খুজতে দেখিনি। (বুখারী, ২০০৬)। সম্পূর্ণ লিখাটি পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন Click this link
বিষয়: বিবিধ
১২৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন