চারিদিকে চলছে কামড়া-কামড়ি তাই ভিন্ন আয়োজনের কৌতুক!

লিখেছেন লিখেছেন প্রেমিক পোলা ০৬ জুলাই, ২০১৩, ০২:৩৯:০৯ দুপুর





(১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া চলছে। এমনকি ঝগড়া গড়িয়েছে হাতাহাতি পর্যন্তও!

এক পর্যায়ে খাটের নিচে আশ্রয় নিল স্বামী বেচারা। স্ত্রী খাটের নিচে উঁকি দিয়ে বলল, ‘বেরিয়ে এসো। বেরিয়ে এসো বলছি!’

উত্তরে মিনমিন করে বলল স্বামী, ‘আমি কি তোমাকে ভয় পাই ভেবেছ? তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি, আমি কিন্তু যা বলি তাই করি।’

স্ত্রী: কী বলতে চাও তুমি? কী করবে শুনি?

স্বামী: খাটের নিচ থেকে বের হব না বলেছি। কিছুতেই বের হব না!

(২) স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন স্ত্রী। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘আর জীবনে কোনো দিন আমি এমুখো হব না। থাকো তুমি একলা। আমি চললাম বাবার বাড়ি।’

স্বামী কটা টাকা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘যাও যাও। আর এই নাও, যাওয়ার ভাড়াটা নিয়ে যাও।’

স্ত্রী মুখে ঝামটা মেরে বললেন, ‘আর ফেরার ভাড়াটা কে দেবে শুনি?

(৩) আস্ত মুরগির ফ্রাইটা মাত্র আয়েশ করে খেতে বসেছেন জলিল মিঞা, এমন সময় রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী এসে হাজির। বিনীত ভঙ্গিতে বললেন কর্মচারী, ‘স্যার, কিছু মনে করবেন না। ওই টেবিলে যে বিশালদেহী লোকটাকে দেখছেন, সে আমাদের নিয়মিত কাস্টমার। প্রতিদিন এসে মুরগির ফ্রাই খায়। আজ আমাদের এখানে একটাই ফ্রাই অবশিষ্ট ছিল, সেটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে। এখন মুরগির ফ্রাই না পেয়ে ভীষণ খেপেছেন তিনি। যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ফ্রাইটা ওনাকে দিই, আপনি অন্য কিছু খান।’

রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে পাত্তাই দিলেন না জলিল। বললেন, ‘ধুত্তোরি, তোমার বিশালদেহীকে অন্য কিছু খেতে বলোগে, যাও।’

কিছুক্ষণ পর হাতা গোটাতে গোটাতে উঠে এল বিশালদেহী। বলল, ‘আমার মুরগি আমাকে দিয়ে দিন। নইলে...’

জলিল: নইলে কী করবেন, শুনি?

বিশালদেহী: আপনি মুরগিটার সাথে যা করবেন, আমিও আপনার সাথে তা-ই করব। আপনি যখন ওর রানটা ছিঁড়বেন, আমিও আপনার রান ছিঁড়ে নেব। আপনি যখন ওর ঘাড়ে কামড় বসাবেন, আমিও আপনার ঘাড়ে কামড় বসাব....!’

জলিল একটুও ঘাবড়ালেন না। ফ্রাই করা মুরগিটার পায়ে আলতো করে চুমু খেয়ে নিজের একটা পা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার আপনার পালা!

(৪) ডাক্তার : দাঁতে এত বড় গর্ত এর আগে আর দেখিনি। আর দেখিনি।

রোগী : একই কথা বার বার বলছেন কেন?

ডাক্তার : আমি বলিনি। গর্তের কারণে পরেরটা প্রতিধ্বনি শুনেছেন।

(৫) প্রতিবেশী : রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আপনার ছেলে আমার ঢিল ছুড়েছে।

অন্য প্রতিবেশী : ঢিলটা কি আপনার গায়ে লেগেছে?

প্রতিবেশী : না। তবে কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

অন্য প্রতিবেশী : তা হলে ওটা আমার ছেলে নয়। ওর ছোঁড়া ঢিল কখনো ফসকায় না।

(৬) শিক্ষিকা : তোমাদের বইয়ের ১১৬ পাতার প্রথম দশটা অঙ্ক করবে।

তারপরের পৃষ্ঠার এক থেকে পনেরো পর্যন্ত করবে.....

ছাত্র : সত্যি বাবার ওপর বড্ড চাপ পড়ে যাবে।

(৭) রাস্তায় এক মহিলা ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করলো,

পুলিশ : থামুন

মহিলা : আমাকে যেতে দিন আমি একজন স্কুল টিচার

পুলিশ : আহ!! এই মুহুর্তটার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছি ,

"এখন আপনি খাতায় ১০০ বার লিখুন, 'আমি জীবনেও আর ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করবো না'”

(৮) ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। এমন সময় তিনজন লোক ট্রেনের দিকে দৌড়ে আসছে দেখে করিত্কর্মা গার্ড টেনে-হিঁচড়ে তাদের মধ্য থেকে দু’জনকে তুলতে পেরেছে। ট্রেনের গতি বেড়ে যাওয়ায় বাকিজনকে তুলতে পারেনি।

গার্ড : ব্যাপার কী! এত কষ্ট করে তিনজনকে তুলতে না পারলেও দুজনকে তো তুলেছি, অথচ আপনারা একটুও ধন্যবাদ দিচ্ছেন না যে?

.

.

.

লোক দু’জন : ধন্যবাদ দিই কী করে! যেইজনকে ফেলে এসেছেন, আসলে উনিই ছিলেন যাত্রী। আর আমরা এসেছিলাম ওনাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে।

(৯) একটি গাড়িতে ঝগড়া করছে দুই মহিলা। অবশেষে ডেকে আনল গাড়ির হেল্পারকে।

“যদি এই জানালাটা খোলা থাকে, ঠাণ্ডায় মারা যাবো আমি।” ঘোষণা করল একজন।

“আর বন্ধ থাকলে দমবন্ধ হয়ে মারা যাব আমি।” অন্যজন ঘোষণা করল।

হতবুদ্ধি হয়ে হেল্পার পাশের এক বয়স্ক ভদ্রলোককে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানাল।

“প্রথমে জানালাটা পুরা খুলে দাও। এতে একজন মারা যাবে। এরপর বন্ধ করে দাও। এতে মারা যাবে আরেকজন। তারপর আমরা শান্তিতে থাকতে পারব।” রায় দিলেন বয়স্ক ভদ্রলোকটি।

(১০) হাবলু আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—

হাবলু: জানিস, আজ আমার মোবাইল ফোনে অদ্ভুত একটি মেসেজ এসেছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।

বিল্টু: বলিস কী রে! মেসেজে কী লেখা ছিল?

হাবলু: ব্যাটারি লো।

বিল্টু: বলিস কী? মেসেজটা তাড়াতাড়ি আমাকে পাঠিয়ে দে। আমি ওই মেসেজ সবাইকে পাঠিয়ে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব।

(১১) একদিন পাগলা গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের উন্নতি দেখার জন্য পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। পরীক্ষায় পাস করতে পারলে মুক্তি, আর না করলে আরো দুই বছরের জন্য আটকানো হবে।

ডাক্তার তিনজনকে সাথে নিয়ে একটা 'পানিশূন্য সুইমিং পুল'-এর সামনে গিয়ে ঝাঁপ দিতে বললেন। প্রথম পাগল সাথে সাথেই ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলল। দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের কথা মতো ঝাঁপ দিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলল। কিন্তু তৃতীয় পাগলটি কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হলো না। ডাক্তার আনন্দে চিৎকার করে উঠে বললেন, আরে, তুমি তো পুরোপুরি সুস্থ। তোমাকে মুক্ত করে দেব আজই। আচ্ছা বলো তো তুমি কেন ঝাঁপ দিলে না?

জবাবে সে বলল, ‘আমি তো সাঁতার জানি না’।

(১২) এক ভদ্রমহিলা গেছেন ডাক্তারের কাছে—

ভদ্রমহিলা: ডাক্তার সাহেব, আমার দুটো কান পুড়ে গেছে।

ডাক্তার: হুম্, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কীভাবে পুড়ল?

ভদ্রমহিলা: আমি আমার স্বামীর শার্ট ইস্ত্রি করছিলাম। হঠাৎ ফোন এল। আমি ফোন না তুলে ভুল করে ইস্ত্রিটা তুলে কানে লাগিয়ে ফেলেছিলাম।

ডাক্তার: বুঝলাম, কিন্তু অন্য কানটা পুড়ল কীভাবে?

ভদ্রমহিলা: লোকটা যে আবারও ফোন করেছিল!

(১৩) ফায়ার সার্ভিস অফিসে একটা ফোন এল।

-হ্যালো, এটা কি ফায়ার সার্ভিস অফিস?

-হ্যাঁ, বলুন।

-দেখুন মাত্র কিছুদিন হলো আমি আমার ফুলের বাগান করেছি। ছোট্ট সুন্দর বাগান, নানা জাতের ফুল ফুটেছে…

-আগুন লেগেছে কোথায়?

-গোলাপের চারাগুলো খুব দামি, অর্ডার দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি•••

-কোথায় আগুন লেগেছে তা-ই বলুন, শিগগির।

-তাই তো বলছি। আগুন লেগেছে আমার পাশের বাড়ি। আপনারা তো এক্ষুনি আসবেন। তাই আগে থেকেই অনুরোধ করছি, আগুন নেভানোর ফাঁকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়েন, অনেক দিন পানি দেওয়া যাচ্ছে না।

(১৪) অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও।’

স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে পানি দাও।’

স্ত্রী পানি দিল। পানি খেতে খেতে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’

এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…ছোটলোক, স্বার্থপর…’

স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’

(১৫) পাহাড়ে উঠেছে ভোলানাথ। উঠেই সে একটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেল। ভোলানাথ সেই চেরাগে ঘষা মারতেই এক দৈত্য এসে হাজির হয়ে বলল, ‘হুকুম করুন আমার মালিক।’ ভোলানাথ তো অবাক। খানিক পরে সে ধাতস্থ হয়ে বলল, ‘আমি তোমার কাছে তিনটি জিনিস চাইব। দিতে পারবে তো?’ দৈত্য বলল, ‘জি মালিক, তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে যা দেব, আপনার বন্ধু ওই জিনিসটি আপনা-আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে পাবে।’ ভোলানাথ তো এতে মহাখুশি। সে রাজি হয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আমাকে একটা পরশপাথর দাও দেখি।’ দৈত্য ভোলানাথকে পরশপাথর দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু কিন্তু দুটি পরশপাথর পেয়েছে।’ এরপর ভোলানাথ দৈত্যের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার চাইল। দৈত্য ভোলানাথের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু এবার ২০০ মিলিয়ন ডলার পেল।’ ভোলানাথের বন্ধু সবকিছু দ্বিগুণ পাচ্ছে দেখে ভোলানাথের রাগ চরমে উঠে গেল। এ ছাড়া ওই বন্ধুর ওপর খানিক রাগও আছে তার। সে ভাবল, এই তো সুযোগ! মুচকি হেসে দৈত্যকে বলল, ‘এবার আমাকে পিটিয়ে আধমরা করে দাও তো বাপু!’

বিষয়: সাহিত্য

২৩৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File