তুরস্কের উল্টোরথে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন আস্তিক ব্লগার ১৭ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৪৫:৩৯ সকাল
তুরস্কের সামরিক অভ্যুথ্যানের চেষ্টা, জনগণের রাস্তায় নেমে এসে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাতের ঐতিহাসিক ভূমিকা, এরদোগানের সময়োচিত ঐতিহাসিক নেতৃত্ব, এই গুলোই এখন বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমের প্রধান আলোচিত এবং প্রশংসিত বিষয়। তুরস্ক এগিয়ে চলেছে। এই জাতিকে আর কুট কৌশলে পিছনে রাখা যাবেনা এই মেসেজ তুরস্কের সকল পার্টি এবং জনগণ দিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।
কিন্তু বাংলাদেশ চলেছে ঠিক তার উল্টো দিকে। অদম্য বাংলাদেশী এই কথাকে কাচকলা দেখিয়ে ঢাকাতে বসেই বাংলাদেশের কেনা বেচা নিয়ে দেন দরবার করে গেছেন নিশা দেশায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে। খালেদা সহ আর সকলেই পান্তা ভাত। দেশের প্রধান বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকার প্রধান ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এটাই যেন বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন এই তিন আনার মন্ত্রী (সৈয়দ আশরাফের ভাষায়)। আনিসুল হক এখন লিখতেই পারে বিশ্ব জানুক অদম্য বাঙ্গালী দমে গেছে। তবে সে না জানালেও ক্ষতি নেই, বিশ্ব এখন জেনে গেছে বাংলাদেশ এখন চলছে তুরস্কের উল্টো রথে।
আরবাকান থেকে এরদোগান তুরস্ককে বের করে এনেছে এক অভিশাপ থেকে। যেখানে উদারতার নামে দেখানো হয়েছিল সংকীর্ণতা। পর্দা নিষেধ করা হয়েছিল, আযান নিষেধ করা হয়েছিল, আলেম তৈরীর কোন কারখানা যেন না থাকে তারও ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। সেক্যুলার জয়জয়কারে ধর্মকে দেয়া হয়েছিল নির্বাসনে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মকে লাশ বানিয়ে ফেলার জন্য আরবি ভাষাকেও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল অন্ধকার কারা প্রকোষ্টে। সেখান থেকেই তুরস্ককে আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছেন আরবাকান থেকে এরদোগান সকল জনগণকে সাথে নিয়ে।
আর বাংলাদেশে এখন শুরু হয়েছে শাহবাগী নাস্তিক আর সেক্যুলারদের জয় জয়কার আর লম্ফ ঝম্ফ। ইতিমধ্যেই ইমামদের কন্ঠ রোধ করে সরকারী খুতবা চালু হয়েছে। যে আওয়ামী গুন্ডা নেতারা মসজিদেই যেতো না তারা এখন খুতবার তত্বাবধায়ক। সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন দাবী উঠবে আবু বকর, ওমর সহ খুতবাতে যেসব সাহাবীদের প্রশংসা করা হয় সেখানে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করার জন্য। আর সুন্দর বনের বাঘ খ্যাত বাঙ্গালী মসজিদের মধ্যেও হয়ে থাকবে মেকুর। এখন তাদের কিছুই করার নেই চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।
তারা শুধু এখন একটা স্বপ্নই দেখতে পারে আর তা হলো তুরস্কের মতো যদি সেনাবাহিনী রাস্তায় নেমে আসে তাহলে তারাও নেমে যাবে রাস্তায়। তবে তুরস্কের জনগণের মতো বাধা দেবার জন্য নয় বরং ফুলের তোড়া দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তবেই না স্বার্থক হবে তুরস্কের উল্টো রথে চড়া বাংলাদেশ।
বিষয়: রাজনীতি
১১৪২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন