কোটা প্রথা নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ এবং প্রস্তাবনা
লিখেছেন লিখেছেন প্রেমিক পোলা ১৩ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫৫:০৫ সকাল
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হলেও কোটা প্রথা তা করে দিচ্ছে পঙ্গু। ছোট বেলায় পড়েছিলাম, সাহিত্য জাতির দর্পণ স্বরূপ। কিন্তু সেই সাহিত্য যদি প্রকৃত সাহিত্যিক না লিখে দর্পণে কি দেখব!
বিশ্লেষণ-১
বর্তমানে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশ কোটা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্যে। আপনারা কি বিশ্বাস করেন দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার? অবশ্য এখন অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কিনছেন। চারজোট সরকারের সময়ও একশ্রেনীর অসাধুচক্র এ কাজ করেছে, এই সরকার আসার পরে এটা আরো বেড়েছে। মাস দুয়েক আগে একটি জাতীয় দৈনিকে লাল অক্ষরে খবর হয়েছে, হিসেবের চাইতে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক বেশী। দূর্নীতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট বের হচ্ছে। খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর মন্ত্রনালয় থেকে সার্টিফিকেট দেয়া বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন, মন্ত্রনালয়ে আটকে থাকা সব মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট রিলিজ করে দিতে। আমার মতো কোটাবিহীন সকল নাগরিকই প্রধানমন্ত্রীর এ কথায় অবাক হয়েছেন। ৩০ শতাংশ কোটা পূরন হয় না বলে, তিনি এরই মধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনীরাও কোটা পাবেন। এখন আবার গনহারে মুক্তিযোদ্ধা বানানো শুরু করেছেন। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এই সুবিধাবাদী মুকুযোদ্ধার সংখ্যা সেদিকে একটু খেয়াল করুন।
বিশ্লেষণ-২
নারী-পুরুষ সমান সমান বলে যেসব প্রগতিশীল নারীরা বুলি আউড়ান তাদের কি একটুও লজ্জা করেনা। নারী স্বাধীনতার চূড়ান্ত ফল ভোগ করেও এখন আবার কোটা চাও। নারী পুরুষ সমান হলে বিসিএস এ ১০% এগিয়ে থাকলে সেটাতো অসম বণ্ঠণ! রাস্তায় রাস্তায় পুরুষের নামে দোষারোপ আর সুবিধার বেলায় তোমরাই সেই নারী! কোথায় সেসব প্রগতিশীল নারীরা। একটু দেখা দাও। ১০% বাদ রেখেই রাস্তায় নামো।
বিশ্লেষণ-৩
জেলা কোটাতে যে ১০% আছে সেখানে চলে নেতাদের গোপন লেনদেন। উতরাং এটারও দরকার নেই। কেউ আজ অব্দি জেলা কোটায় চাকরি পেয়েছে শুনি নাই।
বিশ্লেষণ- ৪
বাকি কোটা ঠিক আছে তবে সব কোটা মিলিয়ে ১০-১২% এর মধ্যে রাখলে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
প্রস্তাবনাঃ
১৷ ৩৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল পূর্বের নিয়মে প্রকাশ করতে হবে৷
২৷ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের মাধ্যমে আসন সংখ্যা আনুপাতিক হারে সমতা বিধান করতে হবে৷
৩৷ কোটার পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী পুলিশ, বি, ডি, আর এসব চাকরীর জন্যই বেশী প্রাধান্য পাবে।
বিষয়: বিবিধ
২০৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন