মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের লেখা থেকে
লিখেছেন লিখেছেন Anwarulhaque67 ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৫৪:৪৪ সকাল
আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করার উদ্দেশ্যে যারা সংগঠনে যোগদান করে এবং সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তাদের উপরই শয়তান সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত হয়।কারণ শয়তানের রাজত্বের ক্ষতি করার যোগ্যতা তাদেরই।তারা আল্লাহর আইন ও সত্ লোকের শাসন কায়েম করতে চেষ্টা করে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে শয়তানের রাজত্ব টিকতে পারে না। অবশ্য শয়তান সব ঈমানদারকেই গুমরাহ করার চেষ্টা করে এবং তাদেরকে নেক আমল থেকে ফিরিয়ে রাখার সব রকম তদবীর চালায়।কিন্ত্ত শুধু ঈমান ও আনুষ্ঠানিক আমলের দ্বারা শয়তানের রাজত্বের তেমন কোন ক্ষতি হয় না। শয়তানের শাসন ব্যবস্হার অধীনে যে সব ঈমানদার ও সত্ লোক বাস করে, তাদের উপর শয়তান অসন্ত্তষ্ট হলেও ক্ষিপ্ত হয় না। কারণ তারা শয়তানের রাজ্যের বিদ্রোহী নয়।ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে শয়তান বিদ্রোহী ও চরম দুশমন মনে করে। তাই হাজারো ফন্দি ফিকির ও ষড়যন্ত্র করে কর্মীদেরকে এ পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করে।যদি সরাতে না পারে, তাহলে কর্মীদের নিয়্যতে ভেজাল মিশানোর চেষ্টা করে এবং কর্মীদের মধ্যে বিভেদ ও ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায়।আর মানুষের মধ্যে যারা শয়তানের খলিফা, চেলা ও শাগরিদ তারাও দুনিয়ার লোভ দেখিয়ে বা বাতিল শক্তির ভয় দেখিয়ে কর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।তাই শয়তান ও শয়তানের শাগরিদদের চালাকী, ধোঁকা, ষড়যন্ত্র ও চক্কর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকা দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১৩১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন